নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঈমানি করা বা অঙ্গীকার পূর্ণ না করা একটি কবীরা গুনাহ

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮


কবীরা অর্থ বড়। কবীরা গুনাহ মানে বড় পাপ। পাপ হলো শরিয়তের আদেশ–নিষেধ লঙ্ঘন করা, নির্দেশ অবহেলা করা ও নিষেধ অমান্য করা। পাপের আরবি হলো মাছিয়াত, ইছম, তুগইয়ান, জুরম, ফিসক ইত্যাদি। ফারসি, উর্দু ও হিন্দিতে গুনাহ, খতা, পাপ, বদ, বদী ইত্যাদি। পাপ বা অপরাধ ছোট হোক বা বড় হোক, তা সব সময় বর্জনীয়। কোনো ছোট পাপকে হালকা মনে করাও একটি কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। মাত্রাভেদে ও পরিণতির ভিত্তিতে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পাপকে ছগিরা ও কবিরা দুই ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো কুফর ও শিরক। কুফর মানে হলো আড়াল করা, গোপন করা, লুকানো এবং কৃতঘ্নতা বা অকৃতজ্ঞতা। পরিভাষায় কুফর হলো আল্লাহ বা স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করা। এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ। এই প্রকার কুফরের কোনো ক্ষমা নেই। কবীরা গুনাহ বা বড় অপরাধ হলো: সেসব আদেশ–নিষেধের লঙ্ঘনে জাহান্নাম, আগুনের শাস্তি বা নির্দিষ্ট আজাবের সাবধানবাণী রয়েছে। এই সব কাজ হারাম। কোরআন)। কবীরা গুনাহ সমূহের মধ্যে বেঈমানি করা বা অঙ্গীকার পূর্ণ না করা একটি ভয়াবহ অপরাধ। অর্থাৎ বেঈমানি করা কবিরা গুনাহ।

পৃথিবীতে মানুষের হরেক রকম চেহারা দেখা যায়। কেউ আপনাকে যেমন তার স্বার্থ হাসিল করার জন্য ব্যবহার করবে আবার কেউ আপনাকে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার তার উদ্দেশ কিংবা স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে আপনাকে ভুলে যাবে। যারা উপকারীরই উপকার স্বীকার করে না তাদের এক কোথায় আমরা অকৃতজ্ঞ কিংবা বেঈমান বলে থাকি। বেঈমান ব্যক্তিরা হরেক রকম রূপ দেখায়।তারা যেমন আপনার বিপদের দিনে আপনার বন্ধু হতে সময় নিবে না। আবার ঠিক তেমনি আপনার প্রয়োজনে কিংবা আপনার কষ্টের দিনে তাদের আর খুঁজে পাবেন না। কারণ তারা সুসময়ের বন্ধু হয়ে থাকে সবসময়। তারা সবসময় সুযোগ খুঁজে থাকে আপনার ক্ষতি করার। বেঈমানদের আপনি যতই উপকার করেন না কেন এরা এদের প্রয়োজন শেষ হলে ঠিক আপনাকে ভুলে যাবে। শুধু দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করাই বেঈমানি নয়, বরং রাসুলে করিম (সাঃ) বলেন, ‘চারটি দোষ যার মধ্যে পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফিক হবে। আর যার মধ্যে এর একটি পাওয়া যাবে তার মধ্যে মুনাফিকের একটি চরিত্র পাওয়া গেল, যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই অভ্যাস ত্যাগ না করে—যখন আমানত রাখা হয় সে খেয়ানত করে, যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন প্রতিজ্ঞা করে তখন বেঈমানি করে আর যখন ঝগড়া করে তখন গালি দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক ওয়াদা ভঙ্গকারীর জন্য কিয়ামতের দিন একটি নিদর্শন থাকবে তার বেঈমানির পরিমাণ অনুযায়ী তাকে উচ্চ (বৃহদাকার) করা হবে। তবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণাকারী শাসকের চেয়ে বড় বেঈমান আর কেউ হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩২৭২)

