নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হত্যা করে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশংসা করে কি লাভ হয়!

১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


সম্প্রতি দুটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাশাপশি দেখা যাচ্ছে।
প্রথমটি—ইসরাইলের আক্রমণে ইরাকে ৬০ জন নিহত।
দ্বিতীয়টি—ইরাকের পাল্টা আক্রমণে ইসরাইলে তিনজন নিহত।

এই দুই খবরে কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলে এক বিষাদময় বাস্তবতা সামনে আসে।
ইসরাইলের আক্রমণের খবরে অনেকে হিব্রুতে লিখেছেন "Baruch Hashem" — অর্থাৎ “সমস্ত স্তুতি ঈশ্বরের জন্য”।
আর ইরাকের আক্রমণের খবরে অনেকে লিখেছেন "Alhamdulillah" — অর্থাৎ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য”।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে—
একটি প্রাণ হত্যার পর, সেই হত্যাকে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশংসা হিসেবে উৎসর্গ করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

ধর্মীয়ভাবে আমরা জানি, সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষের জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। কুরআন, বাইবেল, তৌরাত—সব ধর্মগ্রন্থেই বলা হয়েছে:
"একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গোটা মানবজাতিকে বাঁচানোর সমান"।

তাহলে একজন মানুষকে হত্যা করে সেই হত্যার উল্লাস যদি আমরা ঈশ্বর বা আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে করি, সেটা কি ঈমানদার মনুষ্যত্বের প্রকাশ, নাকি একধরনের পাথর হওয়া হৃদয়ের সংকেত?
এতে করে ধর্মীয় শব্দগুচ্ছ, যেগুলো কৃতজ্ঞতা ও শান্তির প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল, তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৃত্যুর উল্লাসে ব্যবহৃত ব্যঙ্গাত্মক হাতিয়ার।

একটা সময় ছিল—যখন যুদ্ধ হতো রাজায় রাজায় কিংবা সম্রাটে সম্রাটে। যুদ্ধের স্থান নির্দিষ্ট ছিল, সময় নির্ধারিত ছিল, দুই পক্ষের সৈন্যরা যুদ্ধ করত সামরিক নিয়ম মেনে। সাধারণ জনগণ তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি নিহত হত না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী এরা—যুদ্ধের বাইরে থাকত।

কিন্তু আজকের “আধুনিক” সভ্যতায় যুদ্ধের চেহারাই বদলে গেছে। ড্রোন, রকেট, মিসাইল, ফাইটার জেট—সবকিছু এখন লক্ষ করে অসামরিক স্থাপনা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল।
সৈন্য নয়, বেশি মারা যায় শিশুরা।
যোদ্ধা নয়, কান্না করে মরে বৃদ্ধারা।
রাজার প্রসাদ নয়, পুড়ে যায় মানুষের বাসস্থান!

সভ্যতা কি তবে পিছিয়ে যাচ্ছে?

আমরা নিজেদের আধুনিক বলি, কিন্তু যদি আজকের যুদ্ধের চেহারা প্রাচীন রাজাদের যুদ্ধের চেয়েও বেশি বর্বর হয়—
তবে এই আধুনিকতা কি আসলেই সভ্যতা, নাকি প্রযুক্তির মুখোশে আড়াল হওয়া অমানবিকতা?

সৃষ্টিকর্তা কাকে ভালোবাসেন?
—যারা জীবন রক্ষা করে?
নাকি যারা জীবন ধ্বংস করে তাঁর নামে প্রসংশা প্রেরণ করে?
আপনার মন্তব্যে আমাকে বলুন — আপনি কি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা এইসব উল্লাস, প্রসংশায় খুশি হন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১১

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। সৃষ্টিকর্তা তাকে ভালোবাসে, যারা জীবন রক্ষা করে। কিন্তু আপনি কি ফিলীস্তিন আর ইসরাইলের ইতিহাস জানেন?

আমি যতটুকু শুনেছি, ইসরাইল নামক তাদের কোন রাষ্ট্র ছিলো না। হিটলারের অত্যাচারে পালিয়ে, ফিলিস্তীনে আশ্রয় নেয়। সেখানে আশ্রয় নিয়েই তারা আলাদা রাষ্ট্র দাবি করে। তাও ফিলিস্তীনীদের হটিয়ে। আর এখন তারা ফিলিস্তীনীদের কি পরিমান অত্যাচর করছে তা তো আপনারা জানেন? আমি জানি যে ফিলিস্তীনীদের ইসরায়েল এর সেনাবাহিনী কি পরিমান অত্যাচার করে, সেটা আপনি খবরই রাখেন না। তখন কি বলতে পারেন নাই, “সৃষ্টিকর্তা কাকে ভালোবাসেন?”

যখন ইরান প্রতিবাদ করলো, তখনই কেন আপনার বলা লাগলো “সৃষ্টিকর্তা কাকে ভালোবাসেন?”

২| ১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যারা আগ্রাসী তারা সবসময় সৃষ্টিকর্তা ও জনগণের নামে সব কিছু চালিয়ে দেয়।

৩| ১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯

আরোগ্য বলেছেন: অতঃপর যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের ঘাড়ে আঘাত হানো, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাস্ত কর, তখন তাদেরকে শক্তভাবে বেঁধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ কর। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করে। এ নির্দেশই তোমাদেরকে দেয়া হল। আল্লাহ ইচ্ছে করলে (নিজেই) তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের একজনকে অন্যের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান (এজন্য তোমাদেরকে যুদ্ধ করার সুযোগ দেন)। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় তিনি তাদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করবেন না।

সুরা মুহাম্মদ :৪

৪| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ এক বাস্তব সত্তা।যার যার অনুভূতি আছে।সৃষ্টিকর্তা এক কাল্পনিক সত্তা।যার অনুবূতি নাই।আরোগ্যের উদ্ধৃতি থেকে বুঝা যায়,কাল্পনিক সৃষ্টি কর্তাকে মানুষ কতো হিংস্র করেছে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ।

৫| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম ছাড়া আপনি জানতে পারতেন না মানুষের জীবনের কতো মুল্যবান।এই সাধারণ কথাটা জানার জন্য আপনার ধর্ম লাগবে।মানুষ এমন নির্বোধ হয় কি করে।যে ধর্মই তাকে হত্যা করতে শিখায় সামান্য অন্য ধর্মের কারণে।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ওরাই তো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তি প্রদর্শন করে আর যুদ্ধ লাগায় আর মানুষ মারে.. আবার ভয়ে বাংকারে লুকায় ওরা জানে না! মৃত্যু সেখানেও হয়।

৭| ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সৃষ্টিকর্তা এসব দেখে রিএক্ট না করার পাত্র বলে আপনি মনে করেন?

৮| ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভারতের বিমান দূর্ঘটনায় ২৫০+ যাত্রীর মধ্যে মাত্র ১ জন যাত্রী বেঁচে যায়, এটা যদি সৃষ্টিকর্তার মাহান কূদরত হয় বা অলৌকিক কিছু হয়। তাহলে বাকি ২৫০+ যাত্রীদের পরিবারের জন্য এটা কি?

সৃষ্টিকর্তা মানুষের তৈরী কাল্পনিক একটা ক্যারেক্টর, তার থাকা বা না থাকাতে মানুষের কিছু যায় আসে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.