নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের ভয়াল বীভৎস ও বিভীষিকাময় গ্রেনেড হামলার হত্যাযজ্ঞের ষোড়শ বার্ষিকীতে বীর শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৪


আজ ভয়াল-বিভীষিকাময় ও রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। ইতিহাসের সেই মর্মস্পর্শী বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের এক অতি কলংকময় দিন। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ষোড়শ বার্ষিকী আজ। বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চূড়ান্ত নিদর্শন প্রদর্শিত হয়েছিল এইদিন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে হায়েনা রুপী ‘হাওয়া ভবন’ গং তার হিংস্রতম রুপ দেখিয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের সমাবেশে। অথচ আওয়ামীলীগের সেই সমাবেশ ছিল সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। সভ্যজগতের অকল্পনীয় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয় ২০০৪ সালের এই দিনে। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। রক্ত-ঝড়ের প্রচন্ডতায় মলিন হয়ে গিয়েছিলো বাংলা ও বাঙালীর মুখ। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ এদিন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীত। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিছিলপূর্বক সন্ত্রাস-বিরোধী শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পরিকল্পিতভাবে মানবতার শত্রু সন্ত্রাসী ঘাতকচক্র আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ আছে। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ছিলেন কুষ্টিয়ার মাহবুব। তিনিই সেদিন নিজের জীবন দিয়ে শেখ হাসিনা কে বাঁচিয়েছিলেন। প্রকৃত অর্থে সুপরিকল্পিত এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রধান দল আওয়ামী লীগ, যারা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পতাকা বহন করে তাকে নেতৃত্বহীন এবং বিনাশ করে দেওয়া।

২০০৪ সালেল ২১ শে আগস্টের এই গ্রেনেড হামলা কোন বিচ্ছিন ঘটনা ছিল না। এটা ছিল ৭৫ এর ১৫ই আগস্টেরই পরবর্তী রুপ। আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে চিরতরে নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়াই ছিল এর লক্ষ্য। অবিলম্বে এই গ্রেনেড হামলার পিছনে দায়ী ব্যাক্তিদের খোজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। তা না হলে স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গী শকুনেরা আবারও হামলা চালাবে। ক্ষতবিক্ষত করবে এদেশের মানচিত্রকে, রক্তরঞ্জিত হবে লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা। সে দিনের সেই গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। ভয়াল-বিভীষিকাময় সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দিনটির কথা মনে হলে আজও বুক কেঁপে ওঠে। তেরটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক নারকীয় তান্ডবের সৃষ্টি হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ। সেদিন গ্রেনেড হামলার প্রচন্ডতায় মুহূর্তেই ওই স্থানটি পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ ও মসত্মিষ্ক ছিন্নভিন্ন অংশ, রক্তাক্ত শরীর, অস্বাভাবিক ও বীভৎস জিহ্বা বের হয়ে যাওয়া, কারও পা নেই, দেহ আছে মস্তিস্কের অধিকাংশ নেই এমন চিত্র আমরা দেখেছি পত্র-পত্রিকাও টেলিভিশনের সংবাদ চিত্রে। বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যৰ মদদ ও সহায়তায় স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুর উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠীর বর্বরতা কতটা যে হায়েনার রূপ নিতে পারে ছবিগুলো না দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হিংস্র সাপদের ভয়াল ছোবলে তথা নৃশংস বর্বরোচিত হামলায় নেতা-কর্মীদের মানবঢাল ও পরম করুনাময় আল্লাহতায়ালার রহমতে প্রাণে বেঁচে গেলেও এই নিষ্ঠুর আক্রমণে শহীদ হন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী। এ হামলায় আরো আহত হন অগনিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। তাদের অনেকেই আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে আজ ও মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কষ্টের তীব্রতা এতটুকুও কমেনি। হাত-পাসহ গোটা শরীর ক্ষত-বিক্ষত, জোড়াতালি দেয়া অনেকের শরীর। এখনও সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা গ্রেনেডের তীব্র যন্ত্রণা কাউকে বলে বোঝাতে পারছেন না। ঘুমের ওষুধ খেয়েও রাতে ঘুমাতে পারছেন না তারা। জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকা গ্রেনেড হামলায় আহদের একটাই দাবি, “প্রকাশ্য দিবালোকে যারা এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাল, সেই ঘাতকচক্র ও তাদের মদদদাতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক”। ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুজাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে যাওয়া পঙ্গুত্ববরণকারী বেশ কজন নারী নেত্রীর কণ্ঠে ছিল এমনই দাবি।

