নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজঃ শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৩


আজ বুধবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। শতবর্ষে পা রাখেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী বছর (২০২১ সাল) ৩০ জুন শতবর্ষ পূর্ণ হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সময়ের ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে পালন করা হয়। ২০২১ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃত এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করবে।’শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আজ বুধবার (১ জুলাই) ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন করবে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম।’ এ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। তবে প্রকৃতি ও জীবন বাস্তবতার অভিঘাত অগ্রাহ্য করার শক্তি কারও নেই। নভেল করোনাভাইরাসের অতিসংক্রমণের কারণে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও গভীর সংকটময় মূহূর্ত অতিক্রম করছে। তাই কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তলোন করা হবে। পতাকা উত্তোলন ও বেলুন ওড়ানোর পর সকাল ১১টায় অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনলাইন সভা করা হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, সাবেক দুই জন উপাচার্য, দুই জন ডিন, একজন প্রভোস্ট, একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির পক্ষ থেকে নেতারা সংযুক্ত হবেন এই অনলাইন অনুষ্ঠানে।

ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়; যা বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষত্ব হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এর বিশেষ অবদান ছিল। যেখানে দেশের সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ অবদান রেখেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন।এছাড়া, এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়া উইক এর পক্ষ থেকে শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নেয়। এটি এশিয়ার সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪তম। শিক্ষা ও গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯২১ সালের ১ জুলাই তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৮,০০০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ১,৮০৫ জন শিক্ষক রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ; এমএ-১৯২৩)। যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ.সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি.এইচ. ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ.জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ. এফ. রাহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে সব জন-আন্দোলন ও সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের আইয়ুব সরকারের জারি করা অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ জারি করেন। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ মোট ২৮ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও ২৮ তম উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে পূর্ণকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশ ও জাতির সার্বিকপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপনের বিরল সৌভাগ্য-প্রাপ্তির পূর্বক্ষণে মুজিববর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চিরঅমম্লান আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিচ অ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কল্যাণে উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও অগ্রগতিতে নিবেদিত এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণা-কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যেন কোনোক্রমেই বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য ইতোমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১০টায়। আমাদের বিশ্বাস, সুদিন সামনে, বিপদবিঘ্ন পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতের ন্যায় আবারো মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে, ষ্পন্দিত হবে মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ চর্চার অদম্য প্রতিযোগিতায়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ, পবিত্র এই দিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি আমাদের পূর্বসূরীদের অমর স্মৃতির প্রতি, যাদের দৃঢ় প্রয়াসে ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে প্রিয় খ্যাতিমান এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানাই তাদের প্রতি যাদের অনবদ্য অবদানে বিশ্ববিদ্যালয়টি চলতে চলতে আজ মহীরুহে। গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করাই হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসবের অঙ্গীকার।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতি -শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদের। শুভহোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ একটি বড় কাজ করে গেছেন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কেমন আছেন গাজীসাব
করোনার এই দিনে।
কে আপন কেবা পর
এবার নিবেন চিনে!!



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবেসে
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রীর নাম লীলা নাগ। উনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। এছাড়া জনহিতৈষী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভ্রাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ, এই তথ্যটির আমরা মোটামুটি সবাই জানি।
তবে শুধু এই একটি কারণেই নয়, লীলা নাগ পরিচিত তার ঘটনাবহুল সংগ্রামী জীবনের কারণে।
উপমহাদেশে নারী জাগরণের পথিকৃৎ লীলা নাগ। তিনি একাধারে ছিলেন একজন সাংবাদিক,
জনহিতৈষী ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী
হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সবথেকে বড় অর্জন ভাষা আন্দোলন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলন. সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন
কোন আন্দোলনেই পিছিয়ে নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনাকে ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আপনাকে
শুভেচ্ছা।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ইতিহাস ও ঐতিহ্য সবকিছুর তীর্থস্থান ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একদম সঠিক বলেছেন নিয়াজ সুমন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আপনাকে
আন্তরিক শুভেচ্ছা।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঢাবি নিয়ে সঠিক ইতিহাস অনেকে সচেতন ভাবে আলোচনা করতে চায় না। তার মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত ইতিহাস হল - রবীন্দ্রনাথ তথা হিন্দু নেতাদের এর প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করা। এসব ইতিহাস জানতে হবে। ওঁরা চায়নি মুসলমানদের অঞ্চলে শিক্ষিত জনতা বের হোক। আমাদের কিছু জ্ঞানপাপী অস্বীকার করেন এই তথ্য। অথচ ভারতের ডকুমেন্টে সব কিছু লেখা আছে। আর রমনার যে ৬০০ একর জমির কথা বলেছেন, সেই জমিটা যে নবাব সলিমুল্লাহ'র দান করা এবং তিনি যে প্রধান অর্থদাতা সেটাও অনেকে স্মরণ করতে পিছপা হন...

