নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'চা\' নিয়ে চেচামেচিঃ \'চা\' সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য !

০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০৪


চা যারা ভালোবাসেন তাদেরকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই যে Every time is tea time, every place is tea place. ক্লান্তিতে অবসাদে চায়ের বিকল্প কিছু হতে পারে না। একজন চা প্রেমীর দিনের শুরুটা হয় চায়ের সাথেই আবার দিনের শেষের ক্লান্তি দূর করার জন্য ‘চা’-ই চাই। একজন চা প্রেমীর দিনের শুরুটা হয় চায়ের সাথেই আবার দিনের শেষের ক্লান্তি দূর করার জন্য ‘চা’-ই চাই। চা খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। এমন অনেকেই আছেন যাদের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। তাছাড়া মেহমানদের আপ্যায়নে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় চা ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। সারাদিন আপনার পান করা পানীয়র মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কি কি? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো যে কয়েটি পানীয়র নাম বলবেন তার মধ্যে চা- অন্যতম। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়র একটি এই চা। চা পানের শুরু চীনে ২০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে। যত ধরনের চা আছে সবই তৈরি হয় ক্যামেলিয়া সিনেসিস থেকে। এই চির-হরিৎ গুল্ম বা ছোট গাছ থেকে পাতা এবং পাতার কুঁড়ি সংগ্রহ করে তা চা উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যকার পার্থক্যগুলো উদ্ভিদের চাষের ধরণ, পরিস্থিতি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াতে ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের চাহিদার কারণে গত তিন শতাব্দীতে এর পাতার ধরণে পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে, কিন্তু এর আবেদন একই রয়ে গেছে।। উটের কাফেলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিপ্লব এমনকি পারলৌকিক জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে - চা মানবজাতির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই প্রিয় পানীয় চা সম্পর্কে এমন অনেক চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে যা হয়তো সবচেয়ে বেশি চায়ে আসক্ত ব্যক্তিটিও জানেনা। ধূমায়িত এক কাপ চায়ের পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ ইতিহাস। চায়ের আবিষ্কার হয়েছে একটি চমকপ্রদ ঘটনার মাধ্যমে কথিত আছে যে পানীয় হিসেবে চা আবিষ্কার ছিল একটি দুর্ঘটনা। চীনা সম্রাট শেন নুংস এর গরম পানির কাপে একদিন হঠাৎ করেই একটি পাতা পড়ে। আর এভাবেই চা আবিষ্কার হয়। পরবর্তী বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই তা পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ধারণা করা হয়, পানির পরে এটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ভোগ্য পানীয়। চায়ের রয়েছে নানা রকমফের। কারোর লেবু চা, কারোর আদা ও লেবু মেশানো চা, কারোর শুধু লিকার চা, কারোর দুধ চা, কারোর আবার চা-কফি-দুধ মেশানো চা পছন্দ। এছাড়া সিলেটের রয়েছে সাত রঙের চায়ের ঐতিহ্য। এই চা কিন্তু ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। টি ব্যাগও আবিষ্কৃত হয়েছে ঘটনাক্রমে। ১৯০৮ সালে থমাস সুলিভান নামের এক ব্যক্তি তার খদ্দেরদের জন্য টি ব্যাগের স্যাম্পল তৈরি করেন। তার ধারণা ছিল চা বানানোর সময় ব্যাগটি খালি করা হবে। তবে খদ্দেররা মনে করেন টি ব্যাগটি গরম পানিতে চুবিয়ে তা থেকে রস বের করে বানাতে হবে। আর এভাবেই টি ব্যাগ আবিষ্কৃত হয়। ব্রিটিশ আমলে রাতের খাবারের সঙ্গে এটি পরিবেশন করা হতো। আর ব্রিটিশরা সাধারণত উঁচু টেবিলের ওপর বসেই রাতের খাবার খেতেন। সেখান থেকেই হাই টি নামটিও আসে। চা সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

