নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের ঢাকা অবরোধের দ্বিতীয় বার্ষিকী আজঃ বিভিন্নি কারনে ঝিমিয়ে পড়ছে হেফাজত

০৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০



৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার দ্বিতীয় বার্ষিকীতেও কোনো কর্মসূচি নেই হেফাজতে ইসলামের। তবে আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী কলেজ মাঠে ‘শিয়া পরিচিতি ও শানে রেসালত’ নামে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। হেফাজতের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ বিভেদ, হতাশা ও অবিশ্বাসে সংগঠনটির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ বা থিতিয়ে পড়েছে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও নজরদারি রয়েছে। এ অবস্থায় সংগঠনটি নিজেদের ১৩ দফা দাবি নিয়ে সরব অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।



উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়কে কেন্দ্র করে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়। পরে ওই মঞ্চে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে রাজিব নামে একজন সন্ত্রাসী আক্রমণে খুন হলে ব্লগে ইসলাম ও মহানবীকে কটূক্তি করে তার লেখার বিষয়টি প্রকাশিত হয়। একইভাবে গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সম্পর্কিত আরো কয়েকজন ব্লগারের ইসলাম বিদ্বেষী লেখার বিষয়েও খবর প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত মদদপুষ্ট কথিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এবং সমমনা ইসলামি দল ও সংগঠনগুলো নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। একপর্যায়ে বেফাকের সভাপতি ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম ১৯১৩ সালের ৯ মার্চ হাটহাজারীতে উলামা সম্মেলন করে ১৩ দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ শেষে রাজধানীর শাপলা চত্বরে ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ থেকেই ৫ মে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে অবরোধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নানা বাধা প্রতিবন্ধকতার পরও হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত ঢাকা অবরোধ করে। ঢাকার ছয় প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি শেষে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক। এ অবস্থানকে ঘিরে চরম উৎকণ্ঠায় পড়ে সরকারের উচ্চমহল। ওই দিন মধ্যরাতে পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির অভিযানের মুখে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন হেফাজতের কর্মীরা।



আহমদ শফী ঘটনার দুই দিন পর ৭ মে এক বিবৃতিতে দাবি করেন, অভিযানের সময় আড়াই থেকে তিন হাজার লোক মারা গেছেন। একই রকম দাবি করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীও। কিন্তু গত দুই বছরে এই দাবির পক্ষে তারা কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি। দুই বছরে এই দিনটিতে সংগঠনটি কোনো কর্মসূচিও দেয়নি। শুধু ঢাকায় ঘরোয়াভাবে দোয়া দিবস পালন করা হয়। হেফাজত সূত্র জানায়, হেফাজতের আমির ও তাঁর ছেলে আনাছ মাদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা এখনো নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এ অবস্থায় সরকারের বিপক্ষে যায় এমন কর্মসূচি বা বক্তব্য দেওয়া থেকে হেফাজতের নেতারা বিরত রয়েছেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: এটিও পড়ুন -

৩,০০০ লাশ গুম যেভাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.