নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অনীনদিতা

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

-তুমি কেবল প্রেমের গল্প কেন লেখো ?

অনীনদিতার এমন প্রশ্ন শুনে একটু অবাক হতে হল ! যে মেয়ে আমার লেখা প্রেমের গল্প পড়েই আমার জন্য পাগল হয়েছে সেই মেয়ে যদি বলে আমি কেন কেবল প্রেমের গল্প লিখি তাহলে তো একটু অবাক হতেই হয় !

আমি অনীনদিতা কে বললাম

-আমি প্রেমের গল্প ছাড়া যে আর কিছু লিখতে পারি না !

-কেন পারো না ?

-আরে এটা কেমন প্রশ্ন হল কেন পারো না ? পারি না তাই পারি না !

-আচ্ছা শুনো আমি তোমাকে একটা গল্পের থিম দেব তুমি সেটা লিখবা ! কেমন ?

যদিও আমার গল্পের অভাব নাই তবুও বললাম

-আচ্ছা বল ! তবে এটা প্রেমের গল্প তো !

-আরে না ! প্রেমের না । প্রেমের গল্পের থিম তো তোমার কাছে আছে । আমি তোমাকে অন্য একটা থিম দেব !



আমি একটু বিরক্ত হলাম ! কিন্তু সেটা প্রকাশ করলাম না ! আসলে প্রেম ভালবাসা ছাড়া অন্য কোন গল্প লিখতে কেন জানি আমার ঠিক ভাল লাগে না ! মানে ঠিক মত শান্তি পাই না ! তবুও অনীনদিতার কথায় মন দিলাম ! অনেক দিন ধরে কেবল প্রেমের গল্পই লিখছি । একটা এক ঘেয়ে ভাব চলে এসেছে । আমার যে কয়জন পাঠক আছে তারাও বলছে যেন অন্য কিছুও সাথে সাথে লিখি !

দেখা যাক চেষ্টা করে পারা যায় নাকি ?

আমি বললাম বল

-শুনো এই হবে একটা মেয়ের গল্প !

-আরে আমি প্রায়ই লিখি মেয়ের গল্প ! আর আমার সব গল্পে তো একটা করে মেয়ে থাকেই !

-আহা ! শুনো না ! এই মেয়েটা সব মেয়ের মত না !

-মানে কি ? সব মেয়ের মত না বলতে তুমি কি বলতে চাইছো ? তুমি কি ....

-অপুপুপুপুপু....... ফাজলামী করবানা ! একটা চড় খাবা ! আগে কি বলছি শুনো মন দিয়ে !

আমি হেসে উঠলাম । বললাম

-ফাজলামীর কি করলাম ? আর আমি কি কিছু বলেছি ! তুমি কি বুঝে নিয়েছো ?

এবার অনীনদিতার কন্ঠে একটু উত্তাপ !

-শুনো তোমার "ক" শুলেই আমি বুঝে যাই তুমি কি বলবা ? ফাজিল কোথাকার ! চুপচাপ শোন কি বলি !

-আচ্ছা ! আচ্ছা ! আর কোন কথা না । এই চেইন আটকাইাম মুখের ! বল

অনীনদিতা বলতে শুরু করলো !

-শুনো গল্পটা হবে একটা একা মেয়ের মেয়েটা ঢাকার একটা অভিজাত একটা এলাকায় থাকে । একা থাকে । ধর মেয়েটার না অনী !

-তোমার নামে নাম ?

-আবার কথা ! চুপ !

-আচ্ছা চুপ!

-মেয়েটা নিজের ফ্লাটে একা থাকে ! কারো সাথে খুব একটা কথা বলে না ! নিজের প্রয়োজন ছাড়া ঠিক বাইরেইও যায় না । কেবল সপ্তাহের ঠিক বৃহস্পতি বারে দেখা যায় মেয়েটা একটা কালো পোষাক পরে বাইরে বের হয় !