অঙ্গীকার পূর্ণ করা মুমিনের অন্যতম গুণ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ প্রসঙ্গে অনেক গুরুত্ব বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর অঙ্গীকার পূর্ণ করো। অবশ্যই অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩৪)। অন্যত্র ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করো।’ (সুরা : মায়েদা : ১)। আরো ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহর অঙ্গীকার পূরণ করো।’ (আল আনয়াম : ১৫২) অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘(বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরা এমন) যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না।’ (সুরা : রাদ : ২০) আরো ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ করো।’ (সুরা : নাহল : ৯১)। অঙ্গীকার ভঙ্গ করা হারাম এবং মুনাফেকি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চারটি দোষ যায় মধ্যে থাকবে সে পরিপূর্ণ মুনাফিক। আর যার মধ্যে এসবের একটি দোষ থাকবে, তার মধ্যে মুনাফেকির একটি উপাদান থাকবে, যতক্ষণ সে তা বর্জন না করে, কথা বললে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে খেয়ানত করে, অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে এবং ঝগড়া করলে সীমা ছাড়িয়ে ফেলে।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব। ১. যে ব্যক্তি অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে, ২. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করে এবং ৩. যে ব্যক্তি কোনো কর্মচারী নিয়োগ করে তার কাছ থেকে পূর্ণ কাজ আদায় করে, কিন্তু তার পারিশ্রমিক প্রদান করে না’ (সহিহ বুখারি)। অঙ্গীকার ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো নেতার আনুগত্যের অঙ্গীকার করে, তার উচিত সাধ্যমতো তার আনুগত্য করা (সহিহ মুসলিম)।

কবীরা গুনাহের এমনই বৈশিষ্ট্য যদি কোনো মানুষের একটিমাত্র কবিরা গুনাহ থাকে (অন্য কোনো গুনাহ না থাকলেও), ওই কবীরা গুনাহ থেকে যদি সে তওবা না করে এবং আল্লাহ ক্ষমা না করেন, তবে সে ব্যক্তিকে মাত্র ওই একটি কবীরা গুনাহের জন্য জাহান্নামে যেতে হবে। যদিও নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত শাস্তি ভোগের পর ইমানের কারণে ক্ষমা পেয়ে আল্লাহর দয়ায় জান্নাতে প্রবেশ করবে। কবীরা গুনাহ তওবাহ দ্বারা ক্ষমা পাওয়া যায়। কারণ হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ ভিন্ন মাবুদ নাই বলবে; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি শরিফ, ইমান অধ্যায়)। কবীরা গুনাহের শাস্তির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যেসব স্থানে জাহান্নামে ‘চিরস্থায়ীভাবে’ থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে, সেগুলোর বিপরীত বিবরণও কুরআন–সুন্নাহতে বিদ্যমান থাকায় মুজতাহিদগণ বলেছেন, ‘চিরস্থায়ীভাবে’ অর্থ হবে দীর্ঘকাল; অনন্তকাল নয়। (তাফসিরে মাআরিফুল) নবী করিম (সাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের কবিরা গুনাহওয়ালার জন্য আমার সুপারিশ থাকবে।’ (বুখারি, আল মুসনাদ)। নবীজি (সঃ.)–এর সুপারিশ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘আর অচিরেই আপনার রব আপনাকে এমন দান দেবেন, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।’ (সুরা-৯৩ দুহা, আয়াত: ৫)। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মুমিনের পাপ হয়ে থাকে। ফলে কেউ নিষ্পাপ নয়। একমাত্র নবী-রাসুলরাই গুনাহ থেকে মুক্ত। পাপ করা থেকে বড় অপরাধ হলো পাপ করার পর তা থেকে তাওবা না করা, ফিরে না আসা, অনুতপ্ত না হওয়া এবং বারবার পাপ করা। আল্লাহর প্রেমিকরা পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে ফেলেন। সবারই জানা উচিত যে পাপের অবশ্যই একটা শাস্তি আছে। যদিও আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল। মুমিনের কর্তব্য হলো ছোট–বড় সব গুনাহের বিষয়ে সতর্ক থাকা, বিশেষত কবীিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেঈমানী করা থেকে বিরত রাখুন। আমিন

