নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘‘নারী যখন নারীর হয়রানীর শিকার ’’

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৭


ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনঃ ‘‘রেপ করে দিলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে!’’গত শনিবার ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার ‘ভ্যাজাইনিসমাস’ সমস্যা নিয়ে গাইনি বিভাগের নারী চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ মা-কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন ওই তরুণী৷ তার অভিযোগ অনুযায়ী, নানা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার এক পর্যায়ে ওই চিকিৎসক তাকে বলেন, ‘‘এসব মেয়েদের হাজবেন্ড একটু জংলি টাইপের হওয়া উচিত, যাতে তারা একেবারে রেপ করে ফেলে৷ .... একেবারে রেপ করে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে৷’’ কি অসাধারণ প্রেসক্রিপশন !! ধরনী তুমি দ্বিধা হও !! কথায় আছে, ‘মেয়েরাই মেয়েদের প্রধান শত্রু!’ নারীরা নারীদের কতটা সম্মান দেন ? মা-নারী, বউ নারীকে মেয়ে নারী ভাবে না, বউ নারী শাশুড়ি নারীকে মা ভাবতে পারে না, ননদ-নারী ভাবি-নারীকে বোন ভাবতে পারে না বা তার বিপরীত! যেকোনো সংসার জীবন, বিয়েত, অফিস বা বন্ধুমহলে দেখবেন একজন নারীকে নিয়ে এক নারীই খাটাচ্ছেন, রটাচ্ছেন বা কাঁদাচ্ছেন! মা–বোন–মেয়ে—সবাইকে বলি, র‍্যালি করে, নারী দিবসে চিৎকার করে কিচ্ছু হবে না। আগে নারীরা নারীকে সম্মান দাও। তার পরে পুরুষদের কাছ থেকে সম্মান আদায়ের আন্দোলনে নামো। সে আন্দোলনে পুরুষরাও সামিল হবে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তার এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়ে ওই চিকিৎসককে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন৷তবে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন,‘‘আমি মনে করি, শব্দ বা ভাষা ব্যবহারে চিকিৎসক ভুল করেছেন৷আমার মেয়ে ওই ধরনের ভাষায় অপ্রস্তুত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে৷’’তবে চিকিৎসকদের ভাষার ব্যবহার এবং আচরণে আরো সংযমী এবং সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন৷বাংলাদেশের মেয়ের বাবারা কতশঙ্কা ও উদ্বেগ নিয়ে মেয়েদের লালন পালন করেন তার একটা চিত্র ফুটে উঠেছে তার বক্তব্যে। তিনি চাননা এ নিয়ে আর পানি ঘোলা করতে। তার নতজানু মনোভাব তার অসহায়ত্বের কথা জানান দিয়েছে। কারন নারী যদি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন, তাহলে নারীর চরিত্রই নষ্ট হয়, পুরুষের হয় না৷ কারন কাঠামোটাই পুরুষতান্ত্রিক। তাই অনেক নারীই সামাজিক কারণে তার যৌন হয়রানির কথাপ্রকাশ করতে চান না বা গোপন রাখেন৷ এর ফলে তাদের প্রতিকার পাওয়া হয়না। সম্ভবত স্কয়ার হাসপাতালের ওই নারী চিকিৎসক ছাত্রীটিকে যৌন হয়রানি করেছেন তিনি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব থেকে। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে হর-হামেশা ঘটলেও তার কোনো প্রতিকার দেখা যায় না৷’’ ‘‘এই সমাজ এখনো নারীদের সম্মান করতে শেখেনি৷ নারীদের তারা ভোগের বস্তুই মনে করে৷ ফলে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না৷ সবাই নারীকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়৷’’ উপরন্ত নারী যদি নারীর হয়রানির শিকার হন তখন প্রতিবাদের ভাষা স্থবির হয়ে পড়ে। তাই স্কয়ার হাসপাতালের ওই নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা একটি গুরুতর অপরাধ। কিন্তু আমাদের দেশে নারী উত্ত্যক্তকারীদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় না, পুরুষদের করা হয়। সুতরাং নারীরা এটা বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাঁরা অনাকাঙ্ক্ষিত কথাবার্তা, আচরণ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা তাঁরা করছেন কারণ তাঁরা নারী। তবে স্কয়ার হাসপাতালের ওই নারী চিকিৎসক ছাত্রীটিকে যৌন হয়রানি করেছেন তা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাধারণ প্রক্রিয়া বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমরা সবাই এত লোভী, অস্থির, আর হিংস্রতর হয়ে যাচ্ছি দিন দিন- কেন কিসের আশায়?? মানবিকতা, নৈতিকতা, মূলবোধ ও সুশাসন কি শুধু-ই তাকে উঠিয়ে রাখতে হবে??

