নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজ গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী স্যার রজার পেনরোজ এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪২


'স্ট্রিং থিওরি একটি ফ্যাশন, কোয়ান্টাম মেকানিক্স একটি বিশ্বাস আর মহাজাগতিক স্ফীতি তত্ত্ব সে তো এক ফ্যান্টাসি।' বিজ্ঞানের কঠিন ও প্রান্তীয় সব তত্ত্বকে যিনি একটি শব্দের মধ্যেই দৃশ্যমান করে তোলেন, তিনি হলেন স্যার রজার পেনরোজ। স্যার রজার পেনরোজ, এফআরএস একজন ইংরেজ গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ইমেরিটাস রাউজ বল অধ্যাপক। তিনি গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে, বিশেষত সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং মহাবিশ্ব-সৃষ্টি তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে বিখ্যাত। এছাড়াও তিনি একজন শখের গণিতবিদ এবং বিতর্কিত দার্শনিকও বটে। রজার পেনরোজের বাবা লিওনেল এস পেনরোজ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। তাঁর এক ভাই অলিভার পেনরোজ গণিতবিদ এবং আরেক ভাই জনাথন পেনরোজ দাবার একজন গ্রান্ডমাস্টার। ১৯৬৫ সালে ছাত্রাবস্থাতেই পেনরোজ সাধারণীকৃত বিপরীত (generalized inverse) পুনরাবিষ্কার করেন (এটা মুর-পেনরোজ বিপরীত হিসাবেও পরিচিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করলেও তিনি মূলত সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের বিশ্লেষণ ও মহাবিশ্ব সৃষ্টিতত্ত্ব সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে কাজের জন্য স্মরণীয়। আজ ইংরেজ গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী স্যার রজার পেনরোজ এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। মহান এই পদার্থবিজ্ঞানীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা[/sb

স্যার পেনরোজ ১৯৩১ সালের ৮ আগস্ট ইংল্যান্ডের এসেক্সের কোলচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা লিওনেল পেনরোজ ছিলেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও গণিতবিদ এবং তার পিতামহ জন ব্যারেস্টফোরস লিথেস ছিলেন একজন নামকরা শারীরতত্ত্ববিদ। শুধু তার পিতা ও পিতামহই কিন্তু গুণী লোক ছিলেন না। তার চাচা রোল্যান্ড পেনরোজ ছিলেন একজন নামকরা শিল্পী। আর তার এক ভাই অলিভার পেনরোজও একজন গণিতবিদ ছিলেন। অন্য ভাই জনাথন পেনরোজ দাবার গ্র্যান্ড মাস্টার। পেনরোজ 'লন্ডন কলেজ স্কুল' থেকে তার শিক্ষা শুরু করেন এবং লন্ডন কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক পর্ব শেষ করেন। পেনরোজ ১৯৫৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথিতযশা বীজগণিতজ্ঞ ও জ্যামিতিবিদ জন এ. টডের তত্ত্বাবধানে বীজগণিতীয় জ্যামিতিতে টেনসর পদ্ধতির ব্যবহার নামের একটি গবেষণাপত্র লেখার জন্য পিএইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন। কেমব্রিজে থাকাকালীন সময় ১৯৬৫ সালে তিনি প্রমাণ করেন যে মৃত্যুমুখে পতিত বৃহদাকার নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় ভাঙনের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী-বিন্দু (যেমন- কৃষ্ণবিবর) সৃষ্টি হতে পারে (ফার্গুসন, ১৯৯১: ৬৬)। পেনরোজের কাজ ও চিন্তাধারা কেবল গণিত, টেনসর ম্যাট্রিক্স বা পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যেই থেমে থাকেনি। তিনি মানুষের চেতনার সঙ্গে মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানের যোগসূত্র থাকার বিষয় নিয়েও কাজ করেছেন। এবং তার এ সংক্রান্ত কাজের বেশিরভাগই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। চেতনা বিষয়ে পেনরোজের মতো ছিল যে, এ পর্যন্ত আমাদের জানা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলো মানুষের চেতনাকে ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট নয়।
১৯৬৭ সালে পেনরোজ টুইস্টর তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন যা মিনকভ্‌স্কির অবস্থান-কাঠামোতে (space) অবস্থিত কোন জ্যামিতিক বস্তুকে মেট্রিক স্বাক্ষর (২,২) সহকারে চতুর্মাত্রিক জটিল অবস্থান-কাঠামোতে (complex space) ম্যাপ করে। ১৯৬৯ সালে তিনি মহাজাগতিক সেন্সরশিপ অনুকল্প প্রস্তাব করেন যেখানে বলা হয় যে মহাবিশ্ব ব্যতিক্রমী-বিন্দসমূহের সহজাত অননুমানযোগ্যতা থেকে আমাদের রক্ষা করার প্রয়াসে এদেরকে (ব্যতিক্রমী-বিন্দসমূহকে) আমাদের দৃষ্টির আড়ালে লুকিয়ে রাখে। এই ধরনের বিবৃতিটি এখন অবশ্য দুর্বল সেন্সরশীপ অনুকল্প হিসাবে পরিচিত; ১৯৭৯ সালে পেনরোজ দৃঢ় সেন্সরশীপ অনুকল্প নামে পরিচিত আরেকটি দৃঢ়তর বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিকেএল তত্ত্ব এবং অরৈখিক স্থিতাবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সেন্সরশীপ অনুমানকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারটি সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের এই সময়কার সবচেয়ে বহুলালোচিত সমস্যাগুলির একটি।