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




অপ্রয়োজনীয় কাজে আপনি সময় ব্যয় করছেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে মহান আল্লাহ পাকের কাছ থকে কেয়েক মুহুর্ত
সময় প্রপ্ত হয়ে দূনিয়াতে এসেছি তার কিছুটা সময়
তার জন্য ব্যায় করাকে আমি আমার ঈমানী দায়িত্ব
বলে মনে করি। যদিও তা আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয়।
পাগলের কাছে সব কিছুই মূল্যহীন।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম প্রচারের সময়টা ছিল সামন্তবাদ, মানুষ দুনিয়ার কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন; মানুষ গুণাহ করেন না, করেন সামাজিক অপরাধা, সেটার জন্য এখন বিচার হয়; ততকালীন সময়ে ক্ষমতাসীনদের বিচার হতো না, তাই এসব রূপকথার দরকার হয়েছিলো।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কুতর্কে লিপ্ত হওয়ার নানান উপকরণের মাঝে আমাদের বসবাস। যার কয়েকটি এমনঃ
১. প্রকাশ্যে, অসময়ে এবং অনুপযোগী স্থানে উপদেশ ‘বিলি’ করা। মোটকথা অযথা পণ্ডিতি দেখানো
২. অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা। চাই সেটা নৈতিক হোক বা অনৈতিক।
৩. অবসর থাকা। কাজকর্ম না থাকলেও মানুষ কুতর্কে লিপ্ত হয়।

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সেসব বিষয়েই বারণ করেছেন, যাতে বান্দার নগদে বা
ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতি রয়েছে। তিনি মানুষকে কুতর্ক করতে নিষেধ করেছেন।
কেননা এটা অনেক অনিষ্টের জন্মদাতা।

এই জন্য জ্ঞানীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘মূর্খের সঙ্গে তর্ক করো না। নচেৎ তোমার মান-সম্মান ধূলিসাৎ হবে।’
সম্মানীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘হীন লোকেদের সাথে বিতর্কে জড়াবে না, নচেৎ তুমি অপমানিত হবে।’
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ “তুমি ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন কর, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং
মূর্খদেরকে এড়িয়ে চল।” (আ’রাফঃ ১৯৯)

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭

রামিসা রোজা বলেছেন:

মুখোশধারী শয়তান যারা মহান আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত
করুন । চমৎকার আহ্বান , আমিন ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রামিসা রোজা
মানুষ চাই্লেই কি হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পারে?
হেদােয়েত পাবার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা
করতে হবে। মহান আল্লাহ বান্দাদের তার কাছে
হেদায়েত তথা সুপথ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি তাঁর কাছে হেদায়েতের দোয়া করতে বলেছেন।
যে আল্লাহর কাছে হেদায়েত চাইবে আল্লাহ তাকে হেদায়েত
দান করবেন।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুবাহানআল্লাহ
খুব ভালো একটা লেখা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ হাসু মামা।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "পাগলের কাছে সব কিছুই মূল্যহীন। "

-আপনি এখনো সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত? একটা জাতির সাংবাদিকেরা যদি জ্ঞানী না হয়ে থাকেন, সেই জাতি সঠিক সংবাদ ও তথ্য পাবার সম্ভাবনা নেই।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সাংবাদিক যদি কোরআন সুন্নাহর
বিপক্ষে বলে তা হলেই কি তারা জ্ঞানী?
আমার ধারণা যারা কোরআন ও সুন্নাহ তে
বিশ্বাস রাখে তারাই সত্য বলার সাহস রাখে !

