নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আধুনিক ভারতের স্রষ্টা", লেখক এবং পরিব্রাজক সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের ১১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৭


ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য, হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ স্বামী বিবেকানন্দ। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে হিন্দুধর্মকে বিশ্বজনীন ধর্মের স্তরে উন্নীত করা তথা সর্বধর্মসমন্বয় চেতনার বিস্তারে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তাঁর চিন্তা-চেতনার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর যুক্তিবাদী পিতা ও ধর্মপ্রাণা জননী। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? / জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" – বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত একটি উক্তি। ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয় এবং তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯০২ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের হাওড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ১১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার এক কায়স্থ দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দত্ত-পরিবারের আদি নিবাস ছিল অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত দত্ত-ডেরিয়াটোনা বা দত্ত-ডেরেটোনা গ্রাম। মুঘল শাসনকাল থেকেই দত্তরা উক্ত গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতা উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবি ছিলেন এবং মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী। বিবেকানন্দের পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত (ডাকনাম ছিল বীরেশ্বর বা বিলে এবং নরেন্দ্র বা নরেন)। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত দুরন্ত হলেও আধ্যাত্মিকতার দিকে নরেন্দ্রনাথের আগ্রহ ফুটে ওঠে। এই সময় শিব, রাম, সীতা ও মহাবীর হনুমানের মূর্তির সামনে তিনি প্রায়শই ধ্যানে বসতেন। সাধুসন্ন্যাসীদের প্রতিও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে, নরেন্দ্রনাথ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ভরতি হন। ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে তার পরিবার সাময়িকভাবে রায়পুরে (অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ছত্তিসগড় রাজ্যে) স্থানান্তরিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে দত্ত পরিবার আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। নরেন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজের (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা) প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনিই ছিলেন সেইবছর উক্ত পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ একমাত্র ছাত্র। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি চারুকলা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে নরেন্দ্রনাথের পিতা হঠাৎ মারা যান। এরপর তার পরিবার তীব্র অর্থকষ্টের মধ্যে পড়ে। ঋণদাতারা ঋণশোধের জন্য তাদের তাগাদা দিতে শুরু করে এবং আত্মীয়স্বজনরা তাদের পৈতৃক বাসস্থান থেকে উৎখাত করার চেষ্টা শুরু করে। একদা সচ্ছল পরিবারের সন্তান নরেন্দ্রনাথ কলেজের দরিদ্রতম ছাত্রদের অন্যতম ছাত্রে পরিণত হন। এসময় তিনি চাকরির অনুসন্ধান শুরু করেন এবং ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। কিন্তু একই সময়ে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের সান্নিধ্যে তিনি শান্তি পেতে থাকেন। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের গলার ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অগাস্ট শেষরাত্রে কাশীপুরেই রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব প্রয়াত হন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মৃত্যুর পর তার ভক্ত ও অনুরাগীরা তার শিষ্যদের সাহায্য করা বন্ধ করে দেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে, নরেন্দ্রনাথের গুরুভ্রাতা বাবুরামের মা নরেন্দ্রনাথ ও অন্যান্য সন্ন্যাসীদের আঁটপুর গ্রামে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করে হুগলি জেলার আঁটপুরে যান এবং কিছুদিন সেখানে থাকেন। আঁটপুরেই বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায় নরেন্দ্রনাথ ও আটজন শিষ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তারা রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মতো করে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এখানে নরেন্দ্রনাথ "স্বামী বিবেকানন্দ" নাম গ্রহণ করেন।

