নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২৩


আজ ১৭ মে, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আজ। ১৮৬৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে হয় প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন ও ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেডিও টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন এর একত্রিত নাম হয় আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা (আইটিইউ)। ১৯৬৯ সালের পর থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৭৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো আইটিইউ’র কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অ্যাকলিরেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’ বা চ্যালেঞ্জিং সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করা।’ এ দিবসের এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক মহামারীসহ বিশ্বের যেকোনো জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভ জি, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে শক্তিশালী হাতিয়ার। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি মানুষকে সংযুক্ত করতে আশার বাতিঘর হিসেবে কাজ করতে পারে। করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এর বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে প্রিয়জন, স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল, স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যোগাযোগ রক্ষা করা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাসসহ বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ জীবন ও পরিবেশ সুনিশ্চিত করা। আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাও বলেন, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না এবং বৈশ্বিক তথ্য প্রযুক্তির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি খুবই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তাই সব মানুষকে বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত করতে সমন্বিত জোরালো প্রচেষ্টা দরকার। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভ জি, ইন্টারনেট অব থিংগস, বিগ ডাটা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন মানব জীবনে সমৃদ্ধি আনার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য বলেও মনে করেন ঝাও।সর্বস্তরের মানুষের কাছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল পৌঁছে দিতে সংযুক্তির কোন বিকল্প নেই। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশেও সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। তবে এ বছর করোনার বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অনলাইনে এবং বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণার মধ্যেই দিবসটির কার্যকম সীমাবদ্ধ থাকবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসি আজ বিকেলে কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
সূত্রঃ পুনঃপ্রকাশ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪০

বিজন রয় বলেছেন: ধন্যবাদ নূরু ভাই এই দিবসটি আমাদের সামনে আনার জন্য।
আপনার এভাবে জ্ঞান বিতরন অব্যাহত থাকুক।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ বিজন দাদা
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।

২| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্প্যুটিং, এগুলোর অর্থ কি? কোন ধারণা?

১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ গাজীসাব ভনিতা না করে
সরল ভাবে জিজ্ঞাসার জন্য। আপনার অবগতির
জন্য জানাচ্ছি যে, বিভিন্ন ওয়েবে, সেন্সরের মাধ্যমে, পরিবেশগত এবং
আমাদের দ্বারা সৃষ্ট সব ডাটার সমষ্টিকে বলা হয় বিগ ডাটা।
বিগ ডাটাঃ নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এখানে বিশাল পরিমাণ তথ্য নিয়ে কাজ-কারবার।
এটা এমনই বিশাল যে, গতানুগতিক ডাটাবেজের পক্ষে একে ধারণ করা সম্ভব হয় না,
তাছাড়া এসব ডাটা এত দ্রুত ও বেশি পরিমানে তৈরি হচ্ছে যে আগেরকার ডাটা
এনালাইসিসের উপায়গুলো দিয়ে এসব ডাটা এনালাইসিস করা সম্ভব হয় না। দরকার
হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি, নতুন চিন্তা। সব মিলিয়ে, যদি এমন কোন ডাটা আমরা দেখি যেটা
সাধারণ পদ্ধতিতে আমাদের পক্ষে কোথাও স্টোর বা ধারণ করে রাখা, ওই ডাটা প্রসেস
করা এবং ওই ডাটা থেকে প্রয়োজনিয় তথ্য বের করা সম্ভব না হয় তাহলেই সেই ডাটা বিগ ডাটা।

ক্লাউড কম্প্যুটিংঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিশেষ পরিষেবা বা একটা ব্যবসায়িক মডেল,
যেখানে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটিং সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার
প্রভৃতি সেবা সহজে ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার
সুযোগ প্রদান করা বা ভাড়া দেওয়া হয়।
একটি ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা যতটুকু দরকার,
ততটুকু হার্ডওয়্যার রিসোর্স কিনতে পারি। বুঝা গেলো ব্যাপরটা ?

৩| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে দিবসের অভাব নাই।
তবে সবচেয়ে বড় দিবস দুইটা। ১। জন্মদিবস। ২। মৃত্যু দিবস।

১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কত অদ্ভুত কারণ আর বিচিত্রভাবে বিশেষ বিশেষ দিন আনন্দ উদযাপন করে মানুষ তা কি জানেন।
কোনো কোনোদিন শ্রদ্ধাও জানানো হয় অন্যরকমভাবে। যেমনঃ
১। সাবানের বুদবুদ দিবসঃ প্রতি ৫ অক্টোবরে ঘটা করে সাবানের
ফেনার বুদবুদে আকাশ ঢেকে দেওয়ার দিন।
২। গাড়িহীন দিবসঃ আন্তর্জাতিক গাড়িহীন দিবসের মর্যাদা পেয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর।
৩। বিশ্ব টয়লেট দিবসঃ ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছরের ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবস।
৪। ট্যুরিস্ট গাইড দিবসঃ বিশ্ব ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশন (ডাব্লিউটিজিএ) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
ট্যুরিস্ট গাইড দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
৫। নো ডায়েট ডেঃ ১৯৯২ সালের ৬ মে ব্রিটেনে প্রথম এই দিবস পালিত হয়।
৬। বিয়ার দিবসঃ । প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম শুক্রবার বিয়ার দিবস পালন করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.