নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতা মাতার হত্যাকারী মেয়ে ঐশী রহমানের ফাঁসির আদেশ

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯


২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ ১২ নভেম্বর ২০১৫ ইং বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় ঐশী রহমানরের বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। মামলার ওপর আসামি আসাদুজ্জামান জনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঐশী রহমান (১৬) ও গৃহকর্মী সুমি (১১) নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঐশী। যদিও পরে তিনি ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: এরকম কুলাঙ্গার সন্তানদের শাস্তি হওয়াই দরকার।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা সুক্ষ বিচারক!
অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করতেই
হবে প্রতিটি অপরাধীকে।
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
মন্তব্যের জন্য।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ভাল করছে, জানোয়ারটাকে ঝুলানো হোক।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: হাজারো অপরাধী মুক্তি পাক
কিন্তু একজন নিরাপরাধী যেন
সাজা না পায়। ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্যের জন্য।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মেয়েটা উচ্ছন্নে যাওয়ার জন্যে মা-বাবাই অনেকাংশে দায়ি ।
যাহোক, এর ফাঁসি হলে অালালের ঘরের দুলাল নতুন প্রজন্ম চরম একটা শিক্ষা পাবে ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পিতা-মাতা দোষ করে থাকলে তারা
ইতিমধ্যেই শাস্তি ভোগ করছেন।
তবে পিতা-মাতা যতই দোষ করুন
সন্তানকে তার বিচারের ভার দেওয়া হয় নাই।
ধন্যবাদ সাধু ভাই মন্তব্যের জন্য।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও বলেছেন: ফাঁসি সাপোর্ট করছিনা

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অনেকেই ফাঁসির বিপক্ষে!!
তবে কঠিন সাজা হওয়া আবশ্যক
এই সকল ঘৃন্য অপরাধের জন্য।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
এই রায়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত অনুভব করছি। যদিও মহামান্য বিচারক বলেছেন, এই রায় না হলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হতো না। তথাপি আমি মনে করি না, ঐশী কেস সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সঠিক মানদন্ড হতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে জানা যায়। অধিকাংশ উন্নত দেশে যদি কোন শিশু এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটায় তাহলে প্রথমেই তার পারিবারিক জীবন, বাবা মা সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা যায়। পাশাপাশি সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালন করার ক্ষেত্রে বাবামা সঠিক ভুমিকা রাখছেন কিনা তাও পর্যবেক্ষন করা হয়। তারপর শাস্তির বিষয়টি আসে।

যেমন আমেরিকার আইডাহো স্টেটে সারাহ জনসন নামের একজন টিএনএজ বাবা মা কে হত্যায় দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তার মানসিক স্বাস্থ্য, ঘটনা প্রবাহ, কারন ইত্যাদি খতিয়ে দেখার পর মেয়েটিকে সামগ্রিক ঘটনায় শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তবে সেটা মৃত্যু দন্ড ছিলো না।

যাইহোক। জাতিসংঘ সনদ অনুসারে ১৮ বছর পর্যন্ত সকলেই শিশু। এই ঘটনাটি ঘটার সময় ঐশীর বয়স কত ছিল, তা জানতে ইচ্ছে করছে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই আ্পনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। কোর্টের যে কোন রায় নিয়েই সমালোচনা করা যায় যদি তা হয় গঠনমূলক। আপনি আপনা্র স্বাধীন মত প্রকাশ করছেন সেজন্য ধন্যবাদ। তবে এই রায়ে বিচারক যে যুক্তি দেখিয়েছেন তাও অগ্রাহ্য করার নয়। এ কথা ভুললে চলবে না যে প্রচন্ড ঘৃনা নিয়ে সে বাবা-মাকে হত্যা করেছিলো। বাবা-মাকে হত্যার পর মায়ের কান থেকে দুল ছিঁড়ে নিয়েছিল ঐশী। লাশের সুরতহাল রিপোর্টেও স্বপ্না রহমানের কানের লতি ছেঁড়া ছিল। আর হাতের চুড়ি, গলার চেইনও সে খুলে নিয়েছে। সন্তান বিপথে গেলে তাকে শাসন করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হত্যা করবে তা কোন যুুক্তিতেই মেনে নেওয়া যায়না। যা হোক পাপ করলে শাস্তি হবে, হোক তা এ কালে কিংবা পরকালে এটাই আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস। তাই সে তার কৃতকর্মের শাস্তি পাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে হাজার অপরাধী মুক্তি পাক কিন্তু একজন নিরাপরাধী যেন শাস্তি না ভোগ করে তা আমাদের কাম্য। গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমেই বেরিেয়ে আসতে পারে সত্য। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে বুদ্ধিজীবীরা সমালোচনা করতে পারবেন, কিন্তু সেটি হতে হবে গঠনমূলক।’ তিনি বলেন, ‘এমন সমালোচনা করা যাবে না যার দ্বারা আদালতকে স্ক্যান্ডালাইজ করা হয়, আদালতকে অবমাননা করা হয়।
ঐশীর বয়স নিয়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তিঃ
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যার ঘটনার সময় তাদের মেয়ে ঐশীর বয়স কত ছিল এ নিয়ে তখন থেকেই বিভ্রান্তি ও বিতর্ক চলে আসছিল। তবে সেই সময় তার বয়স নির্ণয়ের বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় ঐশীর বয়স ১৮ বছরের বেশি (এবোভ ১৮) বলে প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী ১৬ বছর পর্যন্ত শিশু। ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি। আর নতুন করা শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন হয় সে বছরের ২১ আগস্ট। ঘটনা ঘটেছে ১৬ আগস্ট। যেহেতু নতুন শিশু আইন বাস্তবায়নের আগে যত ঘটনা ঘটেছে তা আগের আইনের আওতায়ই পড়বে সেহেতু ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি হলেই তাকে আর শিশু বলার কোনো সুযোগ ছিল না।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