-কি রকম কালো পোষাক ? টাইটস ?

-অপু ? তোমার মাথায় তো টাইটস/ল্যাগিংস ছাড়া আর কোন পোষাক কাজ করে না ? তুমি না ! আচ্ছা যাও ! মেয়েটা প্রতি বৃহস্পতিবারে টাইটস পরেই বের হয় ! মেয়েটার একটা কালো বিএমডাব্লিউ আছে সেটাতে করে ! ফিরে আসে বেশ রাত করে ! এভাবেই দিন চলতে থাকে !

-তারপর ?

-তারপর আর পর নাই ! এইটা হল গল্পের শুরু ! এর পর থেকে লেখার দায়িত্ব তোমার !

-আরে এটা আবার কেমন থিম হল ! এর পর থেকে লেখার দায়িত্ব তোমার !!! বললেই হল নাকি? এটলিষ্ট আরো একটু তো বলতে হবে ! তা হলে আমি গল্প কোন দিকে নিয়ে যাবো ?

-তোমার ইচ্ছা ! যেদিকে নিয়ে যাও !

-তাহলে তো আমি আমার পছন্দ মত রাস্তায় নিয়ে যাবো ! তখন তো আর এটা অন্য রকম গল্প হবে না ! আমার প্রেমের গল্প হয়ে যাবে ! দেখো এমন একটা নামও হতে পারে "|কালো ল্যাগিংস পরা মেয়েটি এবং আমার সম্ভাব্য প্রেমের গল্প !"

-হাহাহাহা ! তুমি আসলেই পারো বটে ! আসলে আমারই ভুল হইছে ! তোমার কোন গল্প লিখতে হবে না ! ঠিক আছে ! এখান রাখি ! পরে আবার কথা হবে !

-আরে শুনো না !

-কি ?

-কি কথা ছিল আমাদের ?

-কি কথা ?

-আমার সাথে দেখা করার কথা ছিল না ?

-হুম ! ছিল তো !

-তাহলে ? কবে দেখা হবে ?

অনীনদিতা কি যেন ভাবলো ! তারপর বলল

-আচ্ছা সামনের বৃহস্পতি বারে ! ঠিক আছে ?

-কোথায় ?

-যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল !

-তোমার সাথে আবার আমার কখন দেখা হল !

অনীনদিতা আমার কথা শুনে হাসলো । কেমন জানি একটু রহস্যময় শোনালো ।

অনীনদিতা আমার কথার কোন জবাব দিলো না ! আমি আবার বললাম

-সিরিয়াসলি ? কবে দেখা হল বলত ?

-অনীনদিতা বলল

-কদিন আগে আরমান একটা ফটো এক্সিবিশন করে ছিল মনে আছে ?

-হুম !

-আমি ওখানে যেতাম প্রায় প্রতিদিন ই !

-তাই নাকি ? সেখানে তুমি যেদিন গিয়েছিলে আমিও সেদিন গিয়ে ছিলাম ! তুমি যখন আরমানে সাথে কথা বলছিলে আমি দুর থেকেই তোমাদের দুজনকে দেখছি ! বুঝছো ?

-হুম বুঝলাম ! তো ওখানে আসবো নাকি ?

-হুম ! ঐ আর্ট গ্যারিতে এসো ! ওখানে একটা এক্সিবিশন চলতেছে ! ওখানে এসো কেমন ?

-হুম ! অবশ্যই !



অবশেষে আমাদের দেখা হতে যাচ্ছে । আসলে অনীনদিতার সাথে দেখা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেক দিন ধরেই ! বিশেষ করে সে আমার গল্পের একজন একনিষ্ঠ পাঠক ! অন্যরা যেখানে আমার সব লেখা গুলো পড়ে আবার পড়ে না কিন্তু অনীনদিতা সব গুলো পড়ে নিয়মিত ভাবে ! আমার চিন্তার সাথে নিজের চিন্তা শেয়ার করে । অন্য পাঠকদের থেকে একটু বেশিই এগিয়ে । আমার খারাপ লাগে না ! আসলে সব লেখকই ছেলে পাঠক থেকে মেয়ে পাঠককে বেশি পচন্দ করে ! আর লুল পাবলিকেরা তো করেই !



