নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় নারীর অবদান

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

,
নারী ও পুরুষের সমন্বিত প্রয়াস ও অংশীদারিত্বে মানব জাতির বিকাশ হয়েছে। সমাজ ও সভ্যতা নির্মাণে নারী বা পুরুষ কারো ভূমিকা কোন অংশে কম নয়। কিন্তু ইতিহাসের বাস্তবতা হচ্ছে, মানব জাতি যখন যেখানে আসমানী শিক্ষা হতে দূরে সরে গেছে, সেখানে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে এবং অশান্তির আগুন মানব জীবনকে ঘিরে ফেলেছে। বিশেষ করে পৃথিবীর শুরু হতে নারী পুরুষ একত্রে বসবাস করা সত্ত্বেও উভয়ের মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচে বেশি শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে সৃষ্টিগতভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও লোভনীয়-মাহনীয় রূপের আধার নারী সমাজ। নারী তখন পুরুষের ফুর্তি ও ভোগের সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। বলা হয়েছে সমাজের চরম নিগৃহ ও বঞ্চনা নারীর ভাগ্যফল আর পুরুষ হল স্বামী ও পতি।
ইসলামের আবির্ভাবকালে আরবে ও ভারতের নারী সমাজ
প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইসলামের দাওয়াত দেন তখনকার আরব সমাজে নারীরা কতভাবে বঞ্চনার শিকার ছিল, তার চিত্র ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। এর সামান্য একটি নমুনা ছিল, মেয়ে শিশুর জন্মকে গোটা পরিবারের জন্য কলঙ্কজনক মনে করা হত। তাই জন্মের সাথে সাথে তাদেরকে জীবন্ত কবরে পুতে ফেলা হত। ঠিক একই সময়ে ভারতীয় সমাজে চলছিল অন্যরকম চিত্র ও নিগ্রহ। ভারতীয় সভ্যতায় নারীকে মনে করা হত স্বামীর ভোগের সামগ্রী। তাই স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে স্বামীর লাশের সাথে চিতায় গিয়ে আগুনে পুড়ে প্রাণ দিতে হত। এমন পরিস্থিতিতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি য়াসাল্লাম ধূলির ধরায় আবির্ভূত হন। তার প্রচারিত ইসলামের ছায়াতলে নারী তার অধিকার ও সম্মান ফিরে পায়। এ কারণে দেখা যায় নারী তার মানবিক সত্তার পূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় কালজয়ী ভূমিকা পালন করেন। মুসলিম মহিলারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এই দায়িত্ব উপলদ্ধি করে ত্যাগ ও কুরবানীর অনেক নজির স্থাপন করে গেছেন। আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে হযরত খাদিজা (রা) তার সম্পদের সবটুকুই দিয়ে দিলেন। আল্লাহর রাসূল (সা) যে সমাজে প্রথম দাওয়াতের কাজ শুরু করেন সেই সমাজে দাওয়াত গ্রহণ করার অর্থ কি ছিলো তা সবাই জানত। অবর্ণনীয় বিপদ মুসিবতের এই সময়ে প্রথম সাক্ষ্যদানকারী হিসেবে সাড়া দেন খাদিজা (রা)। সাথে সাথে আল্লাহর রাসূলকে দেন অদৃশ্য সাহায্য লাভের আশ্বাস।
সুমাইয়া (রা) এর উপর নির্যাতনের পাহাড় ভেঙ্গে পড়লেও তিনি ছিলেন আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থাশীল। হযরত খানসা (রা) যুদ্ধের ময়দানে পুত্রদের ঠেলে দিয়েছিলেন শহীদ হওয়ার জন্য।