১। চা আসে যেখান থেকেঃ
সব চা আসে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে। যত ধরনের চা আছে; সবই তৈরি হয় ক্যামেলিয়া সিনেসিস থেকে। এই চিরহরিৎ গুল্ম বা ছোট গাছ থেকে পাতা এবং পাতার কুঁড়ি সংগ্রহ করে তা চা উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যকার পার্থক্যগুলো উদ্ভিদের চাষের ধরন, পরিস্থিতি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা রয়েছে।
২। ২০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে চীনে চা পানের শুরুঃ
মধ্য চীনের ইয়াং লিং সমাধিস্তম্ভে প্রাচীনকালে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে যেসব নৈবেদ্য দেয়া হতো তার মধ্যে পাতা দিয়ে তৈরি শুকনো কেক দেখা যেতো। এইসব পাতার মধ্যে থাকা ক্যাফেইন এবং থিয়ানিন প্রমাণ করে যে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে ছিল চা পাতা যা কিনা মৃতদের সাথে দিয়ে দেয়া হতো তাদের পারলৌকিক জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে। দুশো বছর আগে এভাবে চায়ের ব্যবহার হওয়ার সময়কালের কথা জানা যায়।
৩। ধর্মীয় অভিজ্ঞতাঃ
জাপানে, চা আসে চীন থেকে ফিরে আসা জাপানি ধর্মগুরু এবং দূতদের হাত ধরে। সেটা ষষ্ঠ শতকের দিকে এবং দ্রুত তা ধর্মীয় শ্রেণীর মানুষদের পছন্দের পানীয় হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। আর গরম পানির সংস্পর্শে এসে হালকা সবুজ রং ধারণকারী গ্রিন টি, কয়েক শতাব্দী ধরে সংস্কৃতিবান এবং উচ্চবিত্ত সমাজের মানুষদের কাছে প্রাধান্য পেয়ে আসছে। পনেরো শতকে চায়ের সংস্কৃতির সাথে বৌদ্ধ ধর্ম-ভিক্ষুরা পরিচিত হয় চীন থেকে। কিন্তু জাপানিরা একে তাদের নিজস্ব রীতি-প্রথায় রূপ দেয়, যা একটি প্রায়-ধর্মীয় সামাজিক প্রথায় পরিণত হয়।
৪। ভারতবর্ষে চা গাছের আগমনঃ
সপ্তদশ শতকে চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরলে ব্রিটিশদের চায়ের জন্য অন্য দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যারা বিশ্ববাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো তারা একজন স্কটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী রবার্ট ফরচুনকে নিয়োগ করলো। যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশি বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করতেন এবং সেগুলো পরে অভিজাতদের কাছে বিক্রির করা হতো। তার উপর দায়িত্ব পড়ল গোপনে চীনে যাওয়ার জন্য এবং সেখান থেকে ভারতে চা গাছ পাচারের জন্য। উদ্দেশ্য ভারতবর্ষে বিকল্প একটি চা শিল্প গড়ে তোলা। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি ২০ হাজার চা গাছ ও চারাগাছ চীন থেকে দার্জিলিং-এ রপ্তানি করেন।
৫। দুধ চায়ের উৎপত্তি
ভারতে প্রচুর পরিমাণে জন্মানো চায়ের উদ্ভিদটি ছিল ক্যামেলিয়া সিনেনসিস অসমিকা নামে একটি উপ-প্রজাতির উদ্ভিদ। গ্রিন টি'র চেয়ে আসাম টি বেশি স্বাদযুক্ত কালো রং-এর ছিল। সাধারণভাবে প্রাথমিক ইংলিশ ব্রেকফাস্টের অন্তর্ভুক্ত আসাম চা-এর রং কড়া থাকায় তা লোকজনকে দুধ সহকারে পান করতে প্ররোচিত করেছিল। বর্তমানে ব্রিটেনে সাধারণ ইংলিশ ব্রেকফাস্ট বা প্রাত:রাশের সঙ্গে চা দুধ দিয়েই পান করা হয়। কিন্তু ইউরোপ মহাদেশের অন্যান্য স্থানে চায়ের সাথে দুধ খুব কমই পরিবেশন করা হয়।
৬। কফির চেয়ে জনপ্রিয় চাঃ
ঐতিহ্যগতভাবে তুরস্ক বিশ্বের বৃহৎ চা বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। কৃষ্ণ সাগরের উপকূলের উর্বর ভূমি থেকে অধিকাংশ টার্কিশ ব্ল্যাক টি আসে। তুর্কী কফিও বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তবে তুরস্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হল চা। শুধু তুরস্কেই নয়, সারাবিশ্বে কফির চেয়ে জনপ্রিয় হলো চা।