-এই অপু ?

আমি অনেক্ষন বেঙ্গল আর্ট গ্যালারীর এদিক ওদি ঘোরাফেরা করছিলাম । মনে মনে ভাবছিলাম অনীনদিতা আজকে আসবে তো ?

চারিপাশে কেমন সব মানুষ জন ঘোরা ফেরা করতেছে । আসলে এই শিল্প বোঝার মত মেধা আমার এখনও হয়ে উঠে নাই ! চারিপাশে সবাই দেখতেছি খুব মনযোগ দিয়ে ছবির দিকে তাকিয়ে আছে । চেহারায় একটা জ্ঞানি জ্ঞানি ভাব আনার চেষ্টা কতেছে ! আমিও জ্ঞানি জ্ঞানি ভাব আনার চেষ্টা করতে লাগলাম ! তখনই পেছন থেকে একটা মেয়ে কন্ঠের ডাক !

পেছন ফিরে তাকিয়েই আমার চোখ চকর গাছ !

অনীনদিতা !

সত্যি কি ও !

ওর ছবি দেখেছি আগেই কিন্তু সরাসরি দেখলাম এই প্রথম ! পুরা ব্লাক পরে এসেছে ! কালো তেই যেন ওর চেহারা টা আরো সুন্দর করে ফুটেছে । কালো কামিজের সাথে কালো ল্যাগিংস !

-তুমি সত্যি তো !

আমি আর একটু কাছে এগিয়ে গেলাম । ওর কাছে যেতেই ওকে আর একটু ভাল করে লক্ষ করলাম ! সব কিছুই পার্ফেক্ত কিন্তু তবুও কেন জানি আমার একটা কিছু মন মত হল না !

আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ! কিন্তু কিছু একটা এমন অনীনদিতার ভিতর রয়েছে যেটা আমার ভাল লাগছে না !

কিন্তু কি ?

-কি লেখক সাহেব ? চুপ কেন ?

-আরে চুপ কোথায় ? তোমাকে দেখছি ! তুমি তো আসলেই সুন্দের অনেক ! আমি আসলে ভাবতে পারি নাই তুমি এতো সুন্দের হবে !

-তাই !

এই বলে অনীনদিতা হেসে উঠল !

-আচ্ছা চল ! পাশে একটা কাবারের ঘর আছে ! তোমাকে খাওয়াবো !



অনীনদিতার সাথে পাশের কাবাবের ঘরে গেলাম ! এখান কার কাবা গুলো আসলেই বেশ ভাল !

খাচ্ছি আর কথা বলছি ! যদিও আমি কেবল খাচ্ছি ! অনীনদিতা ঠিক মত খাচ্ছে না ! দুএক পিচ মুখে নিচ্ছে আবার নিচ্ছে না !

-আর তুমি কেন খাচ্ছ না কেন ?

-খাচ্ছি তো !

-কই ? নাকি তুমি খাওয়াচ্ছ বলে কম করে খাচ্ছ ?

-অপু ফাজলামী করবা না ! আসলে আমার খাবার আমার সাথেই আছে ! বাসায় গিয়ে খাবো !

-কি ?

আমার এই কথার জবাব অনীনদিতা ঠিক মত দিল না ! কেবল হাসলো ! আবারও কেন জানি অনীনদিতার হাসিটা আমার কাছে ঠিক মত পছন্দ হল না ! হাসিতে কোন সমস্যা ছিল না কিন্তু কেন জানি আমার ভাল লাগলো না !

কি ব্যাপার এমন কেন হচ্ছে ?

