নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা-বাবাকে ভালো বাসুনঃ একটি শিক্ষনীয় গল্প-১ যা বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫


অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে সুন্দর এক নদীর পাড়ে ছিলো একটি বড় আপেল গাছ। একটি বালককে গাছটি খুব পছন্দ করতো। বালকটিও প্রতিদিন এসে গাছের চারপাশে খেলতো। গাছের ডালে উঠত। আপেল খেত। গাছের গুড়িতে শুয়ে তার ছায়ায় বিশ্রাম নিত। সেও গাছটিকে খুব ভালবাসতো আর আপেল গাছটি ও এতে খুবই আনন্দিত ছিল।
সময় গড়িয়ে যায়, কিন্তু অনেক দিন বালক আর গাছের নিচে খেলতে আসে না। একদিন হটাৎ বালকটি আবার গাছের কাছে ফিরে এলে।
গাছটি বললো, “তুমি আবার ফিরে আসায় আমি খুব আনন্দিত। এসো, আবার খেলা শুরু করো”
কিন্তু বালকটি শুধালো, “আমি এখন আর আগের বালকটি নেই। এখন আমি আর গাছের গুড়িতে দৌড়াদৌড়ি করে খেলা করি না। আমার এখন খেলনা চাই, কিন্তু খেলনা কিনতে টাকা প্রয়োজন।”
গাছটি বললো,”কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নেই। তুমি চাইলে আমার সকল আপেল পেরে বাজারে বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে পারো”।
কথাটি বালকটির খুব মনপুত হলো। সে সব আপেল গাছ থেকে পেরে ব্যাগে করে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বালকটি খুব আনন্দিত এবং বালকের আনন্দ দেখে গাছটিও খুব তৃপ্ত ও আনন্দিত হলো।
আপেল পেরে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকদিন আর বালকটির দেখা নেই সেই আপেল গাছের গোঁড়ায়। গাছটি খুব দুঃখ পেলো।
হটাৎ একদিন বালকটি গাছের কাছে ফিরে এলো , ততদিনে সে পরিপূর্ণ যুবক। গাছটি এতে খুব আনন্দিত হলো। বালকটিকে আবারো গাছের সাথে খেলতে অনুরোধ করলো সে। কিন্তু বালকটি জানালো,”এখন আর তার সে সময় নেই। সে এখন অনেক ব্যাস্ত। তার এখন বাড়ি বানানো খুবই দরকার। এ জন্য গাছটির সাহায্য চাইলো”
কিন্তু গাছটি জানালো তার কোন বাড়ি নেই, তাই তাকে সাহায্য করতে পারছে না। তবে একটা বুদ্ধি দিলো, “তুমি চাইলে আমার কিছু ডাল-পালা কেটে নিয়ে যেতে পারো আর তা দিয়ে বাড়ি বানাতে পারো”
বালকটি তখন গাছের সকল ডাল-পালা কেটে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি অভিমুখে চলে গেলো, পেছন ফিরে একবার ও গাছটির দিকে তাকালো না। বালকটির আনন্দে গাছটিও খুব আনন্দিত ছিল।
এরপর অনেক দিন আর বালকটির দেখা নেই গাছের গোঁড়ায়।। গাছটি আবারো একা হয়ে গেলো।
অনেক দিন পরে, হটাৎ এক গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে গাছের গোঁড়ায় বালকটির আগমন। ততদিনে তার যৌবন পড়তির দিকে। জীবনের ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত তখন। গাছটি বালককে দেখে খুব খুশি হলো, আবারো তার সাথে খেলার অনুরোধ করলো।।
কিন্তু বালকটি জানালো,”আমার এখন আর খেলার বয়স নেই। আমি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। জীবন যুদ্ধে লড়তে লড়তে আজ আমি ক্লান্ত। আমাকে এখন আনন্দের জন্য, ক্লান্তি কাটাতে নদীতে মাছ ধরতে যেতে হবে। কিন্তু আমার কোন নৌকা নেই। তুমি কি আমাকে কোন সহায়তা করতে পারো??”
“তুমি চাইলে আমার গুড়ি কেটে নিয়ে যেতে পারো এবং এটা দিয়ে নৌকা বানিয়ে নিতে পারো”
গাছের এমন পরামর্শে বালকটির চোখে মুখে আনন্দের শিহরন খেলে গেলো। সে তৎক্ষণাৎ কুড়াল দিয়ে গাছের গুড়ি কেটে নিয়ে গেলো। এবং নৌকা বানিয়ে নদীতে চলে গেলো মাছ শিকারে। অনেকদিন আর তার দেখা নেই এখানে।
হটাৎ অনেকদিন পর শেষ পর্যন্ত গাছের কাছে ফিরে এলো লোকটি। ততদিনে সে জীবন সীমার শেষ প্রান্তে।
কিন্তু গাছটি শুধালো,”দুঃখিত বালক। আমার কাছে এখন আর তোমাকে দেওয়ার মতো কিছুই নেই। কোন আপেল নেই……”
বৃদ্ধ হাসলো এবং বললো, “আমারো এখন আপেল খাওয়ার মতো দাত ও নেই”
গাছটি বললো“কোন ডাল- পালা বা গুড়ি ও নেই যেখানে তুমি চড়বে”
বৃদ্ধটি বললো “গাছের ডালে চড়ার মতো বয়স ও এখন আমার নেই”

