নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপকথার রাজা এবং মূর্খ বাঁদরের বাঁদরামীঃ নীতি কথার গল্প-৬

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮


গল্প পড়ে আমরা অনেক আনন্দ ও অনেক কিছু শিখতে পারি। তবে গল্পের মধ্যে যে গল্প গুলো থেকে আমরা নৈতিকতার বিষয়ে শিখে থাকি তাই শিক্ষনীয় গল্প। এ গল্প গুলির মাধ্যমে আমরা আমাদের নৈতিক চরিত্রকে সুন্দর করতে পারি। এসব গল্পের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে - প্রতিটা গল্পেই শিক্ষনীয় কিছু মেসেজ থাকে। আর গল্পের আকারও বেশ ছোট, যাতে অল্প সময়েই বলে ফেলা যায়। সেই রকম কিছু শিক্ষণীয় গল্প নিয়ে সাজানো আমার শিক্ষামূলক গল্প সিরিজ। শিক্ষামূলক গল্পের আগের পর্বঃ
১। মা-বাবাকে ভালো বাসুনঃ শিক্ষনীয় গল্প-১
২। মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য (শিক্ষণীয় গল্প-২)
৩। পর্দার উপকারিতাঃ শিক্ষামূলক গল্প-৩
৪। ধার্মিক মাছঃ শিক্ষামূলক গল্প সিরিজের ৪র্থ গল্প
৫। এক ধার্মিক স্বর্ণকারঃ শিক্ষামূলক গল্প -৫ঃ
আজ এই সিরিজের ৬ষ্ঠ গল্পঃ রুপকথার রাজা এবং মূর্খ বাঁদরের বাঁদরামীঃ

একদা রুপ কথার কোন এক রাজ্যে এক প্রজাবৎসল দয়ালু রাজা ছিলেন। তার মহানুভবতার কথা দশ বিশ রাজ্যের মানুষ জানতেন। বিপদে আপদে তার নিজ প্রজাদের যেমন সাহায্য করতেন তেমনি পাশের রাজ্যের প্রজারাও তার বদান্যতা পরশ পেতে ছুটে আসতেন দূর দুরান্ত থেকে। এই রাজার একটি পোষা বানর ছিল। বানরটি তার সিংহাসনের পাশেই বাধা থাকতো। রাজা যখন সভায় আসতেন এসেই হাতের ছড়ি দিয়ে ঐ বানরকে একটা পিটুনি দিতেন। আবার যখন সভা ছেড়ে যেতেন তখনও একটা পিটুনি দিতেন। একবার এক বিদেশী অতিথী এলেন রাজার দরবারে। আসার পথে তিনি জনগণের কাছ থেকে রাজার বেশ প্রশংসাই শুনে এলেন। কিন্তু দরবারে এসে দেখলেন একি! বাইরে যার প্রশংসা শুনে এলেন সেই ন্যায়পরায়ন রাজাই কিনা ভেতরে ভেতরে এত নির্দয়!! একপর্যায়ে মেহমান রাজাকে বিনয়ের সুরে বললেন , মহামান্য রাজা বেআদবি মাফ করিবেন, আপনি এত মহান, দয়ালু, প্রজাবতৎসল তার পরেও কেন একটি নিরীহ প্রভূভক্ত বাদরকে কেন সকাল বিকাল প্রহার করেন? রাজা মুচকি হেসে তাকে বললেন এর উত্তর পেতে আপনাকে আমার দরবারে টানা এক সপ্তাহ আসতে হবে। মেহমান রাজি হলেন। রাজা তথাস্ত বলে রাজসভা শেষ করলেন। পরদিন রাজা রাজসভায় এসে আগের মতো বানরকে কোন পিটুনি দিলেন না। বানরও স্বাভাবিক। এ দেখে মেহমান বেশ উচ্ছসিত। দ্বিতীয় দিন রাজা এলেন। আলাপ আলোচনার মধ্যে সবাই খেয়াল করলেন যে, বানরটি রাজার সিংহাসনের কিছুটা কাছাকাছি এসে বসলো। তৃতীয় দিন বানরটি আরও কাছে এলো। পরের দিন বানরটি সিংহাসনের হাতলের ওপরই উঠে বসলো। পঞ্চম দিন বানরটি রাজার কাঁধে উঠে বসলো। পরের দিন বানরটি রাহজার কাধে উঠে বসলো। পরের দিন বানরটি রীতিমত সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাজার মাথার মুকুটের ওপরে উঠে বসলো। আর সপ্তমদিন বানরটি রাজার কাধে উঠে তার দুই কান আচ্ছামতো মুচড়ে দিতে লাগলো। এ দৃশ্য দেখে সভাসদরা হই চই করে উঠলো। তারা এগিয়ে এল, কিন্তু রাজা তাদের নিবৃত করলেন। মেহমানও কিছুটা লজ্জিত হলো। এবার রাজা মেহমানকে বললেন - “আপনি কি আপনার জিজ্ঞাসার জবাব পেয়েছেন?” মেহমান বিনয়ের সাথে বললেন- “আলবৎ পেয়েছি”...রাজা বললেন কি শিক্ষা পেলেন, মেহমান বলনেন বাঁদরকে লাই দিলে মাথায় চড়ে বসে !! তাই বাদরকে কখনো লাই দিতে নেই। এতো গেল বাঁদরের বাদরামীর কথা। এবার জানুন তার র্মূর্খতার কথা।

