![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যখন একটি কোম্পানি ধীরে ধীরে বড় হতে হতে জায়ান্ট কোম্পানিতে রূপ নেয়, তখনই শুরু হয় এক নতুন খেলা, কর ফাঁকির খেলা। এই খেলাটা শুধুমাত্র অস্বচ্ছ নীতির আশ্রয়ে নয়, বরং অনেক সময় "ক্রিয়েটিভ একাউন্টিং" নামের এক সুপরিচিত শিল্পকলার মাধ্যমে চলে। হ্যাঁ, এটিকে শিল্পই বলা যায়, কারণ কর ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শেখানোর জন্য রয়েছে বিশেষ অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা, এমনকি নামিদামি অডিট ফার্মগুলো পর্যন্ত এই খেলা শেখায়।
কর ফাঁকি দেওয়ার এই কৌশলগুলোর মধ্যে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো—সম্পদকে ট্রাস্টে রূপান্তর করা। এতে করে ব্যক্তি বা কোম্পানি একটি ‘আইনসঙ্গত’ অবকাঠামো গড়ে তোলে, যার আড়ালে বিশাল অংকের কর ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে যতটা সম্ভব ‘আইনি কাঠামোর’ মধ্যে রেখে চালানো হয়, যেন দেখলে মনে হয় সবকিছু স্বচ্ছ এবং বৈধ।
এই প্রসঙ্গে আলোচনায় চলে আসে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনুসের নাম। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের পাশাপাশি গ্রামীণফোন এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অভিযোগ আছে, তিনি এই তথাকথিত ‘ক্রিয়েটিভ একাউন্টিং’-এর মাধ্যমেই তার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর মওকুফ করিয়ে নিয়েছেন।
প্রশ্ন করছি উনাকে, যদি এই কর মওকুফ বা কর ফাঁকি দেওয়ার কৌশলটি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে কেন তিনি ব্র্যাক, আশা, টিএমএস, কিংবা অন্যান্য এনজিও ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না? এবং তারা যদি তার মত করে এমন করে উনি মেনে নিবেন? এই দ্বৈত নীতিমালাই প্রমাণ করে, এখানে কোনো স্বচ্ছতা নেই। বরং এটি একটি সুচারু পরিকল্পনায় সাজানো কর ফাঁকির চিত্র।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—আজকে যেটি ‘ক্রিয়েটিভ একাউন্টিং’ বলে বৈধতার ছায়ায় লুকানো হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটিই হয়তো ‘রিভার্স ক্রিয়েটিভ একাউন্টিং’-এর মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তখন তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, দিতে হতে পারে জবাবদিহি।
বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গ্রামীণফোনের কর সংক্রান্ত মামলাগুলোর সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হলে সরকার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারতো। এই অর্থ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় করা যেত। এক কথায়, কর ফাঁকি কেবল একটি নীতিহীন কাজই নয়, এটি সরাসরি সাধারণ জনগণের অধিকার হরণ।
একজন ব্যক্তি যত বড়ই হোন না কেন, তার প্রতিষ্ঠান যতই জনকল্যাণের গল্প বলুক না কেন জাতির প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি কর প্রদান একটি মৌলিক দায়িত্ব। কর ফাঁকি দেওয়া কখনোই “ক্রিয়েটিভ” নয়, এটি জনগণের অর্থ থেকে নিজেকে গোপন করার এক নিষ্ঠুর ও আত্মকেন্দ্রিক প্রচেষ্টা।
০৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাতো অবশ্যই। কিন্তু অনেকেই আছে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে হায়ার করে।
২| ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
ফেনিক্স বলেছেন:
ইউনুস বিশ্ব বিখ্যাত শঠ; সে পশ্চিমে অভিনয় করে, ফ্রি ডলার এনে নিজে বিলিওনিয়ার হয়েছে; এবারের ক্যু করায়েছে নিজের সম্পদকে লুকায়ে পশ্চিমে নেয়ার জন্য।
সে টেলনরকে যেভাবে ধনী করেছে, টেলনরও উহাকে সেভাবে ধনী করেছে; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ; কমপক্ষে ৩০ বিলিয়ন ডলার অকারণে টেলনর আয় করেছে বাংলাদেশ থেকে।
০৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখন ক্ষমতা পেয়ে একই কাজ করে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৬
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আজকে আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। এই ব্যাপারে একটি পোস্ট দিয়েছি। মনে চাইলে দেখে আসতে পারেন।
০৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জ্বী, পড়েছি।
৪| ০৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেব নিরপেক্ষ নন। এটাই মুল সমস্যা।
০৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি নিরপেক্ষ হবেন এটা যারা আশা করেছে তারা কি বুঝে আশা করেছিল কে জানে!
৫| ০৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: চিটারি বাটপারিতে একবার মজা পেয়ে গেলে আপনি সারাজীবন চেষ্টা করলেও আর ভালো হতে পারবেন না।
০৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ড ইউনুস সম্পর্কে দিনদিন মানুষের নেতিবাচক ধারণা জন্ম হচ্ছে গুণিতক হারে।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিজ্ঞ আদালত প্রথম দিনেই রায় ঘোষণা করেন না। কারণ কি জানেন?
সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী, প্রমাণ - যা যা মেনিপুলেট হয়েছে! সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে, হতে বাধ্য। অপেক্ষা করুন, আমার কথা আপনার স্মরণ হবে। “অপেক্ষা” করুন। এর চেয়েও অনেক অনেক কঠিন সময় কঠিন বাস্তব দেখা মানুষ আমি।
চোরের বস্তা চোরে লুট করে। - কোন চোরের বস্তা কোন চোরে লুট করেছে আপনার “অপেক্ষায় তথা সময়ে” আপনি জানতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: কর প্রদান যদি রাষ্ট্রের প্রতি একটি মৌলিক দায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে রাষ্ট্রেরও উচিত কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যেন স্বাচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে তার প্রয়োজনীয় পরিবেশ সুনিশ্চিত করা। তাই নয় কি?