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মানবতা, বিবেক নৈতিকতা আজ নির্বাসনে
তাই হিংস্রতার করাল গ্রাসে খাবি খাচ্ছে
মূল্যবোধ, সুশাসন সুদুর পরাহত।
এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে
হবে। ধন্যবাদ রিফাত ভাই
মন্তব্য প্রদানের জন্য।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মনে হয় ঠিকই আছে। উনি উনার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান শেয়ার করেছেন। আর ভুলে সেটাই প্রেসক্রিপশান হিসাবে দিয়ে দিয়েছেন। জংলী স্বামীর কারনে উনার কিন্চিৎ মানসিক ভারসাম্য দেখা দিলে আপনি দোষ দিতে পারেন না.....কোনভাবেই না!! :-B

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ মফিজ ভাই
শালীনতা ভদ্রতা দোকান বা বিপনীবিতানে
বিক্রি হয়না। এর লালন ও পরিচর্যা হয় পরিবারে।
তিনি পারিবারিকভাবে প্রাপ্ত শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তার আমূল পরিবর্তন কামনা করছি।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা সংশোধনী......ভারসাম্য<ভারসাম্যহীনতা

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ ভূইয়া ভাই
আমলে নিলাম।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ডাঃ নামে বাজে মানুষের বাজে কথা । ঘৃণিত ।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ্ই ডাক্তারদের অপর নাম নাকি ঈশ্বর বা ভগবান !!

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

নতুন বলেছেন: ডাক্তার সম্ববত জিনিসটা বুঝাইতে পারেন নাই।

https://www.medicalnewstoday.com/articles/175261#treatment

এই সমস্যার সমাধানে রোগীকে নিজে থেকেই আঙ্গুল বা দিয়ে বা plastic dilator দিয়ে ব্যাথা কমানোর জন্য অনুসিলন করতে পারেন।

এই রকমের জিনিসকেই হয়তো তিনি বলেছেন যে স্বামী জোর করে করে ফেললে ব্যাথা অভ্যাস হয়ে যাবে।

Reducing sensitivity to insertion: A woman will be encouraged to touch the area as close as possible to the vaginal opening every day without causing pain, moving closer each day. When she is able to touch the area around the vagina, she will be encouraged to touch and open the vaginal lips, or labia. The next step will be to insert a finger.

Insertion or dilation training: Once a woman can do this without pain, she will learn to use a plastic dilator, or a cone-shaped insert. If she can insert this without pain, the next step will be to leave it in for 10 to 15 minutes, to let the muscles get used to the pressure. Next, she can use a larger insert, and then she can teach her partner how to apply the insert.

When the woman feels comfortable with this, she can allow her partner to put his penis near the vagina, but not inside. When she is completely comfortable with this, the couple can try intercourse again. They may wish to build up gradually to this, as with the insert.

The time it takes for vaginismus to be successfully treated will depend on the individual.

It is very rare that vaginismus needs surgery.

Anyone who is concerned about symptoms relating to vaginismus should speak with their health provider for evaluation.

