নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪৬তম বিশ্ব মান দিবস আজঃ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিশ্চত হোক ‘বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান"

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬


১৪ অক্টোবর, বিশ্ব মান দিবস (World Standards Day) আজ। পণ্য-সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কর্মরত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই এই দিবসের অবতারণা। ১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরাএকত্রিত হয়ে বিশ্বব্যাপী পণ্য-সেবার মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নির্ধারক সংস্থার বিষয়ে ঐকমত্য পোষন করেন যা পরের বছর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই দিনটিই মান দিবস হিসাবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও এর একবছর পর ISO প্রতিষ্ঠিত হয়, তথাপি ১৯৭০ সালে প্রথম বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর তারিখে আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্বের তিনটি আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএসও, আইইসি, আইটিইউর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর এ দিবস পালিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মান প্রণয়নে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর ISO কর্তৃক বিশ্ব মান দিবস উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। এর সাথে সংগতি রেখে ISO (International Organization for Standardization) সদস্যভূক্ত দেশ হিসেবে বিএসটিআই এর উদ্দোগে বাংলাদেশেও দিবসটি উদ্যাপন করা হয়ে থাকে । মান দিবস বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবজীবনে মান প্রমিতকরণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি সুযোগও বটে। দিবসটি পালনের পেছনে একটি প্রেক্ষিত আছে। ঐদিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ দিবস বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়। মান প্রণয়নে চলমান বিষয়াদিকে ঘিরে বিভিন্ন দিকের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর মান দিবসের একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান"। পণ্যসেবা প্রভৃতির মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার প্রতি কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই পালন করা হয়। পণ্যসেবা প্রভৃতির মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কর্মরত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই এ দিনটির অবতারণা। এর প্রধান কারণ হলো বিশ্বের মানুষকে সচেতন করে তোলা। 'Standards-the world’s common language’ ‘বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন ভাষা-মান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) কে সকল ক্ষেত্রে জাতীয় মান প্রণয়ন ও এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ব মান দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আইএসও, আইইসি এবং আইটিইউ নামের তিনটি মান নিরূপণকারী সংস্থা প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব মান দিবস পালন করে আসছে। আইএসও এই দিনটি পালন করে আসছে ১৯৭০ সাল থেকে। বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের বিকল্প নেই। যে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে মান আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। পণ্যের মান ভালো হলে জনগণের আস্থা বাড়ে। পণ্যটির চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। পণ্য বা সেবার বাজার সম্প্রসারণে মানের গুরুত্ব সর্বাধিক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি মান সংস্থা আছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আন্তর্জাতিক তিনটি সংস্থার পাশাপাশি বিএসটিআইও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় ও আমদানীকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে ১৯৬৯ সাল থেকে কাজ করে আসছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ আজ ৪৬তম বিশ্ব মান দিবস পালন করবে। বিশ্বের যেকোনো উদ্ভাবনের সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বাংলাদেশ যেন বঞ্চিত না হয় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে। এ লক্ষ্য অর্জনে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে তৎকালীন মান সংস্থা বিডিএসআই আইএসও এর সদস্যপদ লাভ করে।’ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর বর্ধিত কর্মসূচি হাতে নেয় এবং জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে নানাবিধ কারণে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটি এখনো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারছে না। অবশ্য ভোক্তার দায়ও কম নয়। ভোক্তারা যদি সচেতন হন,তাহলে কোনো পণ্য কেনার আগে অবশ্যই এর গায়ে বিএসটিআইয়ের লোগো আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। ভোক্তারা যে পণ্য ভোগ করছে সে সম্পর্কে সচেতন এবং কোম্পানির দিক থেকে উদ্যোক্তাও পণ্য মান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর হলে তবেই দিবসটি পালনের যথার্থতা রক্ষিত হয়। দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য, সেবা কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকাণ্ড মানুষের চাহিদা অনুযায়ী লাভ করার ক্ষেত্রে মান এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ব মান দিবসের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মান সংস্থাগুলো তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যথাযথ মানের পণ্য উৎপাদন এবং সেবা প্রদানের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। এসব মানের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মানুষের চাহিদা প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই সব ক্ষেত্রে জাতীয় মান প্রণয়ন করে পণ্যের গুণগতমান বজায় রেখে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করবেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। ভোক্তারা যে পণ্য ভোগ করছে সে সম্পর্কে সচেতন এবং কোম্পানির দিক থেকে উদ্যোক্তাও পণ্য মান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর হলে তবেই দিবসটি পালনের যথার্থতা রক্ষিত হয়। ভোক্তা-কোম্পানি নির্বিশেষে সবাইকে দিবসটির গুরুত্ব বুঝতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই সকল ক্ষেত্রে জাতীয় মান প্রণয়ন করে পণ্যের গুণগত মানের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সেবা দেশের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য কাজ করছে। বিএসটিআই সকল ক্ষেত্রে জাতীয় মান প্রণয়ন ও মান এর ব্যবহার নিশ্চত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও আধুনিক, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অবদান রাখবে-এটাই আমার প্রত্যাশা। নিশ্চিত হোক ‘বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান"

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ নুরু ভাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

কাবিল বলেছেন: বিশ্ব মান দিবস সফল হোক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই
সফল হোক বিশ্ব মান দিবস।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সফল হোক World Standards Day.
ভাল থাকুন ভায়া।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার,
তবে শুধু গেম চেঞ্জ করলে চলবেনা
সকল বাতিল সিস্টেম চেঞ্জ করতে হবে!!
ভালো থাকবেন।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

জুন বলেছেন: এত দিবষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম ভাই । আর ফোনের ম্যাসেজে এগুলো এসে এসে জীবন পাতা পাতা করে ছাড়ছে :(

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: তার পরেও আমরা সচেতন হইনা এটাই দুঃখ!!
সচেতন হোক ভোক্তা, সচেতন হোক সবাই নিশ্চিত হোক
সকল পণ্যের মান। ধন্যবাদ; জুন আপনাকে মন্তেব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.