নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার ভাষা - একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের অহংকার

সবাইকে স্বাগতম

নাজির

সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি।

নাজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণী ওসমানীর ২৯ মৃত্যুবার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আজকের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এই মহান বীরের কথা কয়জনে জানি বা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭



আজ খুব মনে পড়ছে জেনারেল ওসমানীর সেই ঐতিহাসিক উক্তি- যখন তুখোড় ট্যালেন্ট বাংগালী ছেলে ওসমানীকে জেনারেল রেঙ্ক দিতে বাধ্য হয়ে পাকি জেনারেল তাচ্ছিল্য করে বলেছিল ‘তোমার হাইট যেখানে রিকয়ারমেন্টের থেকে কম সেখানে কীভাবে সাহস কর জেনারেল রেঙ্ক নিতে?’

ওসমানী সোজা তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল- ‘Napoleon was two inches lower than me!!’



সেই জেনারেলের চেহারা তখন কেমন হয়েছিল কল্পনা করে খুশীতে গর্বে যে আমরা উদ্দীপ্ত হয়ে উঠি।



আজ মরহুম বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি লন্ডনের সেন্টপল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এই বীর। ২০ ফেব্রুয়ারি সামরিক মর্যাদায় তাঁর ইচ্ছায় তাঁকে শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। তিনি এখানেই শায়িত।





মরহুম বঙ্গবীর আতাউল গণি ওসমানী এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর জীবন কর্মকালীন এবং চিন্তা-ভাবনা দেশ ও জাতির জন্য উত্সর্গ করে অমর হয়ে রয়েছেন এ দেশবাসীর হৃদয়ে।

খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও জুবেদা খাতুনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক স্থায়ী নিবাস সিলেট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বালাগঞ্জ থানার দয়ামীর নামক স্থানে।

পিতার চাকরির সূত্রে তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই কিছুদিন পর বদলির আদেশ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে হয় গোহাটিতে৷ আর সেখানেই ওসমানীর প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হয়৷ তিনি ১৯২৩ সালে 'কটনস্ স্কুল অব আসাম'-এ ভর্তি হন ৷ অসাধারণ মেধাবী ও বহু গুণের অধিকারী বালক ওসমানী স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতেন৷ ১৯৩২ সালে ওসমানী সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট স্কুলে ভর্তি হন৷ ত‍কালীন সময়ে সিলেটের এই স্কুলটি 'ক্যালকাটা ইউনিভর্সিটির' অধীনে ছিল৷ ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে৷ সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷ এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম. এ. জি. ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৩৮ সালে।তিনি নিজ মেধা বলে ১৯৩৯ সালে ক্যাডেট হিসেবে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তারপর ১৯৪০ সালে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি দেরাদুন থেকে সামরিক শিক্ষা শেষ করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশন অফিসার হিসেবে নিয়োজিত হন। নিজ কীর্তি ও কার্যকলাপের মাধ্যমে যোগ্যতা প্রদর্শন করে ১৯৪১ সালেই দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে ক্যাপ্টেন ও ১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে মেজর পদে উন্নীত হন। এত অল্প বয়সে এ পদের মর্যাদা এর আগে আর কোনো সেনা অফিসারের ভাগ্যে জুটেনি। এটা এক বিরল সম্মান।





দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ওসমানী বিভিন্ন রণাঙ্গনে অত্যন্ত বীরত্ব, ত্যাগ, সাহস ও রণনৈপুণ্যের পরিচয় দেন। এরই মধ্যে তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে আইসিএস ক্যাডারে নিযুক্তি লাভ করেন। কিন্তু জওহরলাল নেহরু কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়েও তিনি কূটনৈতিক পদ গ্রহণের প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন।



১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে পাক সেনাবাহিনীর গঠন কাজে শরিক হন। এ সময় তিনি দক্ষতা, সাহসিকতা ও ধৈর্যের সঙ্গে কর্তব্য পালন করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন। জেনারেল ওসমানী বিভিন্ন বিভাগে সমন্বয়, কার্যনীতি, অধীনস্থ বিভাগের অফিসার আমলাদের নিয়োগ, পরিকল্পনা ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ওসমানী এ সময় থেকে বিভিন্ন ব্রিগেডের ট্রেনিং টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসার নিযুক্ত হন এবং বিভিন্ন সেনাদলকে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল শিক্ষাদানে তত্সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা, যুদ্ধ প্রস্তুতি, পরিচালনা সম্পর্কে উন্নত প্রণালী অবহিত করান।



চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতা ওসমানী ১৯৫১ থেকে ’৫৫ সালের ভেতর বিভিন্ন সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোরসহ এ অঞ্চলের সেনানিবাসগুলোর স্টেশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালের মে মাসে কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং দেশ রক্ষা পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের সংযোজন কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ সময় তিনি সেন্টো ও সিয়াটোর বিভিন্ন বৈঠকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রতিনিধি ও মুখপাত্র মনোনীত হন। ১৯৬৪ সালের সামরিক বিভাগের আধুনিক ব্যবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন মূল্যায়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ক্ষেপণাস্ত্র, গোলন্দাজ, সাঁজোয়া, পদাতিক বাহিনী ও বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের অস্ত্রের বিপক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পেন্টাগনে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ১৯৬৫ সালে ওসমানী পাক-ভারত যুদ্ধে পশ্চিম রণাঙ্গনে ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুটি ব্যাটালিয়নের স্থলে ৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন করেন। অনেক প্রতিরোধ ও প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েও তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উন্নয়ন এবং সেনাবাহিনীতে বাঙালি সৈন্যের কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে সফলকাম হন।

পাক সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের আগে ওসমানী তত্কালীন সর্বাধিনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে পাকিস্তানের বাঙালি সৈন্যদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে সুচিন্তিত ও বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রদান করেন।



১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন করার জন্যে স্বাধীনতা শুরু হয়। এই সময় সাধারণ মানুষ, ছাত্র, আনসার, পুলিশ, ইপিআর এবং বাঙালি সেনাসহ সব বাহিনীর লোক নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ওসমানী অত্যন্ত ধৈর্য, দক্ষতা, সতর্কতার সঙ্গে জাতির এ বিপর্যয়ের সময় মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। অসীম সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতার জন্য ১৯৭১ সালে ১২ এপ্রিল ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং সংখ্যা বিবেচনা করে ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ মে মাসের পর তাঁর মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন করে প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করেন।

মুক্তির সংগ্রামে এম, এ. জি. ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এম. এ. জি. ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷ কিছুদিন পর এম. এ. জি. ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা যুবক নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তাঁরা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটা সঙ্কট এম. এ. জি. ওসমানী অনুভব করেন। সেটা হচ্ছে তাঁর হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার, ও একটি অটার আর তাঁর নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷

পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন।





আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না বা থাকতে পারেননি তার সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা তার পক্ষ থেকে কোনো দিন পাওয়া যায়নি। তাঁর অনুপস্থিতি পরবর্তীতে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটিকে "দুঃখজনক" বিষয় হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময় জেনারেল ওসমানী মুক্ত এলাকা সিলেটে অবস্থার করছিলেন এবং ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে তাঁকে ঢাকায় আনার জন্য প্রেরিত হেলিকপ্টারটি ভুল পথে চলে গিয়েছিল।

জেনারেল ওসমানীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও রণকৌশল অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দুর্ধর্ষ পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী আজ আমাদের মধ্যে নেই। মৃত্যু সবার জন্যই অনিবার্য। কাজেই তাঁর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, গণতন্ত্রের আপোষহীন সৈনিক, আজীবন গণতন্ত্রী, সংকল্পে অটল, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, পরমতসহিষ্ণু, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও সময়ানুবর্তিতার আদর্শ পুরুষ আতাউল গণি ওসমানী কখনও কোন ধরনের লোভ-লালসার শিকার হননি। স্পর্শ করতে পারেনি কোন অসাধু পন্থা। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশই ছিল তার আজীবন এক সাধনা। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং জাতির সংকটময় মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে দেশকে আশু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। জাতির সংকটময় মুহূর্তে তার মত জাতীয় নেতা বাংলাদেশে বড় বেশি প্রয়োজন।



আমাদের মুক্তির জন্য, আমাদের স্বাধীনতার জন্য, আমাদের জাতিসত্তার মর্যাদার জন্য যারা আত্মোসর্গের ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন আমরা তাদের জন্য কি করতে পেরেছি? যে ওসমানী সময়ানুবর্তিতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ধারক ও বাহক ছিলেন, যিনি মূল্যবোধ সৃষ্টির অনুকূলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন—যিনি নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির ক্রান্তিলগ্নে বৃহত্তর স্বার্থে, সার্বিক কল্যাণের জন্য শতবাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে এসেছেন বেঁচে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত, তাঁর জন্য মৃত্যুর পর আমরা কি করতে পেরেছি? তাঁর মহান আদর্শকে, তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় দৃষ্টান্তগুলোকে আমরা যদি কিছুমাত্র অনুসরণ করতে পারি এবং নিজের জীবনে তাঁর অমূল্য আদর্শের সামান্যতম প্রতিফলন ঘটাতে পারি তবেই তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব হতে পারে।