এবার বাংলাদেশে চায়ের ইতিহাস। উনিশ শতকের ঢাকায় বিত্তশালীদের মাঝে চা জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন আর্মেনীয় ব্যবসায়ীরা। ১৮৪৩ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রথম চা তৈরি এবং পান করা হয়। পঞ্চাশের দশকে বাংলাবাজারের মোড়ে মেহেরবান রেস্টুরেন্ট চা বিক্রিতে খ্যাত হয়েছিল। ফুলবাড়িয়ার মোড় হতে সদরঘাট পর্যন্ত চায়ের প্রচারণা শুরু করেছিল ব্রিটিশরা। মাটির পাত্রে ঢেলে তারা গরম চা বিতরণ করত। ঘোড়ার গাড়ি, ঠেলাগাড়িকে সাজিয়ে এবং ব্যান্ড বাজিয়ে তারা জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করত। শুরুর দিকে তেমনটা সাড়া পায়নি। পেনসিল, ক্যালেন্ডারের মতো ছোট ছোট উপহার যখন দিতে শুরু করল, তখন জনতার ভিড় বাড়ল। তত দিনে বিনে পয়সা থেকে বিক্রির বাজার উন্মুক্ত হলো। ক্রমে দুধের দোকানগুলো পরিণত হলো চায়ের দোকানে।বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে। সিলেট অঞ্চলের সুরমা নদী উপত্যকা পূর্ব বাংলার চা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এর চাষ নিম্ন ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) এবং উত্তর বঙ্গের পঞ্চগড়েও শুরু হয়। নওয়াব আবদুল গনি ১৮৬০-এর দশকে বাইগুনবাড়িতে (বর্তমান সাভার উপজেলায়) ৩০ বিঘা জমি পরিষ্কার করে সেখানে চা চাষ করেন। ১৮৬৭ সালে সেখান থেকে আড়াই মণ চা পেয়েছিলেন। নওয়াব আহসানউল্লাহ সেই চা-বাগানকে আরও উন্নত করেন। ১৮৯২ এবং ৯৩ সালে ঢাকা থেকে যথাক্রমে ৪ হাজার ৭০৯ মণ এবং ১ হাজার ৩৮৫ মণ চা-পাতা কলকাতায় রপ্তানি হয়েছিল। রপ্তানি করা এ চায়ের একটা বড় পরিমাণ উৎপন্ন হয়েছিল নওয়াবের ওই চা-বাগানে। দেশভাগের পর নওয়াবপুরের আমজাদিয়া, আমিনিয়া রেস্তোরাঁয় মালাই চায়ের প্রচলন শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দুধ-চিনির মিশ্রণকে ঘনীভূত করে এই চা তৈরি হতো। ১৯৫১ সালে পাকিস্তান টি বোর্ড গঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে চা প্রেরণের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরবদের সমর্থনে মিসরকে বিমানভর্তি চা পাঠান। বিশ্বের অনেক দেশ চা উৎপাদনে বিখ্যাত। সে তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, তানজানিয়া। নব্বই দশকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে আমাদের চা বিশ্বের মাঝে ছিল পঞ্চম। ২০১৯ সালে এসে সেই রপ্তানি নির্ভরতা পুরোপুরি আমদানি নির্ভরতায় পরিণত হয়েছে।

উপকারিতা-অপকারিতা মিলেই সারা বিশ্বে চায়ের রাজত্ব। অনেকে বলে চায়ের নাকি কোনও গুণ নেই!! ভুল কথা। কারণ চায়ের গুণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেই খুব বেশি জানি না। আজকাল বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্যানসার রোধেও চায়ের উপকারিতা পাওয়া যায়। অবশ্য এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। তবে চায়ের কিছু উপাদান প্রাণিকোষের ডিএনএ সুরক্ষায় কাজ করে। এর ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত হারবাল টি খেলে শরীর সব দিক থেকে ভালো থাকে। শুধু তাই নয়, নানা ধরনের জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের তুলনা হয় না। আর চায়ের আছে এক অভাবনীয় আকর্ষণ।চায়ে আছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা খুব কার্যকর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘সি’-এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা ডিএনএ সেলকে এমনভাবে সুরক্ষা দেয়, যেন ক্যানসারের প্রভাবে এর রূপান্তর না ঘটে। চায়ের আরো কিছু উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হলঃ
১। চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
২। চায়ে ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকে।
৩। চা হার্টকে ভালো রাখে।
৪। চা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫। চা মাইগ্রেন-এর কষ্ট কমায়।
৬। চা নার্ভ-কে শান্ত করে।
৭। চা যন্ত্রণা কমায়।
৮। চা ইউ ভি রেডিয়েশনের হাত থেকে বাঁচায়।