ছোটবেলায় পড়া এক রাজা ও তার মুর্খ বাঁদরের গল্প।
একসময় রপকথার রাজ্যে এমন একজন রাজা ছিলেন যিনি বানরক পোষা প্রাণী হিসাবে সর্বদা তার পাশে পাশে রাখতেন। কানরটিকে রাজা নিজ হাতে খাওয়াতেন। বাদরটিও রাজার আদর যত্ন পেয়ে তার সাধ্য মতো রাজার সেবা করতো। বাগান থেকে প্রতিদিন ফুল ফল এনে রাজাকে উপহার দিতো। রাজা খুব খুশি হতেন। রাজ পরিবারে সবার কাছে সে আদর যত্ন পেতে কারণ সে রাজার পোষা প্রাণী। এক উত্তপ্ত দিনে রাজা দুপুরের আহারের পরে দিবা নিদ্রা দিচ্ছিলেন। বানরটি ঘুমন্ত রাজাকে তাল পাতার পাখায় হাওয়া দিচ্ছিলো। এমন সময় এক দুষ্ট মাছি বারে বারে রাজার মুখে/বুকে বসে তার নিদ্রাের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিেলো। বানরটি গভীর মনোযোগে মাছিটির অপকর্ম লক্ষ্য করছিলো এবং এটি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। মাছি মুহুর্তের জন্য চলে যেত এবং আবার ফিরে আসত রাজার বুকে বসে রাজার ঘুমে ব্যঘাত সৃষ্টি করেই যাচ্ছিলো। বানরের সহ্য হলোনা মাছির বেয়াদবী! উপায় খুঁজতে লাগলো বেয়াদব মাছিকে সায়েস্তা করবার। রাজা ঘুমালেও তার পাশে থাকতো নাঙ্গা তলোয়ার। বিশ্বস্ত বাঁদর হাতে তুলে নিলো তলোয়ার। কিছুতেই আর সে রাজার গায়ে মাছ বসতে দেবে না। কিন্তু মাছি থোড়াই কেয়ার করে বানরকে!! তার কাছে রাজা প্রজা, হাতি ঘোড়া ময় বাঘ সিংহ এক কাতারে। তািিই সমান তালে চলছিলো মাছিঁর ওড়া উড়ি!! মূর্খ বা্নর স্থির করতে পারছিলোনা কোথায় হানবে তার বজ্র নিনাদ! একসময় মাছি রাজার মুখে বসলো তবে ঘুমের ঘোরে রাজার তাড়া খেয়ে রাজার বুকে বসলো। আর যায় কোথায় !! বা্নর তলোয়ার তুলে কোপ বসায় রাজার বুকে। সব শেষ, সুনসান নীরবতা। প্রভুভক্ত মুর্খ বানরের হাতে প্রাণ গেল রাজার। মুর্খ বন্ধুর নির্বুদ্ধিতায় পিপন্ন হতে পারে জীবন। শিক্ষা কি পেলাম। মুর্খের সাথে বন্ধুত্ব সব সময় পরিত্যজ্য।কারন মূর্খ বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রু শ্রেয়।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বনের বাঁদর বনে থাকলে রাজার কানে হাত দিতো না, সবাই স্ভাভাবিক জীবন যাপন করতেন; বানরের স্বাধীনতা হরণ করে, তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায়, তার প্রকৃতিক স্বভাব বিলুপ্ত হয়েছিলো।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বান্দর কে লাই দিতে নাই।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন, "বান্দর কে লাই দিতে নাই। "