-“সত্যি ই এখন তোমাকে দেওয়ার মতো আমার আর কিছু অবশিষ্ট নেই শুধু মৃতপ্রায় মূলগুলো ছাড়া ” – গাছটি বললো।
“আমার এখন এগুলোর কোনটাই দরকার নেই। আমার শুধু বিশ্রাম নেওয়ার মতো একটা জায়গা চাই, যেখানে বসে আমি আমার এতোগুলো বছরের পাওয়া- না পাওয়ার হিসাবটা একটু মিলাবো।”- বৃদ্ধটি বললো।
“তাহলে মৃতপ্রায় গাছের মূল ই এর জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে বসো আর ভাবো জীবন তোমাকে কি দিয়েছে, কি দেয় নি। কি করা উচিত ছিল, আর কি করা ঠিক হয় নি”- গাছটি বললো।
লোকটি গাছের মূলে বসলো আর গাছটি অনেক আনন্দিত হলো। আনন্দ গাছের কান্না হয়ে ঝড়ে পড়লো।।

শিক্ষাঃ আমাদের প্রত্যেকের জীবনেও এমন একটি “আপেল গাছ” আছে, আর তা হলো আমাদের পিতা-মাতা। এবার গাছটির ত্যাগ গুলোর সাথে আমাদের বাবা-মা কে মিলিয়ে দেখুন। আপনি কতটা ব্যাস্ত সেটা কোন কথা নয়, বরং বাবা- মায়ের সাথে জীবনের কথাগুলো শেয়ার করুন, সময় দিন
সংগৃহীত

শিক্ষনীয় গল্প-২ মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পৃথিবীতে পিতা-মাতার চেয়ে বড় কেউ নেই।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আজ পড়ন্ত বেলায় শুধু তাদের কথাই মনে পড়ে!
আগে বুঝি নাই কত বিশাল ছিলো সেই আপেল গাছ !!
দোয়া করবেন আমার পিতা-মাতার জন্য। পৃথি্বীর সকল
পিতা-মাতা যারা স্বগৃবাসী হয়েছেন তাদের সবার জন্য,
"[রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা]"
ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম মন্তব্য প্রদানের জন্য।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো সংগ্রহ এবং শিক্ষণীয় !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মনিরা আপু আপনাকে ধন্যবাদ।
আজ কেন বারে বারে শুধু বাবা-মাকে
মনে পড়ে! আমাদের যাদের পিতা-মাতা
এখনো বর্তমান আমরা যেন ভুলেও
তাদের কষ্টের কারণ না হই।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

