নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

অবাকবিস্ময়২০০০

অবাকবিস্ময়২০০০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প -- রুপা ও তার দীর্ঘশ্বাস

১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গভীর রাতে রুপার ফোনে ঘুম ভাঙ্গে শাওনের ।। রুপা ধরে আসা গলায় কিছুটা চিন্তার উপস্থিতি পেয়েও গলাভারী করে অনীহা দেখায় শাওন । মাত্র ঘুমটা শুরু হয়ে জমে উঠেছিল বলে কিছুটা এরকম আচারন । ইদানিং অনেক আগেই ঘুমিয়ে যায় শাওন । আর রুপা তার অভ্যাসটা ছাড়তে পারেনি । শাওন ঘুমিয়ে গেলেও রাত জেগে কি যেন চিন্তা করে রুপা । দেখতে দেখতে তাদের সম্পর্কটা ৬ বছরের শেষের দিকে । অথচ যেই রুপা এখন শাওনকে রাত জাগাতে পারে নাহ , সেই শাওনই কত অনুনয় করে এক সময় রুপার কাছ থেকে কয়েক মিনিট চেয়ে নিত

ভার্সিটিতে বিভাগের প্রথম গ্যালারী রুমে শাওনের সাথে প্রথম দেখা রুপার । ছিপছিপে কাবু দেহটার উপর চারকোনা মুখটায় বিধাতা তার সব চেষ্টাই দিয়েই মনে হয় গড়ে তুলেছেন রুপাকে । প্রথম দেখায় যে কোন ছেলের ভালো লাগতে পারে রুপাকে । শাওনের ও সে রকম লেগেছিল । অনেক চেষ্টার পর শাওন রুপার ফোন নাম্বার পায় । কিছুটা লাজুক স্বভাবের শাওন মনে মনে অনেক পছন্দ করে ফেলে রুপাকে । অনেক সাহস সঞ্চয় করে একদিন প্রপোজ করলেও রুপা কখনোই তাকে পাত্তা দেয় নি । শাওনও লেগে ছিল অনেক দিন । এক সময় বন্ধুত্তের সর্তে শাওনের সাথে রুপার বেশ জমে ওঠে ঠিক ই কিন্তু কখন যে তা প্রেমের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল রুপা তা মনে হয় বুঝে উঠতে পারে নি ।

রুপাকে অনেকেরই ভালো লাগত । সুন্দরী মেয়েদের আসে পাশে অনেক অপশন থাকে , থাকে বেছে নেয়ার অনেক সুযোগ । অনেক গুলা প্রপোজ ও পায় রুপা । ওদের গ্রপে এরকম একজন ছিল যার সাথে রুপার বন্ধুত্ব অনেক বেশি গাড় । যে কথাগুলো সে শাওনের সাথে শেয়ার করত নাহ সেগুলো ও সে শেয়ার করত নিলয়ের সাথে । নিলয় ছেলেটা একদম সহজ-সরল । এরকম ছেলে এই যুগে খুঁজে পাওয়া অনেকটা লিভিং ফসিল হাতে পাওয়ার মতন । এরকম ছেলেদের উপর মেয়েদের এক প্রকার ভাললাগা কাজ করে কারন সরলতার মতন আকৃষ্ট করার মতন গুন মনে হয় পৃথিবীতে আর একটাও নাই । নিলয় কখনো তার মনের কথাগুলো রুপার কাছে শেয়ার করেনি কারন জানতো রুপাকে কখনোই তার পাওয়া হবে নাহ ।

এরকম ভাবে আরও কয়েক বছর কেটে যায় । হটাত একদিন নিলয়ের সাথে টি. এস. সি তে রুপার দেখা । চমকে ওঠে রুপা , এতদিন পর তার প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা । PHD করতে যাওয়ার করনে রুপার বিয়েতে আসা হয়নি নিলয়ের ।। বাচ্চাটা অনেক কান্না কাটি শুরু করলে দূর থেকে চিৎকার শোনা যায়—“বাবু কাদে ক্যান ?? ওকে ঠিক মতন দেখে রাখতে পার নাহ , কি সব ক্রিটিকাল মেয়েরে বাবা “ নীলয় পরে জানতে পারে উনি রুপার স্বামী আরমান সাহেব । বয়সে অনেক বড় হলেও ভদ্রলোক ম্যাজিস্ট্রেট ।। নীলয় চমকে যায় শাওনকে ছাড়া যেই রুপা কিছুই ভাবতে পারতো নাহ সেই রুপা কিভাবে আরমান সাহেবের গলায় মালা পরাল ।

ভাবতে ভাবতেই আরমান সাহেবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় রুপা । নীলয় অনেকটা অবাক হয় কারন রুপার সাথে কোন ভাবেই যেন উনার ম্যাচ হয়না । বৃদ্ধ আর খাট একটা লোক আর মনে হয় সব সময় রুপাকে ডমিনেট করে ।

ভার্সিটির পড়ালেখা শেষ হলে যখন রুপার বিয়ের জন্য অনেকগুলা অফার আসে ঠিক সেই সময় ই ক্যান জানি রুপার পরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে শাওন । আর রুপাও অনেক গুলা বিয়ে অনেক কষ্টে ভেঙ্গে দেয় কিন্তু শাওন কোন ভাবেই রুপাকে ম্যানেজ করতে পারেনি । নির্বিকার হয়ে এক সময় রাগে estabilished আরমানকে বিয়ে করে ফেলে রুপা । বিয়ের পরে শাওন রুপাকে অনেক মিস করো , তার পৃথিবী অর্থহীন মনে হোতো –কিন্তু রুপারা এক বার চলে গেলে আর ফিরে আসে নাহ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: কিছুটা মিলে গেল আমার সাথে; বহুত বুঝায়ে শুনায়ে গার্লফ্রেন্ডকে অন্যের কাছে গছায়ে দিছি।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

অবাকবিস্ময়২০০০ বলেছেন: আহারে ভাই ! ব্যাপার নাহ আপনি আবার গছিয়ে নিন ! ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.