নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যালির ধূমকেতু, ফিরে আসা বার বার

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩২


হ্যালির ধূমকেতু। প্রখ্যাত ইংরেজি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমান্ড হ্যালির নামানুসারে এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়েছে । এর জ্যোতির্বিজ্ঞান নাম ১পি/হ্যালি। এই ধূমকেতু খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যায়। প্রতি ৭৫-৭৬ বছর পরপর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়ে উঠা একটি ধূমকেতু।১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের আজকের দিনে এই ধূমকেতুকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল। হ্যালির ধূমকেতু হল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধূমকেতু। এটাকে ক্ষণস্থায়ী ধূমকেতু বলা হয় কারণ সে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ২০০ বছরের কম সময় নেয়। আজ থেকে হাজার বছর পূর্বেও মানুষ এই ধূমকেতু দেখত বলে জানা যায়। ব্যাবিলন, চীন এবং ইউরোপে পর্যবেক্ষকরা তখন হ্যালির ধূমকেতু দেখেছেন বলে নথিপত্রে লিখে রেখেছেন। ভারতের তামিল চের বংশের রাজা মানতারাণ ইরুম্পুরাই এর মৃত্যুর বছর, ১৪১ খ্রীস্টাব্দে, হ্যালির ধূমকেতুর দর্শনের কথা তামিল কাব্য পুরাণানুতে নথিবদ্ধ করা আছে। তবে সব ধূমকেতুর ভাগ্য হ্যালির ধূমকেতুর মতো হয় না। সূর্যের প্রবল উত্তাপে অনেক ধূমকেতু ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। যেমন ২০১২ সালে আবিষ্কৃত আইসন ধূমকেতু সূর্যের কাছে প্রথম পাক লাগানোর সময়ই ভেঙে পড়ে।

ধূমকেতু মহাকাশের এক আজব বস্তু। মাঝে মাঝেই আকাশে ধূমকেতুর উদয় হয়। কিছুদিন পর আবার তা হারিয়ে যায়। দেখতে অনেকটা ঝাড়ুর মতো। কোনো কোনো ধূমকেতুর আবার লেজ আছে। এগুলো খুবই উজ্জল। দেখলে মনে হয় যেন আলোর তৈরি কোনো ঝাড়ু। আসলে ধুলো, বরফ ও গ্যাস দিয়ে তৈরি একধরনের উজ্জল বস্ত। ধূমকেতুর চলার পথ গোলাকার নয়। বেশ লম্বাটে। তাই প্রতিবছর একই ধূমকেতু দেখা যায় না। তবে একটা ধূমকেতু নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিরে আসে। ধূমকেতু যখন সূর্যের খুব কাছ দিয়ে যায়, তখন আমরা একে দেখতে পাই। ধূমকেতুর মাথার গোল অংশটাকে বলে নিউক্লিয়াস। সব ধূমকেতুর আকার একরকম নয়। কিছু ধূমকেতুর প্রস্থ মাত্র কয়েক’শ মিটার মাত্র। কিছু ধূমকেতর প্রস্থ আবার ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। এদের লেজের দৈর্ঘ্য কয়েক’শ কোটি কিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ধূমকেতু উল্কা বা গ্রহাণু থেকে আলাদা। কারণ এদের দেহ ও লেজের স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। কিছু ধূমকেতু সূর্যের খুব কাছ দিয়ে বারবার আসা-যাওয়া করে। সূর্যের তাপের প্রভাবে এদের বরফ ও ধূলাবালি ক্ষয় হয়। ফলে লেজ হারিয়ে গ্রহাণুর মতো বস্তুতে পরিণত হয়। এ পর্যন্ত মোট ৫৩৮৪ টি ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করা গেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন একশ কোটিরও বেশি ধূমকেতু রয়েছে আমাদের সৌরজগতে। হ্যালির ধুমকেতুটিকে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৮৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। আশাকরা যায় আবার ২০৬১ সালের ২৮ জুলাই একে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।