চ্যাং বলেছেন: তীব্রভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা অন্যায়। এটা অসভ্যতা। :(

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমারও সমবেদনা আছে তবে
বিচারের রায়ের বিপক্ষে বলার নাম
আদালত অবমাননা।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

মিথুন আহমেদ বলেছেন: সবেমাত্র রায় হল। এই রায়ে পরিবারের উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেমেয়েদের কিছুটা হলেও টনক নড়বে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সঠিক বলেছেন,
একটা দৃষ্টান্তমূলক সাজা
যদি হাজারটা অপরাধ
রোধ করতে পারে তা হলে
এটাই উত্তম।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার মতে রায় সঠিক আছে। আদালত অনেককিছু বিবেচনায় নেয়। বয়সও বিবেচনায় নেয়, আর সে ওই ঘটনার সময় প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলো। ঘটনা ছিলো পরিকল্পিত এবং সে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলোনা। সে যদি নিজের বাবা মাকে হত্যা না করে অন্যকে করতো সেক্ষেত্রেও একই রায় হতো।

যদিও এমন পরিনতি এত অল্প বয়সে দুঃখজনক। নিশ্চিতভাবেই বাবা মার ব্যর্থতাও এর পেছনে দায়ী। তবে সে নিজেও যে নৃশংসতা দেখিয়েছে নিজের প্রিয়জনের প্রতি, সে মানসিকতা থেকে তাকে কতটূকু বের করা যেতো কম শাস্তি দিয়ে সেটাও প্রশ্ন করবার মত। আইন হোক সবার জন্য সমান, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত সবার। ঐশীর হবে আবার কোন মন্ত্রী এমপির ছেলে মেয়ে মাফ পেয়ে যাবে এটা যেন না হয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
যে কোন রায়ের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি থাকতেই
পারে। তবে সব কিছু বিবেচনায় নিলে পিতা-মাতার
হন্তাকারীকে কোন ভাবেই হাল্কা করে দেখার সুযোগ নাই।
তা ছাড়া প্রথম থেকেই ঐশী অত্যান্ত সুচতুরভাবে তার কার্যকলাপ
চালিেয়ে গেছে। তার ভিতরে কোমলতার পরিবর্তে হিংস্রভাব পরিলক্ষিত
হয়েছে।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

অেসন বলেছেন: এই মেয়েটির আজকের পরিনিতির জন্য তার বাবা-মাই দায়ী। তারপরও ফাঁসি রায়ই মনে হয় তার জন্য ভাল হয়েছে। কারন জীবিত থাকলে সে যে মানসিক শাস্তি পাবে তার চেয়ে মৃত্যু ভাল।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: হতে পারে!
তিলে তিলে মৃত্যুবরণ না করে
একবারেই হোক তার পরম মুক্তি!
তবে পরিবারটি ধ্বংশ হয়ে গেলো।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

কাবিল বলেছেন: অল্প বয়সী ঐশীর বিদায় খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু তার অন্যায়ের প্রাপ্যটা ঠিকই মনে করছি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এক ঐশীর প্রাপ্য শাস্তিতে যদি
এমন অপরাধের যবনিকাপাত হয়
তা হলে আর দুঃখ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.