নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ত্ব আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) ৮৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮


ইসলামী জগতের প্রাতঃস্মরনীয় আধ্যাত্নিক ব্যক্তিত্ব, দরবেশকুল শিরোমনি, মাহবুবে সোবহানী, কুতুবে রাব্বানী বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(রঃ)। তিনি ইসলামের অন্যতম প্রচারক হিসাবে সুবিদিত। সেকারণে তাকে 'গাউস-উল-আজম' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে তাকে 'বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)' নামে ব্যক্ত করা হয়। আধ্যাত্মিকতায় উচ্চমার্গের জন্য বড়পীর, ইরাকের অন্তর্গত 'জিলান' নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করায় জিলানী, সম্মাণিত হিসাবে আবু মোহাম্মদ মুহিউদ্দীন প্রভৃতি উপাধি ও নামেও তাকে সম্বোধন করা হয়। তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। গাউসুল আযম আবু মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, শেখ সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কেবল দ্বীনের সংস্কারক ছিলেন না বরং ইসলাম বা দ্বীনে ইসলামের একজন পুনরুজ্জীবনকারীও ছিলেন। তাই তিনি ‘মুহিউদ্দিন’ বা দ্বীনের পুনরুজ্জীবনকারী হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কারণ তিনি এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হন যখন ভিন্নধর্মী দর্শন মুসলিম শিক্ষা ও চিন্তার জগতকে দারুণভাবে বিভ্রান্তির কালো থাবা বিস্তার করে ফেলছিল। শিরক, কুফর ও বিদআত নিত্য নবরূপে সঞ্চারিত হচ্ছিল মুসলিম মননে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। তাওহীদ ও রিসালতের পথ থেকে কেউ কেউ ছিটকে পড়ার উপক্রম হচ্ছিল। আজ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর ৮৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১১৬৬ খ্রিস্টাব্দের আজকের দিনের দিবাগত রাতের শেষ প্রহরে ইন্তিকাল করেন কুতুবে রাব্বানী বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী( রঃ) বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন।দরবেশকুল শিরোমনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী( রঃ) এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আব্দুল কাদের জিলানী হিজরি ৪৭১ সনের ১ রমজান মোতাবেক ১০৭৮ সালের ১০ মার্চ তারিখে বাগদাদ নগরের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবু সালেহ মুছা জঙ্গী এবং মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর পিতা সাইয়্যেদ আবু সালেহ মুসা (রঃ) একজন বিশেষ পুন্যবান,কামেল ও বোযর্গ ব্যক্তি ছিলেন এবং তার মাতা ছিলেন ইমাম হাসান-এর বংশধর সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাওমেয়ীর কন্যা। হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(রঃ) এর বাল্য শিক্ষার হাতে খড়ি হয়েছিল জ্ঞানবান পিতা ও গুনবতী মাতার মাধ্যমে। তিনি স্বীয় পিতা -মাতার মাধ্যমেই প্রথমিক স্তরের শিক্ষনীয় বিষয়গুলি গৃহে বসেই সমাপ্ত করেছিলেন।সর্বপ্রথমেই তিনি পবিত্রকোরান পাঠ করা শিক্ষা করেন ও সম্পুর্ন কোরান হেফজ করেন। গৃহশিক্ষার বাইরেও তিনি জিলান নগরের স্হানীয় মক্তবেও বিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন। হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(রঃ) এর বয়স যখন মাত্র ৫ বৎসর তখনই তিনি পিতৃহীন হন। তার লালন-পালন ও পড়াশোনার দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের উপর। মা চরকায় সুতা কেটে জিবীকা এবং তাঁর লেখাপড়ার ব্যায় নির্বাহ করেন। তাঁর মাতা ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাগদাদ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য আব্দুল কাদের জিলানী ৪৮৮ হিজরীতে যখন প্রথম বাগদাদ গমন করেন তখন তার বয়স হয়েছিল আঠার বৎসর। বাগদাদ এসে তিনি শায়েখ আবু সাইদ ইবনে মোবারক মাখযুমী হাম্বলী, আবুল ওয়াফা আলী ইবনে আকীল এবং আবু মোহাম্ম ইবনে হোসাইন ইবনে মুহাম্মদ (রঃ) এর নিকট ইলমে ফিখ, শায়েখ আবু গালিবমুহাম্মদ ইবনে হাসান বাকিল্লানী, শায়েখ আবু সাইদ ইবনে আব্দুল করীম ও শায়েখ আবুল গানায়েম মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে মুহম্মদ (রঃ) প্রমুখের নিকট এলমে হাদীস এবং শায়েখ আবু যাকারিয়া তাবরেয়ী র: নিকট সাহিত্যের উচ্চতর পাঠ লাভ করেন। শায়খ জীলানীর বাহ্যিক ও আধ্যাত্নিক জ্ঞান চর্চার গূরু শায়খ আবু সাঈদ মাখযুমীর মনে তরুন এ শিষ্যের যোগ্যতা ও প্রতিভা সম্পর্কে এতই সু-ধারনা ও আস্হাশীলতার সৃষ্টি করল যে, নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা তত্তাবধান ও পরিচালনার দায়িত্ব শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর নিকট অর্পন করে তিনি নিজে অবসর গ্রহন করেন। শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এ মাদ্রাসার উন্নতি ও উৎকর্ষের কাজে আত্ননিয়োগ করেন। হাদীস ,তাফসির,ফিকহ ও অন্যান্য জ্ঙান বিজ্ঞানের শিক্ষাদান নিজেই শুরু করেন।পাশাপাশি ওয়াজ নসিহত ও তাবলিগের কর্মসুচীও চালু করেন ।অল্পদিনের মধ্যেই এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম চারিদিকে ছরিয়ে পড়লো এবং দেশ বিদেশের বিদ্যার্থীরা এতএ ছুটে আসতে লাগলো। এ পর্যায়ে মাদরাসার নামকরনও শায়খের সাথেই সম্পৃক্ত হয়ে ‘মাদরাসায়ে কাদেরিয়া” হয়ে গেল।

