![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনটা যেন এক পথের পথিক, সীমানার শেষ নেই। শুধু পথ অতিক্রম করা যায়, তবুও সীমান্ত পাওয়া যায় না।
চর্মরোগ না থাকলেও কিছু মানুষের চামড়ায় এলার্জি নিয়ে বাস করার স্বভাব। অর্থ, খ্যাতি, জাত ও যৌনতার প্রশ্নে এদের শরীর এতটাই চুলকায়; ঝান্ডু বামেও আরোগ্য লাভ অসম্ভব। ক্ষুধা নিবারণে হিংস্রতায় এরা হায়েনাকেও হার মানায়, সেইটা হোক পেটের কিংবা চ্যাটের। এদের শরীর উত্তেজনা এতটাই প্রবল; পৌষের শীত উপেক্ষা করে চৈত্রের দুপুরের বিবস্ত্র বেশ নেয়াটা তুড়ির ব্যাপার। কোমরের কাপড় হাঁটু পরিমাণ নামালেই হল, আর দরকার একখানা অন্ধকার সুড়ঙ্গ। তাদের জন্য দুনিয়ার তামাম সুখ যেন ঐ সুড়ঙ্গে খোদায়িত। দণ্ড ঢুকানোর যায়গা হলেই হল, সেইটা অবলা জীব, নারী-পুরুষ অথবা দুধেল শিশুরই হোক না কেন?
এই সুড়ঙ্গের সুখ ছিনতাইকারীদের হাতে সোপর্দ করতে গিয়ে কত প্রাণ অকালে শ্মশানে গিয়ে আদমশুমারি থেকে নাম কাটিয়েছে তার হিসাব এখন অব্দি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়নি। তাদের দু’একজন সভ্য সমাজের অসভ্যতায় বলিদান হয়েও জীবনকে ধারণ করে আছে ঠিকই, তবে ভারসাম্যহীন সেই বাঁচা মৃত্যুর চেয়ে কম যন্ত্রণাদায়ক নয়।
এই পশু গুলোর শিরায় সুঁই সিধাতে গেলে কুঠার ঢুকানোর হাঁক ডাকে, কিন্তু ভুক্তভোগীদের শরীরে বাঁশ ঢুকানোর চিৎকার শুনে লালসার ঢেঁকুর তোলে। শিকার গুলো যখন কান্নাজড়ানো কণ্ঠে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়, তখন এরা বাংলা ছবির খলনায়কের হাসি উপহার দিয়ে সমবেদনা জানায়। অথচ নিজস্ব নারীদের গায়ে কেউ আঁচড় দিলে আঘাতটা ঠিক হৃদপিণ্ডে গিয়ে লাগে, তখন শত্রু দমনে এক একটা সুপারম্যান হয়ে উঠে।
আমাদের সভ্য সমাজে পতিতালয়ের স্থান আজও বর্তমান তার নেপথ্যে আমরাই। যদি আমি, আমার বাবা কিংবা ভাই পতিতালয়ের চৌকাঠ না মাড়াতাম তবে ঐ নিষিদ্ধ পল্লীর স্থানে মুয়াজ্জিনের আযান কিংবা গির্জার ঘড়ির শব্দ শুনতাম। তেমনি এই সুড়ঙ্গ উপাসক কুকুর গুলো আমাদের স্বজনদেরই কেউ, তাইতো পত্রিকায় রেড হেডলাইনে বলাৎকারের নৃশংসতা দেখে দুই ঠোঁটের ফাঁকে কুকুর ডাকার শব্দ তুলে আফসোস করি, কিন্তু কুকুর গুলোর বিপক্ষে প্রকাশ্যে আপোষহীন হতে পারি না।
পিচ ঢালা কালো রাস্তায় অনাদরে পড়ে থাকা ব্যবহিত চুইংগাম হয়ে স্যান্ডেলের সোলে লেপ্টে যাওয়ার কষ্ট আপনি-আমি বুঝবোনা, কিন্তু প্রতি ধাপ পায়ের তলায় পিষ্ট হওয়ার অসহনীয় তীব্র যন্ত্রণার জ্বালা চুইংগাম আর ধর্ষিতরা ঠিকই বোঝে।
গরুছাগলের মুখ থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে কৃষক বেড়া ব্যাবহার করে, কিন্তু সেই বেড়াই যদি ফসল সাবাড় করে, তাহলে নির্বাক অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ ছাড়া কৃষকের কিছুই করার থাকে না। তেমনি কিছু গরুছাগল আপনার বাড়ীর চার দেয়ালের ভীতরে আপনারই নাকের ডগায় বসে অবুঝ সন্তানের সতীত্ব শ্রাদ্ধ করে আদর-ভালবাসা শিরোনামে চালিয়ে দেয়, আপনি কৃষকের মতই নির্বাক দৃষ্টি নিয়ে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেন, উচ্ছ্বাসিত হন সন্তানের প্রতি গরুছাগলের ভালবাসা দেখে। কিন্তু সেই ভালবাসার গভীরতা আপনার সন্তানের কোমরের নিচে কি বুকের উপরে উঠেছে তার হিসাব খতিয়ে দেখেন না।
দুপুরবেলায় চিকন চালের বিরিয়ানি খেয়ে দাঁতের দুই ফাঁকে খিলাল ভরে আরামচে ঘুমানোর তোরজোড় করছেন, সাথে সফুরার মাকে ডাকিয়ে পানে চুন মাখিয়ে দাঁতের তলে ডলছেন, কিন্তু খেয়াল রেখেছেন কি, ভর দুপুরে আপনার কিশোর ছেলে খেলার বাহানায় বাড়ীর বাহীরে গিয়ে কোন মাংসাশী কুকুরের কামড় খাচ্ছে?
