নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক, নাট্যকার, নাট্যশিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯


নাট্য জগতে একনামে যার দেশব্যাপী পরিচিতি তিনি নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরী। একটা সময় ছিল যখন সৃজনশীল নাটক মানেই আতিকুল হক চৌধুরীর নাটক। তারঁ নাটক সব সময়ই শৈল্পিক ও নান্দনিকতায় ভাস্বর। ৫০ বছরের সুদীর্ঘ নাট্যজীবনে তিনি অগণিত নাটক লিখে প্রযোজনা করেছেন, প্রযোজনা করেছেন অন্যের নাটকও। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, টলোস্টয়ের মতো নন্দিত লেখকদের বহু গল্প-উপন্যাসের স্বার্থক নাট্যরূপ দিয়ে তিনি দর্শক নন্দিত হয়েছেন। উপহার দিয়েছেন অনেক নতুন নাট্যকার, অনেক নতুন মুখ, যাঁরা বর্তমানে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের আকাশে এক একটি উজ্জ্বল তারকা হিসেবে অবস্থান করছেন। তাঁর নিজের লেখা অনেক কালজয়ী নাটকের মধ্যে 'বাবার কলম কোথায়?', 'দূরবীন দিয়ে দেখুন', 'সার্কাস দেখুন', 'নীল নকশার সন্ধানে', 'নিঝুম দ্বীপের সন্ধানে', 'অন্বেষণ', 'জুলেখার ঘর', 'সভাপতির অভিভাষণ' 'জলাশয় কত দূর' মামার বালিশ কোথায়, উল্লেখযোগ্য। বিশিষ্ট এই নাট্যকার, পরিচালক, নাট্যশিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আতিকুল হক চৌধুরী ১৯৩১ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাঁর মাতুলালয়ে বরিশালের বাটামাড়া সৈয়দ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরিশাল জেলার প্রসিদ্ধ উলানীয়া জমিদার বাড়ির সন্তান। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রী অর্জন করার পর তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল রেডিও পাকিস্তানের নাটক বিভাগের অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে। তারপর পাকিস্তান টেলিভিশনে ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে উপ-মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের বর্ণাঢ্য ও কর্মবহুল জীবনের ইতি টেনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যত্বত্ত বিভাগে যোগদান করেন। এখানে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর শিক্ষকতা করেন। এর পরে যোগদান করেন একুশে টেলিভিশনের 'পরিচালক অনুষ্ঠান' হিসেবে। সেখান থেকে নবারূন মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও সিইও পদে নিযুক্ত থাকার পর তিনি আবার একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা পদে অধিষ্ঠিত হন। দীর্ঘ কর্মবহুল জীবনে রেডিও ও টেলিভিশনে তিনি তিন শতাধিকের উপর নাটক পরিচালনা করেছেন। তাঁর হাত ধরেই আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনে শতাধিকের উপর নাট্যশিল্পীর আগমন ঘটে। যে কারনে তাকে বলা হয়ে থাকে, তারকা আবিস্কারের উজ্জল তারকা। বাবার কলম কোথায়, দুরবীন দিয়ে দেখুন, নীল নকঁশার সন্ধানে, জুলেখার ঘর ইত্যাদী তাঁর লিখিত ও পরিচালিত জনপ্রিয় ও বিখ্যাত সব নাটক। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

সকলের শ্রদ্ধেয় এবং বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের ১৭ জুন ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পযর্ন্ত তিনি একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্ঠা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। মৃত্যুর পূর্বে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। জনপ্রিয় এই নাট্যব্যক্তিত্বের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সকলের শ্রদ্ধেয় নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

ছাসা ডোনার বলেছেন: শ্রদ্ধেয় নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং প্রাণঢালা দোয়া।

১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ছাসা ডোনার,
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
সাথে থাকবেন আগামীতে সেই প্রত্যাশায়......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.