ধূমকেতুর দর্শন খুব কম হওয়ার কারণে এ নিয়ে মানুষের মনে অনেক অহেতুক কুসংস্কারের অস্তিত্বও আছে।প্রতি ৭৫ বা ৭৬ বছর পরপর খালি চোখে এ ধূমকেতু দেখা যায় পৃথিবী থেকে। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ একে দেখা যায়। আশা করা যায় ২০৬১ খ্রিষ্টাব্দে এটি আবার পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে। ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি সর্বপ্রথম এই ধূমকেতুর সূর্যকে কেন্দ্র করে একবার ঘোরার সময়কাল বের করেন। তার নামানুসারেই এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়। ১৯৮৬ সালে যখন শেষবার এটি দৃশ্যমান হয় তখন বিজ্ঞানীরা আকাশযান ব্যবহার করে এটি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান। এ সুযোগে পুরনো অনেক তথ্য ও ধারণা যাচাই করে নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ভুল ধারণাও শুধরে নেওয়া সম্ভব হয়। যেমন আগে ধারণা ছিল এতে গলন্ত বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু এ পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয় আসলে এর পরিমাণ অনেক কম। লেজের মতো দেখতে অংশটির আসল নাম ‘কোমা’, যা কিনা পানি ও কার্বনডাই অক্সাইডের বাষ্প নিয়ে তৈরি। হ্যালির ধূমকেতুর কোমা লম্বায় ১০০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, অথচ এর নিউক্লিয়াস আকারে অনেক ছোট, যেটি লম্বায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার, প্রস্থে ৮ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার পুরু।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: নূরু ভাই হ্যালির ধূমকেতু কি করোনা নির্মূল করতে পারে?

তাহলে বার বার আসুক।

তথ্যবহুল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোন কিছুই কোন কিছু নির্মূল করার ক্ষমতা রাখেনা
যদিনা সৃষ্টি কর্তা চাহেন।"তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী;
তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন: 'হও', অমনি তা হয়ে যায়।
" (সূরা আল-ইমরান ৩:১১৭).
তাই তিনি চাইলে কোন কিছুর অছিলায় কোন কিছু নির্মূল করতে বা সৃষ্টি করতে পারেন।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: যখন হ্যালির ধূমকেতু এসেছিলো তখন আমি স্কুলে পড়তাম।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শেষ বার যখন্ হ্যালির ধুমকেতু আসে তখন
আমি বিয়ের পিড়িতে বসি !!! =p~

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত না। দেখা না দেখা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না।
বাজারে জিনিস পত্রের দাম নিয়ে আমি চিন্তিত।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি চিন্তা করলেও যা ফল হবে
না করলেও তাই রবে। কারন আপনি
কোন কিছুরই পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন না।
সুতরাং অযথা চিন্তা করে শরীর খারাপ করার
কোন মানে নাই। সিগারেট পান করুন আর মুভি দেখুন।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

কৃষিজীবী বলেছেন: মেলা কিছু জানলাম

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ কৃষিজীবী। কিছু জানার জন্য।
কৃষিকাজের অগ্রগতি না হলে
করনা পরবর্তী সময়ে বিপদে
পড়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ দাদা, উৎসাহিত করার জন্যঅ।
কুশলে থাকবেন।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৬০ সালের কাছাকাছি একটা ধুমকেতু দেখেছিলাম, ভোর রাতে দ: পুর্ব আকাশে লম্বা লেজসহ উদিত হতো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খুবই ছোট ছিলাম তখন । দিগম্বর থাকতাম
কিছু বুঝবার ক্ষমতা ছিলোনা তখন্।
আপনি তখন কত বছরের যুবক !!! =p~
তবে ১৯৮৬ সালের হ্যালির ধুমকেতুর
কথা মনে আছে।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হ্যালির ধুমকেতু খুব আকর্ষণীয় পাঠ । হ্যালির ধুমকেতুতে ভাল লাগা ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সেলিম ভাই
সুন্গর মন্তব্য প্রদানের জন্য।
ভালো থাকবেন।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হ্যালির ধুমকেতু থেকে ভালো নজরুলের ধুমকেতু।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোথায় হ্যালি আর কোথায় নজরুল!!
আমাদের জাতীয় কবির সাথে আর কারো
তুলনাই হতে পারেনা !! তবে নজরুলের
:ধুমকেতু আর হ্যালির ধুমকেতু দুইটা
দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা !!

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
তথ্যপূর্ণ পোস্ট।জানা বিষয়টি আরো একটু ডিটেইলস জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
পোস্টে পঞ্চম লাইক।
শুভকামনা জানবেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ দাদা। খুবই ভালো লাগলো আপনাকে
সাথে পেয়ে। সম্ভব আপনার লাইকের কারনে লেখাটি
আলোচিত ব্লগে যায়গা করে নেবে। শুভকামনা আপনার
জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.