হযরত আসমা বিনতে আবু বকর এর কাহিনী আরো বিস্ময়কর। তিনি পুত্রকে বলেন, “তুমি জয়ী হয়ে ফিরে আসলে আনন্দিত হবো। কিন্তু তুমি আমার কোলে ফিরে না আসলেও আল্লাহর শোকর আদায় করবো।”
এভাবে শুধু নিজের জীবন দিয়ে নয়, প্রাণ প্রিয় কলিজার সন্তানকে গরম তেলের ডেকচিতে ভেজে ঈমানের সত্যতার প্রমাণ দিয়ে বাতিলের সামনে খাড়া মস্তিষ্কে বিবি আসিয়া (রা)।
হযরত সাফিয়া (রা) যুদ্ধের ময়দানে প্রাণাধিক প্রিয় ভাইয়ের লাশ দেখে মরিয়া হওয়ার পরিবর্তে মন্তব্য করেছিলেন: “আল্লাহর রাস্তায় এটা কোন বড় কোরবানী নয়।”

মা হাজেরার অনুকরণের উপর ইসলামের ভিত নির্মিতঃ
ইসলামের যে বিশ্বজনীন ব্যবস্থা তার ভিত নির্মিত হয়েছে একজন মহিলার অবদানের উপর। ইতিহাস বলে, হযরত ইবরাহীম আ. দ্বিতীয় স্ত্রী হযরত হাজেরা আ. কে কোলের শিশু ইসমাঈলসহ রেখে এসেছিলেন জনমানবহীন মক্কার মরুপ্রান্তরে। ইব্রাহীম আ. বাস করতেন বর্তমান ফিলিস্তিনে। সেখান থেকে গিয়ে তিনি শিশু ইসমাইলকে মায়ের কোলে রেখে আসেন ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে বর্তমানে কাবাঘর ও হেরেম শরীফ প্রতিষ্ঠিত। জনমানবহীন খাদ্য ও পানীয় শুন্য একটি মরুভূমিতে স্ত্রী ও দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে রেখে আসা ইব্রাহীমের জন্য যতখানি অসহনীয় ছিল তার চেয়েও বিস্ময়কর ছিল হযরত হাজেরার এমন নির্বাসিত জীবন মেনে নেয়া। অথচ আল্লাহর আদেশ বলে তারা হাসিমুখে বরণ করে নেন যাবতীয় মানসিক ও দৈহিক কষ্ট। ইবরাহীম আ. এর প্রত্যয় ছিল যেহেতু এই কাজ আল্লাহর হুকুমে আঞ্জাম দিয়েছি বাকিটুকু তিনি দেখবেন।
একটি থলিতে রাখা খেজুর ও মশকের পানি ফুরিয়ে গেলে কোলের যাদুর প্রাণ নাশের আশংকায় হযরত হাজেরা অস্থির হয়ে যান। পানির সন্ধান পাবেন আশায় একবার সাফা পাহাড়ের উপর উঠেন, আবার মারওয়া পাহাড়ের দিকে দৌঁড়ে যান। মনে হয় পানি সাফা পাহাড়ের উপর টলমল করছে। আবার দৌঁড়ে সাফা পাহাড়ে গিয়ে নিরাশ হন। মনে হচ্ছে পানি মারওয়া পাহাড়ে ঝিলমিল করছে। আসলে মরুভূমির প্রখর রোদে মরিচিকার মায়াজালকে পানির অথৈ তরঙ্গ বলে ভ্রম হচ্ছিল। এভাবে হাজেরা আ. সাত বার দুই পাহাড়ের মাঝখানে দৌঁড়ান।
শেষবারে লক্ষ করেন, শিশুকে যেখানে রেখে পানির জন্য ছুটাছুটি করছেন সেখানে ইসমাঈলের পায়ের নিচ থেকে পানির ঝর্ণা উৎসারিত হচ্ছে। হাজেরা তাড়াতাড়ি সেই ঝর্ণার চারপাশে আল তুলে দেন। এই ঝর্ণাই বর্তমান যমযম কূপ। সেই কূপকে কেন্দ্র করে মক্কায় জুরহুম সম্প্রদায়ের বসতি গড়ে উঠে। কাবাঘর নির্মিত হয়। হজের প্রবর্তন হয়। তখন থেকে যত নবী রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, যত আলেম ওলী এসেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত আসবেন, প্রতি বছর লাখ লাখ হাজি হজ করেন, সারা বছর ওমরা করেন, তাদের সবাইকে মহিয়সী নারী বিবি হাজেরার অনুকরণ করতে হয়। তিনি যেভাবে দৌঁড়িয়েছেন সেভাবে সাফা মারওয়ায় সায়ী করতে হয়। তারপর মা হাজেরার স্মৃতিধন্য যমযমের পানি পান করে আমরা প্রাণ জুড়াই। ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় নারীদের ভূমিকার এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে? আর নারীর প্রতি ইসলাম যে সম্মান দিয়েছে তা কি মানুষের কল্পনায় আসতে পারে?