উর্‌স শ্মিডের আঁকা একটি পেনরোজ টাইলিং এর তৈলচিত্র (১৯৯৫); এটা আঁকতে মোটা ও চিকন রম্বস ব্যবহৃত হয়েছে
পেনরোজ ১৯৮৪ সালে করা তাঁর আবিষ্কার পেনরোজ টালিকরণ(Penrose tiling) এর জন্য সুবিখ্যাত। এই তত্ত্বে দুইটি টালি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সমতলকে টালি-দিয়ে-ছেয়ে-ফেলা আরম্ভ করা হয়; শর্ত কেবল এটাই যে - টালিকরণ অপর্যায়ক্রমিক হতে হবে। ১৯৮৪ সালে প্রায়-কেলাস পদার্থের (quasi crystals) পারমাণবিক বিন্যাসে এই একই ধরনের ছাঁচ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান সম্ভবত ১৯৭১ সালে করা স্পিন-নেটওয়ার্কের আবিষ্কার। এই স্পিন-নেটওয়ার্ক পরবর্তীতে চক্র কোয়ান্টাম মহাকর্ষের স্থান-কালিক জ্যামিতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বহুল পরিচিত পেনরোজ চিত্র (এক ধরনের কারণ- প্রদর্শী চিত্র)-এর জনপ্রিয়করণে তিনি প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন।
২০০৪ সালে পেনরোজ The Road to Reality: A Complete Guide to the Laws of the Universe নামক ৩৪টি অধ্যায় সম্বলিত ১,০৯৯-পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন যেখানে পদার্থবিজ্ঞানের অদ্যাবধি আবিষ্কৃত সব নীতির বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে।Discover ম্যগাজিন পত্রিকার ২০০৫ সালের জুন সংস্করণে পেনরোজ কোয়ান্টাম বলবিদ্যা সম্পর্কে তাঁর যাবতীয় ব্যাখ্যা সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

