![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধীদের বিচার-কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। আগামীকাল শনিবার সাময়িকীটির ছাপা সংস্করণে ‘বাংলাদেশে বিচার, আরেক ধরনের অপরাধ’ শিরোনামের নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সাময়িকীটির অনলাইনে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
নিবন্ধটি শুরু করা হয়েছে ইসরায়েলে এক নািস কর্মকর্তার বিচারের ঘটনা উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, ১৯৬১ সালে অ্যাডলফ আইখম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে ইসরায়েল। এরপর তাঁকে জেরুজালেমে বিচারের মুখোমুখি করা হয় ২০ বছর আগের অপরাধের অভিযোগে। আইখম্যান ছিলেন নািসদের ওয়ানসি সম্মেলনের সেক্রেটারি। ওই সম্মেলন থেকেই ইহুদি নিধনযজ্ঞের সূত্রপাত হয়।
নিবন্ধে বলা হয়, জেরুজালেমে আইখম্যানের ওই বিচার ছিল যথাযথ বিচার-প্রক্রিয়ার একটি মডেল। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জার্মানির একজন শীর্ষ অ্যাটর্নি। বিচারকার্যক্রম প্রকাশ্যে সম্প্রচার করা হয়। কোনো কিছুতেই গোপনীয়তা ছিল না, পুরো বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় প্রকাশ্যে।
সাময়িকীটি লিখেছে, এখন বাংলাদেশের ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার চলছে, তার কথা বিবেচনা করা যাক। এখানেও বিচার করা হচ্ছে বহু বছর আগের অপরাধের, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়কার। আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং দেশের মানুষের একটি অংশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলে আইখম্যানের বিচারের ওই মডেলের সঙ্গে বাংলাদেশের বিচারের বিস্তর ফারাক।
নিবন্ধে বলা হয়, আদালতের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে মত প্রকাশের ওপরও বিধিনিষেধ আছে। বিবাদীপক্ষের সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আসামিপক্ষের এক সাক্ষীকে আদালত চত্ব্বর থেকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন এবং ওই মামলায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন এমন তিনজন বিচারপতি, যাঁরা পুরো সাক্ষ্য শোনেননি। অপর একটি মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলার প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পাননি। ওই মামলায়ও আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বিচার-প্রক্রিয়ায় ব্যাপক ত্রুটি রয়েছে। ঘাটতি বা ত্রুটি শুধু আইখম্যানের বিচারের মানদণ্ডের দিক দিয়ে নয়, বাংলাদেশি আইন অনুযায়ীও এখানে ত্রুটি আছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এই বিচার দেশের বিচারিক কার্যক্রমের জন্য একটি আদর্শ মডেল হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তবে সরকারের এই দাবির সঙ্গে বিচার-প্রক্রিয়ার বৈপরীত্য আছে
উৎসঃ প্রথম আলো
Click This Link
©somewhere in net ltd.