নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোনাকিঃ বিস্ময়কর আলোকিত পোকা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫


জোনাক এক বিস্ময়কর আলোকিত পোকা ! কিন্তু জোনাকিরা কোথা থেকে পায় এই মিষ্টি এবং চোখ-জুড়ানো আর মন-ভুলানো আলো? কেউ কখনো কি ভেবেছেন, জোনাকি পোকা ঠিক কি কারণে এবং কিভাবে আলো জ্বালিয়ে রাতের আকাশ ভরিয়ে তুলে? রাতের বেলায় জোনাকিরা মূলত মিটমিট আলো জ্বালিয়ে আমাদের আনন্দ দেয়ার জন্য ঘুরে বেড়ায় না। তারা ঠিক কি কারণে আলো জ্বালাতে সক্ষম এবং কেন আলো জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ায়। জোনাকি পোকার দেহ থেকে আলো বিচ্ছুরণের মূল মাধ্যম হলো লুসিফারিন (luciferin) নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ। জোনাকি পোকার দেহে এই কেমিক্যালটি উৎপাদন হয়, যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে মিশে আলো তৈরি করে। এর থেকেই আমাদের মনে হয় জোনাকি পোকা আলো বিচ্ছুরণ করে। গ্রীষ্মকালে শুধুমাত্র আমাদের বিনোদন যোগাতে জোনাকি পোকা আলো জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ায় না। এর পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। এই সময়ে পুরুষ জোনাকি মেয়ে জোনাকিদের তার আলোর সংকেত দিয়ে তার মনের কথাগুলো জানায়, আগ্রহী নারী জোনাকিটি আলোর সংকেতে তার ইতিবাচক উত্তর জানিয়ে দেয়। এরপরে তারা কম গাছপালাপূর্ণ কোনো জায়গায় মিলিত হয়। তাই সঙ্গীকে আকর্ষণ করার নিমিত্তেই জোনাকি পোকা রাতের বেলায় আলো জ্বেলে থাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, জোনাকি পোকার পেটের পেছনের অংশ ঝকঝকে, স্বচ্ছ। তার ভেতরে থাকে একধরনের স্ফটিকস্বচ্ছ কোষ বা রাসায়নিক বস্তু, যা এনজাইম অর্থাৎ বিশেষ জৈব রাসায়নিক পদার্থের বিক্রিয়ায় ভেঙে যায়। আর ভাঙতে গেলেই শক্তি খরচ হয়; তো, সেসময় কিছুটা শক্তি আলোর আকারে বের হয়, যা আমরা অন্ধকারে দেখতে পাই। জোনাকির এই আলো বিচ্ছুরিত হয় সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে। তাইতো আমরা দেখতে পাই, আলো একবার জ্বলছে, আবার নিভছে; আবার জ্বলছে.. .. নিভছে.. ..। কবি এই আলো জ্বলার দৃশ্য দেখে লিখেছেন- জোনাকির আলো নিভে আর জ্বলে শাল মহূয়ার বনে/ কবিতা লিখার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে।’ আমাদের দেশে শুধুমাত্র সবুজ আলোর জোনাকি পোকা দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য অনেক দেশে লাল আলো বিচ্ছুরণকারী জোনাকি পোকারও দেখা মেলে।

জোনাকি পোকার কথা আমরা জানলাম। জোনাকির আলোর কথা জানা থাকলেও এ ধরনের আরও কিছু আলোর পোকার কথা আমরা অনেকেই জানি না। সমুদ্রে এক ধরনের পোকা আছে যারা দল- বেঁধে জলের ওপর ভেসে ওঠে আলোর চক্র বানায়। আর তার সাহায্যে তাদের খাদ্য সংগ্রহ করে। এ এক বিচিত্র ব্যাপার। আলোগুলোও বেশ জোরালো হয়ে থাকে। বারমুডা এলাকায় এই জাতের পোকা দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত পূর্ণিমার ঠিক তিনদিন পরে এভাবে পানির ওপর ভেসে ওঠে আলোর বৃত্ত রচনা করে। সময়ের কোনো হেরফের হতে দেখা যায়নি। জোনাকির দেহে সবুজ আলো আমরা দেখেছি। কিন্তু কোনো পোকা একই সঙ্গে সবুজ আলো ও লাল আলো দেহ থেকে বের করতে পারে এ রকম ঘটনা বিরল। ব্রাজিলের রেল রোড ওয়ার্ম নামে এক ধরনের পোকার দেহ থেকে লাল ও সবুজ আলো বের হয়। আসলে এই আলোর সৃষ্টি হয় দেহের নির্গত রাসায়নিক পদার্থ থেকে। এরা যখন পরপর লাল-সবুজ আলো ছড়িয়ে ঘোরাফেরা করে তখন দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। একশ্রেণীর পোকা আবার পাহাড়ের গুহায় তাদের বাসায় আলো ছড়িয়ে বসবাস করে। গুহার ভেতর হাজার হাজার আলো জ্বালায়। গুটিপোকা যখন থাকে তখন পুরো গুহা আলোয় ঝলমল হয়ে ওঠে। আর এসব পোকার শরীর থেকে জ্বলন্ত সুতার মতো এক ধরনের পদার্থ বেরিয়ে আসে। তার সাহায্যে এরা খাদ্য সংগ্রহ করে। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে ওয়েই টোৎসা অঞ্চলে এই পোকা দেখা যায়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গুহার ভেতর সে হাজার হাজার আলোর দৃশ্যটি যদি নিজ চোখে দেখা যেতো ! আহা !
আল্লাহ কত সুন্দর করেই না গড়েছেন আমাদের পৃথিবী।

আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: (সুরা আর রহমান আয়াত ১৩) অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু, চমৎকার মন্তব্য করে
মহা্ন সৃষ্টিকর্তার গুণগান করার জন্য।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনার কবিতা বিষয়ক মন্তব্যটি পড়লেম। দুটো কথাও বলে আসলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: কবিতা বিষয়ক কথামালায় আপনার মন্তব্যে
দারুনভাবে আপ্লুত হলাম।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশ্চরযাম্বিত হইলাম

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সত্যিই তাই !!
সৃষ্টিকর্তা সত্যিই মহান,
মানুষের কল্যানে কত কিছুই না
সৃষ্টি করেছেন।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানীরা এই লুসিফারেন কে ইউজ করে কোষের অনেক প্রোটিনের কার্যক্রম বুঝতে পারছেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিজ্ঞানীরা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির যতই চর্চা করবেন
ততই বেশী জানতে পারবেন। ধন্যবাদ কলাবাগান১

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া জোনাকীর এই অপূর্ব উপাখ্যান পড়ে মুগ্ধ হলাম। জোনাকী আমার অনেক অনেক প্রিয়। এমনি প্রিয় প্রজাপতি, কাঁচপোকা বা লাল গুটিপোকা। তবে পানির জোনাকী আর গুহার জোনাকীদের নাম জানা থাকলে জানিও । তাদের নামগুলো জানতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর একটা পোস্ট!।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আ্পনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,
জেনে ভালো লাগলো জোনাকী আপনার প্রিয়!
গ্রীষ্মমণ্ডল ও নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে প্রায় দু’হাজার
প্রজাতির জোনাকী পোকার দেখা মেলে তবে
পা্নির জোনাকী আর গুহার জোনাকীদের কি নাম
দেওয়া হয় জানিনা তবে ইংরেজীতে জোনাক পোকাকে
(Firefly/ Lightning Bugs) বলে। ধন্যবাদ আবারো....

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট
অনেক কিছু জানলাম
ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে বলে।
শুভেচছা ভালো লাগার জন্য।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার পোস্টটা অনেক ভাল লাগলো! তবে এই ধরনের আমারও একটা পোস্ট আছে! 'বৈচিত্র্যময় জোনাকি পোকার সাত কাহন নামে'! ইচ্ছা হলে দেখে আসতে পারেন? Click This Link

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান
জেনাকী নিয়ে "বৈচিত্রময় জোনাকি পোকার সাত কাহন" শিরোণামে
আপনার প্রকাশিত তথ্যবহুল পোস্ট পাঠে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
চলে যেতে চায়না এ মন
তবু চলে যেতে হয়।
ফুল পাখি ফসল আর বনেরও ছায়া
জোসানার আলোতে আহা কি মায়া
আমার এ মন ছুয়ে যায়
জাগে কতো বাসনা

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ খুরশীদ ভাই
চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: প্রিয় জোনাকি পোকার জীবন কাহিনী জানানর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । শুভ সকাল ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা লেখাটি প্রিয়তে নেবার জন্য।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

সুমন কর বলেছেন: কিছু আগে পড়েছিলাম, আজ আবার পড়লাম।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন'দা
লেখায় মন্তব্য প্রদানের জন্য।

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

থিওরি বলেছেন: লেখক বলেছেন: (সুরা আর রহমান আয়াত ১৩) অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

কাশবনে জোনাকি দেখতে কালকেও গিয়েছিলাম।!
ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ওয়াও !! তা কেমন দেখলেন জোনাকীদের
চমৎকার আলোর খেলা!!

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০২

সিপন মিয়া বলেছেন: (সুরা আর রহমান আয়াত ১৩) অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?- আমার বিড়ালের প্রতি কয়েক বিলিয়ন আগ্রহ। আগামী পোস্টে বিড়াল নিয়ে লেখা চাই। আসসালামু-আলাইকুম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: শিপন মিয়া ধন্যবাদ আপনাকে,
তবে আমার যতটুকু ধারণা তাতে
বিড়াল মেয়েদের খুবই প্রিয় হয়!
যা হোক হয়তো একদিন বিড়ালের
সাতকাহন তুলে ধরবো আপনার দরবারে।

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

কাবিল বলেছেন: জোনাকি পোকার জীবন কাহিনী ভাল লাগলো।



আমি আরও কিছু পোকার আলো রাতের অন্ধকারে দেখতে পেয়েছি, পোকাগুলোর নাম জানা নাই।
তবে আমি একদিন অবাক হয়েছিলাম কেঁচোর আলো দেখে।
মাটিতে সাদা আলো দেখে (অন্ধকারে) ভাবলাম কিসের আলো জ্বলে? টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখি কিছুই দেখা যায়না।
টর্চ বন্ধ করে দেখি আবার দেখা যায়। পরে খেয়াল করে দেখি কেঁচো থেকে সাদা আলো ছরাচ্ছে।
সেদিন থেকে বুঝতে পারলাম শুধু জোনাকি আলো জ্বালায় না, অনেক কীট পতঙ্গও আছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কাবিল ভাই
চমৎকার তথ্য শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু মাছও আলো জ্বালাতে সক্ষম।

ব্যারেল-আই মাছ (Barreleye Fish) এই মাছ
নিজের মাথার ভেতর থেকে সব দেখতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.