নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে ও শুনতে এ পথচলা। কুসংস্কার ও কুরসম দূর হয়ে সত্যের শুভ সকাল হোক; এমনটাই কামনা করি। ইহকাল পরকালে যা কিছু সত্য তা-ই আমার ধর্ম; আমার বিশ্বাস।
দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসায় রেলের জমি, হেফাজতের ব্যাখ্যা
চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার জমি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি। রোববার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে হেফাজত ইসলামের প্রচার বিভাগের মাওলানা আবু রায়হানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
মাদরাসার জমি নিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার পক্ষ থেকে রেলওয়ের জমি লিজ নেয়ার জন্য আইনসিদ্ধভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। আইনসম্মতভাবেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জমিগুলো মাদরাসাকে বরাদ্দ দিয়েছে। তারপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জমি দখলে পাওয়ার পর মাদরাসার নামে সাইনবোর্ড ও খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সম্পূর্ণ রেলওয়ের জমিগুলো হাটহাজারী মাদরাসার কাজে ব্যবহৃত হবে। আহমদ শফী ও তার পরিবার কিংবা হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক এই জমির সাথে নেই। সুতরাং রেলওয়ের জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো হেফাজতে ইসলাম গঠিত হওয়ার অনেক আগের বিষয়। জমির লিজ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সাথে হেফাজতের কথিত সমঝোতার প্রচারণা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।’
হেফাজত নেতারা বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী এমন একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি- যিনি প্রায় শতায়ুর দ্বারপ্রান্তে এসেও তার জীবন ও চরিত্রে কোনো প্রকার কালিমা লাগেনি। দুনিয়ার কোনো লোভ তাকে কখনো স্পর্শ করেনি। তিনি একজন মহান বুজুর্গ, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, মুফাসসিরে কোরআন, আধ্যাত্মিক নেতা ও বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিগত ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল ঐতিহাসিক লংমার্চ ও ৫ মে ঢাকা অবরোধে শাপলা চত্বরে এদেশের কোটি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছে। যা বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। তার মতো এমন মহান ব্যক্তি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করার দুরভিসন্ধিতে কিছু মিডিয়া সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণের যে জঘন্য মিথ্যাচার করছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’
হেফাজত নেতারা আরো বলেন, ‘আহমদ শফীকে ঘায়েল করার জন্য তার সুযোগ্য ছেলে হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীর নামে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে আল্লামা শফী ও হেফাজতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্তি ও হতাশা সৃষ্টি করে হেফাজত ভাঙার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ব্যবহার করে মাওলানা আনাস মাদানী বা হেফাজতের কোনো নেতা সরকার বা কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে আঁতাত করে নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার এই বৃহৎ ঈমানি আন্দোলনকে নস্যাৎ করার কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের সাথে জড়িত নয়। যারা এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা প্রকারান্তরে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছেন।’
সরকারের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাহ আহমদ শফীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তার অর্থ সরকারের সাথে আঁতাত করা বা কোনো আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা নয়। যারা এহেন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকার জন্য সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার প্রতি আমরা বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’
©somewhere in net ltd.