২১ আগস্টের হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। অভিযোগ, আহতদের সাহায্যে এগিয়ে না এসে পুলিশ উল্টো তাদের হেনস্তা করে। ওই সময় ক্ষমতায় থাকা বিএনপি সরকারের ভূমিকা নিয়েও নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ আছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিকারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয়, এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত পাঁচটি গ্রেনেড ধ্বংস করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হলে বিএনপি সরকারের প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ঘটনার সঙ্গে তারেক রহমান জড়িত আছেন বলে দাবি করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বড় ছেলে তারেক রহমান ‘এ হামলার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন।’ এই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীর সন্ধানদাতার জন্য সে সময় বাবর এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। হামলার পর বাবরের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে জজ মিয়া নামের এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অথচ পরবর্তী সময়ের তদন্তে তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। জজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত হয়। সেই তদন্তে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নাম বেরিয়ে আসে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির নেতা হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় বিষয়ে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে। তিনি বলেন, মামলাটির গুরুত্ব উল্লেখ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হবে। যেন শুনানির জন্য একটি বেঞ্চে পাঠানো হয়। বিচারিক আদালত আসামিদের যে সাজার রায় প্রদান করেছেন, তা যেন বহাল থাকে উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সে প্রচেষ্টা থাকবে বলেও জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন এই রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল মামলা শুনানির অপেক্ষায় আছে। গত ১৬ আগস্ট এ পেপারবুক সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে জানিয়ে সাইফুর রহমান বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ১৩ ভলিউমে মোট ৫৮৫টি পেপারে বুক এসেছে, যা সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠা। মোট আপিল ২২টি ও জেল আপিল ১২টি।’বর্তমানে শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে।

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়। বিশ্বে গণতন্ত্র চর্চাকারী যে কোনও রাষ্ট্রে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ ধরনের বর্বর হামলার নজির বিরল। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের স্থায়ী ‘অবিশ্বাসের’ জন্ম দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একে অপরের অবিশ্বাসের রাজনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একজন কোনও সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। অপরজন কোনও ভালো কাজেরও প্রশংসা করতে পারেন না। দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক এমনই তিক্ত পর্যায়ে রূপ নিয়েছে যে, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের মতো জাতির ক্রান্তিকালেও তারা মতপার্থক্য ভুলে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না, বরং এই সময়কালেও তারা পরস্পর দোষারোপে ব্যস্ত রয়েছেন। আমরা রাজনৈতিক বিবেচনায় না দেখে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। বীভৎস গ্রেনেড হামলায় হত্যাযজ্ঞের ১৬তম বাষির্কীতে আজ দেশবাসীর প্রত্যাশা এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সত্য উৎঘাটন হোক। প্রকৃত পরিকল্পনাকারী, তদানীন্তন ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্র, হত্যাকারীদের কারা আড়ালে করতে চেয়েছিল এসব জানা আজ জাতীয় নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে জরুরি। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রকৃত অপরাধী এবং হুকুমের আসামীদের যথোপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই নির্মম ট্র্যাজেডির সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার হোক, সত্যের আলোয় বেরিয়ে আসুক অপরাধীদের যাবতীয় কর্মকান্ড। এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন অপরাধী সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন শাস্তি যেন অপরাধীরা এড়াতে না পারে। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ষোড়শ বার্ষির্কীতে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাবা মানুষ মেরেছিলো ১৯৭৫ সালে, ছেলেমানুষ হত্যা করেছে ২০০৪ সালে

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০২

ঘরহীন বলেছেন: বর্তমানেও মামলার রায় হয় নি শুনে অবাক হলাম, এই মামলার সমাধান ও দোষীদের আশু শাস্তির দাবী জানাই।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: বাবা মানুষ মেরেছিলো ১৯৭৫ সালে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। সে অন্য অনেকের মতো নীরব ছিলো। তবে ক্ষমতা দখল করে ৫,৫০০ এর বেশী সেনা হত্যা করেছিলা।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৩৬

জগতারন বলেছেন:

