নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি নজরুল জুয়েল, খেতে অনেক পছন্দ করি, মাঝে মাঝে টুকটাক লিখতে ভালোবাসি, বর্ষাকাল আমার অনেক পছন্দ, এবং কফির দারুণ ভক্ত...\"

অজানা তীর্থ

আমি যদি আমার সম্পর্কে অবগত হইতাম, তাহলে লিখতাম।

অজানা তীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার থাকার জায়গা কই!

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০১

বাবার কাছে অনেক ঋণি, করেছে
আমায় এত বড়। ঠিক যখন পূর্ণিমা
উদয় হবে ক্ষণিক মাস বাদে, বাবা
আর নেই!

আচমকা বৃষ্টি স্নাত কালো মেঘে
ঢাকা পড়ে গেল চাঁদ সওদাগর;
পথ দেখানোর তারাগুলো ও আর
মিলেনা। এতো বড় কালো কাগজে
সাদা রঙ ঢেলে অন্যের মনরঞ্জন
করার মত সামর্থও আমার নেই।

স্বপ্নগুলো শুষ্ক তুলিতে পড়ে রই,
সাদা কাগজে জলের ছাপ দিয়ে
যদি ছবি আঁকা যেতো, নোনা জলের
অনেক ছবি বানাতে পারতাম!
পুরনো আঁকা ছবি গুলো নতুন করে
বর্ণ ছড়ায়, নতুন কিছু জানতে পারি;
নোনা জলগুলো আশির্বাদ হয়ে
ছবিগুলোতে ঝরে পড়ছে, টুপ টুপ টুপ।

দিন যায়, মাস যায়, বাবার লাগানো
ফুলগুলো আজো ফুটে, সুরুভি টুকু
নাকের ঢগায় ভিড় করে,
এই ফুলগুলো আমার না;
মালা গাথার লোকের অভাব দেখিনা,
সবাই ফুলের মালিক।

অনেক ছোট থাকতে মাকে হারিয়েছিলাম,
বাবাও গেছে মায়ের দেশে; সাড়ে তিনহাত
ঘরে আছেন তাঁরা সুখে। শুধু এই দেশেতে
একলা আমি সবার চেয়ে সুখী, মস্ত-বড় মাটির
বিছানা, আমার থাকার জায়গা কই!


রুপক ও টিকাঃ পূর্ণিমা-সফলতা, কালো মেঘ-দুঃখ , চাঁদ সওদাগর- বাবার ছেলে, পথ দেখানোর তারাগুলো- আত্মীয়স্বজন, কালো কাগজ- এই পৃথিবীর বাস্তবতা, নোনা জল- চোখের জল, পুরনো আঁকা ছবি গুলো- বাবা থাকতে যা ছিলো, ফুলগুলো- বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি, এই দেশ- এই পৃথিবী, সবার চেয়ে সুখী-মূলত নিন্দা অর্থে দুঃখের বর্ণনা,

“পুরনো আঁকা ছবি গুলো নতুন করে বর্ণ ছড়ায়, নতুন কিছু জানতে পারি;
নোনা জলগুলো আশির্বাদ হয়ে ছবিগুলোতে ঝরে পড়ছে, টুপ টুপ টুপ।” বাবা না থাকলে একটা ছেলের জীবনের যে সম্ভাবনা থাকে তাও এই সমাজ জীবনের নিষ্ঠুরতায় সব মলিন হয়ে যায়।

“দিন যায়, মাস যায়, বাবার লাগানো ফুলগুলো আজো ফুটে,
সুরুভি টুকু নাকের ঢগায় ভিড় করে, এই ফুলগুলো আমার না;
মালা গাথার লোকের অভাব দেখিনা, সবাই ফুলের মালিক।” বাবার মিত্যুর পর সম্পত্তি গুলো নামে আমার হলেও, সব আত্মীয়স্বজন এর উপর দাবি রাখে।

“অনেক ছোট থাকতে মাকে হারিয়েছিলাম, বাবাও গেছে
মায়ের দেশে; সাড়ে তিনহাত ঘরে আছেন তাঁরা সুখে।
শুধু এই দেশেতে একলা আমি সবার চেয়ে সুখী,
মস্ত-বড় মাটির বিছানা, আমার থাকার জায়গা কই!”- প্রতিটি মানুষ(মুসলমান) মারা গেলে তার জন্যে সাড়ে তিন হাত মাটির ব্যবস্থা হলেও এতিম দের জন্যে এই মস্তবড় পৃথিবীতে কোথাও মাথা গুঁজে থাকার ঠাই মিলেনা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের শেষ ঠিকানা সাড়ে তিন হাত মাটি।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৫

অজানা তীর্থ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, সবার স্থায়ী ঠিকানা।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
বাবা না থাকলে একটা ছেলের জীবনের যে সম্ভাবনা থাকে তাও এই সমাজ জীবনের নিষ্ঠুরতায় সব মলিন হয়ে যায় ---
কথাগুলোর সাথে পুরোপুরি সহমত। হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম প্রতিটি কথা গুলো । খুব ভালো করে লিখেছেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: বাবাকে নিয়ে সুন্দর ও আবেগগাথা কথামালা ,কথার মাঝে লিখার মাঝে বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল ভালো বাবারা।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৮

অজানা তীর্থ বলেছেন: আমিও চাই বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল ভালো বাবারা।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: দুর্দান্ত কবিতা।

১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০০

অজানা তীর্থ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্যে, আর সাথে থাকার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.