গাউসুল আযম রহমাতুল্লাহি আলায়হি আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য, কামালাতের উচ্চ মাকামে উন্নীত হবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, এমন কি জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে মুরাকাবা-মুশাহাদারত হন। তিনি এই সময় খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়ে দেন, এমনকি গাছের পাতা খেয়ে ক্ষুধার জ্বালা নিবারণ করেন। জানা যায়, অনেক বছর তিনি বাগদাদ শরীফের বাইরে একটা টিলার উপর একটা জীর্ণ কুটিরে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন। শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি অতি দক্ষ বাগ্মী ছিলেন। বিভিন্ন মাহফিলে তিনি ইসলামের সুমহান আদর্শ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতেন। তাঁর ওয়ায শোনার জন্য সর্বস্তরের মানুষ দলে দলে তার মাহফিলে এসে সমবেত হতো। তার মহফিলে শুধু মুসলমান নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতো। লোকজন তাঁর মধুর বাণী এবং সুমিষ্ট ওয়ায ঘন্টর পর ঘন্টা মোহিত হয়ে শুনত। তাঁর ওয়াযে এমন এক মোহনীয় শক্তি ছিল যা শুনে সবাই লাভবান হতো। তার বক্তব্য শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। তিনি ওয়াজ নসিহতের পাশাপাশি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। গাউসুল আযম এবং কাদিরীয়া তরিকার ওপর বাংলা ভাষায় বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় গাউসুল আযমের কয়েকখানি গ্রন্থের তরজমা বের হয়েছে। গাউসুল আযম রহমাতুল্লাহি আলায়হির গ্রন্থরাজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ফতহুল গায়েব, ফতহুর রাব্বানী, সিররুল আসরার, গুনিয়াতুত্ তালেবীন, কাসিদায়ে গাউসিয়া প্রভৃতি।

(বাগদাদ শহরে বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর মাজার)
৫৬১ হিজরি মুতাবেক ১১৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের শেষ প্রহরে ইন্তিকাল করেন কুতুবে রাব্বানী বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী( রঃ) বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। মৃত্যুর পরে তাকে বাগদাদে দাফন করা হয়। বাগদাদ সূফী জগতের বিলায়তের রাজধানী। তাই বাগদাদ গাউসুল আজম (রঃ) এর কারণে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। বড়পীর সাহেবের এই ওফাতের দিন সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তার মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মনেতা, ধর্ম প্রচারক, তাপসকুল শিরোমণি হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর ৮৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিনটি মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে দিনটি বেশ তাৎপর্যবহ। দরবেশকুল শিরোমনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী( রঃ) এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

উনি একজন রহস্যময় আউলিয়া।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
যে নামেই ডাকেন না কেন
উনি নিশ্চয়ই সাড়া দিয়ে থাকেন।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি আঊলিয়া বলা ঠিক হয় নাই।
পীর। রহস্যময় পীর।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি
তিনি পীরদের পীর
সূফীরা তাকে 'বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)'
নামে ব্যক্ত করেন

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গউছুল আ'যম হযরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী রহ: ওফাত দিবসে সম্রণ করিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা!
আপনার উপর উনার রুহরে ফয়েজ করম বর্ষিত হোক।
নবীগণের মুযেযাত ও আউলিয়া কেরামের আল্লাহ্ প্রদত্ত অলৌকিক নিদর্শন সমূহ সম্পর্কে ইমাম আযম হযরত আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর আল্ ফিক্হুল আকবর গ্রন্থে উল্লেখ ... অর্থাৎ ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, 'আম্বিয়ায়ে কেরামের মুযেযা এবং আউলিয়ায়ে কেরামের কারামত সত্য। ... তদ্রুপ পীরানে পীর দস্তগীর বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর বহু অলৌকিক ঘটনা রয়েছে।
উনার পবিত্র রুহের ফায়েজ ও রহম, কররে প্রার্থী।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগু'দা
চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ত্ব আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) ৮৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি ।