-বান্দরকে মানব সামজে টেনে আনাই ভুল ও অন্যায় ছিলো; নতুনভাবে ভাবুন, বানরবিহীন সমাজ গড়ার চেষ্টা করুন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাইলেই কি সব করা সম্ভ্বব?
তাই যদি হতো তা হলে সখ করে
কেউ খাল কেটে ঘরে বুমির আনতো কি?

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যার যেখানে থাকার কথা তাকে সেখানে থাকতে দিন।বন্যরা বনে সুন্দর

ভাবছিলাম ফ্রান্স নিয়ে কিছু বলবেন।মমিনরা ঢাকা শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !!
কিন্তু আমরা যার যেখানে থাকার কথা
তাকে সেখানে থাকতে দেই না।
ঈমান নিয়ে বাঁচাই দায় হয়ে
পড়েছে এখন।

এত সত বিষয় থাকতে ফ্রান্স কর্তা আমাদের
মহানবী (সঃ) এর পিছে লাগতে গেলেন কেন?

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গল্পের মাঝে যে গল্প হতে আমরা নৈতিকতা শিখি সেটাই শিক্ষণীয় গল্প । রাইট বলেছেন শিক্ষার কোন শেষ নাই।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ আলি ভাই
সহজ কথা আমরা বুঝতে চাইনা
সহজে!

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুবী আপনি কই? ব্লগে আগের মতো দেখি না কেন?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্লগ আমার কাছে কেমন যেন পানসে লাগছে
তাই আগের মতো আর উৎসাহ পা্ইনা।
নিজের খেয়ে কারো সাথে বিবাদ
করা কি ভালো?

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫

মরুর ধুলি বলেছেন: মূর্খরা গল্প থেকে কোন শিক্ষা নেয় না। ইনিয়ে বিনিয়ে তারা যে কোন বিষয়ের খুত খুঁজে বের করে। তাদের অনুসন্ধান হতে আল্লাহ খোদা পর্যন্ত রেহাই পায়না, গল্প কোন ছাড়!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মরুর ধুলি বলেই আপনার এই শিক্ষা লাভ !!
যাদের হাত থেকে আল্লাহ ও রসুল (সঃ)
রেহা্ই পায়না তারা ধ্বংশ হোক।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইটাই দরকারি ও শিক্ষণীয় গল্প। বুঝলাম আসে পাসের বাদর রুপী মানুষ থেকে সাবধান থাকতে হবে। আর মূর্খ লোককে সাহায্য করা গেলেও বন্ধু বানানো যাবে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একদম সঠিক সিদ্ধান্ত সাচু ভাই
আমিও এমন সিদ্ধান্তের কারনে
সীমিত করে ফেলেছি আমার
বন্ধু মহল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.