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০

টুটুল২০০৮ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । মনে করিয়ে দেবার জন্য।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

নাজির বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

সরলপাঠ বলেছেন: ঘৃনা হয় নিজের উপর যখন দেখি আন্দোলনের রাজনীতিতে আমিও এই মহান দিবসটিকে ভুলে বসে আছি।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ককে সম্মানিত না করা বর্তমান সময়ে সবছেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

নাজির বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের এই মহান বীরকে আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না।

ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

পথহারা সৈকত বলেছেন:



সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সবুজ সালাম।


সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সবুজ সালাম।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

নাজির বলেছেন: সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সবুজ সালাম।


সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সবুজ সালাম।


ধন্যবাদ পথহারা সৈকত

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার পোষ্ট টা এত সুন্দর হয়েছে যে প্রিয়তে নিতে বাধ্য হলাম।


আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১

রমিত বলেছেন: সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সালাম।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

নাজির বলেছেন: রমিত বলেছেন: সালাম তোমায় হে প্রকৃত বীর..........তোমায় সালাম।

মহান মুক্তিযুদ্ধের এই মহান বীরের প্রতি বাংলার কোটি জনতার পক্ষ থেকে সালাম।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১

রমিত বলেছেন: ভালো পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

এস এইচ খান বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণী ওসমানীর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

নাজির বলেছেন: আমিন।

ধন্যবাদ এস এইচ খান ভাই

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

শাহেদ সাইদ বলেছেন:
ভাল পোষ্ট

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

ধূসর সময় বলেছেন: আশা করি আজ শাহবাগে তাকে নিয়ে কিছু কথা শুনতে পাবো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

নাজির বলেছেন: শাহবাগ কেন জাতীয়ভাবে কোথায় কোন অনুষ্টান হয়েছে বলে আমার চোখে পড়েনাই।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

মশামামা বলেছেন:



ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'

ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

রাহী আবদুল্লাহ বলেছেন: ওসমানী আবার কে! এখন বাংলাদেশ মানেই শাহাবাগ, বাংলাদেশ মানেই রাজীব।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

নাজির বলেছেন: রাজাকারের ফাসি চাই। সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের আত্মত্যাগ ও প্রচেষ্টায় ও যারা ৯মাস যুদ্ধকরে এই দেশকে স্বাধীন করেছে তাদেরও রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া যথাযোগ্য মর্যাদায় মুল্যায়ন চাই।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

টয় বয় বলেছেন:
-

ডিজ্যুস শাহ বাগীরা এই সব জানে ??????

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

নাজির বলেছেন: কোন যুদ্ধাপরাধীর স্থান এই বাংলায় হতে পারেনা


রাজাকারের ফাসি চাই।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

নাজির বলেছেন: মশামামা কবিতা ভাল হইছে। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৯

ধূসর সময় বলেছেন: আমরা এই ৪২ বছরে শুধু যে রাজাকারদের বিচার করতে পারি নাই তা নয়। আমার আমাদের নায়কদের ও ভুলে গেছি। আজ বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা মারা যায়। সবাই শুধু নিজের স্বার্থে স্বাধিনতা যুদ্ধকে ব্যবহার করে গেল আর আমরা আমজনতা আমজনতাই থেকে গেলাম। সচেতান নাগরিক আর হতে পারলাম না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

নাজির বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহান এই বীরের মৃত্যু বার্ষিকীতে পত্রিকা, টিভি, ব্লগ বা ফেসবুকে তেমন একটা আয়োজন দেখলাম না । অথচ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী যদি আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপির হতেন তাহলে উনার মৃত্যুবার্ষিকীতে টিভি, পত্রিকা, ব্লগ ফেসবুকে আলোচনার ঝড় বইতো জেনারেল ওসমাণিকে স্মরণ করে অনেকের চোখের পানি মুছার দৃশ্য টিভিতে দেখা যেত। আফসুস আজকে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধের বীরদের স্মরণ করা হয়।

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

বিপদেআছি বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের এই মহান বীরকে আমার লালসবুজ সালাম ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

নাজির বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের এই মহান বীরকে আমার লালসবুজ সালাম

ধন্যবাদ

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

জালিমের দুশমন বলেছেন: এই মহান বীরের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ জালিমের দুশমন

নামকে আপনার কাজ দিয়ে অমর করে রাখবেন এই আশা রাখি

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ৪++++++++++++++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ আমরা তোমাদের ভুলব না

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।

এই মানুষটাকে কেন যেন সবাই এড়িয়ে চলেছেন।
:(

মহান বীরের প্রতি স্যালুট।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ জাওয়াদ তাহমিদ। ভাল থাকবেন।

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

শায়মা বলেছেন: +++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

নাজির বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.