ব্লগার ঘূণে পোকা -এর মন্তব্যঃ
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরে, জাতীয় সংসদে বেগম জিয়া বলেছিলেন, 'ওনাকে মারতে যাবে কে?' শেখ হাসিনা নিজেই ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছিলেন।
খুবই অযৌক্তিক ও হাস্যকর ছিলো এ কথা।
ততকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছিলেন, ' উই আর লুকিং ফর শত্রুজ।
২০০৪ সালের ২২শে আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক সমাবেশে সংগঠনের ততকালীন সাধারণ সম্পাদক আজিজুর বারী হেলাল বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা ও সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
গ্রেনেড হামলার পরে মুক্তাঙ্গনে বিএনপির এক সমাবেশে নেতারা বলেন, "আওয়ামী লীগ নিজেই এই হামলা চালিয়েছে জনগণের দৃষ্টি ও সহানুভূতি আদায় করার জন্য।
ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সরকার ও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে আওয়ামী লীগের চক্রান্ত বলে বিবৃতি ও বক্তব্য প্রদান করে ছিলো।
আজ বিএনপি তাদের পাপের প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করছে। এছাড়া কিছুই না

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪০

জগতারন বলেছেন:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা, তিনি তখন বিরোধী দলের নেতা।
সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরই তাঁর অবস্থান।
তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।
প্রথমত, সরকার সেই দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, তদন্তের নামে সরকার যা করেছে, তা কেবল কল্পকাহিনি নয়, আজগুবি গল্প।
তদন্ত কর্মকর্তারা জজ মিয়া নামে এক যুবকের মুখ দিয়ে মনগড়া জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। জজ মিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখের সঙ্গে তিনি সেদিনের গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছেন।
কিন্তু গ্রেনেড কী বস্তু, তা তিনি জানেন না।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪১

জগতারন বলেছেন:
এই জবানবন্দির বিনিময়ে সিআইডি পুলিশ জজ মিয়ার মাকে প্রতি মাসে ভরণপোষণের টাকা দিত।
মামলার তদন্তে ছিলেন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ও মুন্সী আতিকুর রহমান।
তাঁরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই কাজ করেছেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, এই পৃষ্ঠপোষকের পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন?
বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তদন্তকাজ এভাবেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

জগতারন বলেছেন:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলা আমলে নিয়া
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলাটি পুনঃ তদন্ত করলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে;
যে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহায়তায় হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলা চালায়
এবং সেই হামলায় নেতৃত্ব দেন উপমন্ত্রীর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন।
তিনিই পাকিস্তান থেকে গ্রেনেডগুলো নিয়ে আসেন।
আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনার পর তাজউদ্দিন ও অন্য জঙ্গিদের বিদেশে পার করে দিতে সহায়তা করেছেন।
ঘাতক বা হামলাকারীদের সব সময় খুঁজে পাওয়া যায় না;
এ অক্ষমতা ক্ষমা করা যায়।
কিন্তু জেনেশুনে যদি কোনো সরকার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ভুয়া ঘাতক ও ভুয়া হামলাকারী আবিষ্কার করে,
তাদের দিয়ে মুখস্থ জবানবন্দি দেওয়ায়, সেটি অমার্জনীয়।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৬

জগতারন বলেছেন:
এই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার হত্যাকান্ডে জড়তি খালদো ও তারকেরে যথোপযুক্ত ও দ্রুত শাস্তি চাই।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যেহেতু এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে অতয়েব সেই সময় যে দল ক্ষমতায় ছিল সেই দলের বিচার হওয়া দরকার।

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৩

একাল-সেকাল বলেছেন: ৪০ হাজার জাসদ কর্মী হত্যাও ছিল কলঙ্ক জনক অধ্যায়।
সংখ্যার দিক থেকে এবং পৈশাচিকতার দিক থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২১ শে আগস্ট কোনটাই ভুলে যাওয়ার নয়।

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: েরকম দিন যেন আমাদের দেশে আর না আসে।

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৩

জগতারন বলেছেন:
একাল-সেকাল বলেছেন: ৪০ হাজার জাসদ কর্মী হত্যাও ছিল কলঙ্ক জনক অধ্যায়।
সংখ্যার দিক থেকে এবং পৈশাচিকতার দিক থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২১ শে আগস্ট কোনটাই ভুলে যাওয়ার নয়।


মেজর জলিলের জাসদের গনবাহিনী আর সিরাজ শিকদারের সর্বহারা একে অপরকে হত্যা করেছে মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধু'র প্রসাশনের ১২'টা বাজিয়ে ছাড়ছে এই দুই বরবর পাষন্ড শয়তানরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.