নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক অভিশপ্ত অপদেবতা,একশ হাত দূরে থাকুন।

অভিশপ্ত অপদেবতা

অভিশপ্ত অপদেবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেন্টমার্টিন ভ্রমন, কিভাবে যাবেন, কোথায় ঘুরবেন

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮


সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলো দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলো পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। যেতে হলে তাই টেকনাফ থেকে জাহাজ / ট্রলার ছাড়া কোন উপায় নেই।

ট্যুর প্ল্যানঃ অবশ্যই ২ রাতের ট্যুর প্ল্যান করবেন কারন প্রথমদিন যেতে যেতেই দুপুর হয়ে যাবে। তরিঘরি করে বিকেলটা ঘুরে পরদিনই আবার ফেরত আসতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগবে না। ২ রাত প্ল্যান করে আসলে ধীরে সুস্থে পুরোটা ঘুরে যেতে পারবেন সময় নিয়ে হেসে খেলে।

রওনার দিনঃ ঢাকা থেকে শ্যামলি, হানিফ, সেন্টমার্টিন পরিবহন সহ অনেক বাস আছে যারা টেকনাফ যায় এই সিজনে। নিজের পছন্দমতো বাস সিলেক্ট করে ১ সপ্তাহ বা, ১০ দিন আগেই টিকেট করে রাখুন কারন এই সময়ে অনেক রাশ থাকে। সন্ধ্যা ৬-৭ টার গাড়ি ঠিক করুন। পরদিন ৯ টায় শীপ।

১ম দিনঃ সকালে ঘাটে নেমে নাস্তা করার হোটেল পাবেন এখানেই নাস্তা করে নিন কারন সেন্টমার্টিন পৌছতে বাজবে ১টা। নাস্তা সেরে শীপে উঠে পড়ুন। সেন্টমার্টিন পৌছে হোটেল এ যেতে ভ্যান নিতে পারেন তবে দাম অনেক চড়া হবে কারন এই আনা-নেয়া টাই তাদের ব্যবসা। এছাড়া অন্য সময় ভ্যান কোন কাজে লাগে না। হোটেলে/রিসোর্টে গিয়ে সমুদ্রে নামতে পারেন বা, ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেলে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন। রাতে রিসোর্টে বলে রাখলে বার-বি-কিউ ব্যবস্থা করবে তারা।

২য় দিনঃ নাস্তা সেরে সকালে ট্রলার ঘাটে চলে যান ছেড়াদ্বীপ এ যাওয়ার ট্রলার পাবেন অনেক। দরদাম করে বাছাই করে একটায় উঠে পরুন। ১০-১১ টার মধ্যে ফেরত আসুন তারপর হাল্কা খেয়ে একটা সাইকেল ভাড়া করে পুরো সেন্টমার্টিন চক্কর দিতে পারেন যদি এনার্জি থাকে। ঘন্টা তিনেকের মধ্যে মোটামুটি ঘুরা শেষ হয়ে যাবে তবে অভিজ্ঞতা হবে অসাধারন। কারন অনেক বিচ পাবেন যেখানে কোন মানুষ যায় না। হোটেলে ফেরত এসে দুপুরের লাঞ্চ সেরে বিকেলে আবারো সূর্যাস্ত দেখে কাটাতে পারেন বা, বাজারে যেতে পারেন। অনেক হোটেলে মাছ ফ্রাই করে দেয় পছন্দ করে দিলে তবে সাবধান অনেক মাছ ই পচা থাকে অনেক সময়। তবে, মশলা মাখানো ছাড়া মাছ বাছাই করে দিলে ঠকবেন না।

৩য় দিনঃ আজকে টেকনাফ চলে যেতে হবে তাই দূরের কোন প্ল্যান করা যাবে না। সকালে বিচে দাপাদাপি করে কাটাতে পারেন। তারপর ১১-১২টায় লাঞ্চ সেরে ঘাটে চলে যান। যদিও জাহাজ ছারে ৩টায় তবে অনেক ভীড় আর, গ্যাঞ্জাম থেকে বাচতে আগেই চলে যান। সন্ধ্যার পরপরই শীপ পৌছাবে টেকনাফ ঘাটে। ঘাট থেকে নেমেই বাস কাউন্টার। তারপর সোজা ঢাকা। বাসের উঠার আগে নাস্তা নিয়ে নিতে পারেন বা, খেয়ে নিতে পারেন কারন অনেক লম্বা বাস জার্নি যদিও কুমিল্লায় থামবে।

যেখানে যেখানে ঘুরবেনঃ

১/ সেন্টমার্টিন পুরো দ্বীপ
২/ ছেড়াদ্বীপ

কি কি খাবেনঃ

সমুদ্রে গেলে সাধারনত সি ফুড খাওয়াই উত্তম। সেন্টমার্টিন বাজারে, বিচের পাড়ে, যে রিসোর্টে / হোটেলে থাকবেন যেখানেই সুযোগ পাবেন সামুদ্রিক মাছ ট্রাই করবেন। কোরাল বার বি কিউ বেস্ট, রুপচাদা, রেড স্ন্যাপার ইত্যাদি মাছ ট্রাই করবেন। সাথে লইট্টা ফ্রাই, টুনা ফিশ যদি পান তাহলে এগুলোও ট্রাই করবেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

দেরি করে হলেও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

শুভকামনা রইল।
শুভব্লগিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.