যদি জানতেন কুড়ি টাকার কিটক্যাট চকলেটই আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সকাল-বিকাল অবিরত ধর্ষণ করে যাচ্ছে। তবে নিশ্চয় এই জিনিষ প্রতি রাতে বাসায় এনে সন্তানের আবদার রক্ষা করে চকলেট লোভী বানাতেন না। বড়জোর দশ সদস্যর অভিভাবক কমিটি গঠন করে সমস্ত চকলেট ফ্যাক্টরি বন্ধ করার আন্দোলন নিয়ে রাস্তায় নামতেন। দাঁড়ান, আগে নিজের লুঙ্গীর গোছা টাইট মারেন, পরে মাঠে নেমে আন্দোলন চালান। এরচেয়ে ঢের ভালো, পাশের বাড়ীর মাঝবয়সী মোতালেব মিয়ার ঘর তল্লাশি চালান, দেখতেও পারেন প্রতি বিকেলে চুইংগাম, চকলেট অথবা টম এন্ড জেরিতে লোভাতুর হওয়া কেউ একজনের পশ্চাৎদেশের ভার সোফায় সইতে না পেরে এখনো খাদ ধরে রেখেছে। আরেকটু ভাল করে তাকিয়ে দেখুন, কয়েক ফোঁটা রক্ত দানা বেঁধে শুকিয়ে আছে সেখানটায়, আরে ঘেন্না করছেন কেন? স্পর্শ করে দেখতে পারেন, এই রক্তের গ্রুপ আপনার মতই এ “নেগেটিভ”।
মোতালেবের চৌকাঠ ছেড়ে আসতে গিয়ে দেয়ালের কণ্ঠে শুনতে পাচ্ছেন কোন শিশুর বেদম চিৎকারের প্রতিধ্বনি? ছিপছিপে ছোট্ট দেহে ঢেঁড়স ঢুকানোরও অযোগ্য যায়গায় জোরসে সবরি কলা ঢুকানোর অপচেষ্টায় উপচে পড়া প্রাণের চিৎকার আপনার চেনা মনে হচ্ছে না তো? এত চিন্তা করছেন কেন, বাসায় গিয়ে ছেলের হাফ প্যান্টের পিছনটায় দেখলেই উত্তর পেয়ে যেতে পারেন।
দস্যিপনায় আপনার ছেলে, সুনীলের সন্তুর মত শান্ত নয়, রবীন্দ্রনাথের ফটিকের মত চঞ্চল তা আপনি ভাল করেই জানেন। আম গাছ কি কাঁঠাল গাছের কালচে কষের দাগ দিয়ে হাফপ্যান্টের পিছনে ট্র্যাফিকজ্যাম লাগিয়েছে তা আপনার অচেনা নয়, কিন্তু সেই দাগ বুকে নিয়ে রক্তাক্ত এক মানচিত্র ঠাহর করতে পারছেন তো? এই চিত্র কোন স্বাধীন দেশের ভৌগলিক রেখা অনুসরণে নয়, বড়জোর আপনার গাফেলতিতে শিশু নির্যাতনের নৃশংসতার মানচিত্র। আপনার নির্ভীক দুরন্ত ছেলেকে কারো মাথার দিব্যি খাইয়ে মুখবন্ধ করানো অসম্ভব, তাহলে সে ছেলেই প্যান্টের মানচিত্রের ব্যাপারে কোন দেবতার দোহাইতে স্বরনালী থেকে বর্ণমালা খুইয়ে নিশ্চুপ ছিল? তার উত্তর আপনি যেমন রাখেন না তেমনি আপনার সন্তানও জানে না।
রাতের অতিথিকে ভগবানের আসন দিয়ে সন্তানের বিছানায় ঠেলে দিয়েছেন, সেই ভগবান আপনার সন্তানকে যৌনতার শূলে চড়িয়ে পূজার প্রসাদ বানিয়ে ভোগ করছেন না তো? আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমচ্ছেন, কিন্তু আপনার সন্তানের গাড় ঘুম ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসছে হাতে ধরিয়ে দেয়া মাংশদণ্ডের গরমে। বুকের উপর আসন পেতে বসা জানোয়ার আদর-শিক্ষা নামে কামসূত্র শিখাচ্ছে আর জড়িয়ে ধরার কলা কৌশল আয়ত্তে নিচ্ছে আপনার অবুঝ সন্তান। জানোয়ারের গরম নিশ্বাসে আপনার শিশুর যৌনাঙ্গ শিথিল থাকলেও গায়ের পশম খাঁড়া হয়ে মস্তিষ্কে ভাল লাগার শিহরণ তৈরি করছে না তো? পরবর্তীতে এই ভালো-লাগায় বলিদান হয়ে স্বাভাবিকতার বিপরীত লিঙ্গে আসক্ত না হয়ে আপনার উপহার দেয়া সমলিঙ্গের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে গেলে কি করবেন?
আপনার সন্তান বাড়ীর বাহিরে গেলে চিন্তার বলি রেখায় মুখে কালো মেঘ জমিয়ে তুলে, সেই মেঘের কালো রঙ সন্তানের বস্ত্র-তলে ঢেকে রাখা যৌনাঙ্গের অবস্থান অনুযায়ী গাঁড় কিংবা হালকা হয়। কিন্তু শুনেছেন কি, “পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়” প্রবাদটির মত আজকাল ছেলে-মেয়ে উভয় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়?
