![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা অনেকে ধর্ষণ নিয়ে অনেক কিছু লিখি। এর পেছনের মূল কারণের মধ্যে অনেকে মেয়েদের উন্নতদেশের আদলের পোশাক-আশাক কথা প্রায়ই সময় বলে থাকেন। মেয়েদের এসব যৌন-উদ্দীপক পোশাক নিয়ে নানা জায়গায় নানা আলোচনা। দিন পাঁচেক আগে, সামুতে এক ভাইয়ের ব্লগের এক উদাহরণ মনে দাগ কাটে।
উদাহরণটি ছিল, কেউ আপেলের চাষ করলো এবং সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল যার ইচ্ছা হয় আপেল খেতে পারে। সবাই আপেল প্রয়োজন পড়লে নিয়ে খেত।
আর একটি বাগানে আপেল চাষ করলো, সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, আপেল চুরি করা নিষেধ। যদি আপেল চুরি হয় তাহলে কিছুটা দায়িত্ব মালিকের উপরো বর্তায়। কারণ সে কোন নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেনি।
তাঁর এই উদাহরন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক দিন। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রতিপত্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আপেল বাগানের নিরাপত্তা না থাকলের চুরি হয় না। নিরাপত্তা দিয়েও আপেল চুরি যায় কোন হতভাগার।
আমাদের দেশে যে সকল মেয়েরা এই সকল যৌন উদ্দীপক পোশাক পরিধানের রেওয়াজ রাখেন, তারা খুব কমই ধর্ষণ নামক জঘন্য জিনিসটার মুখোমুখি হন। মুখোমুখি হতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সরল মেয়েদের। যারা হয়ত সেই সকল পোশাকের কথা স্বপ্নে ভেবে থাকেন।
তাহলে এই ধর্ষনের কারণ কি শুধু উগ্র পোশাক?
আর বর্তমানে প্রচুর শিশু ধর্ষনের মত ঘটনা অহরহ। তাহলে এই উগ্র পোশাকের ফলাফল কি এই শিশুধর্ষণ?
আমার মনে হয় না। আমাদের নীতির মধ্যে রয়েছে এই সমস্যা।
আর দেশে ধর্ষনের শাস্তি যে হাল, দুস্কৃতিকারীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে অন্যদের বুকে সাহস যোগাচ্ছে।
২| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অপরাধীকে সরাসরি মৃত্যুদন্ড দিলে অপরাধ বাড়তো না ।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
এস আর সজল বলেছেন: ধর্ষণ কখনই কারো পোশাক পরিচ্ছদের উপর নির্ভর করে না, করে ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতার উপর। শরিয়াভিত্তিক দেশ সউদি আরব ইরানে যেমন ধর্ষণ হয় তেমনি আমেরিকার মত উন্নত দেশেও হয়, নাইজেরিয়া সোমালিয়ার মত মূর্খ হিংস্রদের দেশেও হয় জাপান নরওয়ের মত শান্তিকামী শিক্ষিতদের দেশেও হয়। আজ থেকেও শত-শত বছর পূর্বেও হয়েছে, আজ থেকে শত বছর পরেও হবে। মানসিকভাবে বিকৃত লোক যখন যেখানে থাকবে সেখানে হবে। এখানে কারো পোশাক পরিচ্ছদ,ধর্মীয় নীতি, শিক্ষা ইত্যাদি ফ্যাক্টর করে না।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: উগ্র পোশাক, ভিন্ন সংস্কৃতি ও অশিক্ষা ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতার সৃষ্টিতে সহায়ক হয় এবং ধর্ষণের জন্য দায়ি।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: এস আর সজল ..আপরাধ হবেই কিন্তু আইন ,নিয়কানুন,ইত্যাদির কারনে কম হয়..
বিশ্বে এমন দেশ আছে মিনিটে ৬জন ধর্ষনের শিকার হয়,আবার এমন দেশ আছে বছরে দুই চারটার বেশি হয় না।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
এস আর সজল বলেছেন: @মো ঃ আবু সাঈদ: কোন দেশে ধর্ষণ কম হয় বলুন তো, কিউবা না সউদি আরব????
৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
জহির উদদীন বলেছেন: ধর্ষণ কি শুধু পোশাকের দোষ.....? এটা মানুষিকতার বিষয়....তবে এই ধরনের অপরাধ সাধারনত চোখের কুদৃষ্টি থেকেই প্রথম শুরু হয় পরিশেষে কামবাসনায় পূর্নতা লাভ করে.....তাই অপরাধী তার কামবাসনা পূর্ন করার সু্যোগ খুজতে থাকে তখনই ঘটে বিপত্তি, তবে সর্ব ক্ষেত্রে এমনটা নয়.......আবার ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হলে সমাজে এর প্রভাব কমে যেতে পারে.......
৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
ঢাকাবাসী বলেছেন: ধর্ষকের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত হলে তথা মৃত্যুদন্ড নিশ্চত হলে কোন শালা আসবেনা ধর্ষন করতে। প্রথমে খাসলতের জন্য কিছু আসবে তারপর দুয়েকটাকে ঝুলিয়ে দিলেই সব বিলকুল ঠান্ডা। আমাদের দেশে শাস্তি হয়না বললেই চলে, তার উপর সামাজিক বাধা তো আছেই। পুলিশের কাছে যেতে সবাই ভয় পায় কারণ এত নিকৃষ্ট পুলিশ দুনিয়ার কোথাও নেই, ভিকটিমের ধর্ষন পরবর্তী পরীক্ষা করে একটা দামড়া পুরুষ, যাবে কোথায়?
৯| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: পোশাক অবশ্যই বুস্ট করে.. কিন্তু মানষিকতাও জরুরী ।
১০| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪২
মাইন রানা বলেছেন: আমাদের দেশে যে সকল মেয়েরা এই সকল যৌন উদ্দীপক পোশাক পরিধানের রেওয়াজ রাখেন, তারা খুব কমই ধর্ষণ নামক জঘন্য জিনিসটার মুখোমুখি হন।
কথাটা ১০০% সত্য কারণ তারা নিজেরাই যখন তখন দেহ বিলিয়ে দিতেছে। রাস্তার কুকুর থেকে শুরু করে রিক্সাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, ছাত্র, শিক্ষক সবাইকে তাঁর দেহ দেখিয়ে যৌন উত্তেজনা মেটায়।
এরা বয়ফ্রেন্ড - গার্লফ্রেন্ড রিলেশনে নিয়মিত অন্য ছেলের ও নিজের চাহিদা মেটায়। ব্রেক আপ এবং নতুন বয় ফ্রেন্ড এভাবে চলতেই থাকে।
ধর্ষনের প্রধান কারণ হল নৈতিক অধপতন ও আইনের শাসন না থাকা। নৈতিক ও ধর্মীয় অনুভুতি না থাকলে সে যে কোন অপরাধ করতে বিবেগ থেকে বাঁধা পায় না।
১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪২
শুভ অঙ্কুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল, পোশাক ছাড়া আর কিছু বিষয় আছে যা এই জঘন্য কাজে উৎসাহ যোগাড় দিচ্ছে। বালিকা-বান্ধবীকে আপন সম্পত্তি ভেবে পার্কে, রিক্সা গাড়িতে অর্ধ-ধর্ষণ, শারীরিক সম্পর্কের আধুনিক সমাজ ইত্যাদি।
হিজাব হোক আর বাংলার সাধারন পোশাক হোক, আমাদের কাম্য এবং দায়িত্ব একটি সুন্দর সমাজ। নিজের পরিবারে নিজের মত তৈরি করুন। নিজের বান্ধবী হোক, মা, বোন সবাইকে সম্মান করুন।
আবার আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
খাটাস বলেছেন: উগ্র পোশাক, ভিন্ন সংস্কৃতি ও অশিক্ষা সকল ধর্ষণের জন্য দায়ি। এখন বেশি কিছু বলব না। তবে এটুকু বলি হিজাব বা ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে কথা টা বলি নি।