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "এই জন্য জ্ঞানীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘মূর্খের সঙ্গে তর্ক করো না। নচেৎ তোমার মান-সম্মান ধূলিসাৎ হবে।’ "

-আমি আপনাকে মুর্খ হিসেবে নিইনি এখনো, তাই আপনার সাথে তর্ক করছি; যেদিন বুঝবো যে, আপনি পুরোপুরি মুর্খ, সেদিন আপনার প্রশংসা করবো, আর তর্কে যাবো না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অনর্থক বাগিবতণ্ডা মানুষের অন্তর কঠিন করে তোলে। ইবরাহিম নখয়ি (রহ.) বলেন,
এটি এমন একটি দুশ্চরিত্র, যাকে সালফে সালেহীনরা খুব ঘৃণা করতেন এবং এ থেকে
অনেক দূরে থাকতেন।
আরবিতে ‘জিদাল’-এর অর্থ হলো—ঝগড়া করা ও কথা-কাটাকাটি করা।
অর্থাৎ নিজের কথা সত্য প্রমাণ করার জন্য প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করা।
আল্লামা জাজ্জাজ (রহ.) বলেন, আরবি ভাষায় ‘জিদাল’-এর প্রতিশব্দ হলো ‘মিরা’।
‘মিরা’ দ্বারা অতি নিন্দনীয় বিতর্ক উদ্দেশ্য করা হয়ে থাকে, যা থেকে বিরত থাকার জন্য
মহানবী (সা.) কঠোরভাবে নিষেধ করে বলেছেন, তোমরা পরস্পরের বিরোধিতা কোরো না;
তাহলে তোমাদের অন্তরগুলো বিভক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৮)

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেইমান এমনিতে ঘৃণিত । বেইমানের কাছে আপন পর নাই ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমরা যেন ঈমানদার হয়ে
আল্লাহর দরবারে হাৃজির হতে
পারি তার জন্য প্রার্থনা করি।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হুজুররা যেটা বালকদের সাথে মাদ্রাসায় করে সেটা কোন গুনাহ।সেটার কি মাফ আছে।প্রায় পত্রিকায় দেখি তাই প্রশ্ন।
আর যারা নামাজ পড়ে না এটাই বা কোন গুনাহ,এর সাজা কি।
হুজুররা বলে ৭২ টা হুর হাদিস বলে ৭২ হাজার হুর,কোনটা ঠিক।সুনান তিরমিজী,অধ্যায়ঃ৪১/ জান্নাতের বিবরন।হাদিস নং২৫৬৪

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ফরজ ইবাদত অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। ফলে তার গুরুত্ব অত্যধিক।
নামাজ পড়া ফরজ। নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ
শারীরিক ইবাদত। তা বর্জনের শাস্তি দুই ধরনেরঃ
১. ঐহলৌকিক শাস্তি ও ২. পারলৌকিক শাস্তি।
ফরজ ইবাদত ছেড়ে দেওয়া কোনো অবস্থায়ই জায়েজ নেই। কোনো মুমিন
বিনা কারণে ফরজ ইবাদত ছেড়ে দিলে তাকে চরম শাস্তি পেতে হবে।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "অনর্থক বাগিবতণ্ডা মানুষের অন্তর কঠিন করে তোলে। ইবরাহিম নখয়ি (রহ.) বলেন,
এটি এমন একটি দুশ্চরিত্র, যাকে সালফে সালেহীনরা খুব ঘৃণা করতেন এবং এ থেকে
অনেক দূরে থাকতেন। "

-ইব্রাহিম নকয়ি (রহ ) সাহেব কি উটের রাখাল ছিলেন, নাকি মেষ চরাতেন?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অবান্তর প্রশ্ন আপনার মজ্জাগত।
আর বোধ হয় পরিবর্তন করা যাবেনা।
তারপরেও বলবো ট্রাকে থাকুন, ভুল ট্রাকে
চলা বিপজ্জনক!!

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে বলব আমাদের পুরো দেশ কবীরা গুনাহ দিয়ে ভরে গেছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কধা সত্য !
তাইতো বেশী বেশী করে
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: কোর্ট কাচারি ভাঙ্গাইলান, গুনাহর শাস্তি আল্লাহ দিবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুনাহের শাস্তি আল্লাহ দিবেন সত্য
তবে তিনি রহমানুর রাহীম। তার কাছে
ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমাও করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.