হযরত খদিজাতুল কুবরার অবর্ণনীয় ত্যাগঃ
হযরত খদিজাতুল কুবরা রা. মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতী মিশনের জন্য যে ত্যাগ, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তিনি বিশে^র বুকে আল্লাহ আল্লাহর রসূল ও তাঁর আনীত বাণীর প্রতি প্রথম বিশ^াস স্থাপনকারীর মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন। বিশে^র বুকে প্রথম মুসলমান একজন মহিলা এটি কি মুসলিম নারীদের জন্য কম গৌরবের বিষয়? ওহী নাযিলের আগেও হেরাগুহায় নবীজি যখন ধ্যানমগ্ন থাকতেন তখন তাঁর খাবার ও পানীয় সরবরাহ করতেন হযরত খদিজা রা.। সাধারণত মহিলারা স্বামীর আয় উপার্জনের দিকেই দৃষ্টি রাখে। অথচ স্বামীর প্রতি খদিজাতুল কুবরার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অন্যরকম। খদিজা ছিলেন আরবের ধনাঢ্য মহিলা। তার পুঁজি নিয়েই বিবাহের আগে নবীজি সিরিয়ায় বাণিজ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নিজের সমস্ত সম্পদ তিনি উৎসর্গ করেন নবীজির কদমে। তাঁর গোটা জীবন, জীবনের সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছিলেন ইসলামের সেবায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্যে। ইসলামের জন্য হযরত খদিজার আত্মত্যাগ কতখানি তা বুঝার জন্য একটি হাদীসের মর্মবাণী সামনে রাখাই যথেষ্ট। হযরত আয়েশা রা. বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই খদিজার কথা স্মরণ করতেন তাঁর প্রশংসা করতেন। এবং এই প্রশংসা হত অনেক দীর্ঘ ও সুন্দর। একদিন খদিজার অতিবেশি প্রশংসা শুনে আমার আত্মমর্যাদায় লাগল। আমি নবীজিকে বলে ফেললাম, আপনি একজন বুড়ির প্রশংসায় এভাবে আত্মহারা হয়ে যান। সে তো মরে গেছে আর আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে অনেক উত্তম স্ত্রী দান করেছেন। একথা শুনে নবীজি বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহ আমাকে খাদিজার চেয়ে উত্তম স্ত্রী দান করেন নি। (খাদিজার চেয়ে উত্তম কেউ হতে পারে না। কেননা, ) মানুষ যখন আমাকে অস্বীকার করেছিল তখন সে আমার উপর ঈমান এনেছিল। লোকেরা যখন আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল খাদিজা তখন আমাকে সত্য বলে বিশ^াস করেছিল। মানুষ যখন আমাকে বঞ্চনার শিকার করেছিল তখন আল্লাহর তার সম্পদ দিয়ে আমাকে অভাবমুক্ত করেছিল। আর আল্লাহর তার ঘরে আমার সন্তানদের দিয়েছেন (ইবরাহীম ছাড়া বাকী সবাই খদিজার ঘরের সন্তান)

হযরত আয়েশা রা. এর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্বঃ
আমাদের মা হযরত আয়েশা রা. কে নবীজি আদর করে ডাকতেন হুমায়রা। তবে আসল নাম আয়েশা। সিদ্দিকা ছিল তার উপাধি। এই উপাধি পিতা আবু বকর আতীক ইবনে আবি কুহাফা সূত্রে প্রাপ্ত। তার উপাধি ছিল সিদ্দিক (পরম সত্যবাদী)। তিনি ইসলামের প্রথম খালিফা ও পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর সর্বাধিক সম্মানের পাত্র। হযরত আয়েশা রা. এর বয়স যখন ৬ বছর, তখন হিজরতের দুই বছর পূর্বে রাসূলে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে তাকে বিয়ে দেন আবু বকর সিদ্দিক রা.। দ্বিতীয় হিজরীতে তিনি হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংসারে গমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯ বছর। তিনি ছিলেন অন্যান্য বিবিগণের