এবার জানি চা পানের অপকারিতার বিষয়েঃ
চা পানের কিছু অপকারিতাও রয়েছে যেমনঃ লাল বা সবুজ চা যে ধরণেরই হোক না কেন, তা উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করে। খাবার খাওয়ার আগে এর পান করলেও হজমে বাঁধাগ্রস্থ হয় এবং খাবার থেকে প্রয়াজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না। তাই খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করবেন না। কারণ চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ এতে বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনের সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এটি শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ। চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না এর মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়োফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। প্রতিদিন কতটুকু চা পান করা উচিত তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা হয়েছে। আপনি ক্যাফেইন ওভারডোজ না করে এটি পান থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারেন। ডা. কৌরি বলেন, ‘গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে তিন থেকে চার কাপ পান করতে পারেন।’ অধিকাংশ গবেষণার আলোকে এটা বলা যায় যে, সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত পান না করাই ভালো, প্রতিদিন চা পান ৪ কাপের মধ্যে সীমিত রাখুন।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চাচায় চা চায়
চাচী চ্যাঁচায়
চা চড়াতে চায় না চাচী চচ্চড়ি চুলায়।

চাচার চিকন চাকন চেহারাটা চান্দিটা চচকচে
চরণের চামড়ার চটি, চীনা চশমা চোখে
চাচা চিরকালই চালাক চতুর চাটুকারিতায়।।

চাচায় চায়রে চা চানাচুর চাচী চিড়া-চাল
চাচা-চাচীর চেঁচাচেচি চলছে চিরকাল
চাছা চটা চেছে চাচা চাচীরে চটায়।।

চাচী চাচার চাল চলনে চটে চড়া চোখে চায়
চাচীর চোখের চাহনিতে চাচা চমকায়
চাচার চেয়ে চাঈ চালু চিন্তা-চেতনায়।

চাচায় চা চায়
চাচী চ্যাঁচায়
চাচীর চাবিতে চলে চাটুকার চাচায়।।

———–
নকুল কুমার বিশ্বাস

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নকুল কুমার বিশ্বাস
সত্যি্ই এক জিনিয়াস !!

২| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: চা আমি আপনাকে দুইটা তথ্য দেই-
১। কবি নজরুল এক দিনে ৮০ কাপ চা খাওয়ার রেকড আছে।
২। আমি এখন চা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। সারা দিনে ৫ কাপ খাই।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কবি নজরুলের সেই রেকর্ড কি আর কেউ ভাঙ্গতে পেরেছে?
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালোনয়। যেমন অতিরিক্ত সুন্দরীরা
কোন কাজের নয়!! =p~

৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:



নো চা, নো আড্ডা
নো আড্ডা, নো লাইফ
চা = লাইফ


০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খাটি কথা কইছেঁন আপনি!!
চা ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল !

৪| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: চা পছন্দ করি, ভালো চা খুব কম লোক বানাতে পারে। আমার প্রিয় একজন মানুষ আছেন যিনি অনেক ভালো চা বানান, অনেক দিন হলো তার হাতের চা পান করি নাই।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সুস্বাদু চা-এর স্বাদ-গন্ধের তুলনা নেই।
তবে চা বানানোর কিন্তু কিছু নিয়ম আছে।
সে নিয়ম ঠিকঠাক ফ্লেভার পাওয়া যাবে।
চা খোর হলে নেত্রকোনা শহরের মুক্তারপাড়ায় মুখলেসের
৫৯ পদের চা পান করেতে পারেন। মরিচ চা, বেল চা, কমলা চা,
মাল্টা চা, জাফরান চা, লবণ চা, জবা ফুলের চা, পাটপাতার চা,
শিউলিপাতার চা, বাসকপাতার চাসহ ৫৯ পদের চা পাওয়া যায় এখানে।
চায়ের দাম ৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ১০ টাকার চা-ই বেশি।
১০০ টাকা দামের চায়ের নাম ‘মামা স্পেশাল মধু চা’। মধুর সাথে ৫০ থেকে
৬০ রকমের মসলাও দেওয়া হয় ওই চায়ে।
এবার বলি দুধ চায়ের কথা। দুধ চায়ের যে কত রকমফের
আছে, তার হিসাব নেই। যেমন ধরুন, দুধ–চা, মালাই–চা,
আদা দুধ–চা, বেশি দুধের চা, দুধ-চিনি কম চা ইত্যাদি।
সবই কিন্তু দুধের সঙ্গে চায়ের মিশেল।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: লেখা পইড়া এখন এক কাপ চা খাইতে মন চাচ্ছে

