নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নুর-এ-আলম

More a collection of impulsive thoughts than deliberate reflection.

নুর-এ-আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি শেষমেশ ইরান-ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে পারছি?

২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

বিশ্বব্যাপী যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা এক ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছাতে চলেছিল ড্রোন হামলা, গোপন অভিযান এবং প্রকাশ্য হুমকিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছিল ঠিক তখনই কূটনৈতিক পরিসরে কিছু নতুন গতিপথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, অন্তত আপাতত, একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা কিছুটা হলেও ঠেকানো গেছে।

দুই পক্ষই এখন একধরনের ‘টিট-ফর-ট্যাট’ সংঘর্ষের মধ্যে আছে, যেখানে আঘাত ও প্রতিঘাত হচ্ছে, কিন্তু সবকিছু ঘটছে অঘোষিত নিয়মের কাঠামোর মধ্যে। এই নিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা অনেকটাই ঠাণ্ডা যুদ্ধের কৌশলের মতো প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা, কিন্তু সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংকটে ভিন্ন এক সুরে কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মত সরাসরি সামরিক জড়িততার পক্ষ না হয়ে ইউরোপীয় নেতারা এখন কূটনৈতিক সমাধানের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন। এর ইঙ্গিত মিলেছে সম্প্রতি জেনেভায় শুরু হওয়া ইরান ও ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে। এটি এই সংকট পরবর্তী সময়ে প্রথম উচ্চপর্যায়ের সংলাপ যা আলোচনার দিকে যাত্রার প্রথম বাস্তব পদক্ষেপ।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে দুই সপ্তাহের এক ধরনের ‘স্ট্র্যাটেজিক প্যাসিভিটি’ সময় দিয়েছেন। অর্থাৎ, এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না, বরং ইসরায়েল নিজেই তার সামরিক কৌশল নির্ধারণ করবে। এটা মূলত এক ধরনের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’যেখানে হস্তক্ষেপ না করেও সংকটকে সাময়িকভাবে প্রশমিত করা হচ্ছে।

রাশিয়া, যার অবস্থান ইউক্রেন াবোং সিরিয়া যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ খর্ব হয়েছে, নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। যদিও তারা সরাসরি ইরানের জন্য অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে না, তবে কূটনৈতিক সহায়তা ও গোয়েন্দা সমন্বয়ের মাধ্যমে ইরানের পাশে অবস্থান নিচ্ছে। এই অবস্থান ইসরায়েলের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

অন্যদিকে, চীনের কৌশলগত নীরবতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আগে সৌদি-ইরান সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করলেও, এখন চীন নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। এই নীরবতা সম্ভবত তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার একটি কৌশলগত অংশ।

আরব রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনও পর্যন্ত দ্বন্দ্বে সরাসরি জড়াতে চায় না। তারা রাজনৈতিকভাবে নীরব, কিন্তু কার্যত যুদ্ধ এড়ানোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার ও বৈশ্বিক বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে তারা অঞ্চলটিকে স্থিতিশীল রাখতে আগ্রহী।

সারসংক্ষেপে, এই মুহূর্তে আমরা একধরনের ‘ধীরগতির কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ শান্তির জানালায়’ দাঁড়িয়ে আছি। কূটনৈতিক সমন্বয় যদি আরও গভীর হয়, তাহলে হয়তো এই মুহূর্তটিকে একদিন চিনবে যখন বিশ্ব একটা বড় যুদ্ধের কিনার থেকে এক ধাপ পেছনে সরে এসেছিল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

ফারমার২ বলেছেন:



যাতে ইরান ও ইসরায়েল যাতে যুদ্ধে না'যায়, সেই দায়িত্ব কি আপনার ও সত্যপথিকের উপর দিয়েছিলো জাতি সংঘ?

২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

নুর-এ-আলম বলেছেন: "হ, জাতিসঙ্ঘ আমারেই বলছে, ‘ভাই, ইরান-ইসরায়েল যাতে না যুদ্ধে যায়, এইটা তুমি সামলাও!’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.