নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথ্য যোদ্ধা সায়মন ড্রিং আর নেই !

২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১০


বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের অন্যতম পথিকৃত সায়মন ড্রিংএকাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝুঁকি নিয়ে যিনি পাকিস্তানি বাহিনীর নিধনযজ্ঞের খবর বহির্বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সেই বন্ধু, সাংবাদিক সায়মন ড্রিং আর নেই। গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যু হয় বলে তার আত্মীয় ক্রিস বার্লাস। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। সায়মন ড্রিং স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নানা দেশের অসংখ্য সহমর্মী মানুষ। যুদ্ধের মাঠে, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে, শরণার্থীশিবিরে, প্রতিবাদে বা জনমত গঠনে কঠিন সেই সময়ে তারা ভূমিকা রেখেছেন। তাদের একজন সাইমন ড্রিং। সায়মন ড্রিং একমাত্র সাংবাদিক, যিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের ভয়াবহতা ও নৃশংসতার শুরু থেকেই প্রতিবেদন করছিলেন।বাংলাদেশ থেকে তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও তিনি পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার-১৯৭১।

ইংল্যান্ডের নরফোকের ফাকেনহাম নামক এক ছোট্ট শহরে ১১ জানুয়ারি, ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন সাইমন ড্রিং। সেদেশের কিংস লিন টেকনিক্যাল কলেজে পড়াশুনা চলাকালে ১৬ বৎসর বয়সে গৃহত্যাগ করেন তিনি। ১৯৬২ সালে বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ভারত ভ্রমণ করেন। রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে সায়মন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করা সায়মন ড্রিং। রয়টার্সের হয়ে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে ১৯৬৪ সালে তিনি চলে যান ভিয়েতনামে। তিনিই তখন রয়টার্সের সর্বকনিষ্ঠ বৈদেশিক সংবাদদাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্চের ৬ তারিখে কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় চলে আসেন। তখন তিনি দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছিলেন। সে সময় পাকিস্তানি জান্তা বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য করলেও তিনি গোপনে থেকে যান। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হোটেলেই লুকিয়ে ছিলেন। ২৭ মার্চ সকালে কারফিউ উঠে গেলে হোটেলের কর্মচারীদের সহযোগিতায় ছোট্ট একটি মোটরভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এরপর লেখেন ‘ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’ শিরোনামের এক প্রতিবেদন। যা গণহত্যার বিস্তারিত ওঠে আসে। যা নজর কাড়ে বিশ্ববাসীর। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন হিসেবে একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুতে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ৷ বলা হয়ে থাকে, তার হাত ধরেই টেলিভিশন সাংবাদিকতা নতুন মাত্রা পেয়েছিল বাংলাদেশে। ২০১২ সালে সোনারগাঁও হোটেলে ‘স্মৃতি ৭১’ অনুষ্ঠানে একাত্তরের সেই গল্প শুনিয়েছিলেন সায়মন ড্রিং। ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালিও ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে৷ তাদের দুজনকেই মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশনায় কিংবদন্তি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধু সাইমন ড্রিং মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
সূত্রঃ The newage

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: টিভির নতুন দিগন্তের সূচনা করিছিলেন উনি।ওনার মৃত্যুতে শোক জানাই

২২ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একুশে টিভির নতুন দিগন্তে এক উজ্জল নক্ষত্র !
কিন্তু তার বিদায় হয়েছিলো খু্ব ন্যাক্কারজনক ভাবে।
আসলে আমরা দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সত্যকে
গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরীতে সক্ষম হয়নি।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৪

আজব লিংকন বলেছেন: রেষ্ট ইন পিছ

২২ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজব লিংকন ।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশে বর্তমানে যে খবর পরিবেশনা ও টিভি রিপোর্টিং দেখি, তা শুরু হয় একুশে টেলিভিশনে, যার মূল পরিকল্পনাকারী সায়মন ড্রিং। একুশে টেলিভিশন বন্ধ হয়ে গেলে সায়মন ড্রিং অত্যন্ত মনক্ষুণ্ণ অবস্থায় এ দেশ ছেড়েছিলেন। একুশে টেলিভিশনের বেশিরভাগ সাংবাদিক, রিপোর্টার তখন জয়েন করেন এনটিভিতে। এজন্য এনটিভির মান এখনো পর্যন্ত প্রথম কাতারে। একুশে টিভি আবার চালু হলো যখন, ততদিনে বাংলাদেশে অনেক চ্যানেল হয়ে গেছে, যেগুলোর প্রচার ও সুনামও একুশে টিভিকে ছাড়িয়ে গেছে।

অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিঙের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আমাদের অন্তরে।

বিষয়টি শেয়ার করার জন্য নূরু ভাইকে ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সোনাবীজ ভাই
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাংলাদেেশের
মিডয়া ভূবনের স্বপ্ন পুরুষ সায়মন ড্রিং সম্পর্কে
চমৎকার মূল্যায়নের জন্য। একুশে টিভি এমনকি
বাংলাদেশ থেকে চলে যাবার অনেক পরে কাজ করার
সুযোগ পেয়েছিলাম তার যত্নের হাতে গড়া একুশের
স্বপ্নপুরীতে! দেখেছি প্রতিটি বিভাগ কি য্ত্ন করে সাজিয়ে
ছিলেন তিনি। তার চলে যাওয়াতে সত্যি আমি দারুনভাবে
শোকাহত!! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫১

গফুর ভাই বলেছেন: সায়মন ড্রিং সে সময় দেশ ছাড়ল তার অন্যতম কারন ছিল পাকিস্তানি প্রেতাত্মা প্রেমি সরকারের মুখ্য ভুমিকা ছিল।

২২ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গভুর ভাই সত্য বড়ই নির্মম
কেউ সহজে নিজের অপকর্মের
কথা স্বীকার করতে চায়না তাইতো
নানান ফন্দি ফিকিরে সত্য যিনি প্রকাশ
করে দেন তার উপর খড়্গ হস্ত হই !!

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৫

নিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন: Rest in peace.

২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.