নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজা ও রাজকন্যাঃ একটি রুপকথার গল্প

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩২


রুপকথার বিক্রমপুর রাজ্যে ছিল এক রাজা। তিনি অনেক ক্ষমতাধর হয়েও রাজা হিসেবে ছিলেন ভীষণ দয়ালু। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার ছিল অসীম ভালবাসা। প্রজাদের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা নিয়েই তিনি সারাক্ষণ ভাবতেন। ফলে সেই রাজ্যের মানুষেরা ছিল খুব সুখি। কোনো কিছুর অভাব ছিল না তাদের। তারাও তাদের রাজাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। এত কিছু হলে কী হবে! এত শক্তি যে রাজার, এত সম্পদে পরিপূর্ণ যার ভান্ডার, এত বিশাল আর মহৎ যার মন, সেই মনের গভীর কোণে ছিল এক নিদারুণ বেদনা। দারুণ অসুখি ছিলেন সেই রাজা। সব থেকেও তার যেন কিছুই নেই। তিনি যেন ভীষণ একা। সারাদিন আনমনা হয়ে থাকেন। কারণ রাজার একমাত্র সন্তান, রাজ্যের রাজকন্যা খুব অসুস্থ। সে দাঁড়াতে পারে না, বসতে পারে না। কথাও বলতে পারে না। দিন রাত কেবলই তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। রাজকন্যার বয়স পনের হলেও, তাকে দেখতে এখনও শিশুটির মতোই লাগে। ভীষণ কষ্টতার। সবার মতো সে চলাফেরা করতে পারেনা, মনের কথা বলার কোনো ভাষাও নেই তার। ক্ষুধা পেলেও কাউকে জানাতে পারেনা। জীবিত থেকেও সে যেন মৃত। সবার মাঝে থেকেও সে যেন সবার থেকে দূরে। দিন যায়, মাস যায়। ঘুরতে ঘুরতে কয়েকটা বছরও চলে যায়। রাজ্যের সব বড় বড় ডাক্তার, কবিরাজ, হেকিম-বৈদ্যদের পালা শেষ। দূর-দূরান্তের রাজ্য থেকেও বড় বড় ডাক্তারদের পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় করে নিয়ে আসা হল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। সকলেরই এক কথা। এঅসুখ কিছুতেই সারবার নয়।

শেষে রাজা আর কী করেন! মনের দুঃখে যেন সব কিছুই ভুলে গেলেন। ভুলে গেলেন তার প্রাণপ্রিয় দেশের কথা, প্রজাদের কথা, এমনকি ভুলে গেলেন আহার-নিদ্রার কথাও। তারপর একদিন রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছুনা বলে বেরিয়ে পড়লেন রাজপ্রাসাদ থেকে। সবাই যখন গভীর ঘুমেঅচেতন, তখন পোশাক পাল্টে চলে গেলেন রাজ্য ছেড়ে। দিন যায়, মাস যায়, কেউ আর রাজার কোনো সন্ধান পায় না। ঘুরতে ঘুরতে বছরখানেক পরে রাজা এসে পড়লেন এক জঙ্গলে। সে কী ভয়ংকর জঙ্গল! বাঘ, ভাল্লুক আর নানা বিষাক্ত সাপে পরিপূর্ণ সেই জঙ্গল। এদিকে রাজার ভীষণ ক্ষুধা পেয়েগেল। খাদ্যের সন্ধানে রাজা ঘুরে বেড়াতে থাকেন এদিকে সেদিকে। কিন্তুবনের ভেতরে এত গাছ, কোনো গাছে কোনো ফল নেই। অনাহারে-তৃষ্ণায় রাজার প্রাণ যায় যায়। শেষে ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নিচে বসে পড়লেন রাজা।