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নাতুন সাহেব ওই মেয়ে বিবাহিত কিনা আমরা কি তা জানি?
সম্ভব্ত না। তা হলে রেপ করার প্রশ্ন আসবে্ কেন? রেপ করে
ধর্ষক। স্বামীরা কি ধর্ষক ? যদি না হয় তা হলে মেয়েটিকে কে
রেপ করবে? এই ডাক্তার নিজেই বুঝতে পারেন নাই তিনি কি
করে অপরকে বুঝা্ব্নে?

ছাত্রীর ভাষ্যঃ ওই চিকিৎসক বার বার জানতে চান, তার বিয়ে হয়েছে কি না।
‘তিনি আমাকে বলেন, বিয়ে না হলে এত কনসার্নড কেন?
সময়ের আগে কিছু জানা উচিত না। এটা আধুনিকতার লক্ষণ না।


বুঝা যাচ্ছে মেয়েটি অবিবাহিত। তাই ডাক্তারের মতে তার কনসার্নড হবার দরকার নাই।
মেয়েটি অসুস্থ্য, ব্যাথায় কাতর কি জন্য তার জানার জন্য ডাক্তারকে
টাকা দিয়েছে । সেই ডাক্তার যদি বলে কনসার্নড হবার দরকার নাই।
সময়ের আগে সব জানা যাবেনা! জানাটা নাকি আধুনিকতার লক্ষণ না!!
তা হলে অবিবাহিত মেয়েটাকে কাউকে দিয়ে রেপ করাতেই হবে!!

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ নতুন বলেছেন: ডাক্তার সম্ববত জিনিসটা বুঝাইতে পারেন নাই।

---ডাক্তার হইয়া বুঝাইতে পারে নাই -???? ইউটিউব দেইখা ডাক্তারি পড়া শেষ করছে। তাই বুঝাইতে পারে নাই; বা বুঝতে পারে নাই যে,

---কয়দিন পরে দেখা যাবে এসব ডাক্তারদের আসল সার্টিফিকেট-ই হয়তো নাই!

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রিফাত ভাই ওই ডাক্তার ছাত্রীটির উপর ক্ষু্ব্ধ ছিলো।
তিনি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ পরীক্ষার সময় ব্যথা পাচ্ছিলেন
সেকথা জানালে ওই চিকিৎসক ক্ষেপে গিয়েছিলেন।
‘চেম্বার ত্যাগ করার আগে রেগে গিয়ে ডাক্তার বলেন,
‘এসব মেয়েদের হাজবেন্ড জংলি টাইপের হওয়া উচিত,
যাতে তারা একেবারে রেপ করে ফেলে। কারণ মেয়েরা
পারমিশন দিতে চায় না, যেহেতু সেক্সের সময় ব্যথা লাগে।
তাই রেপ করে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

ছাত্রী্টি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাঁদতে কাঁদতে চেম্বার থেকে বের হয়েছি।
আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এ ধরনের বাজে কথা শোনার জন্য আমি টাকা দিয়েছি

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নতুন বলেছেন: @ কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) যদি ডাক্তার হয়েও vaginismus বোঝাতে গিয়ে রেপ করার কথা বলে তবে অবশ্যই ডাক্তারের আরো পড়াশুনার দরকার আছে।

তিনি বুঝিয়ে বললেই পারতেন যে এই সমস্যা হলে ইন্টারকোসের সময় ব্যথা লাগে কিন্তু আস্তে আস্তে এই ব্যথাটা সহ্য হয়ে যেতে পারে। এবং জিনিসটা ভালোভাবে খোলাখুলি বলতেই পারতেন। ডাক্তার হয়েও যদি সমাজের ট্যাবু ভেঙ্গে এই বিষয়গুলি ব্যক্ষা না করতে পারেন তবে সেটা আমাদের ডাক্তারী পড়ানোর সমস্যা।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ডাক্তার কি ভাবে্ ডাক্তারি সনদ নিয়েছে তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক।
বড় কোন ভুল করার আগেই তা করা উচিত।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভয়ংকর

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মহা ভয়ংকর আপু !!