মাঝে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সর্বাদিক প্রিয়। এ কারণে পালাক্রমে যেদিন হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে থাকতেন, সেদিন সাহাবায়ে কেরাম হযরতের কাছে হাদিয়া উপহার বেশি পাঠাতেন। হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশার ঘরে ও তাঁর কোলে ওফাত লাভ করেন। সেই ঘরেই তিনি সমাহিত হন। সে ঘরই এখন রওযা আকদাস হিসেবে দুনিয়ার মুসলমানদের কাছে সবচে প্রিয় স্থান। হযরত আয়েশা রা. সূত্রে হাদীসের জ্ঞান ছাড়াও মহিলা সংক্রান্ত শরীয়তের অনেক বিধান লাভ করে মুসলিম উম্মাহ। তবে সবচে বড় অবদান ছিল তিনি ছিলেন নবীজির মনের সান্ত¦না। কোনো ব্যস্ততা বা আধ্যাত্মিক ভাবের তন্ময়তায় যখন নবীজির মন ভারি হয়ে যেত তখন মনের সান্ত¡নার খুঁজে হযরত আয়েশাকে ডেকে বলতেন: কাল্লিমীনী ইয়া হুমাইরা। ‘হে হুমায়রা তুমি আমার সাথে কথা বল, আমার মন হলকা কর।’ নবুয়তের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একজন মহিলার এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে? বর্ণিত আছে, নবীজি যখন একই বিছানায় একই চাদরের নিচে হযরত আয়েশার ঘরে বিশ্রাম নিতেন তখনও তার উপর ওহী নাযিল হত। হযরত আয়েশা রা. এর প্রচুর কবিতা মুখস্থ ছিল। অর্থাৎ সাহিত্য চর্চায় তিনি অগ্রণি ছিলেন। এছাড়া তিনি রোগীদের চিকিৎসা করতেন। মানুষ চিনতে তার মেধা ও প্রজ্ঞা ছিল অত্যন্ত প্রখর। তিনি ইসলামের প্রথম শ্রেণীর আলেম ও ফকীহ ছিলেন। সাহাবীদের মধ্যে যে ৭ জন ফিকাহশাস্ত্রে শিরোমণি ছিলেন, হযরত আয়েশা রা. তাদের অন্যতম। সেই ৭ জন ছিলেন হযরত উমর রা., হযরত আলী রা, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মসউদ রা., হযরত আয়েশা রা. হযরত যায়দ ইবনে সাবেত রা., হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.। বাকী ১৩৩ বা ১৩৯ জন ফকীহ সাহাবীর অবস্থান এই ৭ জনের পরে। হযরত আয়েশা রা. হতে ২ হাজার ২শ ১০ টি হাদীস বর্ণিত। হযরতের জীবদ্দশায় ও ওফাতের পরে নানা ঘটনা প্রবাহে হযরত আয়েশা রা. মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। হযরত ওসমান রা. এর খেলাফতের শেষদিকে উটের যুদ্ধে তিনি অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত মনস্তাপে ভুগেছেন। তিনি ৫৭ বা ৫৮ হিজরীতে ওফাত লাভ করেন এবং মদীনার কবরস্থান বাকীতে সমাহিত হন।

রাষ্ট্রপ্রধানের উপদেষ্টার মর্যাদায়হযরত উম্মে সালমা (রা)
উম্মহাতুল মুমেনীনদের মধ্যে . জাতীয় জীবনের জটিল সমস্যা সমাধানে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তার কারণে তাকে ইসলামে রাষ্ট্রপ্রধানের উপদেষ্টার মর্যাদায় স্মরণ করা হয়। নবীজি মক্কা অভিযানের উদ্দেশ্যে ১৪০০ সাহাবীর বিরাট বাহিনী নিয়ে মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন কুরাইশরা তাকে মক্কা প্রবেশ ও উমরা পালন করতে দেবে না। তিনি আলোচনার জন্য মক্কার ধনাঢ্য ব্যক্তি হযরত উসমানকে পাঠান। ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে কুরাইশদের সাথে শান্তিচুক্তি হয়। কিন্তু বাহ্যত এই চুক্তি ছিল মহানবী ও মুসলমানদের জন্য অবমাননাকর। শান্তির স্বার্থে ও ভবিষ্যতের বৃহত্তর সুফলের আশা নিয়ে নবীজি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তির শর্ত ও চুক্তি স্বাক্ষরকালে মক্কার মুশরিকদের ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণে মুসলমানরা ভীষণ ক্ষিপ্ত ছিল। বিপুল সংখ্যক জানবাজ যোদ্ধা সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও মহানবীর পক্ষ হতে মুশরিকদের অযৌক্তি সব শর্ত মেনে নেয়াকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছিল না, হযরত উমর রা. এর মত বিশাল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সাহাবীও। শেষ পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর হল। শর্ত অনুযায়ী মুসলমানরা উমরা পালন না করেই ফেরত যাবে। মক্কার হেরেমে কুরবানীর জন্য যেসব পশু তারা সাথে এনেছিল সেগুলো হুদায়বিয়াতেই যবাই করতে হবে। এখানেই উমরার ইহরাম খুলতে হবে। নবীজি সাহাবীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিলেন, তোমরা কুরবানীর পশু জবাই কর। মাথার চুল ছেঁটে ফেল। ইহরাম খুলে স্বাভাবিক হয়ে যাও। কিন্তু আশ্চর্য যে, যারা নিজের জান বাজি রেখে হযরতের নির্দেশে প্রাণ দিতে হুদাইবিয়া প্রান্তর পর্যন্ত এসেছেন, তারা এখন হযরতের আদেশ পালনে তৎপর হচ্ছেন না। নবীজি তার আদেশটি তিনবার ঘোষণা করলেন। কিন্তু কেউ আদেশ পালনে অগ্রসর হয় না। এ অবস্থা দেখে নবীজি চিন্তিত মনে তাঁবুতে ঢুকে উম্মে সালামাকে লোকদের অবস্থার কথা জানালেন। নেতৃত্বের আনুগত্য ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর চেয়ে গভীর ও জটিল সংকট আর কিছু হতে পারে না। এই সংকট সমাধানে প্রচ- আত্মবিশ^াস নিয়ে এগিয়ে এলেন নবীজির যোগ্য সহধর্মীনী আমাদের মা উম্মে সালামা। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি চান যে তারা আপনার আদেশ পালন করুক। তাহলে আপনি তাদের কারো সাথে একটি কথাও বলবেন না। শুধু সবার সামনে গিয়ে আপনার উটনীটি নহর (জবাই) করুন। তারপর আপনার নাপিতকে ডেকে আপনার মাথা মু-ানোর ব্যবস্থা করুন। এই পরামর্শ পেয়ে নবীজি তাঁবু হতে বের হলেন এবং কারো সাথে কোনো কথা না বলে নিজের উটনী নহর করলেন। তারপর নাপিত ডেকে মাথা মু-ন করলেন। লোকেরা যখন এই দৃশ্য দেখল, সবাই তাদের কুরবানীর পশু নহর করল। একজন আরেকজনের মাথা মু-ন শুরু করল। এতক্ষণ তারা ভাবছিল যে, মুশরিকদের সাথে দৃশ্যত অবমাননাকর চুক্তি হয়ত পুনর্বিবেচনা হবে, পশু জবাই ও মাথা মু-নের জন্য নবীজির আদেশ পালনে তাই তারা ইতস্তত করছিল। কিন্তু যখন প্রমাণ হল যে, নবীজি তাঁর সিদ্ধান্ত ও আদেশের ব্যাপারে অবিচল তখন তারা সেই আদেশ পালনে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। বস্তুত জাতীয় জীবনের সমস্যা সমাধানে হযরত উম্মে সালমার এই বিচক্ষণতা ও ভূমিকা মুসলিম মহিলাদের জন্য সামাজ ও জাতীয় জীবনের সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে।

হাবশায় হিজরতে মহিলাদের ভূমিকাঃ
উপরে আমরা চারজন উম্মুল মুমিনীনের ভূমিকার উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেছি। এর বাইরে সাধারণ মুসলিম মহিলারাও দ্বীনী দায়িত্ব পালনে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা অনেক বিস্তৃত ও গৌরবজনক। নবুয়াতের ৫ম বর্ষে মক্কায় যখন মুশরিকদের আত্যাচার নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছিল তখন নবীজির আদেশে দুই দফায় মুসলমানরা হাবশায় হিজরত করেন। দেখা যায় দেশত্যাগের কঠিন কষ্ট যারা মাথায় নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে বিশ জনের মত ছিলেন মহিলা। ইসলামের জন্যে প্রথম যুগের মুসলিম মহিলাদের এই আত্মত্যাগ প্রমাণ করে যে কোনো পরিস্থিতিতে ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে মুসলিম মহিলারা পিছপা হন নি।