আমার মন বলছে এখন যাওয়া উচিৎ ! অনেকটা সময় অবশ্য পার হয়ে গেছে ! রাতও হয়ে যাচ্ছে । এখন না গেলে হয়তো বাস পাওয়া যাবে না !

আমি অনীনদিতাকে বললাম

-এখন ওঠা উচিৎ !

-মানে কি ?

-মানে কি মানে ? রাত কয়টা বাজে লক্ষ্য করেছো ! এখন না গেলে বাসায় পৌছাতে পারবো না ! দায়োয়ান গেট বন্ধ করে দিলে সারা রাত বাইরে থাকতে হবে !

-সমস্যা কি ? আমার বাসা আছে ! আর আমার সাথে গাড়ি আছে । আমি তোমাকে পৌছে দিবো ! টেনশন নিও না !

-না তবুও ! আমাকে এখন যেতেই হবে !

-আহা ! বস না ! একটু বস !

-দেখো ! আবার দেখা হবে আ সমস্যা নাই তো ! সেদিন না হয় কথা হবে ! আর একদিনেই যদি সব কথা বলে ফেলি তাহলে কেমন হবে ?

আমি উঠে যাওয়ার জন্য একটু ব্যাস্ত হয়ে উঠলেই অনীনদিতা আমার হাত ধরলো ! বেশ ঠান্ডা হাত ওর ! ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে একটু রাগের ছোয়া !

ছোট বেলায় অনেক মানুষের ভিতর বাবার অবাধ্য হলে বাবা যেমন চোখ গরম করতো ঠিক সেই রকম ! আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না ! অনীনদিতা বলল

-আচ্ছা চল ! তোমাকে পৌছে দেই !

-অনী এতো কষ্ট করতে হবে না ! আমি চলে যাবো !

-তোমার সাথে অনেকটা সময় থাকবো ভেবেছিলাম । তা তো আর হল না ! অন্তত বাসা পর্যন্ত পৌছিয়ে দিতে দাও ! প্লিজ !

আমি মানা করতে পারলাম না !





-এই কি বিএমডাব্লিউ ?

অনীনদিতা খানিকটা হেসে বলল

-হুম !

-আরে আগে কইবা না ? তাহলে তো আর এতো কথা বলা লাগে না ! আমি কোনদিন বিএমডাব্লিউতে উঠি নাই !

আমি উঠে বসলাম ! ভিতরটা বেশ আরামদায়ক ! অনীনদিতা গাড়িতে উঠতেই আমার আবার সেই অস্বস্তিটা ফিরে এল ! কেন জানি মনে হল আমি ঠিক কাজটা করছি না ! তবুও খুব একটা পাত্তা দিলাম না !



ড্রাইভার গাড়ির ভিতরেই বসা ছিল ! অনীনদিতা বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করলো ! অনীনদিতা আবার কথা শুরু করলো !

বেশ কিছুক্ষন পরে মনে এত সময় তো লাগার কথা না ! এতোক্ষনে তো আমার বাসার কাছে পৌছে যাবার কথা । তখনই মনে হল আর ড্রাইভারকে তো বলাই হয় নি আমার বাসা কোথায় !

তাহলে আমি এখন কোথায় ?

আমি যখনই কথাটা বলতে যাবো তখন অনীনদিতা খুব দ্রুত আমার মুখের কাছে একটা রুমাল চেপে ধরলো ! তারপর ......

আর কিছু.....





যখন আবার চেতনা ফিরে এল তখন চোখ মেলে প্রথমে কিছুক্ষন আমি বুঝতে পারলাম না আমি কোথায় আছি ! আস্তে আস্তে সব মনে পড়লো !

অনীনদিতা ?

কি হয়েছে ?

ও এমন করলো কেন ? আমার সাথে এমন করার কোন মানে তো ঠিক বুঝলাম না !