নাসরিন ইসলাম বলেছেন: সত্যি বাবা মা যেন প্র্যত্যেক সন্তানের দর্পণ স্বরূপ।আর কোন বাবা মায়ের যেন সন্তানের কাছে লাঞ্ছিত হতে না হয়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কু সন্তান যদিও হয়
কু-মাতা-পিতা কভূও নয়।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ‘পিতামাতা তোমার জান্নাত এবং জাহান্নাম’।
যদি কেউ পিতামাতার সেবা করতে পারে তাহলে সে জান্নাতে যাবে এবং সেবা না করলে অর্থাৎ
অবাধ্য হলে সে জাহান্নামে যাবে। সুতরাং পিতা-মাতাকে সম্মান করা সকলের কর্তব্য।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রকৃতিই এই দায়িত্ব পিতা মাতাকে দিয়েছে।কেউ পালন করে কেউ করেনা।তুলনা মুলক পিতার চেয়ে মাতা সন্তানকে বেশি ভাল বাসে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সন্তান হলো মায়ের নাড়ী ছেড়া ধন
তাই স্বভবতই পিতার চেয়ে সন্তানদের
প্রতি মায়ের টান বেশী থাকে বেশী
ভালোবাসে। আপনাকে ধন্যবাদ
নুরুলইসলাম ভাই।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

শোভন শামস বলেছেন: অপূর্ব, আমরা সব সময় এগুলো ভুলে যাই

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভুলে যাই বলেই আজ আমাদের এই পরিণতি।
পিতা-মাতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা ভক্তি করলে আমাদের
মাঝেই বিরাজ করতো স্বর্গ। আমরা যেন তাদের
বিরাগভাজন না হই কভু।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিক্ষিত ও ধনী লোক বৃদ্ধ মা বাবার খোজ রাখের সময় পায় না আর গ্রামের অশিক্ষিত গরিব মা বাবাকে মারে । মা বাবা ভাই বোন যৌথভাবে ভালোই আছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমরা প্রয়োজন থেকে আড়ম্বর বেশী করি।
আপন মা ছেড়ে পরের মাকে বেশী খাতির যত্ন করি।
ধনীরা পিতা-মাতাকে পরগাছা মনে করে আর গরীবরা
অভাবের তাড়নায় পথে ছেড়ে আসে !! আফসোস আমরা
বেহেশতকে নিজ হাতে দূরে ঠেলে দেই। এমন যেন কভূ না হয়।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন পোষ্ট- আড্ডা থেকে এসে পড়ব

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ তপন দাদা
ফিরে আসার অপেক্ষায় ।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জানা গল্প তবুও পড়লাম। ছেলের স্কুলের ইংরেজি পাঠ্যে ছিল। কিন্তু মেসেজটা জানতোনা। ওকে খুলে বললাম স্টেপ বাই স্টেপ বাবা রূপে বৃক্ষ ও পুত্রের মধ্যে কথোপকথন। ধন্যবাদ নুরু ভাই আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ।
ভাবছি এখন থেকে গুণীজনদের সাথে সাথে
কিছু শিক্ষণীয় গল্প উপস্থাপন করবো যদি কারো
কোন উপকারে আসে। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা প্রিয় নুরু ভাই।
এই গল্পটা আমার জানা ছিলো না।
শুভকামনা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ কবি খুবই ভালো লাগলো আপনার সহস সরল মন্তব্য।
সবার সব কিছু জানা থাকেনা বলেই কিছু কিছু মানুষ
জানাবার চেষ্টা করে যাতে কারো সুফল বয়ে আনে।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সুন্দর শিক্ষামূলক গল্প।ভালো লাগলো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ জাহিদ ভাই
গল্পটি ভালো লাগার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: যে বাপ মা সন্তান জন্ম দিয়েছে কিন্তু যথাযথ দায়িত্ব পালন করে নি- সেও বাপ মাকেও ভালোবাসতে হবে?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাব কু-সন্তান যদিও হয়
কু-পিতা মাতা কভূই নয়।
পিতা-মাতা অসদাচরণ করলেও
তাদের প্রতি অবহেলা নয়। হাদিসে আছে,
পিতা-মাতার অবাধ্যতা ও তাদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে
সন্তানকে আল্লাহ তাআলা বিচারের মুখোমুখি করবেন।
তবে সন্তানদের উপর পিতামাতার যেমন অধিকার রয়েছে,
তেমনি পিতামাতার ওপরও সন্তানদের অধিকার রয়েছে।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই
দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবার-পরিজনের দায়িত্বশীল; তাকে তার
অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। নারী তার স্বামীগৃহের কর্ত্রী;
তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে...। ’
(বুখারি, হাদিস নং: ৮৯৩, মুসলিম, হাদিস নং: ১৮২৯)