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই মশলা চা খাবেন ?
তা হলে নড়েচড়ে বসুন !!
বিভিন্ন মসলা দিয়ে বাইয়ে ফেলতে পারেন যুতসই মসলা চা।
খুসখুসে কাশি বা ঠাণ্ডা লাগায় আরাম দেয় এই চা। জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ
সবুজ এলাচ- ৫টি
দারুচিনি- ১ টুকরা
চিনি- স্বাদ মতো
দুধ- ১ কাপ
গোলমরিচ- ১টি
লবঙ্গ- ৪টি
চা পাতা- ২ চা চামচ
আদা গুঁড়া- ১ চা চামচ
আদা- মিহি করে কাটা কয়েক টুকরা
প্রস্তুত প্রণালি
এলাচের খোসা ফেলে ভেতরের মসলা বের করে নিন। সব মসলা একসঙ্গে গুঁড়া করে ফেলুন মিহি করে।
প্যানে ৪ কাপ পানি গরম করে চা পাতা দিন। চাইলে আধা চা চামচ গ্রিন টি পাতাও দিতে পারেন ব্ল্যাক
চায়ের সঙ্গে। গুঁড়া করে রাখা মসলা ও চিনি দিন। দুধ ও আদা গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। নামানোর
আগে আদা কুচি দিয়ে মৃদু জ্বালে রেখে দিন কয়েক মিনিট। পরিবেশন করুন গরম গরম। মজা পাইলে
ধন্যবাদ দিয়েন!

৬| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ কি এখন চা আমদানী করে?

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

প্রশ্নফাঁস জেনারেশন
অনুুগ্রহ করে লেখাটি
মনোযোগ সহকারে পুনরায়
পড়ুন উত্তর পেয়ে যাবেন।

৭| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আস্তে, "আমদানী নির্ভরশীল" ও আমদানী করা একই অর্থ বহন করে না।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

গুরু মশাই বাংলাদেশে চা উৎপাদন বাড়লেও চা আমদানি কমেনি।
চা বোর্ডের হিসাবের চেয়ে বাস্তব চাহিদা বেশি হওয়ায় চড়া শুল্ককর
পরিশোধ করে চা আমদানি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
২০১০ সাল থেকে চা আমদানি শুরু হয়। চা বোর্ডের হিসাবে, ২০১৫
সালে ১ কোটি ১৪ লাখ কেজি চা আমদানি হয়, যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
বাজারে চাহিদা আছে বলেই চা আমদানি হচ্ছে। যখন চাহিদা থাকবে না,
তখন আমদানিও হবে না। কারণ, এই আমদানি চা বাজারে বিক্রি করার
জন্যই আনা হয়।

৮| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

জটিল ভাই বলেছেন:
চা নিয়ে চেঁচামেচি বা প্যাঁচাপ্য্ঁচির চাইতে চামচামিটাই বেশি এখন।
গরু সরি গুরুর পা চাটিয়া এক কাপ চা পাইলেই চ্যালার চাঁদ বদন!

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনিই কি সােঁকো নাড়ান।
কানাই তুমি সাঁকো নাড়াও কেনে
রঙে রসিয়া কানাই সাঁকো নাড়াও কেনে !!

৯| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাঁকো নাড়তে বলেননি?

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমিতো সাঁকো নাড়াইনা !
সাঁকো বাতাসে নড়ে।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,




চা নিয়ে চার কথা জানলুম।
ধূমায়িত এক কাপ চা'য়ের পেছনে যেমন রয়েছে চমৎকার ইতিহাস তেমনি রয়েছে চা-শ্রমিকের অস্থি-চর্ম সার শরীরের ঘাম ও দীর্ঘশ্বাস।

আমারও দিনটা শুরু হয় চা দিয়ে। আমার পছন্দ দুধ চা।

দ্বিতীয় লাইনের শেষ বাক্যটি দু'বার এসেছে।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একসময় আমারও দুধ চা পছন্দের তালিকায় ছিলো।
এখন নানান শারীরিক জটিলতার কারণে লাল চা বা
রং চায়ের কাছে পরাজিত!!

১১| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কবি নজরুলের সেই রেকর্ড কি আর কেউ ভাঙ্গতে পেরেছে?
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালোনয়। যেমন অতিরিক্ত সুন্দরীরা
কোন কাজের নয়!!


না সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারে নি। কেউ যদি চেষ্টা করে তাহলে বমি করতে করতে মরবে।
শেক্সপিয়ার বলেছেন, সুন্দরী নারীদের মধ্যে সততা আশা কড়া ভুল।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


শেক্সপিয়ার খা্টি কথা বলেছেন
কিন্তু মানুষ তা যেনেও তাদের
কাছে তাই আশা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.