আমি চোখ মেলে দেখি আমি একটা অন্ধকার ঘরে শুয়ে রয়েছি ! অবশ্য একেবারে অন্ধকার ঘর না ! একটা আবছা আলো আসছে কোথা থেকে যেন !

আমি কোথায় ?

একটু নড়তে যাবো তখনই অবাহ হয়ে লক্ষ্য করলাম আমি নড়তে পারছি না ! আমার হাত বাঁধা ! পা নাড়ালোর চেষ্টা করেও ঠিক একই ব্যাপার লক্ষ্য করলাম !

কি হচ্ছে এখানে ?

কেন হচ্ছে ?

আমাকে চিৎ করে শুইয়ে রাখা হয়েছে ! কিন্তু কোন খাটের উপর না ! একটা শক্ত কোন কিছুর উপর !

আমি আসলেই কোন কিছু বুঝতে পারছি না !

কি হচ্ছে ?



হঠাৎই ঘরের লাইট টা জ্বলে উঠলো ! প্রচন্ড আলোতে সারা ঘর আলোকিত হয়ে গেল ! আমি আমার চোখ বন্ধ করলাম কিছুক্ষন ! চোখ খুলে আমি আমার মাথাটা ঘুরিয়ে কোন মতে দেখার চেষ্টা করলাম কে ?

দেখলাম অনীনদিতা !

কিন্তু অনেক কেন জানি একটু অন্য রকম লাগছে ! একটু যেন অন্য রকম ! একুটু যেন বেশি লম্বা আর একটু চিকন বেশি!

অনীনদিতা সুইচবোর্ড থেকে এক প্রকার উড়েই চলে এল আমার কাছে ! আমার মনে হল যেন আমি ভুল দেখলাম !

ও কি সত্যি উড়ে চলে এল ?

সত্যি নাকি ?

না আম চুল দেখেছি ! অনেক্ষন অন্ধকারে থাকার কারনে একঝটকায় আলোতে আসাতে এই রকম দেখেছি !

আমি অনীনদিতাকে কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে গিয়েও পারলাম না ! কিছু একটা যেন আমার ঠোট দুটো খুলতে দিচ্ছে না !

হটাৎ অনীনদিতা বলল

-খুব অবাক লাগছে ?

কিছু বলতে পালাম না !

অনীনদিতা আরো আমার মুখের দিকে ঝুকে এসে বলল

-জানো ! আমার না খুব খারাপ লাগছে ! তোমার গল্প আর কোনদিন পড়তে পারবো না এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে ! কিন্তু আমার কিছু করার নাই ! গত সপ্তাহে আমি কাউকে পাই নি ! বুঝো তো ! না খেয়ে আর কত দিন থাকা যায় !

মানে কি অনীনদিতা কি বোঝাতে চাইছে !

গত সপ্তাহে কাউকে পাই নি ! না খেয়ে থাকা !

এসবের মানে কি ?

অনীনদিতা বলল

-জানো আরমানের কবিতাও আমি খুব মিস করি ! কিন্তু ওপর কবিতা থেকে ওর কলিজাটা আরো বেশি মিষ্টি ছিল ! আর একটু ভাল লাগতো খেতে যদি ও সিগারেট না খেত ! সেই দিক দিয়ে তোমারটা অনেক মিষ্টি হবে ! তুমি তো আর সিগারেট খাও না ! হাহাহহাহা !



আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না ! আরমান ! কলিজা !

কি বলছে এই মেয়ে ?

এই মেয়ের মাথা ঠিক আছে তো ?

আরমান ?

কদিন থেকেই আরমানের কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না !

কোথায় যেন হারিয়ে গেছে । ওর বন্ধুবান্ধব কারো সাথে কোন যোগাযোগ নাই !

সেদিন ওর ছোট ভাইয়ের পোষ্ট দেখলাম !

ছেলেটা ভাল ছিল ! ভাল কবিতা লিখতো ! মাঝখানদিয়ে কোথায় হারিয়ে গেল !