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তবে সে ইতিহাস ভিন্ন। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দিবসে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৬

জুন বলেছেন: প্রানপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আজ শততম বার্ষিকী অথচ অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। এই দিনটি নিয়ে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কত পরিকল্পনাই না ছিল। অংশগ্রহণ না করতে পারলেও আমার আন্তরিক শুভকামনা রইলো শততম বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তোমার জন্য।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে
যোগ দিতে না পারার ব্যাথা ব্যক্ত
করার জন্য। আশা করি আগামীতে
আপনার আশা অপুরণ থাকবেনা।
আপনার জন্য শুভকামনা।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।
প্রিয় ক্যাম্পাসের সামনের পথচলা হোক অপরাজনীতি ও অপশাসনমুক্ত।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে
স্মৃতিচারণ করার জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ খানসাব। শুভকামনা।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় বিদ্যাপিঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । করোনা মহামারী না থাকলে অবশ্যই আজ ক্যাম্পসে যেতাম । কত স্মৃতি মিশে আছে কত আনন্দঘন ক্ষণ ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সেলিম ভাই
প্রতিদিন যে হারে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ
হচ্ছে তাতে ঘর থেকে দু'পা ফেলিয়া
বিশ্ব দেখার সাহস পাইনা।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শতবর্ষ পূর্তিতে সুপ্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় !!!!
------------------------------------
কতো না মধুর স্মৃতি আর আনন্দ ঘন ক্ষণ
বাংলাদেশের গর্ব সে যে আমর প্রিয়ো শিক্ষাঙ্গন।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নয় যে শুধু জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে
কতো জীবন দৃষ্টান্ত এখন —এখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে
আলোয় ভূবন ভরিয়ে দিয়ে, বাংলাদেশের মেরুদন্ড যেন
অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সূতিকাগার
হিরণ্ময়ী এক হাতিয়ার, স্বাধীন বাংলার স্বার্থক রূপকার
আরো কতো কীর্তি তোমার সুপ্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাণ প্রিয় শিক্ষাঙ্গন; কত প্রিয়মুখ কত স্বজন
চিরসবুজ পাখির কূজন— অনন্ত যৌবনা যেন
বীর বাঙালির ইতিহাসের পাতায় আজও অম্লান
— তোমার রাজসিক বিচরণ ।
যেন এক পরশ পাথর যার পরশে সব খাঁটি সোনা
তোমার বুকের ধূলিকণায় আছে মিশে অমরকীর্তি
বাংলামায়ের সোনার ছেলেদের তুমি যে এক অবাধ বিচরণ ।
মহান একাত্তরে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে নেতৃত্বে তুমিই ছিলে
ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা জাতীয়, পতাকা উত্তোলন— কোথায় নেই
কীর্তি তোমার স্বদেশ আমার কীর্তি তোমার সবখানেই
শুভকামনা করি তোমার এই জয়যাত্রার
দিনে দিনে সমৃদ্ধতর হও, এগিয়ে যাও! এগিয়ে যাও সবার চেয়ে।
জ্ঞানের ঐ মশাল হাতে দেখিয়ে দাও বিশ্বটাকে তুমি যে সবার সেরা
শতবর্ষ পূর্তিতে তোমার জন্য এই কামনা সুপ্রিয় শিক্ষাঙ্গন ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আপনার নিবেদন
স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার এ ক্ষুদ্র লেখায়।
ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই চমৎকার নৈবদ্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.