মক্কায় মজলুম পাঁচ কৃতদাসীঃ
আবু বকর সিদ্দিক রা. মক্কায় যারা আল্লাহর পথে আসার কারণে নির্যাতিত হচ্ছিল তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও পাঁচজন মহিলাকে মুক্তি দান করেন। পুরুষদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বেলাল ইবনে রেবাহ ও আমের ইবনে ফাহির, যাকে গারে সৌরে আত্মগোপন অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুহায় আসা যাওয়ার ব্যাপারে নিজের জন্য নিরাপদ মনে করেছিলেন। তিনি মদীনায় হিজরত করেন এবং বী’রে মাউনার হত্যাকা-ের সময় তিনি শাহাদত বরণ করেন। পাঁচজন মহিলার মধ্যে ছিলেন হযরত নাহদিয়া ও তাঁর মেয়ে, উম্মে উমাইস ও বনি আমর ইবনে মুআম্মাল এর দাসী ও যুনাইরা। বর্ণিত আছে, যুনাইরা ছিলেন দুর্বল দৃষ্টিশক্তির একজন মহিলা। তিনি ইসলাম গ্রহণের পর শায়বা ইবনে রাবিয়া, উতবা ইবনে রাবিআ ও উমাইয়া ইবনে খালাফ প্রমূখ কুরাইশ নেতা দলবলসহ তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করত। তাকে বসিয়ে নানা কথা বলে হাসাহাসি করত। তারা বলত যে, আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ যে ধর্ম নিয়ে এসেছে তা যদি ভাল হত তাহলে যুনাইরা আমাদের পেছনে ফেলে সেদিকে যেতে পারত না। এ মর্মে কুরআনের একটি আয়াত নাযিল হয়। এক সময় যুনাইরার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ চলে গেল। তখন কুরাইশের নেতারা বলতে লাগল, তুমি লাত ও ওজ্জার ধর্মের বিরোধীতা করেছ; এ জন্যে লাত ও ওজ্জা তোমার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে। যুনাইরা তাদের জবাবে বলতেন, না, আল্লাহর কসম, তারা আমার কোনো ক্ষতি করে নি এবং আমার কোনো ক্ষতি করার শক্তি ওদের নাই। পরবর্র্তীতে আল্লাহ তাআলা তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রথম মহিলা শহীদ সুমাইয়া (রা)
ইসলামের জন্য পুরুষদের পাশাপশি মহিলাদের আত্মত্যাগের কাহিনী বড়ই করুণ। হযরত সুমাইয়া রা. ছিলেন আবু হুযাইফার বাঁদী। ইয়াসের তাঁর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলোকিত করে আম্মার নামক ছেলে সন্তান। আম্মার রাসূলুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর দাওয়াত পেয়ে তাঁর পিতা ইয়াসের এবং পরে মা সুমাইয়া ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নেন। অত্যন্ত করুণ ও কঠিন অবস্থায় এই পরিবার নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করে। মুশরিকরা এই দুর্বল পরিবারটির উপর তাদের নৃশংসতার মাত্রা পরীক্ষা করে। মুশরিকরা ইয়াসির পরিবারের উপর চরম নির্যাতন চালিয়ে অন্যদের কাছে এই বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, মুহাম্মদের ধর্ম গ্রহণ করলে এ রকম মাসুল গুণতে হবে। সুমাইয়ার উপর তারা যে নির্যাতন চালায় তা ছিল লোমহর্ষক, অবর্ণনীয়। বলা হয়েছে, সুমাইয়ার দুই পা দুই উটের সাথে বেঁধে উট দুটিকে বিপরীত দিকে ধাবড়ানো হয়। আরো বর্ণিত আছে, মুশরিকরা হযরত সুমাইয়ার লজ্জাস্থানে বর্শা ঢুকিয়ে তাকে শহীদ করেছিল। ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের এই ত্যাগ ও ভূমিকা আজকের বিশে^র মুসলিম মহিলাদের জন্য গৌরবের।