আরে আমি আর মানের চিন্তা করছি কেন ? যদি অনীনদিতা যা বলতে তা ঠিক হয় তাহলে তো আমার অবস্থাও ......।

আমি আর ভাবতে পারছি না ! না এমন টা হতে পারে না । অনীনদিতা এমন হতে পারে না ! ও নিশ্চই আমার সাথে ঠাট্টা করছে !



কিন্তু অনীনদিতা আবার যখন ঘরে আসলো তখন ভয়ে আমার বুকের রক্ত ঠান্ডা হয়ে গেল !

কুরবানীর ঈদের সময় গরু জবাই করার সময় যে বড় ছুরি ব্যবহার করা হয় অনীনদিতার হাতে সেই রকম একটা ছুরি !

আমি তাহলে মরতে যাচ্ছি !

আমি মরতে যাচ্ছি !



হঠাৎ করেই আমি কেমন যেন অনুভুতি শুন্য হয়ে গেলাম ! আমার বাঁচার আর কোন উপায় না দেখে আমার মনটা আমার দেহকে ছেড়ে দিয়েছে !

শুনেছি ফাঁসির আসামীরাও মরার আগে একদম শান্ত হয়ে যায় ! যে মৃত্যুর হাত থেকে কোন পরিত্রান নাই সেটা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়াই ভাল !



অনীনদিতা একটা পৌচাশিক হাসি নিয়ে আমার কাছে এগিয়ে এল ! আমার কানের কাছে মুখ দিয়ে বলল

-তোমাকে না এক অন্য রকম মেয়ের গল্প লিখতে বলেছিলাম ! সেই মেয়েটা কে জানো ? সেই মেয়েটা হলাম আমি ! আমি প্রতি বৃহস্পতিবারে বাইরে যাই ! আমার শিকার ধরে আনি ! তারপর .... হাহহাহাহাহাহা !!



আমার কান দিয়ে কিছুই ঢুকছে না ! আমি কিছু অনুভুব করতে পারছি না ! এখন যদি মুন্নী শাহা আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনার অনুভুতি কি তাহলে আমি বলতাম খুব ভাল লাগছে ! নিজেকে খুব ফ্রী মনে হচ্ছে !



আমি মুক্ত দেহে অপেক্ষা করতে থাকি ! একটা তীক্ষ ছুরির ফলা আমার দেহকে এফোড়ওফোর করে দিবে সেইটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি !







বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্নই বানানো ! জীবিত মৃত অথবা অর্ধমৃত কারো সাথে কোন মিল নাই ! এবং গল্পে ব্যবহৃত নামটি অনীনদিতার অনুমুতি সাপেক্ষে ব্যবহার করা হয়েছে !





Click This Link

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মাক্স বলেছেন: ভয়ংকর গল্প। হাসতেই আছি :P :P

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: কি কন ভাই ? একবার কন ভয়ংকর গল্প আবার কন হাসতেই আছি ! এডি কেমুন কথা !! :P :P

২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনার লেখার সবচেয়ে পজেটিভ দিক হলো সাবলীল ভঙ্গি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব কম লেখাতেই খেই হারাতে দেখেছি। ভালো লাগলো। প্লাস দিয়ে গেছি। :)

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পটা ইয়ে মানে ইয়ে আরকি। :P

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: কিয়া মানে আর কি ?? ;) ;)

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: -জানো আরমানের কবিতাও আমি খুব মিস করি ! কিন্তু ওপর কবিতা থেকে ওর কলিজাটা আরো বেশি মিষ্টি ছিল !

=p~ =p~ =p~ =p~ হাসতেই আছি!! আরমান ভাইগো...আপনে কই!!!

নায়িকার ছবি সমৃদ্ধ পোস্ট হইলে আরো ভালো হতো!!;);)

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: নায়িকার অনুমুতি ব্যতীত ছবি দেই কেমনে ?? ;)

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

মায়াবী ছায়া বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা ।।

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):)

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :-& :-& :-& :-& :-& :-&


আরমান ভাই ঠিক আছে তো???

