নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় চিত্রশিল্পী ভি বিশ্বনাধনের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫


তামিল বংশোদ্ভূত ভি বিশ্বানাধন একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী। এই চিত্রশিল্পী তার আঁকা ছবিতে দেশে-বিদেশে সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছেন। বিশ্বনাধন চোলামান্ডালাম শিল্পী পল্লীর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ভারতীয় চিত্রকলায় আধুনিকতাবাদী ধারার নিদর্শন হিসেবে তার চিত্র দেশ ও বিদেশের বেশ কয়েকটি জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহে স্থান পেয়েছে। তিনি শিল্প ও চিত্রকলা বিষয়ে বিভিন্ন তামিল সাময়িকীতে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। সত্তুরের দশকে তিনি শিল্প নিয়ে তিনটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন - 'কালার এন্ড ফর্ম' (১৯৭২), 'এজুথু' (১৯৭৩) এবং 'স্যান্ড' (১৯৭৭)। ১৯৪০ সালের আজকের দিনে তিনি ভরতের কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী। ভারতীয় চিত্রশিল্পী ভি বিশ্বনাধনের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

ভি বিশ্বনাধন ১৯৪০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভরতের কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা নিজের শহরেই। এরপর তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট্স-এ অধ্যয়ন করেন। শুরু থেকেই তিনি নিজের কাজের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে চেয়েছেন ভিন্নসুর। ফলে তার প্রতি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। ১৯৬৬ সালে তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় চেন্নাইয়ে। পরবর্তীকালে ভারতের বিভিন্ন শহরে তিনি একক প্রদর্শনী করেন। ভারতের যে সব স্থানে তার একক চিত্র প্রদর্শনী হয়ে প্রশংসিত হয়েছে সে সব জায়গার মধ্যে রয়েছে বাঙ্গালুরু। ওখানে ১৯৬৭ সালে তার একক প্রদর্শনী হয়। এরপর ১৯৭১ সালে মুম্বাই-এ, ১৯৭৪ সালে নয়াদিল্লিতে প্রদর্শিত হয় তার চিত্র। বিভিন্ন সময়ে তার আঁকা ছবি বিদেশেও প্রদর্শিত হয়েছে। ভারতের বাইরে তার উল্লেখযোগ্য চিত্রপ্রদর্শনীর প্রথমটি হয় ১৯৬৮ সালে প্যারিস-এ। এরপরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৯ সালে ডেনমার্ক, ১৯৭৪ সালে ইতালি এবং ১৯৭৫ সালে জার্মানিতে।

ভি বিশ্বনাধন চোলামান্ডালাম শিল্পী পল্লীর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি শিল্প ও চিত্রকলা বিষয়ে বিভিন্ন তামিল সাময়িকীতে প্রচুর লেখালেখি করেন। সত্তরের দশকে তিনি শিল্প নিয়ে তিনটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এগুলো হলো ১৯৭২ সালে ‘কালার অ্যান্ড ফর্ম’, ১৯৭৩ সালে ‘এজুথু’ এবং ১৯৭৭ সালে ‘স্যান্ড’। ভারতীয় চিত্রকলায় আধুনিকতাবাদী ধারার নিদর্শন হিসেবে তার চিত্র দেশ ও বিদেশের কয়েকটি জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহে স্থান পেয়েছে। অনেক শিল্পীর কাছে তিনি হয়ে ওঠেন অনুসরণযোগ্য। তার তুলির আঁচড় এই শিল্পে যে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে তা অনেকের কাছে শিক্ষণীয় হয়ে ওঠে। তিনি তার কর্মের মাঝেই উজ্জ্বল হয়ে আছেন। এই উপমহাদেশে তাকে আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম একজন হিসেবেও মূল্যায়ন করা হয়। আধুনিক চিত্রকলার এই শিল্পীর আজ ৭৯তম জন্মবার্ষিকী। ভারতীয় চিত্রশিল্পী ভি বিশ্বনাধনের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: শুভেচ্ছা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রাজীব ভাই
মধ্যরাতের শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.