নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

২৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১


আজ শুক্রবার ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। ইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী এ দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। এদিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল পুরুষ-নারীকে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারী মনোভাব বজায়, কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয়। ২০০৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অবদান ও ভূমিকার উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। শান্তিরক্ষায় নারীর ভূমিকা ও লিঙ্গ-বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ গ্রহণ। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদযাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গানাইজেশন (আন্টসো) দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সেই থেকে ২৯ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করার দিন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি বলিষ্ঠ হয়েছে।পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি বলিষ্ঠ হয়েছে। জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসকে কেন্দ্র করে নিউইউর্ক সিটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে ড্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে অভিনন্দন বার্তা প্রদান এবং তাঁদের কাজের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতার কথা তুলে ধরে থাকেন। এছাড়াও, বিশ্বের সর্বত্র আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হয়। প্রায়শঃই দেশগুলোয় তাদের নিজস্ব শান্তিরক্ষীদের বহিঃর্বিশ্বে শান্তিরক্ষায় ভূমিকাকে স্মরণ করে সম্মানিত করা হয়। ঐ দেশগুলোতে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী দিবস উদযাপন, সভা-সমাবেশ, প্রদর্শনী ইত্যাদি বিষয়াদি স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দলের সাথে আয়োজন করে থাকেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশ গত দুই দশকের অধিক সময়কাল ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছে। এর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে জাতিসংঘের সর্ববৃহৎ সেনা প্রদানকারী দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৮৮ সালে ইউএন ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউনিমগ) মিশনে ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। তার পরের বছর, ১৯৮৯ সালে ২৫ জন সেনা ও ৩৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক ইউনাইটেড নেশনস ট্রানজিশন্স অ্যাসিস্ট্যান্স গ্রুপ ইন নামিবিয়া মিশনে প্রেরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার দীর্ঘমেয়াদি অংশগ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন। ১৯৯০-৯১ সালে প্রথম আরব উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীতে বাংলাদেশের ২ হাজার ১৯৩ জন সেনা অংশগ্রহণ করে। সেটিই ছিল জাতিসংঘের বাইরে কোনো একক দেশের নেতৃত্বে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের কম্বোডিয়া মিশনে প্রথমবারের মতো এক ব্যাটালিয়ন সেনা প্রেরণ করে। বাংলাদেশি সেনাদের পেশাদারি দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পক্ষপাতশূন্যতা অল্পদিনের মধ্যেই এ দেশকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি বলিষ্ঠ হয়েছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সদস্যগণ বিপদসংকুল এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নিয়োজিত থাকেন।’ শান্তিরক্ষী সদস্যগণ তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা দ্বারা সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবেন আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০২

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: এই পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম এবং পেয়েও গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারায় নিজেকে
ধন্য মনে করছি। আপনার জন্যও শুভকামনা।

২| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আন্তর্জাতিক শান্তি তো বিঘ্নিত হয় বড় মোড়লদের জন্যই। অনেকে বলে করোনা ভাইরাসও তাদেরই কেউ আবিস্কার করেছে। আমরা দূর্বলরা খালি শান্তি শান্তি বলে চিৎকারই করতে পারি।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ওনারা যা করবার তাই করে যাবেন
আর আমরা তিব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাবো।
তিনারা দৌড়াবেন আর আমরা হাপাতে থাকবো।

৩| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জানতে হলে পড়তে হবে।
পড়ার কোন বিকল্প নাই জানার জন্য।

৪| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জাতিসংঘকে ঢেলে সাজাতে হবে।বন্ধ করতে হবে ভেটো ক্ষমতা।শান্তিরক্ষায় আরো ক্ষমতা দিতে হবে।

৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যবচন!! বিশ্বমোড়লের রাহুমুক্ত করতে হবে জাতিসংঘকে।
জাতিসংঘকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে ।
দন্তবিহীন বাঘ দিয়ে কাজ চলবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.