![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা এখনো বার কাউন্সিল পরীক্ষার নাম শোনেননি, আপনাদেরকে অভিনন্দন।
যারা শোনেছেন বা যারা খুব কাছের কাউকে এই পরীক্ষার জন্য হাঁসফাঁস করতে দেখেছেন, স্বাগতম। আপনি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মানসিক নিপীড়নের অভ্যন্তরীণ মহলে প্রবেশ করেছেন।
আপনি আইনের ছাত্র নাকি জেলের কয়েদি, সেটা মাঝেমাঝে ভুলে যাবেন।
প্রথম ধাপ: ১০০টা MCQ প্রশ্ন।
সময় সীমিত। যেকোনো সময় মনে হতে পারে “আমি এটা পড়ি নি, ওরে বাবা এটা তো নতুন আইন!”
পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পড়ে, রাতে ঘুমানোর সময়েও আইনের ধারা আওড়াতে থাকে|
কে পাশ করবে, কে বাদ যাবে, সেটা একমাত্র মহাবিশ্ব জানে।
MCQ পাশ করলেন? এখন আসল যুদ্ধ।
লিখিত পরীক্ষা, আপনি কতটা হাত ব্যথা সহ্য করতে পারেন, কতটা অলস মনে কেস রেফারেন্স বানাতে পারেন, আর কতটা কল্পনাশক্তি দিয়ে উত্তর লিখতে পারেন।
লিখিত পরীক্ষার আগে হঠাৎ করে কিছু “গুরুজন” আপনাকে খুঁজে বের করবেন।
তাঁদের বার্তা: “ভাই, চাইলে পাশ করিয়ে দিতে পারি। আপনার জন্য কিছু একটা করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।”
তাদের ম্যাজিকাল টিপস?
“যা পারেন লিখুন, খালি রাখবেন না। আর কিছু লাগবে না।”
ফলাফল বের হতেই দেখা যাবে, সত্যি সত্যিই কিছু লোক পাশ করে ফেলেছে।
তৎক্ষণাৎ জাদুকরেরা আসে গর্বের সাথে:
“দেখলেন তো? বলেছিলাম না, আমি করে দিবো!”
যারা পাশ করেনি?
তাদের টাকা ভদ্রভাবে ফেরত দেওয়া হয়, সাথে বলা হয়:
“ভাই, আপনি যা লিখছেন, আইন নয়, ওটা কবিতা ছিলো। আর মাফ করবেন, ওটা নিয়া কিছু করা সম্ভব ছিল না ”
গুজব আছে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ম্যাজিক হয়।
কেউ বলে: “কোটা থাকে”,
কেউ বলে: “তালিকা তৈরি থাকে”,
আর কেউ বলে: “টাকা দিলে সব হয়”।
আপনার বন্ধু, ভাই, বোন, প্রেমিক/প্রেমিকা, যেই এই পরীক্ষা দিচ্ছে, একটু স্নেহের চোখে তাকান।
ওরা এখন কেবল পরীক্ষা দিচ্ছে না।
ওরা একটা মানসিক যুদ্ধে আছে, যেখানে প্রতিপক্ষ হলো আইনের বই, ঘুমের অভাব, আর গুরুজন।
এক কাপ চা দিন। সাহস দিন। আর দরকার হলে বলুন:
“পাশ না করলে তুই আমার ঘর থেকে বের হ।”
(একটু হুমকি দিলে পড়াশোনায় মন বসে)
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার হাফ সেঞ্চুরিয়ান।
আমার কি এলএলবি পড়া ঠিক হবে?
আমি এখন বিলাতে আছি। শুনেছি- হাফ সেঞ্চুরিয়ান হলে বার কাউন্সিলের সনদ দেয় না ।
কথাটি ঠিক?