নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বিশিষ্ট উদ্ভিদবিজ্ঞানী, প্রকৃতিবিদ ও আলোকচিত্রী ড. নওয়াজেশ আহমেদ। বাংলাদেশের আলোকচিত্রশিল্পে তার অগ্রগণ্য অবদান রয়েছে।আলোকচিত্রী হিসেবে ড. নওয়াজেশ আহমেদ প্রকৃতিকেই বিষয়বস্তু করেছিলেন। তার রচিত গ্রন্থ ও ফটো অ্যালবাম হয়ে ওঠে নিসর্গ ও প্রকৃতির। তার তোলা ছবি দেশ-বিদেশে পেয়েছে প্রশংসা। আয়োজিত হয়েছে একাধিক প্রদর্শনী। কাব্যানুরাগ ও প্রকৃতিপ্রেমের নির্দেশন পাওয়া যায় আলোচিত দুটি অ্যালবামে। অ্যালবাম দুটি হলো- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিন্নপত্র নিয়ে অ্যালবাম ‘ছিন্নপত্র’ এবং জীবনানন্দ দাশের কবিতা নিয়ে অ্যালবাম ‘ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে’। এ ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য ফটো অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলাদেশ’ (১৯৭৫), ‘পোট্র্রেট অব বাংলাদেশ’ (১৯৮৫), ‘কোয়েস্ট অব রিয়ালিটি’ (১৯৮৬) ও ‘বার্মা’ (১৯৮৬)। অন্যান্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বই হলো- ‘মহাবনস্পতি পদাবলি’, ‘প্রকৃতির পাঠ গ্রন্থমালা : বনবনানী’, ‘অশ্বত্থের সন্ধানে’, ‘বাংলার বুনোফুল’, ‘গৌতম’ ও ‘ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার অব বাংলাদেশ’। নওয়াজেশ আহমেদের আলোকচিত্র ছাপা হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত বহু পত্রপত্রিকায়। এর মধ্যে রয়েছে গার্ডিয়ান ও টাইমস। তিনি ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারসহ বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। আজ এই গুণী আলোকচিত্রশিল্পীর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের আজকের দিনি তিনি ঢাকায় মারা যান। আলোকচিত্রী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নওয়াজেশ আহমেদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ড. নওয়াজেশ আহমেদ ১৯৩৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মতভেদে অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওয়াধা গ্রামের মিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটকাল থেকেই সাহিত্য ও আলোকচিত্রের প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল। নওয়াজেশ ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ জিনতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে ১০ বছর চা গবেষনা করেছেন। এডিবি এবং বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থায়ও কাজ করেছেন। ক্যামেরা আর কবিতা, স্বদেশ আর প্রকৃতির সমার্থক হয়ে ওঠেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রীধারী ড. নওয়াজেশ আহমেদে। রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্র অবলম্বনে ''ছিন্নপত্র'' আর জীবনানন্দ দাশের কবিতা অবম্বনে ''ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে'' তাঁর অসাধরণ সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী চিরকুমার ড. নওয়াজেশ আহমেদ ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে নটায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডেইলী স্টার ও স্টাণ্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে বের হবার পরপরই তিনি অসুস্থ হঠাৎ পড়ে গেলে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পরে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কাব্যময় ক্যামেরা শিল্পী প্রকৃতিবিজ্ঞানী ড. নওয়াজেশ আহমেদ ছবির মানুষ হয়ে যান। ড. নওয়াজেশ আহমেদের বড় ভাই নাইবউদ্দিন আহমেদও আরেকজন খ্যতিমান আলোকচিত্রী ছিলেন। আজ এই গুণী আলোকচিত্রশিল্পীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের আজকের দিনি তিনি ঢাকায় মারা যান। আলোকচিত্রী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নওয়াজেশ আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই
আপনি ভাগ্যবান এ্ই গুণী মানুষের সানিধ্য লাভের
সুযোগ পেয়ে ছিলেন।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
নুরহোসেন নুর বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নূর ভাই
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম পাতায় আপনার দু'টা পোষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে ভাবে ক্যমেরা তাক করছেন
না দেখে উপায় আছে!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ড. নওয়াজেশ আহমেদের সাথে
সাক্ষাত করার একটি দুর্লভ সুযোগ হয়েছিল তার এক আত্মিয় ও আমার এককালের কলিগের সাথে ।
তাঁর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা