নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস আজঃ আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি

৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৭


৩১ মে বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের উদ্যোগে তামাক ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়েবাংলাদেশেও আজ নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শ্বাসতন্ত্র এবং হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। তামাক ব্যবহারে করোনারি হার্ট ডিজিজ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ২ থেকে ৪ গুণ বেড়ে যায় এবং মুখ গহ্বর, ফুসফুস, খাদ্যনালীসহ প্রায় ২০ ধরনের ক্যানসার হয়। অধূমপায়ীর তুলনায় ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে ২৫ গুণ। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী ফুসফুস সংক্রমণে (সিওপিডি) ধূমপায়ীদের মৃত্যুঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় ১৩ গুণ পর্যন্ত বেশি। সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ মহামারিতে ধূমপায়ীদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি ৪০-৫০ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে পরিবার এবং অন্যের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব অপূরণীয়। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন ৪ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ এবং এক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়া ৯৫ শতাংশ শিশুর শরীরে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওয়া গেছে, যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান। এছাড়াও তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লক্ষ ২৬ হাজারের অধিক মানুষ মারা যায়। তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ বছরে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৪৮ শতাংশ, যেখানে অতি উচ্চবিত্ত জনগোষ্ঠির মধ্যে এই হার মাত্র ২৪ শতাংশ।

বিশ্বের ৩৮ শতাংশ ধূমপায়ী বাস করে চীন ও ভারতে। তাদের অনেকেই এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানেনই না। চীনে ৩০ দশমিক ৭ কোটি ও ভারতে ১০ দশমিক ৬ কোটি ধূমপায়ী আছেন৷ অর্থাৎ বিশ্বের ৩৮ ভাগ ধূমপায়ীর বাস এ দু'টি দেশে। তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো বলেছে, বছরের পর বছর ধরে তামাক এবং অন্যান্য নিকোটিন পণ্যে শিশু-কিশোর এবং তরুণদের আকৃষ্ট করতে অত্যন্ত কৌশলী এবং আগ্রাসী প্রচারণা চালিয়ে আসছে তামাক কোম্পানিগুলো। তামাকের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। শুধু বাংলাদেশেই বছরে ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় তামাক ব্যবহারজনিত রোগে। তামাক কোম্পানির কাছে এই মৃত্যুর অর্থ তাদের ভোক্তা হারানো এবং শূণ্যতা পূরণে তারা টার্গেট করে শিশু-কিশোর ও তরুণদের। তামাক এবং নিকোটিনযুক্ত পণ্যে আকৃষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে নানা কারসাজির আশ্রয় নেয় কোম্পানিগুলো। ইউএস সার্জন জেনারেল রিপোর্ট ২০১৪ অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ সিগারেট ধূমপায়ী ১৮ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার ধূমপান করে। অল্প বয়সে তামাকপণ্যে আসক্ত হয়ে পড়লে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুসফুসের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সার, হৃদরোগ, অকাল বার্ধক্য, মানসিক অস্থিতিশীলতাসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি হয় তামাকের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, যারা কিশোর বয়সে ধূমপানে আসক্ত হয়, তাদের অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন গুণ বেশি, গাঁজায় (মারিজুয়ানা) আট গুণ এবং কোকেইনের ক্ষেত্রে ২২ গুণ বেশি। অর্থাৎ তামাক ও নিকোটিন কেবল একটি আসক্তিই নয়, এটি তরুণদের আরো অনেক বিধ্বংসী আসক্তির পথে পরিচালিত করে। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই দিবস পালিত হলেও এবং সবাই এর ক্ষতিকর প্রভাব জেনেও এর মোহ কাটাতে পারছেনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ি তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপান। হৃদরোগের কারণ হিসেবে উচ্চ রক্তচাপের পরেই তামাক ব্যবহারের অবস্থান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত হেলথ বুলেটিন ২০১৭ এর তথ্য মতে, ২০০৯ থেকে ২০১৬ সময়কালে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১.৩ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের (গ্যাটস) ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে ধূমপায়ী ১৮ শতাংশ (এক কোটি ৯২ লাখ) এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী ২০.৬ শতাংশ (দুই কোটি ২০ লাখ)। শহরের জনগোষ্ঠীর (২৯.৯ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর (৩৭.১ শতাংশ) মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার অনেক বেশি।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০১৬ সময়কালে বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর কারণের তালিকায় হৃদরোগ ৭ম স্থান থেকে ১ম স্থানে উঠে এসেছে এবং এই পরিবর্তনের হার ৫২.৭ শতাংশ। আর এই মৃত্যুর জন্য দায়ি হিসেবে তামাকের অবস্থান ৪র্থ। অথচ তামাক সেবনকারীরা যদি তাদের তামাকের ব্যয়ের ৬৯ শতাংশ অর্থ দিয়ে খাদ্য কেনে তবে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।

কি জানি কি করে কোনো মোহের ছলনায় তারুণ্য বারংবার বিভ্রান্ত হয়েছে মাদকের গোলক ধাঁধায়। অনেক সম্ভাবনার অকাল প্রয়াণ যেমন ঘটে মাদকের জন্য তেমনি স্তিমিত হয়ে যায় কত না প্রাণোচ্ছ্বাস। অসময়ে মৃত্যু কখনই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয় কারও কাছে। তারপরেও নিত্যদিনই নতুন নতুন ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদনে ভয়াবহ এক তথ্য উঠে এসেছে, তা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ই প্রতি মাসে কোটি টাকার অধিক সিগারেট বিক্রি হয়। আর এর ৯০ শতাংশই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে অনেক বেশি। বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৭ ভাগ (পরিসংখ্যান, ২০১৩) কিশোর-কিশোরী তামাক ব্যবহার করে। ধুমপানের কারণে প্রতিদিনই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অজস্র তরুণের স্বপ্ন। এক নিরীক্ষায় দেখা গেছে ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ হিসেবে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা, সেগুলো হলো কৈশোর কিংবা তারুণ্যের অহেতুক খেয়ালিপনা, বন্ধুদের অসৎ প্ররোচনা, পারিবারিক দায়িত্বহীনতা, বাবা-মায়ের সম্পর্কের বিচ্ছেদ, প্রেমের ব্যর্থতা, নায়কোচিত মনোভাব, অতি আধুনিকতার ব্যর্থ চিন্তা, নিঃসঙ্গতা, সৃজনশীলতার বিকাশ মনে করা ইত্যাদি।প্রেমে ব্যর্থ হলেই মদ গিলতে হবে কিংবা মাদক গ্রহণ করে জীবনকে দুর্বিষহ করতে হবে এমন মনোভাব কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। যে ছেলেটি কিংবা মেয়েটি আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তার জন্য অশ্রুর রোদন থাকতে পারে, স্মৃতিকাতরতার আস্ফালন থাকতে পারে, কিন্তু মাদক গ্রহণ করে তাকে ভুলে থাকার ইচ্ছেটার কোনো মানে হয় না। মনে রাখতে হবে যে ভুলে যায়, সে তো ভালোই থাকে। তাই আপনার ভালো থাকতে দোষটি কোথায়? অন্যদিকে কেউ কেউ মাদককে সৃজনশীল কাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন, যা হাস্যকর বৈ কিছু নয়। কৈশোরে অজানাকে জানার অহেতুক কৌতূহলে যে নামটি বিষাক্ত অজগর হয়ে গিলে ধরে সবাইকে, তা হলো সিগারেট। নিজেকে জাহির করা, কখনো অভিমান, হতাশা আর নিঃসঙ্গতার সঙ্গী খোঁজার ছলে দুই আঙুলের ফাঁকে আটকে যায় সিগারেট। সহজ নিঃশ্বাসের দরজায় ঢুকিয়ে দেয় বিষাক্ত খিল। তারুণ্যের মুগ্ধ পথচলায় মাদক প্রায়শই রোদেলা দুপুরের আলোতে গোধূলি হয়ে দেখা দেয়। সিগারেটে আসক্ত হলে যে রোগগুলো হতে পারে সেগুলো হলো ফুসফুসে ক্যান্সার, উচ্চরক্ত চাপ, গলব্লাডারের ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সারসহ চুল পড়ে যাওয়া, ঠোঁট ও দাঁতের মাড়ি কালো হওয়া ছাড়াও সিগারেটের আলকাতরা জাতীয় পদার্থ গলা থেকে মুখাবয়বের সৌন্দর্যহানি ঘটায়। ফুসফুস সব সময়ই নির্মল বাতাস নিতে চায়। কিন্ত ধূমপায়ীরা তার বদলে দেয় নিকোটিনের কালো ধোঁয়া। ফুসফুসকে প্রতিনিয়ত নির্মল বাতাস গ্রহণ করতে দিন। সব দ্বিধা, ভুলকে প্রশ্রয় না দিয়ে সিগারেট তথা মাদককে না বলুন।

কারন মাদক কখনই বন্ধু হতে পারে না। সিগারেটের সঙ্গে কোনো রোমাঞ্চ থাকতে পারে না।শুধু মাদকই একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। যে তরুণ সমাজ আজ মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে, তারাই কিন্তু ভবিষ্যতের নেতৃত্ব। জীবন সুন্দর, তাই সুন্দরকে আলিঙ্গন করুন ভালোবেসে। মাদক থেকে একজন তরুণকে ফেরাতে পারে তার পরিবার। সন্তানদের প্রতি বাবা-মা'র কর্তব্য সঠিকভাবে হওয়া উচিত। গাইডনেস ব্যাপারটি তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাবাকে সিগারেট টানতে দেখে অনেক সন্তান এই বস্তুটির মোহে পড়ে যায়। তাই পিতার দায়িত্ব রয়েছে সন্তানকে সিগারেটে আসক্ত না করার বিষয়ে। তাদেরকে বোঝাতে হবে তামাক কখনই কারো বন্ধু না। "তামাক করে হৃৎপিণ্ডের ক্ষয়, স্বাস্থ্যকে ভালোবাসি, তামাককে নয়"। দুনিয়াজুড়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। মাদক নিয়ে অসংখ্য সভা, মজার বিষয় হলো এই প্রচারণাগুলোতে বহু ধূমপায়ী অংশ নিয়ে থাকে। সেমিনার আর গোলটেবিল বৈঠক হলেও মাদকের ব্যবহার কখনই কমেনি। সিগারেট দিয়েই মূলত মাদকের শুরু হয়। তারপর ক্রমান্বয়ে গাঁজা, চরশ, ফেনসিডিল, হিরোইন, পেড্রোথিন আরও কত কি। সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা শব্দটি নেশার জগতকে খুব আলোড়িত করেছে। উচ্চ মধ্যবৃত্ত ও ধনী পরিবারের মাদকাসক্ত তরুণদের কাছে ইয়াবা বেশ পরিচিতি পেলেও এর ধ্বংসাত্বক বিষয়ে কতটা ভয়াবহ তা ইতোমধ্যেই অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো মনে করে, বিগত দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে এফসিটিসি স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, আইন ও বিধিমালা প্রনয়ন এবং আইন সংশোধন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। জনস্বার্থে দেশেআইন ও বিধিমালা প্রণীত হলেও কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন আরো অগ্রগতি। তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি পদক্ষেপে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। এই যুদ্ধে জয় লাভ করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মাদকের ব্যবহার, বিস্তার রোধ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তামাকের আগ্রাসন থেকে তরুণদের বাঁচানোর আহবান জানানো হবে এ দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ত্রাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সব বয়সির জন্য বিপজ্জনক হলেও ধূমপায়ীদের মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি। আরেক সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ধূমপায়ী তরুণরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষেণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে তুলে ধরা তথ্যমতে, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে বেশি। এ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশই করোনা-আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জন করতে হলে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যের দাম সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে বৃদ্ধি করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্তসহ সকল পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাসহ বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) এর মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ প্রভৃতি আইনে অন্তর্ভুক্তকরতে হবে। এবারের বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে আমাদের উপলব্ধি হোক " জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি"।
সূত্রঃ সূত্রঃ পুণঃপ্রকাশ

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা না'হয় তামাক ছাড়লেন, চীনা ও ভারতীয়দের ছাড়াবো কি করে?

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তাদের নিয়ে আপনি এত চিন্তিত কেন?
তামাক না ছাড়ার ফল চীন ও ভারতীয়রা
হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে !!

২| ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিড়িখোররা এইসব মানে না :(

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তাইতো বিড়ি খোরদের জন্য শ্লোগান,
নেশা খাবি খা
মারা যাবি যা !

৩| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগার জটিল ভাই আমাকে ব্যান করে রেখেছেন, উনার পোষ্টে কমেন্ট করতে পারছি না; আমাকে ব্যানমুক্ত করতে বলেন।

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জটিল ভাই খুব জটিল ,মানুষ
সহজে আপনাকে ছাড়বে বলে
মনে হয়না! তবুও তাকে রিকোয়েস্ট
সে যেন আপনাকে মুক্ত করে দেয় !!

৪| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

মেরুভাল্লুক বলেছেন: এমন কোন মাদক কি আছে যাতে শরীরের ক্ষতি হয় না? সায়েন্স অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে, বিজ্ঞানীদের এদিকে নজর দেয়া উচিত। গাজার কিন্তু কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। গাজা বৈধ করে দিলে সিগারেট খাবার প্রবনতা কমে যাবে অনেকেরই।

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মরুভাল্লুক ভাই কে বলে গাজায় ক্ষতি নাই ?
গাঁজা সেবনের কারণে মানসিক ও শারীরিক সব ধরনের ক্ষতি হয়।
সামাজিক দক্ষতা কমে যায়। দীর্ঘদিন গাঁজা খেলে এর ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয়।
দিন দিন গাঁজা খাওয়ার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। গাঁজা সেবনকারীরা ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়।
কখনো অতি আনন্দে আত্মহারা থাকে। আবার কখনো মনমরা থাকে। অনেক সময় কোনো কিছু
মনে রাখাতে পারে না। অর্থহীন কথাবার্তা বলে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়।
চোখ লাল হয়ে যায়। প্রথম দিকে খাওয়াদাওয়া বেশি করে। ধীরে ধীরে খাওয়ার রুচি একেবারে কমে
যায়। রক্তচাপ কমে যায়। বুক ধড়ফড় করে। ধীরে ধীরে সবকিছু থেকে আনন্দ হারায়। নিজেকে সব সময়
গুটিয়ে রাখে। ঘুমের নিয়ম বলে কিছু থাকে না। মানসম্মান ও ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়। তখন
অন্যকে আঘাত করে। অনেক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। বিনা কারণে অন্যকে সন্দেহ করে। স্বাস্থ্য ভাঙতে
ভাঙতে দুর্বল হয়ে পড়ে। হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে যৌনশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।

৫| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি স্মোক-ব্রেক নিলেন নাকি?

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি স্মোক করিনা।
ভাত ঘুমে আছি!

৬| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী চা আর সিগারেট ই আমার বিলাসিতা। এটা দুটা ছাড়তে পারব না।

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার পরীর মতো দুটো বাচ্চার
ভবষ্যতের কথা ভেবে ধুমপান ত্যাগ
করা আবশ্যক।

৭| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঘুম থেকে উঠেছেন, ভালো হলো; ব্লগার জটিকভাইকে বলেন তো আমাকে কমেন্ট ব্যানমুক্ত করে দিতে।

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আশা করি জটিল ভাই এখােনে এলে
আপনার আকুতির যথাযথ মূল্যায়ন
করবেন।

৮| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

রবিন.হুড বলেছেন: জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, সুন্দর সু-স্বাস্ত্য জীবন গড়ি। সকলকে ধূমপান বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হতে হবেভ সামাজিকভাবে সকল ধূমপায়ীদের বয়কট করতে হবে এবং এর ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আলোচনা করে সবাইকে সতর্ক করতে হবে।

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ রবিনহুড
আপনার মতো সবাই যদি এমন
করে ভাবে তবে অবশ্যই মাদকমুক্ত
হবে সোনার বাংলাদেশ !

৯| ৩১ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি বিড়ি ফুকি না

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি গুড বয় !!

১০| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: এখানে দেখি দেদারছে গাজা খায়।নিষেধ নেই

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার জন্য কোন কিছুই নিষেধ নাই!
যত খুশি গাজাপাতা, তামাকপাতা, কাঠালপাতা
খেতে পারেন মনের হরষে !!

১১| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:




সাঁকোতে লোক দিয়ে, আপনি খেয়েদেয়ে ঘুম?

০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সাঁকো আবার কে নাড়া দিলো?
শক্ত করে খুটি ধরে থাকুন !!

১২| ০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমার জন্য না করো জন্যই নিষেধ নেই।আমার অনেক কিছুতেই ডাক্তারের নিষেধ আছে।গরুর মাংস খাওয়াও নিষেধ আছে।

০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যখন কোন নিষেধ নাই তা হলে
গাঁজাই শুরু করেন। জানেনতো
গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়ে যায়।

গরুর গোস্ত আপনার জন্য্ নিষেধ !!
তা হলে অন্য প্রাণির মাংশ হয়তো
আপনার জন্য্ নিষেধ নয় যা
মুসলমানদের জন্য হারাম!

১৩| ০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ চাঁদগাজী আপনার কোন কথায় হয়তো ব্লগার জটিল ভাই খুবই মর্মাহত তাই কমেন্ট ব্যান করেছেন বলে আমার মনে হয়।





ধূমপান সত্যিকার অর্থে খুবই খারাপ একটি অভ্যাস কিন্তু যারা ধূমপান করেন তারা সহজে ছাড়তে পারেন না।

০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাই
কারো কথায় মর্মাহত হলেও
তার কণ্ঠরোধ করা ঠিক নয়।
জটিল ভাই তার জবান খুলে দিন!!

ধুমপান ত্যাগ করা মোটেই কঠিন কাজ নয়।
তবে যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য চাই মনোবল এবং ধৈর্য।
মনের জোরে ধৈর্য ধরে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে
এই কঠিন কাজটিও সহজ হতে পারে। জেনে নিন সেই সহজ
ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোঃ
১। মধুঃ
মধুর বেশ কিছু ভিটামিন ও প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেয়ার
পাশাপাশি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে
নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু সেবনের মাধ্যমে ধূমপান ছাড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না।
২। আদাঃ
ধূমপানের নেশা ছাড়াতে চাইলে আদার ব্যবহার করা যেতে পারে। আদা চা বা কাঁচা আদা
নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। ধূমপানের ইচ্ছে হলেই যদি এক টুকরো
কাঁচা আদা মুখে দেয়া যায় তাহলে ধূমপানের ইচ্ছা প্রশমিত হবে অনেকটাই।
৩। মূলাঃ
১ গ্লাস মূলার রসের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে দিনে দুবার করে নিয়মিত খেলে ধূমপানের
ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও ধরনের নেশামুক্তির ক্ষেত্রে
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মূলার ওপরই ভরসা রাখেন।
৪। লঙ্কা গুঁড়োঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাভাবে যদি নিয়মিত লঙ্কা গুঁড়ো খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের
ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমতে থাকে। এক গ্লাস জলে অল্প
পরিমাণ (এক চিমটে) লঙ্কার গুঁড়ো ফেলে সেই পানি পান করা যায়, সেক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া
যেতে পারে।
৫। আঙুরের রসঃ
ধূমপানের ফলে শরীরের ভেতরে নিকোটিনের মাধ্যমে জমতে থাকা টক্সিন বেরিয়ে গেলেই ফুসফুসের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ধূমপানের ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। আর আঙুরের রস ফুসফুসকে
টক্সিনমুক্ত করতে সাহায্য করে।

এই পদ্ধতিগুলো জানার পরও একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য চাই মনোবল
এবং ধৈর্য। মনের জোরে ধৈর্য ধরে এই পদ্ধতিগুলোর যে কোনও একটা মেনে চলতে পারলেই সুফল মিলবেই।

১৪| ০১ লা জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ছয় বছরের সঙ্গী ছিলো এই বদভ্যাস । যখন দেখলাম আগের মতো দৌড়ে ঝাপিয়ে খেলতে পারছিনা, বুড়িয়ে যাচ্ছি তখনই ধুম করে ছেড়ে দিলাম।খাবারের টেস্ট ফিরে আসা শুরু হলো, গন্ধ ফিরে আসা শুরু হলো এবং লুকিয়ে স্মোক জোন তৈরি করার ঝামেলা কমে গেল। যারা ছাড়তে পারছেন না। তাদের জন্য টিপস। ব্যায়াম বা দৌড় শুরু করুন। বুঝতে পারবেন আপনি নিজের কি ক্ষতি তৈরি করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। অনেক টাকা সেভ হয়ে যাবে। হিসেব করে ঐ টাকার নিজেকে গিফট দিতে ভুলবেন না। সবাই যাতে এই পরাধীনতা থেকে মুক্তি পায় এ কামনা করি।

০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মনের জোরে ধৈর্য ধরেই আপনি সফল হয়েছেন।
দৃঢ় মনোবল থাকলে ধুমপান ছাড়তে কোন বাধাই
বাধা মনে হবেনা। আপনাকে ধন্যবাদ ৎৎৎঘূৎৎ আপনার
দৃঢ় মনোবলের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.