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

গেছো দাদা বলেছেন: আপনাদের দেশে রেপের শাস্তি কি ?

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা ওই ডাক্তারের ভাষ্য মতে রেপ করা হলো ‘ভিজিনিসমাস' রোগের ওষূধ। ওষুদের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও তাকে শাস্তি দেওয়া যায় ?

তবে আমাদের দেশে ধর্ষণের শাস্তি আছে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারা মতে ধর্ষণের সাজা সমুহঃ
৯(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তা হলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

(ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিতা হন, তা হলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি রাগ করেছি।
এই পোষ্ট দিয়েছেন। আমাই মন্তব্য করেছি। তারপর দেখি পোষ্ট সরিয়ে নিয়েছেন। কেন সরিয়ে নিয়েছেন সেটা বুঝতে পেরেছি।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লক্ষ্মী সোনা রাগ করেনা।আমি আপনার মন্তব্য দেখিনি যাদু।
তবে কিছু সম্পাদনার করতে গিয়েপোস্টটা ডিলেট হয়ে যায়।
এবার আপনি একটা নয় চার পাঁচটি মন্তব্য করে ঝাল তুলুন !! =p~
তাতেও রাগ না কমলে কেতন মেহতার রং রসিয়া অথবা‘মায়া মেমসাহেব’ মুভি দেখুন
রাগ পানি হয়ে যাবে। :`> না হলে পয়সা ফেরৎ

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: *** এটার জন্য special exercise আছে যা তিনি সাজেস্ট করেন নি। তা ছাড়া সাইকোলজিক্যালিও তাকে পরামর্শ দেওয়া ডাক্তারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

--- যদি মনে করেন, আপনি -আপনার বুকে ব্যাথা অনুভব করেন - আপনার ব্যাথা থাকুক বা না থাকুক একটা সময় আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন।

-- যেমনটা একজন কুমারী মেয়ে যদি দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বুকে নিয়ে যদি অনুভব করে যে তিনি ফিডিং করাচ্ছেন - তাহলে সাইকোলজিক্যালি মিল্ক সিক্রেশন শুরু হয় কারো কারো ক্ষেত্রে ( এটা আমার বক্তব্য না - মেডিক্যাল জার্নালে পরেছিলাম)।

---- ‘ভিজিনিসমাস' রোগের উৎপত্তির অনেক কারন থাকতে পারে; তার মধ্যে অন্যতম এসকল বিষয়ে ভয়/ভীতির সঞ্চার; চিকিৎসা সেবায় যতটা না ওৗষধ দরকারী তার চেয়ে হাজারগুন -ডাক্তারের ভরসা কেন্দ্রিক সাইকোলজিক্যালি পরামর্শ- যা এদেশে কোন অবস্থানে আছে - তার প্রমান আমরা সকলেই এসময়ে অবগত!

১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ডাক্তারী পাশ করে ডাক্তার উপাধি পাওয়া যত সহজ
তত সহজ নয় ডাক্তার হওয়া। ডাক্তারের আন্তরিকতা
সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ রোগীর অর্ধেক রোগ সারিয়ে তোলে
বাকিটা করে ওষুধ। এখনও এমন বহু চিকিৎসক আছেন
যাঁদের রোগীরা ভগবান বলেই মনে করেন। আসল কারণটা
হল মানসিকতার পার্থক্য। কেউ আসেন মানুষের সেবা করতে।
আর কেউ আসেন টাকা রোজগার করতে। গোলটা বাধে সেখানেই।’’
রোগীরা কিন্তু বিরাট কিছু চান না। ভাল ব্যবহার, রোগীর সঙ্গে একটু সময়
নিয়ে কথা বলে চিকিৎসা করলেই রোগী ও তাঁর পরিবার খুশি। এটুকু তো আমরা
চাইতেই পারি।”

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মায়া মেমসাহেব মুভির কাহিনী কি?

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাহিনী বললে মজা পাবেন না।
আপনিতো অধিক রাতে মুভি দেখেন
একবার নিজেই দেখুন !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.