পিতামাতার ওপর সন্তানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হচ্ছে— উত্তম প্রতিপালন,
তাদের চরিত্র ও শিষ্টাচার গঠনে যত্মবান হওয়া, আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী দ্বীন-ধর্ম পালন
করছে কিনা সেটা তত্ত্বাবধান করা এবং তাদের যাবতীয় দুনিয়াবি প্রয়োজনগুলোর খোঁজখবর রাখা;
যাতে করে তাদের জন্য উপযুক্ত ও সম্মানজনক জীবন-নির্বাহ নিশ্চিত করা যায়।

সন্তানদের এ অধিকারের ক্ষেত্রে অনেক পিতামাতাই অসচেতন থাকেন। প্রচুর পরিমাণে অবহেলা করেন।
ফলে তিনি নিজেরাই সন্তানদের ভেতর অবাধ্যতা ও দুর্ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেন।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন:
আজ পড়ন্ত বেলায় শুধু তাদের কথাই মনে পড়ে!
আগে বুঝি নাই কত বিশাল ছিলো সেই আপেল গাছ !!
দোয়া করবেন আমার পিতা-মাতার জন্য। পৃথি্বীর সকল
পিতা-মাতা যারা স্বগৃবাসী হয়েছেন তাদের সবার জন্য,-------------- আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লাম ভাই আপনার এই মন্তব্যে।

দারুন একটা শিক্ষনীয় উপদেশমুলক গল্প। আহা আমরা সবাই শেষ বয়সের ভাবনাটা যদি এখুনি বসে ভাবতে পারতাম!!
ধন্যবাদ আপনাকে লেয়াখাটার জন্য

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ দপন দাদা
সুন্দর ও অনুপ্রাণিত করা মন্তব্রের জন্য।
আসলে আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যদা
বুঝিনা। অযাজিত ভাবে পেয়ে ভেবেছি জীবন
হয়তো এভাবেই যাবে। কিন্ত সময় বড়ই নির্মম
পর্যায়ক্রমে এমন এক যায়গায় উপনীত করেছে
যেখান থেকে পশ্চাদপদ হয়ে ভুল শোধরাবার সুযোগ নাই।
তাই এখন শুধুই তাদের জন্য প্রার্থনা করতে হবেঃ
"[রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা]" যাতে
তাদের আত্মার শান্তি হয়। সবাই সবার মৃত পিতা-মাতার
জন্য এই দোয়া করি। আমিন

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার ব্লগে ভিন্ন রকম পোস্ট, অবশ্যই শিখনীয়।

সবার পিতা-মাতা ভালো থাকুক।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মঝে মধ্যে একটু ব্যতিক্রম চায় সবাই!!
না হলে জীবনটাতে একঘেয়েমী ভর করে।
এখন থেকে গল্পচ্ছলে কিছু শিক্ষনীয়
কথাবার্তা বলার চেষ্টা করবো ফাহিম ভাই।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ওকে। বুঝেছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বুঝলে ভালো না বুঝলেও
করার কিছু নাই। বেশী বোঝা
মানুষ আবার বিপজ্জনক হয়।

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা, কেমন আছেন নুরু ভাই?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রামানিক ভা্ই
ফিরে আসার জন্য। আপনাকে
নিয়ে খুব টেনশনে থাকি! হঠাৎ কোথায়
ডুব মারেন বুঝিনা !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.