নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক ও সঙ্গীতজ্ঞ সনজীদা খাতুনের ৮৬তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৬


ছায়ানটের 'আলোকবর্তিকা', বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ড.সনজীদা খাতুন। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমানে সভাপতি এবং কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রচলিত ধারার বাইরে ভিন্নধর্মী একটি শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা-র সভাপতি ড. সনজীদা খাতুনের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৩ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ড.সনজীদা খাতুনের জন্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা।

ড.সনজীদা খাতুন ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের কিংবদন্তি অত্যন্ত উদার স্বভাবের ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি ও জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং মাতা সাজেদা খাতুন। এ ছাড়াও সনজীদা খাতুন কাজী আনোয়ার হোসেনের ভগিনী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের স্ত্রী। তা্র পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে। যারা সারা জীবন ধরে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, মননশীলতার চর্চা করে নিজেকে উন্নীত করেছেন এক ঈর্ষণীয় অবস্থানে, সারা জীবনের চর্চায় তিনি তৈরি করেছেন স্বকীয় এক পরিমন্ডল, যা থেকে উত্তরকালের নাগরিকগণ পেতে পারেন উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা তাদের অন্যতাম ড. সনজীদা খাতুন। সনজীদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

(তিন বোন, সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন ও চিত্রশিল্পী মহমুদা খাতুন)
স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল রবীন্দ্র সংগীত ৷ সে বাধা ভেঙেছিলেন যাঁরা সনজীদা খাতুন তাঁদের অন্যতম৷ শত বাধার মুখে রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদযাপন, ছায়ানট প্রতিষ্ঠা, বটমূলের বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলবার সাধনায় ব্রতী হয়েছেন কিছু সংস্কৃতিকর্মী। সন্জীদা খাতুন এঁদেরই অন্যতম। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে আত্মনিবেদিত সন্জীদা খাতুন, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। ভাষা-আন্দোলন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধপরবর্তী দেশগঠনে আমরা তাঁকে দেখেছি অগ্রণী সাংস্কৃতিক নেত্রীর ভূমিকায়। তাঁরই নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ছায়ানটের মত প্রতিষ্ঠান, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের মত সংগঠন। সনজীদা খাতুনের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষক হিসেবে। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
ড. সনজীদা খাতুন মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ‘কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত’, রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাবসম্পদ’, ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’, ‘অতীত দিনের স্মৃতি’, ‘তোমারি ঝর্ণাতলার নির্জনে’, রবীন্দ্রনাথ: বিবিধ সন্ধান’, ‘কাজী মোতাহার হোসেন’, ‘রবীন্দ্রনাথের হাতে হাত রেখে’ ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির চড়াই-উৎরাই’, ‘ধ্বনির কথা আবৃত্তির কথা’, সংস্কৃতির বৃক্ষছায়ায়’, সংস্কৃতি কথা সাহিত্য কথা’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও তাঁর গাওয়া গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে অসংখ্য অডিও অ্যালবাম। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ নজরুল স্বর্ণপদক (১৯৫৪); রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৮); ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি (১৯৮৮); একুশে পদক (১৯৯০)); সা’দত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৮); বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৯); অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (২০০০) এবং একই বছরে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে রবীন্দ্রসংগীতের সাধনা এবং তার প্রচার-প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দেশিকোত্তম' প্রদান করা হয় সনজীদা খাতুনকে ৷

বাংলাদেশের র্গব এই গুণী শিল্পীর আজ ৮৬তম জন্মবার্ষিকী। কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ড.সনজীদা খাতুনেরজন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্যলুট।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার খুবই প্রিয় ব্যক্তিত্বের
জন্ম দিনে রইল ফুলেল শুভেচ্ছা ।

আপনার প্রতিও রইল শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.