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আরমান ভাই একেবারে ঠিক আছে । কোন সমস্যা নাই !!
:):):):)

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভালোবাসার গল্প থেকে এক্কে বারে হরর গল্প! এটাতেও আপনার মুন্সিয়ানা ১০০% বজায় আছে!

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :):):):)

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: নামের অনুমতি যখন পাইসেন , সেই সুযোগটারে কাজে লাগাইলেই পারতেন!! :-P

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ! আমি ভালা পুলা ! আমি সুযোগ কাজে লাগাই না !! :)

৯| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
আমার মিস্টি কলিজা এইভাবে খাওয়ার কারণে আমি আমার আরমানাভুতিতে আঘাত প্রাপ্ত হইছি। নায়িকার ফাঁসি চাই। :-P :-P :-P

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমি তোমার এই দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করলাম !!

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৮

লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: ডিজিটাল টেক্সট পড়তে চোখ ব্যাথা করে। তবু শেষ না করে পারলাম। তার মানে নিশ্চয় ভালো লেগেছে... :-)

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: আচ্ছা আর একবার আইসেন আমার ব্লগে। শেষ করে আবার মন্তব্য কইরেন ! জানাইতে ভুইলেন না কিন্তু কেমন লাগলো !!

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩০

লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: ডিজিটাল টেক্সট পড়তে চোখ ব্যাথা করে। তবু শেষ না করে পারলাম না। তার মানে নিশ্চয় ভালো লেগেছে... :-)

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: :):):):)

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

রাকিবুল৯০ বলেছেন: ভয় পাইলাম। রাত করে পড়া উচিৎ হয় নাই।

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: ভয় পাইছেন ? সত্যি??? B:-) B:-) B:-)

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

ডিএন বলেছেন: ভুই পাই নাই সাহসী পুলা ;) B-)) B-)) তা ভাই কেমন আছেন ?????

আমি আপনাকে ইনবক্সে মেসেজ করব আপনি ফ্রী থাকেন কখন ??

যানাবেন। B-) B-) B-)

ভাল থাকবেন

৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি সাহসী পুলা !!!

আমি ভাল আছি ! আর আমি প্রায় সব সময়ই থাকি অনলাইনে ! দুপুরের দিকে আর রাতের দিকে !!

:):):)

১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমিতো ভাবছিলাম মেয়ে ভ্যাম্পায়ার হবে। ভ্যাম্পায়ারের সাথে আমাদের অপু তানভীরের প্রেম আর আমি কমেন্ট করব,"স্টীল এ বেটার লাভ স্টোরী দেন টোয়াইলাইট" ;) ;) :P :P

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও তাই ভাবছিলাম । কিন্তু শেষ আইসা দেখলাম ভ্যান্পায়ার আমারেই খাইয়া দিলো !! =p~ =p~ =p~

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৬

কামরুল আহসান খান বলেছেন: ;) :P :#> :!> :-< |-) B:-) /:) :-&

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: এতো গুলো ইমো দিয়া কি বুঝাইলেন মিয়া ? :-&

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১

কামরুল আহসান খান বলেছেন: মিশ্র অনুভূতি ;) :P

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: তাই বলে এতো মিশ্র অনুভুতি !! 8-| 8-|

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

মেহেদী হাসান সাব্বির বলেছেন: ভাই তারমানে বুঝাইলেন আপনার কলিজা অনেক মিষ্টি ।
কিন্তু আপনি এইগল্প লিখলেন কি করে ? আপনার কলিজা তো মনে হয় এতক্ষন খেয়ে ফেলেছে ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: :D :D

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: বৃহস্পতিবার কোন মেয়ের সাথে ডেটে যাবেন না।
সাবধান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.