ঠিক সেই সময় গাছের পাশ দিয়ে কলসি কাঁখে যাচ্ছিল এক ছোট্ট মেয়ে। কী সুন্দর মিষ্টি দেখতে! ছোট্ট ফুটফুটে গোলাকার মুখে দুটি বড় বড় চোখ। আর সেই চোখে যেন রাজ্যের কৌতূহল। রাজা তো ভীষণ অবাক। কী আজব ব্যাপার! এই ভয়ঙ্কর জঙ্গলে এত সুন্দর ছোট্ট মেয়েএল কোথা থেকে? রাজা মেয়েটিকে ডাকলেন। মানুষের কন্ঠ শুনে মেয়েটি তো প্রথমে অবাক। পরে রাজাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেল। মেয়েটি এগিয়ে যেতেই রাজা বললেন-“মা, দারুণ তৃষ্ণা পেয়েছে। একটু জল খাওয়াবে?” মেয়েটি জল দিতেই রাজা যেন প্রাণে বাঁচলেন। তারপর বললেন, “কে তুমি মা? এই ভয়ঙ্কর জঙ্গলেএকা একা কী করছ? এখানে এলে-ই বা কোথা থেকে?” মেয়েটি জানাল, এই জঙ্গলের মধ্যেই একটা ছোট্ট কুটিরে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকে। বাবা মারা গিয়েছেন জন্মের আগেই। আগে মা আর মেয়ে দুজনে জঙ্গল থেকে ফুল তুলে মালা গেঁথে বিক্রি করত। মা অসুস্থ বলে, এখন তাকে একা-একাই সব কাজ করতে হয়। সারাদিন ফুল বিক্রি করে পানি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। আর তখনই রাজার সঙ্গে দেখা। মেয়েটির কথা শুনে ভীষণ দুঃখ হল রাজার। এত ছোট্ট একটি মেয়ে, অথচ কত কষ্টের জীবন তার! মেয়েটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন রাজা। এই অভাবিত স্নেহে মেয়েটি একেবারে বিগলিত হয়ে পড়ল। সে কখনও তার বাবাকে দেখেনি। এই লোকটিকে দেখে তার নিজের বাবার কথা মনে পড়েগেল। বাড়ির পাশে তার বয়সী মেয়েদের সে দেখেছে, তাদের বাবারা তাদের কত আদর করে। মেলা থেকে কত কী কিনে এনে দেয়। কী সুন্দর বাড়িতে ঢুকেই ‘মা’, ‘মা’ বলে ডাকতে থাকে। কই, তাকে তো কেউ এভাবে ডাকে না। কতদিন সে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছে। আজ এই অপরিচিত লোকটিকে দেখে তার মনেহল, তার বাবা বুঝি এমনই ছিল। তার বাবা থাকলে তাকে বুঝি এভাবেই মা বলে ডাকত! চোখ দুটো ছলছল করে উঠল মেয়েটির।

সে রাজাকে বলল, “চলুন আমাদের বাড়িতে। আমার মা আপনাকে দেখে খুব খুশি হবেন।” মেয়েটির কথায় রাজা কেমন যেন অভিভূত হয়ে গেলেন। মেয়েটির সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, একটি জীর্ণ পর্ণকুটির। ভেতরে একটা পাটি বিছিয়ে শুয়ে আছে এক অসুস্থ নারী। মেয়েটি মায়ের সঙ্গে রাজার পরিচয় করিয়ে দিল। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অনেক কথা হল রাজার। রাজা কিন্তু নিজের পরিচয় দিলেন না। কেউ বুঝতেই পারল না যে, তিনি আসলে একজন পরাক্রমশালী রাজা। কথা প্রসঙ্গে রাজা জানলেন, এই মেয়েটির জন্ম আর তার নিজের মেয়ের জন্ম একই দিনে। ভীষণ কৌতহল হল রাজার। মেয়েটির প্রতি তার আরও তীব্র মমতা তৈরি হল। সে সারাক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে সঙ্গে থাকে। তার সঙ্গে গল্প করে। তার জন্য বন থেকে ফুল কুড়িয়ে আনে। শেষে ফুল দিয়ে মেয়েটি মালা গাঁথে। এমনি করেই দিন যায়। মেয়েটিকে পেয়ে রাজা যেন সব দুঃখ ভুলে গেলেন। মেয়েটিও যেন ভীষণ খুশি। এই মানুষটিকে সেও এক সময় ‘বাবা’ বলে ডাকতে শুরু করে দিল। এদিকে এক রাক্ষস টের পেয়ে যায় ব্যাপারটি। সে ভাবে, এমন করেতো আর চলতে দেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে তো একদিন সমস্ত সত্যটাই বের হয়ে আসবে। যা করার, এক্ষুণি করতে হবে। সবার আগে মেয়েটার ঘাড়ই মটকাতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। একদিন বন থেকে রাজার ফিরতে দেরি হয়ে যায়। ওদিকে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে আসে। বাবা তো ফিরছে না। দুশ্চিন্তায় মেয়েটি ছোটাছুটি করতে থাকে। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে খুঁজতে থাকে বাবাকে। সেই সুযোগে রাক্ষসটি এসে মেয়েটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়েটি তো ‘বাবা’ ‘বাবা’ বলে চিৎকার শুরু করে দেয়। আর ঠিক সেই সময়েই রাজা এসে উপস্থিত।

রাক্ষস বধের মন্ত্রও তার জানা। বহুদুষ্টু রাক্ষসকেই এর আগে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। তিনি সরাসরি আক্রমণ করলেন রাক্ষসকে। আর যায় কোথায়, দুজনের মধ্যে শুরুহয়ে গেল তুমুল যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রের জোরে জয় হল রাজারই। রাজা যখন রাক্ষসকে প্রাণে বধকরতে গেলেন, তখন রাক্ষস কেঁদে-কেটে কাকুতি-মিনতি করে বলল, “হে পরাক্রমশালী বিক্রমপুরের রাজাধিরাজ, দয়া করে আমাকে প্রাণে বধ করবেন না। তারচেয়ে বরং আমাকে আজীবন দাস বানিয়ে রাখুন। বিনিময়ে আমি আপনাকে রাজাকে এমন এক সত্য বলব, যার কারণেই আপনার এত কষ্ট।”
কী সত্য? রাজকন্যার অসুখের পেছনে কোনো সত্য আছে নাকি? রাজার বেশ কৌতহল হল। তিনি রাক্ষসের প্রস্তাবে রাজি হলেন। তাকে না মেরে জানতে চাইলেন, সেই সত্যের ইতিহাস। রাক্ষসটি তখন বলতে শুরু করল। তার মা তক্ষোকিনী রাক্ষসী। তাকে মন্ত্রবলে বধ করেন রাজা। অপরাধ- রাজ্যের প্রজাদের ক্ষতিসাধন। তখন এই রাক্ষস প্রতিজ্ঞা করে, মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার। সবকিছুর বিনিময়ে হলেও রাজার ক্ষতিসাধন সে করবেই। আর সে জন্যই রাজার স্ত্রী যখন সন্তানসম্ভবা, তখন সে জাদুবলে রাণির গর্ভ থেকে রাজকন্যাকে সরিয়ে এই কুটিরের নারীর গর্ভে স্থাপন করেন। রাজকন্যার জন্ম হয় এই কুটিরে। এই মেয়েটি-ই আসলে রাজার মেয়ে, বিক্রমপুরের রাজকন্যা। ওদিকে রাজার ঘরে জন্ম নেওয়া অসুস্থ শিশুটি আসলে রাজকন্যার অর্ধাংশ। ওদের দুজনকে যদি কোনো পূর্ণিমার রাতে এক বিছানায় শোয়ানো যায়, তবে তারা দুয়ে মিলে সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত হবে।

রাক্ষসের কথা শুনে রাজা মেয়েটিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। মেয়েটিও তার মাকে নিয়ে ফিরে এল রাজপ্রাসাদে। বহুদিন পর রাজাকে পেয়ে প্রজারাও ভীষণ খুশি। সঙ্গে রাজকন্যা পাওয়ার খবরে তাদের তো আনন্দ আর বাঁধ মানলো না। তারপর এক পূর্ণিমা রাতে দুই রাজকন্যাকে এক বিছানায় শোয়ানো হল। পরদিন সকালে দেখা গেল, ঘর থেকে বের হয়েছে এক অনিন্দ্য সুন্দরী রাজকন্যা। দিন দিন সেবিদ্যা-বুদ্ধিতেও তার পারঙ্গমতার পরিচয় দিতে লাগল। রাজকন্যার রূপ-গুণের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ল দেশ দেশান্তরে। বিক্রমপুরে রাজা-রাজকন্যা-প্রজা সবাই মিলে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাতে লাগল। আর সেই দুষ্ট রাক্ষস? রাজার দাস হয়ে দিনরাত তাকে করতে হয় শক্ত শক্ত কাজ। এভাবেই সে তার অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করতে থাকে। সংগৃহীত

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বহুদিন পর রূপকথার গল্প পড়ে ভালো লাগলো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।
লেখায় বৈচিত্র আনার জন্যই এই প্রচেষ্টা।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ,




রূপকথা লিখেছেন । আপনার মতো সচেতন ব্লগারের শুধু রূপকথার জন্যে রূপকথা লেখার কথা নয়। নিশ্চয়ই এর পেছনে কিছু বোঝাতে চেয়েছেন।
মহাবেকুব বলে বুঝতে পারছিনে .... :(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই
রুপকথাকে রুপ কথা হিসেবেই নিবেন।
এর পিছনের কারণ অনুসন্ধান করতে
গেলে হবে শুধুই পণ্ডশ্রম!!
শ্রমের এখন অনেক দাম!

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প সুন্দর। কিন্তু আমাদের রুপকথার দুইয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রুপকথা আমাদেরকে জড়িয়ে রেখেছে
আষ্টেপিষ্টে। বেড় হতে চাইলেও সহজে কি
পারবেন?

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এইতো লাইনে আসছেন।এবার রূপকথা থেকে আস্তে আস্তে বাস্তবের কথায় আসবেন,নিজের জীবনের উপলব্ধির কথায় আসবেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাঝে মাঝে জীবনের স্বাভাবিক গতিও লাইনচ্যুত হয়।
জ্ঞানবিজ্ঞানের চুড়ায় ওঠার দাবী করলেও কি আমরা
রুপকথা থেকে বেড়িয়ে আসবার চেষ্টা করেও কি
বের হতে পেরেছি?

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিরাট বিপদ থেকে বেঁচে গেলাম।ইদানিং রাজীব সাহেব জংঙ্গলে যাবার কথা ভাবছেন,রাজাও চললো জংঙ্গলে,দুজনই বিক্রমপুরের, তার উপর আবার সুন্দরী নারী,কি জানি কি হয়।পরে দেখি, না অন্য ঘটনা,হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজা কিন্তু অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে
আবার তার দেশে ফিরে আসতে পেরেছিলেন
বর্তমনে সে সুযোগ সবার হবে কিনা জানিনা।
তবে খানসাব ইতিমধ্যেই দুই কন্যা সন্তানের
জনক হয়েছেন। তার হয়তো আর বনে জঙ্গলে
যাবার আবশ্যক হবেনা। স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে
আজীবন সুখে থাকুন তিনি।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার রূপকথায় কেন জানি একটা চরিত্র মিস হচ্ছে, তাই এটি অসম্পূর্ণ লাগছে ! আপনার প্রিয় একটি ব্লগার চরিত্র। =p~

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মানুষের চিন্তার কোন গাছ পাথর নাই।
বিশাল আকাশ ও সমুদ্রের জলরাশিও
কুল কিনারা করতে পারবেনা মানুষ যা
ভাবে। আপনি সাধু সামন্ত মানুষ আপনার
চিন্তার সীমনা নিরুপন করা এই অধমের
অসাধ্য।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যিনি লিখেছেন, উনার অনেক কষ্ট হয়েছে হয়তো

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হবারইতো কথা !!

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সুন্দর!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ
রুপকথা পড়ার জন্য!

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: এই গল্প থেকে একটা কার্টুন হলে খুবই ভালো হতো...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেউ একদিন হয়তো
এই গল্প নিয়ে কার্টুন
বানা্বে। সেই আশায়
রইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.