হযরত উমর রা. এর খুতবার প্রতিবাদ করলেন নারীঃ
নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে ইসলাম দেশে দেশে বিজয় ও বিস্তার লাভ করেছে। ইসলামের স্বর্ণালী যুগে কখনো মহিলাদেরকে অন্তপুরের অবরোধবাসীনী হয়ে নির্বিকার করে রাখা হয় নি। সমাজ জীবনে তাদের সক্রিয় ভূমিকার একটি উদাহরণ হযরত উমর রা. এর খেলাফতকালের একটি ঘটনা। হযরত উমর রা. মসজিদে খুতবা দিচ্ছিলেন। মহিলাদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিয়েকে সহজ করার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বলছিলেন যে, বিয়েকে সহজ করতে হলে বিরাট অঙ্কের মোহরানার প্রবণতা ছাড়তে হবে। জুমার নামাযে উপস্থিত একজন মহিলা দাঁড়িয়ে গেলেন। খলিফার বক্তৃতার প্রতিবাদ করে বললেন, কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা মহিলাদেরকে বিরাট অঙ্কের মোহরানার ব্যবস্থা রেখেছেন। কাজেই আল্লাহ যেখানে আমাদেরকে বিরাট অঙ্কের মোহরানা দেয়ার কথা বলেছেন সেখানে তা কেড়ে নেয়ার আপনি কে? চিন্তা করা যায়, ভরা মসজিদে খলিফার ভাষণের সরাসরি প্রতিবাদ করছেন একজন মহিলা। বিশেষজ্ঞগণ এই ঘটনাকে মুসলিম মহিলাদের পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পক্ষে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন। সমাজের বৃহত্তর আঙ্গিনায়, জাতীয় জীবনে, সাহিত্য সংস্কৃতিতে, শিক্ষা ও চিকিৎসায় এমনকি যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম মহিলাদের অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকল নারীর অবকদানকে আমরা শ্রদ্ধারসাথে স্মরণ করছি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কন্যা শিশুদেরকে যদি মেরেই ফেলা হত,তবে তিন চারটা করে বিয়ে করে কিভাবে।এসব ইসলামকে মহিমান্বিত করার গল্প ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নুরইসলাম ভাই,
ইসলাম গৌরব ও মহামন্বিত ও শান্তির ধর্ম।
ইসলাম ধর্ম আসার পরে কন্যা সন্তানদের মেরে ফেলা হতো না।
ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে কন্যাসন্তানকে জীবিত অবস্থায়
মাটিতে পুুঁতে ফেলা হতো।জাহেলি যুগের লোকেরা কন্যাসন্তানকে
বংশের কলঙ্ক ও অপমানের বিষয় মনে করত। কন্যাসন্তান জন্মের
সংবাদ দিলে বাবা অত্যন্ত দুঃখ পেত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যখন
তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখ
কালো হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো
সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে,
অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে না, তাকে মাটির নিচে পুঁতে ফেলবে।
শুনে রাখো, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

শোভন শামস বলেছেন: শিক্ষণীয়, তথ্য বহুল

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ শোভন সামস গুরুত্বসহকারে
লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: নারীকে আসলে কোনো ধর্মই স্বাধীনতা দেয় নি। বরং ভাব দেখিয়েছে সব দিয়ে দিয়েছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ইসলাম ধর্ম নারীকে যে মর্যদা দিয়েছে
তা অন্য কোন ধর্মে দেয়নি। তবে কেউ
যদি তার স্ত্রকে মর্যদা না দেয় সে দোষ
ধর্মের নয় অবশ্যই। নারী পুরুষ একে
অপরের পরিপুরক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.