১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে পরিব্রাজকরূপে মঠ ত্যাগ করেন বিবেকানন্দ। তিনি বারাণসী থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। এই সময় ভিক্ষোপজীবী হয়ে সারা ভারত পদব্রজেই পর্যটন করেন বিবেকানন্দ। সেজন্যেই স্বামীজিকে সারা বিশ্ব 'পরিব্রাজক' হিসেবে জানে। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে গুরুভ্রাতা স্বামী অখণ্ডানন্দের সঙ্গে তিনি পুনরায় পরিব্রাজক সন্ন্যাসীরূপে দেশভ্রমণে বের হন। মঠে ফেরেন একেবারে পাশ্চাত্য ভ্রমণ সেরে। ১৮৯১ খ্রিস্টাবদের জানুয়ারি মাসের শেষদিকে অন্যান্য গুরুভ্রাতাদের ছেড়ে তিনি একাকী দিল্লির পথে অগ্রসর হন। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে তিনি রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর তিনি যান মহাবালেশ্বর এবং তারপর যান পুণায়। পুণা থেকে ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস নাগাদ তিনি খান্ডোয়া ও ইন্দোর ভ্রমণ করেন। বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মে শিকাগোর উদ্দেশ্যে বোম্বাই ত্যাগ করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো যাবার পথে বিবেকানন্দ জাপান ভ্রমণ করেন। তিনি চিন, কানাডা হয়ে আমেরিকার শিকাগো পৌঁছান ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে উদ্বোধন হয়। এদিন বিবেকানন্দ তাঁর প্রথম সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে ধর্মসভা শেষ হওয়ার পর বিবেকানন্দ পুরো দু-বছর পূর্ব ও কেন্দ্রীয় যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে শিকাগো, ডেট্রয়েট, বোস্টন এবং নিউইয়র্কে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিউইয়র্কে বেদান্ত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৫ ও ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকায় তার প্রথম পরিদর্শনের সময় তিনি দু-বার ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তার বক্তৃতাসমূহ সফল ছিল। পশ্চিম থেকেও তিনি তার ভারতীয় কাজে গতি আনেন। বিবেকানন্দ ভারতে অবস্থানরত তার অনুগামী ও সন্ন্যাসী ভাইদের উপদেশ দিয়ে এবং অর্থ পাঠিয়ে বিরামহীনভাবে চিঠি লেখেন। পাশ্চাত্য থেকে পাঠানো তার চিঠিসমূহ সেই দিনগুলিতে সামাজিক কাজের জন্য তার প্রচারাভিযানের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। বিবেকানন্দ ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি কলম্বো পৌঁছান এবং এক পরমানন্দদায়ক অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন। এখানে তিনি প্রাচ্যে তাঁর প্রথম প্রকাশ্য বক্তৃতা করেন। সেখান থেকে কলকাতায় তাঁর পৌঁছানো ছিল এক বিজয়ঘটিত প্রত্যাবর্তন।

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১ মে কলকাতায় বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠা করেন ধর্ম প্রচারের জন্য সংগঠন "রামকৃষ্ণ মঠ" এবং সামাজিক কাজের জন্য সংগঠন "রামকৃষ্ণ মিশন"। এটি ছিল শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, চিকিৎসা-সংক্রান্ত এবং দাতব্য কাজের মধ্য দিয়ে জনগণকে সাহায্য করার এক সামাজিক-ধর্মীয় আন্দোলনের প্রারম্ভ। বিবেকানন্দ ভগ্ন স্বাস্থ্য সত্ত্বেও পুনরায় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে পাশ্চাত্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরে আসেন। জাপানের ধর্ম মহাসভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, যদিও অধোগামী স্বাস্থ্যের কারণে তিনি তাতে যোগ দিতে ব্যর্থ হন। তার স্বাস্থ্য ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যেতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯০২ সালের ৪ জুলাই রাত ৯:১০ মিনিটে ধ্যানরত অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভ্রমণসমূহ, উত্তেজনাপূর্ণ বক্তৃতাদান, ব্যক্তিগত আলোচনা এবং চিঠিপত্রের আদান-প্রদান তাঁর স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছিল। তিনি হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য শারীরিক অসুখে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের প্রতিবেদনে বলা হয় এটি হয়েছে তাঁর মস্তিষ্কে একটি রক্তনালী ফেটে যাবার কারণে, কিন্তু তাঁরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ধার করতে পারেননি। স্বামী বিবেকানন্দ শুধুমাত্র একজন সাত্ত্বিক পণ্ডিতই ছিলেন না, বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বিবেকানন্দ ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাগ্মী ও লেখক। তাঁর অধিকাংশ বই-ই হল বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দেওয়া বক্তৃতার সংকলন। আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। পরিব্রাজক, লেখক স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্বামী বিবেকানন্দ একজন গ্রেট মানুষ। তার তুলনা হয় না। তার বানী গুলো আমাকে শক্তি দেয়।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব
স্বামী বিবেকানন্দের বানীগুলোকে
আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার জন্ম তারিখ ভুল হয়ে গেছে; আপনি নীচের ফরমেট ব্যবহার করতে পারেন:

স্বামী বিবেকানন্দ(১৮৬৩-১৯০২)

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোন কিছুই ভুল নয়
যদি তা শুদ্ধ করে নেওয়া যায়।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৬

গেছো দাদা বলেছেন: আপনার এই ব্যতিক্রমী পোষ্ট আমার কাছে আনন্দদায়ক লাগলো। আপনি সত্যি একজন মহৎ হৃদয়ের মানুষ। ভালো থাকুন আমার নুরু দাদা।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ দাদা।
আমি প্রায়শই বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও পেশার মানুষদের নিয়ে
পোস্ট দিয়ে থাকি যারা সমাজের জন্য মানুষের জন্য মানবতার
জন্য কাজ করে গেছেন। ভবিষ্যতেও আমার এ প্রচেষ্টা অব্যহত
থাকবে। এ জন্য নিজেকে মহৎ কার্য সাধন করেছি বলে মনে
করিনা। তার পরেও আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তিনি অসাধারণ গুনাবলী সম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। সমসাময়িক সমাজের একজন বিজ্ঞ দার্শনিক এবং সমাজ বিজ্ঞানীও বটে। তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ ভূইয়া ভাই
স্বামী বিবেকানন্দ মানবতার
জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে
সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন।
তাই মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ এক জন মানুষ।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সাজ্জাদ হোসেন
মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: উনি যে নাস্তিক ছিলেন তা কি জানেন?

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যাদের কোন ধর্মে বা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস নাই তিনি নাস্তিক।
স্বামী বিবেকানন্দ কি তাই ছিলেন ? হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে যারা
চর্চা করেন তারা ভালো বলতে পারবেন!

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার এই পোস্টগুলো এক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।যে কোন মনীষীকে নিয়ে গুগল সার্চ দিলেই আপনার পোস্ট সামনে চলে আসে।এদিক থেকে আমার মনে হয় মনীষীদের জীবনী নিয়ে গুগল সেভ ড্রাইভে আপনি রেকর্ড করতে চলেছেন। ধন্যবাদ প্রিয় নুরু ভাই আপনাকে।
বীর সন্ন্যাসীর​ মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ পদাতিক দাদা আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
গুগল ড্রাইভে কোন গুনীজনকে নিয়ে সার্চ দিলে আমার একটা
লিংকও থাকে আমি দেখেছি। যদি এতে কেউ উপকৃত হয় তাতেই
আমার লেখার স্বার্থকতা। স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা
জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আধুনিক ভারতের যা নমুনা দেখছি তাতে আধুনিকতার সংজ্ঞা নিয়ে আমার মনে সংশয় তৈরি হচ্ছে। তবে হয়ত ওনার সময় ভারত আধুনিক ছিল।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

প্রকৃত পক্ষেই তার সময়ে ভারত অনেক আধুনিক ছিলো
বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞান ও মানবতায়

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২২

ইসিয়াক বলেছেন: স্বামী বিবেকানন্দর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ কবি,
স্বামী বিবেকানন্দর মৃত্যুবার্ষিকীতে
তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.