পদার্থবিজ্ঞান এবং চেতনা
পেনরোজ তাঁর যেসব গ্রন্থে মনুষ্য-চেতনা এবং মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে যোগসূত্র থাকার কথা বর্ণনা করেছেন তাদের প্রতিটিই ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। The Emperor's New Mind (১৯৮৯) বইটিতে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, পদার্থবিজ্ঞানের জানা নীতিগুলি মনুষ্য-চেতনাকে ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট নয়। পেনরোজ এই ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে কী কী নতুন সংযোজন প্রয়োজন হতে পারে সে ব্যাপারে ধারনা দিয়ে বলেছেন যে, এ কাজের জন্য প্রথাগত এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে যোগসূত্র (যাকে তিনি নাম দিয়েছেন শুদ্ধ কোয়ান্টায়িত মহাকর্ষ (শুকোম)) স্থাপন করতে হতে পারে। মানুষের মনে যেসব যুক্তিকেন্দ্রিক প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় সেগুলি সম্পূর্ণভাবে অ্যালগোরিদম নির্ভর এবং এইসব প্রক্রিয়া যথেষ্ট পরিমাণে জটিল ও শক্তিশালী একটি কম্পিউটার নিখুঁতভাবে অনুকরণ করতে পারবে - এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেন তিনি। এই মতবাদটি অবশ্য জৈবনিক প্রকৃতিবাদের মত মতবাদের বিরোধী অর্থাৎ পেনরোজ যেন এই বিষয়টিতে জৈবনিক প্রকৃতিবাদকেই সমর্থন করছেন, যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে, মনুষ্য-আচরণকে যন্ত্রের সাহায্যে নকল করা সম্ভবপর হলেও মনুষ্য-চেতনাকে এভাবে অনুকরণ করা সম্ভব হবে না। এই বিশ্বাসের ভিত্তি হিসাবে যে যুক্তি দেখানো হয় তা হলো, মনুষ্য-চেতনা যেহেতু নিয়মতান্ত্রিক যুক্তি-ব্যবস্থা থেকে উদ্ভূত, কাজেই যতি-সমস্যার (Halting problem) অসমাধানযোগ্যতা এবং গ্যডেলের অসম্পূর্ণতা তত্ত্ব এটাই নির্দেশ করে যে, শুধু গাণিতিক ধারণাকে ভিত্তি করে কোন অ্যালগোরিদমকেন্দ্রিক পূর্ণাঙ্গ যুক্তি-ব্যবস্থা পাওয়া সম্ভব না। অবশ্য পেনরোজ এই মতবাদটির জনক নন; এর প্রকৃত জনক হলেন অক্সফোর্ডের মার্টন কলেজের দার্শনিক জন লুকাস।

১৯৯৪ এবং ১৯৯৮ সালে পেনরোজ যথাক্রমে Shadows of the Mind এবং The Large, the Small and Human Mind নামক গ্রন্থদ্বয়ে পূর্বে প্রকাশিত The Emperor's New Mind গ্রন্থে উল্লেখিত তাঁর তত্ত্বগুলো পরিমার্জন করেন এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন।
বিজ্ঞানীমহলে অবশ্য মনুষ্য চিন্তা-প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পেনরোজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়নি। মারভিন মিন্‌স্কির মতে, মানুষ যেহেতু ভ্রান্ত ধারনাকে সত্য বলে মনে করতে পারে, সুতরাং চিন্তার প্রক্রিয়াটি কেবলমাত্র নিয়মতান্ত্রিক যুক্তি-ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। শুধু তাই না, এআই প্রোগ্রামগুলিও যেহেতু মিথ্যা বিবৃতিকে সত্য মনে করতে পারে, তাই কেবল মানুষই ভুল করছে, মানবীয় সীমাবদ্ধতা নাই এমন একটি ব্যবস্থা হলে ভুল করতো না এমন ধারণাও আর ধোপে টেকে না। আরেকজন ভিন্নমত পোষণকারী হলেন চার্লস সেইফে। তিনি চিরায়ত ইংরেজ ভদ্রতাকে বাঁচিয়ে বলেছেন, "মনুষ্য-চেতনার নিয়ত-পরিবর্তনশীলতা যে এর কোয়ান্টায়িত প্রকৃতিরই বহিঃপ্রকাশ এমন ধারণা পোষণকারী হাতে-গোনা জনাকয়েক বিজ্ঞানীর মধ্যে একটি সমতলকে নানা আকৃতির টাইল দিয়ে ছেয়ে ফেলা সংক্রান্ত কাজের জন্য বিখ্যাত অক্সফোর্ডের গণিতবিদ পেনরোজ একজন"।