১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আলী ভাই
লেখাটি গুরুত্বসহকারে
পাঠ করার জন্য।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

বাংলার মেলা বলেছেন: উনি একজন মানুষ ছিলেন কিনা এই ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

- ওনার পিতা নদীতে ভেসে যাওয়া একটা ফল খেতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে ওনার মাকে বিবাহ করতে বাধ্য হন।
- উনি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন কুরআন শরিফ হিফজ করে ফেলেন, যে কারণে পরবর্তীতে তাঁকে আর মুখস্তবিদ্যার মত কঠিন কাজ রপ্ত করতে হয়নি।
- মাতৃগর্ভে থাকাকালীন উনি এক লম্পটের হাত থেকে নিজ মায়ের ইজ্জত রক্ষা করেন। এই কাজ কিভাবে করলেন সেটা অবশ্য বিস্তারিত জানা যায়নি।
- উনি পড়াশোনা করতে বাগদাদে যাওয়ার সময় দস্যুর হামলার শিকার হন। তাদের ইন্টারোগেশনের মুখে আস্তিনের তলায় থাকা সোনার মোহরের কথা স্বীকার করায় পুরো ডাকাত দল ভালো হয়ে যায়। উব্লিউ টি এফ!!!!
- নৌকাডুবিতে সর্বস্ব হারানো এক বুড়ির কান্নায় অতিস্ট হয়ে তিনি আল্লাহ্‌র ফেরেশতাকে ঝাড়ি মেরে সব কিছু ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ বাংলার মেলা।
আমি আপনার উল্লেখিত শেষ কারামতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলছিঃ
ডুবন্ত বরযাত্রী
-------------
একবার ছরকারে বাগদাদ হুযুর সায়্যিদুনা গাউসে পাক বাগদাদ শরীফের সমূদ্রের দিকে তাশরীফ নিয়ে গেলেন, সেখানে এক বৃদ্ধাকে দেখলেন যে, অঝোরে কান্নাকাটি করতেছে। এক মুরীদ গাউসে পাক এর দরবারে আরয করলেন: “ইয়া মুরশিদ! এ দূর্বল বৃদ্ধা মহিলাটির একটি মাত্র সুন্দর সুশ্রী সন্তান ছিল, বেচারী তাকে বিয়ে করায়, বিবাহোত্তর বর কনেকে নিয়ে এ নদীতে নৌকা দিয়ে আপন ঘরে যাচ্ছিল। হঠাৎ নৌকা উল্টে গেল এবং বর কনে সহ সমস্ত বরযাত্রী ডুবে গেল।
এ ঘটনা ঘটেছে আজ ১২ বছর হয়ে গেল কিন্তু মায়ের কলিজা, বেচারীর দুঃখ কোনভাবেই দূর হচ্ছেনা। সে প্রতিদিন এ সমূদ্রের কিনারায় আসে এবং বরযাত্রীকে না পেয়ে কান্নাকাটি করে চলে যায়। হুযুর গাউসে পাক এর এ বৃদ্ধার প্রতি মায়া হল, তিনি আল্লাহ তা’আলার দরবারে দুআর জন্য হাত উঠিয়ে দিলেন, কয়েক মিনিট ঘরে কিছুই প্রকাশ পেলনা, অস্থির হয়ে আল্লাহ তা’আলার দরবারে আরয করলেন: হে আল্লাহ! এতটুকু দেরী কেন? ইরশাদ হল: “হে আমার প্রিয়! এ বিলম্ব তাক্বদীর ও তদবীর বিরূদ্ধ নয়, আমি চাইলে একটি আদেশ “কুন” দ্বারা সমস্ত আসমান ও যমীন সৃষ্টি করতে পারি কিন্তু হিকমতের কারণে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি, বরযাত্রী ডুবে গেছে ১২ বছর হয়ে গেছে, এখন না নৌকা অবশিষ্ট আছে, না আরোহীগণ। সকল মানুষের মাংস ইত্যাদিও সমূদ্রের মাছ খেয়ে নিয়েছে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে যাওয়া শরীরের অংশগুলোকে একত্রিত করে পূণরায় জীবন প্রণালীতে এনেছি। এখনই তাদের আসার সময় হয়েছে।”
এখনো এ বাক্যগুলো শেষ হয়নি হঠাৎ ঐ নৌকা তার সকল সাজ সরঞ্জাম, বর করেন ও বরযাত্রীসহ পানির উপর উঠে আসল এবং কয়েক মুহুর্তে র মধ্যেই তীরে এসে ফিরল। সকল বরযাত্রী ছরকারে বাগদাদ এর দুআ নিয়ে খুশি মনে আপন আপন ঘরে চলে গেল। এ কারামতের কথা শুনে অগণিত কাফির এসে সায়্যিদুনা গাউসে পাক এর পবিত্র হাতে ইসলাম গ্রহণ করল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.