নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের ৬৪তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪


বাণিজ্যিকভাবে সফলপূর্ণ জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ড। তিনি বর্তমানে প্রতি বছর ৫০০টির বেশি শো প্রদর্শন করেন। কপারফিল্ড এ পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন টিকেট বিক্রি করেছেন যার মূল্য গিয়ে দাড়ায় $৩ বিলিয়ন, যা ইতিহাসের মধ্যে অন্য কোন একাকী বিনোদনকারীর চেয়েও বেশি। ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে ইতিহাসের একজন সবচেয়ে বাণিজ্যিকভাবে সফলপূর্ণ জাদুকর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কপারফিল্ডের টেলিভিশন বিশেষে মোট ৩৮টি মনোনয়ন পান যার মধ্যে ২১টি এমি পুরস্কার জিতেছেন। তার গল্প বলা এবং বিভ্রমের মিলনের জন্য তিনি অতি পরিচিত, কপারফিল্ডের কর্মজীবনের ৩০ বছরে উপরে ১১টি গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেছেন। হলিউড ওয়াক অফ ফেমের একজন তারকা এবং ফরাসি সরকার তাকে নাইট পদবি মর্যাদায় ভূষিত করেন, এবং মার্কিন লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস তার নাম লিভিং লেজেন্ড নামকরণ করেন। বিশ্বখ্যাত জাদুকর কপফিল্ডের আজ ৬৪তম জন্মবার্ষিকী। মার্কিন জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটুসানে জন্মগ্রহণ করেন বিংশ শতাব্দীর এই বিখ্যাত জাদুকর। তার তার নাম হচ্ছে ডেভিড সেথ কটকিন; তবে তিনি ডেভিড কপারফিল্ড নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার পিতা হ্যম্যান কটকিন ছিলেন একজন রাশিয়ান ইহুদি, যিনি মেতুচেনের একটি সেলাই-এর জিনিসপত্রের বিক্রয়ের দোকানের মালিক, যা একটি লোক দিয়ে চালানো হয় এবং তার মা রেবেকা, একজন বীমা কর্মকর্তা। কপারফিল্ডের মা জেরুজালেমের জন্মগ্রহণ করেন, যখন তার দাদা সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে ইউক্রেন) থেকে জেরুসালেম ইহুদি অভিবাসী করেছিল। জন্মের পরপরই নাগরিকত্বের সমস্যায় পড়েন ডেভিড। কেননা, বাবা হায়ম্যান কটকিন; হাবেরদাশেরি কোম্পানির মালিক এবং একজন ইউক্রেনিয়ান তথা রাশিয়ান বা সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক ছিলেন। আর তার মা রেবেকা বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন, তবে তার আদিনিবাস ছিল ইসরায়েলে। যদিও এ নিয়ে খুব বেশিদিন ডেভিডকে ভুগতে হয়নি, কেননা পরবর্তীতে এই সমস্যার সমাধানও হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই ডেভিডের জাদু বা দৃষ্টি বিভ্রম করে দেয়া ব্যাপারগুলোতে বেশ আগ্রহ কাজ করতো। কিন্তু, তার পরিবার বলতেও পারবে না এই আগ্রহটা তার কোথা থেকেই বা আসলো। মেটুসান হাই স্কুলে থাকাকালীন, নিজের ছোটখাট পরিসরে করা জাদুর অনুষ্ঠানের টিকেট বিক্রি করেছিল এই চালাক ছেলেটা, যার জন্যে তাকে ৫ ডলার জরিমানাও গুণতে হয়েছিল। এরপর থেকেই স্কুলে জাদুকর ড্যাভিনো নামে পরিচিতি পায় সে। স্কুলজীবন শেষ করার আগেই, ম্যানহাটনের ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কে জাদুর প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন ডেভিড। এবং ব্রডওয়ের মঞ্চে অদৃশ্য হওয়ার জাদু দিয়েই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। আর ঐ এক মঞ্চই তার জীবন পাল্টে দিয়েছিল। তার জাদুর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আমেরিকান ম্যাজিশিয়ান সোসাইটি ডেভিডকে নিজেদের সদস্য হওয়ার আহবান জানায় এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেখানে নিজের নাম লেখান ডেভিড।

