নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত ইংরেজ কবি, ঔপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কট। তার সময়ে পুরো ইউরোপ জুড়ে তিনি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার রচনা সমসাময়িক ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকায় সমাদৃত হয়েছে। স্যার ওয়াল্টার স্কটই প্রথম ইংরেজ ভাষাভাষী লেখক যিনি তার জীবদ্দশাই আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। আইভানহো, রব রয়, দ্য লেডি অব দ্যা লেক তার কালজয়ী সৃষ্টি। এখনও তার বই ব্যাপক হারে পঠিত হয়। ইংরেজি এবং বিশেষ করে স্কটিশ সাহিত্যে তার সাহিত্যকর্মগুলো বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। তার বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে আইভানহো, রব রয়, দ্য লেডি অফ দ্য লেক, ওয়েভারলি এবং দ্য হার্ট অফ মিডলোথিয়ান। ১৮৩২ সালের আজকের দিনে স্যার ওয়াল্টার স্কট পরলোকগমন করেন। আজ তার ১৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিখ্যাত ইংরেজ কবি, ঔপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কটের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ওয়াল্টার স্কট ১৭৭১ সালের ১৫ই আগস্ট স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নামও ওয়াল্টার স্কট আর মাতা অ্যান স্কট। ওয়াল্টারের বাবা-মা ১২টি সন্তানের জন্ম দেন, যাদের মধ্যে ৫ জনই শৈশবে মারা যায়। ওয়াল্টার নিজে ২ বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হন এবং কোনমতে বেঁচে যান, কিন্তু বাকী জীবন তাঁকে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে কাটাতে হয়। ছোটবেলায় তিনি রূপকথা, গান, শেক্সপিয়ার, গল্প, এশীয় কল্পকাহিনী এবং লোককথার ভক্ত পাঠক ছিলেন। টুইড নদীর তীরে দাদীর খামার বাড়িতে এবং বর্ডার কান্ট্রি ও স্কটিশ উচ্চভূমিতে বসবাসকারী অন্যান্য আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে গিয়ে তিনি স্কটিশ গল্পগুজব, ইতিহাস, বীরত্বগাথা, গান এবং লোককথাগুলির এক জীবন্ত ভাণ্ডারে পরিণত হন। ১৪ বছর বয়সেই তিনি স্কটস ব্যালাড গানগুলি মুখস্থ গাইতে পারতেন। একই সাথে তিনি মধ্যযুগের রোমান্টিক কাহিনী, ইতিহাস এবং ভ্রমণকাহিনীগুলির ভক্ত ছিলেন। ১৭৭৮-১৭৮২ সালে তিনি এডিনবরা উচ্চ বিদ্যালয়ে কাটান এবং ১৭৮৩ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে তিনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তিনি বাসাতে থেকেই একজন শিক্ষক রেখে ইংরেজি সাহিত্য চর্চা করতে থাকেন। এসময় তিনি বাবার জন্য নবিস হিসেবে কেরানিগিরি করতেন। পরবর্তী ৯ বছরের বিভিন্ন সময়ে স্কট এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও আইনের উপর বিভিন্ন ক্লাস করেন। তিনি বাবার আইন ব্যবসায় নবিসের কাজকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন এবং ব্যবসার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতেন। কিন্তু একই সাথে তিনি অনেক পড়ার অভ্যাসটাও ধরে রেখেছিলেন। ১৭৯২ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে উত্তীর্ণ হন এবং স্কটিশ বারে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পান। চাকরিতে এই আপাত স্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি ১৭৯৭ সালে শার্লট কার্পেন্টারকে বিয়ে করেন। ১৭৯৯ সালে তিনি সেলকার্কশারের শেরিফ পদে নিযুক্ত হন এবং টুইড নদীর তীরে অ্যাশস্টিল শহরে বাস করতে যান। আইনের মৌসুমের সময় কেবল তিনি এডিনবরাতে ফিরে আসতেন।
স্কটের প্রথম প্রকাশিত রচনাবলীর মধ্যে আছে Minstrelsy of the Scottish Border (১৮০২-১৮০৩) নামের জনপ্রিয় স্কটিশ গানের একটি তিনখণ্ড সংগ্রহ; বইটি লোকসাহিত্যবিদ হিসেবে তাঁর সামর্থ্যের পরিচয় দেয়। এরপর তিনি ১৮০৫ সালে The Lay of the Last Minstrel, ১৮০৮ সালে Marmion, এবং ১৮১০ সালে The Lady of the Lake কা ব্যগ্রন্থগুলি প্রকাশ করে সমগ্র ব্রিটেনে সুপরিচিত কবি হয়ে ওঠেন। ১৮১২ সালে স্কট অ্যাবট্সফোর্ডের একটি এস্টেটে নিভৃত গ্রামীণ জীবন কাটাতে চলে যান। এর আগে তিনি প্রকাশক জন ব্যালান্টাইন কোম্পানির অংশীদার হন এবং রক্ষণশীল টোরি গবেষণা পত্রিকা দ্য কোয়ার্টার্লি রিভিউ ১৮০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করায় সমর্থন দেন। ১৮১২ সালে তিনি পোয়েট লরিয়েট-এর পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।এরপর স্কট গদ্য রচনায় মন দেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ছিল ওয়েভার্লি। এর পরের ১০ বছর স্কট বেনামে আরও ২০টি উপন্যাস রচনা করেন। কিন্তু বহু পাঠক এগুলিতে স্কটের লেখার ধরন ধরতে পারেন। আজও স্কটের লেখা বেনামী ৩২টি উপন্যাসকে তাঁর ওয়েভার্লি উপন্যাস বলা হয়।
প্রকাশনা ব্যবসায় ধ্বস নামলে স্কট দেনার বোঝায় জর্জরিত হয়ে পড়েন এবং বাকী জীবন সেগুলি শোধ করেই কাটিয়ে দেন। ব্রিটিশ সরকার স্বাস্থ্যের উন্নতির স্বার্থে তাঁকে ভূমধ্যসাগরগামী এক ফ্রিগেটে বিনামূল্যে যাত্রী হবাস সুযোগ করে দেয়। এই ভ্রমণ শেষে তিনি অ্যাবট্সভিলে ফিরে আসেন এবং ১৮৩২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর ৬১ বছর বয়সে মারা যান। ড্রাইবার্গ অ্যাবির ধ্বংসাবশেষে স্ত্রীর সমাধির পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। ১৮৪৪ সালে এডিনবরাতে তাঁর স্মরণে একটি সুক্ষ্ম কারুকাজময় গথিক ধাঁচের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। আজ এই মহান ঔপন্যাসিকের ১৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিখ্যাত ইংরেজ কবি, ঔপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কটের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে ইসলাম ভাই
গুণী মানুষদের প্রতি আপনার আগ্রহ
আমাকে উৎসাহিত করে।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯
ল বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা কবিকে,
ধন্যবাদ আপনাকেও
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ল !
সাথে আছেন, সাথে
থাকবেন, সেই প্রত্যাশা আমার।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩১
সনেট কবি বলেছেন: তাঁর জন্য শ্রদ্ধা।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: একজন গ্রেট ম্যান।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালবাসা এ মহান কবির প্রতি।