পেনরোজ এবং স্টুয়ার্ট হ্যামারহফ মনুষ্য-চেতনার একটা তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, মাইক্রো-নালিকাসমূহের মধ্যে কোয়ান্টায়িত মহাকর্ষের ক্রিয়াশীলতার দরুন মনুষ্য-চেতনার উদ্ভব ঘটে। কিন্তু ম্যাক্স টেগমার্ক Physical Review পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধে হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, নিউরনের সক্রিয়ন ও উদ্দীপনের(firing and excitation) জন্য প্রয়োজনীয় সময় বিষমভাবাপন্নতার(decoherence) জন্য প্রয়োজনীয় সময় থেকে কমপক্ষে ১০,০০০,০০০,০০০ গুণ বেশী। টেগমার্কের গবেষণাপত্রটি অনুমোদন করার পিছনে যুক্তি হিসাবে তাঁকে সমর্থন করে বলা হয়েছে যে, বিবাদ-নিরপেক্ষ পদার্থবিদগণ, যেমন: আই. বি. এম. -এর জন স্মোলিন, এর মতে টেগমার্কের হিসাবটি আসলে আগাগোড়া তাঁরা যেটা সন্দেহ করে আসছিলেন তাকেই নিশ্চিত করেছে। স্মোলিন বলেন, "আমাদের মস্তিষ্কের আবাস তো আর পরমশূন্যের কাছাকাছি কোথাও নয়, এজন্য বিবর্তনের ফলশ্রুতিতে মস্তিষ্কের আচরণ কোয়ান্টায়িত হয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা খুব একটা যৌক্তিক হতে পারে না।" পেনরোজ-হ্যামারহফ প্রস্তাবনার সমালোচকগণ টেগমার্কের গবেষণাপত্রটি ব্যাপকভাবে উল্লেখ করেছেন। হ্যামারহফ দাবী করেছেন যে, টেগমার্কের হিসাব বেশ কয়েকটি ভ্রান্ত অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে(নীচে সংযুক্ত হ্যামারহফ, হ্যাগান ও তুসজিনস্কির গবেষণাপত্রটি দেখুন)। কিন্তু টেগমার্কও যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন যে, সমালোচনাটির কোন ভিত্তি নেই।

পুরস্কার
বিজ্ঞান বিষয়ে অবদান রাখার জন্য পেনরোজ এ যাবত অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন:
১৯৭২ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে স্টিফেন হকিং এবং রজার পেনরোজ যুগ্মভাবে রয়্যাল অ্যাসট্রোনমিকাল সোসাইটির এডিংটন পদক লাভ করেন।
১৯৮৫ সালে তাঁকে রয়্যাল সোসাইটির রয়্যাল পদক দেয়া হয়।
১৯৮৮ সালে হকিং এর সাথে যৌথভাবে তিনি সম্মানজনক উলফ্ ফাউন্ডেশন পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৮৯ সালে তিনি দিরাক মেডেল এবং ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্সের পুরস্কার পান।
১৯৯০ সালে তিনি আইনস্টাইনের গবেষণার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আলবার্ট আইনস্টাইন সোসাইটি কর্তৃক আলবার্ট আইনস্টাইন পদকে ভূষিত হন।
১৯৯১ সালে লন্ডন ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি তাঁকে নেইলর পুরস্কারে সম্মানিত করে।
১৯৯৪ সালে বিজ্ঞানে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে নাইট উপাধি দেয়া হয়।
১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী তাঁকে বিদেশী সহকারী হিসাবে নির্বাচিত করে।
২০০০ সালে তাঁকে অর্ডার অফ মেরিট নিয়োগ দেয়া হয়।
২০০৪ সালে তাঁকে গাণিতিক-পদার্থবিজ্ঞানে ব্যাপক এবং মৌলিক অবদান রাখার জন্য দ্য মরগান পদকে ভূষিত করা হয়।
২০০৫ সালে স্যার রজার পেনরোজকে Warsaw University এবং Katholieke Universiteit Leuven (বেলজিয়াম) থেকে সম্মানজনক ডক্টরেট(honorary doctorate (Honoris Causa)) উপাধি প্রদান করা হয়।
২০০৬ সালে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানজনক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করে।

আজ ইংরেজ গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী স্যার রজার পেনরোজ এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। মহান এই পদার্থবিজ্ঞানীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

বিজন রয় বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ বিজন'দা
আপনার জন্য্।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমারও শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল তার প্রতি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কাছের মানুষ
কাছে আসার জন্য্।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: গুনী লোক।
শ্রদ্ধা জানাই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনিও একজন গুণী মানুষ
আপনার জন্যও শুভকামনা।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
তিনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তি! শ্রদ্ধাবনত হয়ে তাকে স্মরণ করি!

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আাপনাকে ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা
গুনী মানুষকে সম্মান জানানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.