মিছিলে বয়ে চলা হাজার মানুষের মাঝে একজন হা করে ম্যানহোলে পড়ে পটল তুললে মিছিলের কিচ্ছু যায় আসবে না, কিন্তু যে মায়ের বুক খালি হয় সে বোঝে সন্তান হারানোর ব্যথা। আপনার অসাবধানতা আর অবহেলায় অকালে আপনার সন্তান যেমন ভারসাম্যহীন হয়ে মৃত্যুর কোলে ঝুলতে পারে, তেমনি একটুখানি সচেতনতায়ই গড়তে পারে সন্তানের নির্ভীক ভবিষ্যৎ। যে সন্তান একবার শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে ধর্ষণের শিকার হয়, তার স্বাভাবিক জীবন প্রত্যাশা করা আর ঘরে বসে কাঞ্চনঝকা দেখা সমান কথা। মনে রাখবেন,
শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের উপর যৌনাঙ্গ ঘষলেই মানুষ ধর্ষিত হয় তা নয়, কারো কারো লালসিত দর্শনেও ধর্ষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
**
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
নীল লোহীত বলেছেন: ভাই অনেক ধন্যবাদ লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য।
অভ্যাসগত ভাবেই লাইন বাই লাইন ধরে পড়েছেন বিধায় লেখার বিষয় বস্তু বুঝতে পেরেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
এনামুল রেজা বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। আপনার এই ক্ষোভটা যদি সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তো, মানুষ হয়ে উঠতো সত্যিকার মানুষ।
শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের উপর যৌনাঙ্গ ঘষলেই মানুষ ধর্ষিত হয় তা নয়, কারো কারো লালসিত দর্শনেও ধর্ষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এই কথাটাও নির্মম একটা সত্য।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
নীল লোহীত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কস্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য।
আমিও আপানার সাথে একমত।
ভালো থাকুন।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২
ডি মুন বলেছেন:
পুরোটা লেখাটা যদি সংক্ষেপে বলি তো এভাবে বলা যায় -
নিজের সন্তানের প্রতি সচেতন হোন, যৌন নির্যাতন ও সমকামীতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
++++
আসলে সমাজ থেকে এ ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল করতে গেলে খুটিনাটি অনেক বিষয়েরই উন্নতি প্রয়োজন। তা না হলে শুধু আইন করে শাস্তির বিধান রেখে কোনোদিনও যৌন নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না।
ব্যাপারটা অনেকাংশেই একজন পারিবারিক শিক্ষার উপর নির্ভরশীল। প্রসঙ্গত চলে আসে নৈতিক শিক্ষার কথা। একজন অনৈতিক অবিবেচক মানুষকে আপনি যতবারই শাস্তি দেন না কেন, তার বিরুদ্ধে যতো ক্ষোভই প্রকাশ করুন না কেন , সে সাময়িক বিরতি দিয়ে আবারো সেই একই কাজে লিপ্ত হবে।
আর সেক্স নিয়ে আমরা পরিবার থেকে বলতে গেলে আমরা কোনো শিক্ষাই পাই না। যেন সেক্স নিয়ে কথা বলাটা একটা ট্যাবু । যার ফলে বাবা মায়েরা সন্তানদের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে অন্ধ করে রাখেন, পাছে ছেলে মেয়ে নষ্ট হয়ে যায়। অথচ বন্ধুর কাছ থেকে কিংবা ইন্টারনেট থেকে ঠিকই সেই ছেলেটি কিংবা মেয়েটি কুশিক্ষা পেয়ে যায়।
যাহোক, আমি আর এলোমেলো কথা না বলে এটুকুই আশা করব, যে সকলে যেন তার সন্তানের ব্যাপারে সচেতন হবেন। উপযুক্ত যৌনশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা দানের ব্যাপারে উৎসাহী হন। এবং সমকামী বা যেকোনো যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন।
এবং সরকারও যৌন নির্যতনকারী, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দানের ব্যাপারটা নিশ্চিত করবেন।
সুন্দর একটি লেখার জন্যে আবারো ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকুন
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৯
নীল লোহীত বলেছেন: আগেও বলেছি আজ আবার মনে করিয়ে দিতে চাই, মুন ভাই, আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়েই আমার কলম ধরা।
তাই আপনার কমেন্টের প্রতিটি বাক্য আশীর্বাদসরূপ।
(নিজের সন্তানের প্রতি সচেতন হোন, যৌন নির্যাতন ও সমকামীতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। )
বোধহয় একবার পড়েই লেখায় মুল বিষয় উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন। এই জন্যই বলি, জাঁহাপনা তুসি গ্রেট হো.।
আপনার মন্তব্য গল্পে তুলে দিতে পারলে ভাল হত। চমৎকার বলেছেন ভাই.।
মুন ভাই অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ভালো থাকুন।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২০
আরজু পনি বলেছেন:
প্রচণ্ড রাগ, ক্রোধ ঝড়ে পড়ছে যেন !
কিন্তু অসাধারণ লিখেছেন !
যদি আমি, আমার বাবা কিংবা ভাই পতিতালয়ের চৌকাঠ না মাড়াতাম তবে ঐ নিষিদ্ধ পল্লীর স্থানে মুয়াজ্জিনের আযান কিংবা গির্জার ঘড়ির শব্দ শুনতাম...খুব ভয়ংকর সত্যি ।
আমাদের বাড়ির শিশুদের ঘরের নিরাপত্তা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ ।।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১০
নীল লোহীত বলেছেন:
পনি আপা, আপনি!!
আমার লেখায় এততাড়াতাড়ি আপনার কমেন্ট সত্যি অপ্রত্যাশিত।
গুণী মানুষদের কদর করার ক্ষমতা এই অধমরে সৃষ্টিকর্তা দেয় নি।
তারপরও আপনার মূল্যবান মন্তব্য মাথা পেতে নিলাম।
দোয়া করবেন দিদি.।
আর হ্যাঁ, গল্পে রাগ খুব একটা জেড়েছি বলে মনে হয় না আরেকটু দিতে পারলে খুশী হতাম।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য। শুভকামনা.।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্ধ হোক যৌনাচার।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১১
নীল লোহীত বলেছেন: জি, সেলিম ভাই আপনার সাথে একমত।
ধন্যবাদ ভাই .।
ভাল থাকুন।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫০
মহাকাল333 বলেছেন: খুবই দরকারি পোস্ট... লেখককে ধন্যবাদ। প্রিয়তে রাখলাম।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
নীল লোহীত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহাকাল।
আমার এই অখাদ্য পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য সাধুবাদ।
ভালো থাকবেন।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ জ্বালাময়ী এক পোষ্ট দিয়েছেন । এইসব নীরব ভয়ঙ্কর অপরাধগুলো সমাজকে নীরবেই ধ্বংস করে দিচ্ছে ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
নীল লোহীত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা বুঝতে পারার জন্য।
আমিও আপনার সাথে একমত।
সামাজিক অপরাধ বন্ধ করার জন্য আমাদের সচেতনতাইই যথেষ্ট।
অনেক অনেক ভালে থাকবেন।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: চালিয়ে জান, সুনদর লেখা
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
নীল লোহীত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
এই অধমকে প্রেরনা দেয়ার জন্য।
শুভকামনা।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ডি মুন বলেছেন:
পুরোটা লেখাটা যদি সংক্ষেপে বলি তো এভাবে বলা যায় -
নিজের সন্তানের প্রতি সচেতন হোন, যৌন নির্যাতন ও সমকামীতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
- এক মত ।
চমৎকার লেখা /
ভাল থাকবেন ভাই ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
নীল লোহীত বলেছেন: omg
ভুল দেখছি না তো? জনপ্রিয় লেখক মাহমুদ ভাই আমার লেখা পড়েছেন!!!