৬৪ বছরের জীবনে তার সবচেয়ে বড় অর্জন, একমাত্র তিনিই সর্বকালের সবচেয়ে ধনী এবং বিখ্যাত জাদুকর হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছেন বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে জাদু দেখিয়ে এবং তার টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ব্যবসায়িক সাফল্যের মাধ্যমে। তার ভাষ্যমতে, ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা অথবা মাইকেল জ্যাকসনের অনুষ্ঠানের চাইতেও তার অনুষ্ঠানে বেশি টিকেট বিক্রি হতো। বর্তমানে, লাস ভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড হোটেল এবং ক্যাসিনোতেই অনুষ্ঠান করছেন এই গুণী জাদুকর। ফোর্বস ম্যাগাজিনের বার্ষিক সংখ্যায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের মধ্যে ডেভিডের অবস্থান হয়েছিল প্রথম ২০ জনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই ডেভিড কপারফিল্ডকে নিয়ে বইও লেখা হয়েছে। ডেভিড কপারফিল্ড টেলস অফ দ্য ইম্পসিবল শিরোনামে বইটিতে জাদুর সমন্বয়ে গড়ে উঠা ফ্যান্টাসি গল্পের সংকলন করা হয়েছে। এরপরে আরেকটা বইয়ের নাম শোনা যায় ডেভিড কপারফিল্ড বিয়োন্ড ইমাজিনেশন নামে। ইতিহাসের বিখ্যাত হয়ে ওঠা এই জাদুকরের নাম আর যশ পুরো বিশ্বব্যাপী। ডেভিড কপারফিল্ড জাদুকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এবং অবশ্যই পুরো বিশ্ব জুড়ে এক বিশাল জাদু দেখার দর্শক তৈরি করেছেন। এছাড়াও, সামাজিক কর্মকান্ডেও ডেভিডের উপস্থিতি বিদ্যমান। স্ট্রোক রোগীদের জন্যে একটা আলাদা অনুষ্ঠানই করে থাকেন তিনি যার পরিপূর্ণ অর্থ রোগীদের সেবায়ই খরচ করা হয় প্রায় ৩০টি দেশের এক হাজার হাসপাতালে। ফরাসি সরকার তাকে নাইট উপাধি দিয়েছে। তিনি স্টিভেন স্পিলবার্গ, মার্টিন স্কোরসেস এবং কলিন পাওয়েলের সাথে মার্কিন কংগ্রেস লাইব্রেরির তরফ থেকে লিভিং লেজেন্ডের পুরষ্কার পেয়েছেন। তার মুখের প্রতিকৃতি দিয়ে বিশ্বের ছয়টি দেশের ডাকটিকেট বানান হয়েছে, আর এই সম্মানে ভূষিত হওয়া একমাত্র জীবিত জাদুকর তিনিই আছেন। তিনি নিজেই নিজের শিল্পকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং জাদুবিদ্যার ইতিহাস এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন আজীবন। বিশ্বখ্যাত জাদুকর কপফিল্ডের আজ ৬৪তম জন্মবার্ষিকী। মার্কিন জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মার্কিন জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের জন্মবার্ষিকীতে
..........................................................................
আমার থাকল ফুলেল শুভেচ্ছা।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তার অনেক জাদুদেখে অবাক হয়েছি কিন্তু যতটা মজা পাবার কথা ততটা পাইনি।সন্দিহান মনের এই এক সমস্যা।
কেবলি মনে হত আমি কেন তার কৌশলটা ধরতে পারছি না।পরে যখন খেলাটা ওপেন করতো তখন ভাবি,আমি কত বোকা।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডেভিড কপারফিল্ডের অনেকগুলো জাদু আমি দেখেছি। সত্যিই অবাক করার মতো প্রতিভা। জাদুকরদের মধ্যে একমাত্র তারই ভক্ত আমি।

তার জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: ডেভিডের যাদু চীনের টেলিভিশনে দেখতাম ৮৫, ৮৬ সালে । চেয়ারে বসে পাহাড়ের উপর দিয়ে ভ্রমন দারুন একটা বিষয় । যাদুর সাথে বিজ্ঞানের কলা কৌশল মিশ্রন তাকে দারুন সাফল্য এনে দিয়েছিল । টি ভিতে লাইভ দেখাল হংকঙ্গে বিশাল দালান অন্ধকারে গায়েব করে দেওয়া । হাজার হাজার মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেছিল । এরপর দড়িতে প্লেন বাধল জনা পঞ্চাশ লোক । লাইট নিভে গেল । এবার আবার লাইট জ্বললে দেখা গেল দড়ি আছে মাগার প্লেন গায়েব । পৃথিবীর ১২ জন এলিট যাদুকর তাদের যাদু দেখাল আড়াই ঘণ্টা ধরে । মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখলাম । এখন বাংলাদেশে খুব মিস করি । টক শো নিয়েই আমাদের জ্ঞান ।

আমাদের কপালে দুর্গতি ছাড়া কিছুই লেখা নেই ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আমার প্রিয় যাদুকর। ইউটিউবে তার সব যাদু দেখে ফেলেছি আমি।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫২

কাতিআশা বলেছেন: ওনার সামনাসামনি জাদু দেখেছি লাস ভেগাসে ২০১৮ সালে..খুবই বিমোহিতো হয়েছিলাম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.