ডি মুন ভাই আর আপানার বইয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
আপানারা দুই নক্ষত্র আমার প্রছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন এবং থাকবেন।
দোয়া করবেন ভাই।। আর অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০
নতুন বলেছেন: পতিতাবৃত্তি সমাজের ভন্ডামীর বাইপ্রডাক্ট.... সমাজ চায় বলেই এই পেশা টিকে আছে....
নিজের সন্তানের প্রতি সচেতন হোন, যৌন নির্যাতন ও সমকামীতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। --
আপনার সাথে পুরুই এক মতন...
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
নীল লোহীত বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন।
একমত হয়ার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকবেন।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: অসাধারণ লেখনি,চমত্কার বিষয়ে লিখেছেন আপনি ।
শুভকামনা...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
নীল লোহীত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা থাকবে ভালো করার।
আপনার শুভকামনা মাথায় তুলে নিলাম।
আপনি ভাল থাকুন.।.।
১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১০
খেলাঘর বলেছেন:
কথার কথা
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
নীল লোহীত বলেছেন:
ধন্যবাদ খেলাঘর।
ভাল থাকুন।
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
নীল লোহীত বলেছেন: প্রামিানক ভাই ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ ক্ষোভাতুর এবং তীব্র পোস্ট।
শুভেচ্ছা সতত।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
নীল লোহীত বলেছেন: ইসহাক ভাই। ধন্যবাদ ভাই।
লেখায় ক্ষোভ তীব্র হলেও ব্যাক্তি জীবনে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী।
এমনি এক ভুক্তভোগী আমার খুব কাছের কেউ। খুব কাছথেকে দেখেছি তার কষ্ট গুলো।
আপনার জন্য শুভকামনা নিরন্তন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মনে হল বেশ ক্ষোভ নিয়ে পোস্টটি লিখেছেন। ক্ষোভের কারণে অনেক সময় চিন্তা ভাবনায় বিচ্যুতি ঘটে। কিন্তু আপনার বেলায় সেটা হয়নি। বেশ দৃঢ়, শক্তিশালী এবং যৌক্তিকভাবেই কথাগুলো বলেছেন। দ্বিমত পোষণ করার কোন অবকাশ নাই।
সন্তানের প্রতি অবহেলার কারণে আমাদের সমাজে অনেক সন্তান বিপথে চলে যাচ্ছে। তাই সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে না মন্দ হবে, এটা পারিবারিক শৃঙ্খলা দেখে অনেকটাই অনুমান করা যায়। প্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক শিক্ষা যদি থাকে, সেটা যেকোনো সন্তানের জন্য প্লাস পয়েন্ট হয় এবং সন্তানের জীবনে তার প্রতিফলন দেখা যায়।
ধর্ষণের ব্যাপারেও আপনার বক্তব্যে আমার সহমত আছে। সুনির্দিষ্ট করে আপনি অনেক কিছুই বলেছেন, যা বেশ যুক্তিপূর্ণ। আমাদের সমাজে ধর্ষণ বহুভাবে হয় এটা সত্য। শুধু ধর্ষণ বা বলাৎকার করলেই তা ধর্ষণ বা বলাৎকার হয় না, লোলুভ দৃষ্টিতে তাকানোও ধর্ষণের সামিল। যৌন সুড়সুড়িমূলক আচরণও ধর্ষণের সামিল। এমন আরও অনেক কিছুই ধর্ষণের সামিল। অথচ এই ধর্ষণ বা বলাৎকারে বাহিরের কোন ধর্ষণ বা বলাৎকার নিয়ে আমাদের খুব একটা উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় না। ফলে সমাজে ইদানীং ইভ টিজিংসহ অনেক কিছুই প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে।
খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনার পোষ্টে উঠে এসেছে। এগুলো নিয়ে আমাদের ভাবা উচিৎ। বিশেষ করে পিতামাতা এবং অভিভাবকদের। অনেক ধন্যবাদ নীল লোহীত।