নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-এই !
-হুম !
-কি কর ?
-কিছু না ! একটু চাপের ভিতর আর কি ?
-এই তোমাকে না বলেছি আমার সাথে ফাজিল মার্কা কথা বলবা না !
-আরে ফাজিল মার্কা কথা কোথায় বললাম ? বললাম চাপের ভিতর আছি ! এর ভিতর ফাজলামীর কি দেখলা !
-এই ! এই ! চুপ ! একদম চুপ ! আবার দুষ্টামী করতেছ !
-আরে বাবা আমি বাসের ভিতর ! বাসে অনেক লোকজন । চাপা চাপির ভিতর আছি । এখানে তুমি দুষ্টামীর কি দেখলে ! এই জন্যই তো বললাম যে চাপের ভিতর আছি !
কিছুক্ষন নিরবতা !
আমি বললাম
-কি হল আছো ?
-হুম !
-কি কর ?
--টিংকুর সাথে খেলি !
-টিংকু ! না ? ইদানিং টিংকুকে খুব সময় দিচ্ছ ?
-ইস দিবোই তো ! আমার জান এক টা ! আমার টিংকু ! এই জানো আজকে টিংকু কি করেছে ?
আমার কেন জানি একটু মেজাজ খারাপ হয় ! কিন্তু কিছু বলি না ! আসলে হিমি আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বেশি আদর করে এটা আমার একটুও পছন্দ হয় না ! হোক না সে একটা বিড়াল !
টিংকু !
হুহহহহ !
বেটা কে হাতের কাছে একবার পেলে হয় ! থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দিবো ! বেটা ফাজিলের ফাজিল !
-এই তুমি কি বললা ?
-আমি কি বললাম ?
কি ব্যাপার ? আমি তো মনে ভিতর টিংকুকে থাপড়াতে চেয়েছি ! হিমি কেমনে শুনলো !
আমি বললাম
-আমি কিছু বলি নাই তো !
-আমার টিংকুকে কিছু বলেছ ? নিশ্চই বলেছ ! দাড়াও ! তোমর খবর আছে !
হায় কি দিন আইলো রে ! মাইয়া একটা বিলায়ের জন্য আমারে কয় খবর আছে । সিওর ঐ বিলাইয়ের খবর আছে !
একবার কেবল সামনে পাই !
তখনই আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এল ! আরে ! আজকেই বেটা বিলাইকে একটা শিক্ষা দেওয়া যাক !
আমি বাটা সিগনালেই নেমে পড়লাম ! আজকে ঐ বেটা টিংকুর একদিন কি আমার একদিন !
-এই !
হুম ! কি হল ! ফোন রেখ দিলে কেন ?
-এমনি !
-জানো .....।
আবার সেই টিংকুর কথা ! নাহ । এই টিংকুর একটা কিছু করতে হবে !
আমি আরো দ্রুত হাটতে লাগলাম ! হিমির তার টিংকুর কথা বলেই চলেছে ! আমি আরো দ্রুত পা চালাই !
-এই তুমি কি কর !
-আমি কিছু করি না ! একটু আগে চাপের ভিতর ছিলাম ! এখন আর নাই !
-জানো বাসায় না কেউ নাই !
-তাই ! ভাল তো ! আসবো আমি ?
-তুমি ? এখন ? আসো !
-তোমার টিংকু রাগ করবে না তো !
-তা তো করবেই !
-করলেই হল ! বেটা কে একবার কাছে পেয়ে নেই !
-এই কি বললা তুমি ?
আমি কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলাম !
হিমি বলল
-এই শুনো ! বাসায় কলিংবেল বাজতেছে । মনে হয় আব্বা বাইরে থেকে চলে এসেছে । আমি রাখি !
-আচ্ছা !
আমি ফোন রেখে অপেক্ষা করতে থাকলাম ! কতক্ষন লাগবে ! একটু চুপ আচড়ে নিলাম হাত দিয়ে ! মুখে অবশ্য দাড়ি রয়েছে হাত দিয়ে শেভ করা গেলে সেটাও করতে পারলে তাও করে নিতাম !
এই তো সময় চলে এসেছে !
হিমি দরজা খুলে প্রথমে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! চোখ মুখে একটা বিশ্ময়ের ভাব । মানে আমি যে সত্যিই এখানে চলে আসবো এটা হিমি ভাবতেই পারে নাই !
-তুমি ?
-হ্যা ! আমি ! তুমিই না বললে চলে আসতে ! তাই চলে এলাম !
-অপু ফাজলামি না ! আব্বা যে কোন সময় চলে আসবে । তুমি যাও !
-আরে প্রথম বারের মত শ্বশুর বাড়ি আসলাম ! ভিতরে না ঢুকতে না দিয়েই বিদায় করে দিবা ? এটা ঠিক না !
-না ! যাও তুমি !
-চলে যাবো ?
-হুম !
-বিকালের নাস্তাটা তোমাদের এখানে করবো ভেবেছিলাম ! অন্তত এক কাপ চা তো খাওয়াতে পারো !
-বলেছি না, না !
আমি একটু মন খারাপ করলাম । মনের ভিতর একটা ক্ষীন আশা ছিল যে হিমি হয়তো ড্রয়িং রুমে বসিয়ে চা খাওয়াবে ! কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি !
-আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি !
যেই একটু ঘুরতে যাবো তখনই হিমি আমার হাত ধরলো !
ওর মুখটাএক গম্ভীর দেখতে পেলাম ! আসলে ও ঠিক আমার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না আবার আমাকে ঘরে ভিতর ঢুকাতেও পারছে না !
মনের সাথে একটা যুদ্ধ চলছে । একটা মন বলছে যে আমাকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে বসাতে ! অন্য মনটা বলছে আমাকে এখান থেকেই বিদায় করে দিতে !
আমি ওর মুখের দিকে তাকাল ! বললাম
-সমস্যা থাকলে থাক ! আমি চলে যাই !
-না ! এসো !
-সত্যি আসবো ? তোমার বাবা ?
-আসুক !
হিমিদের ড্রয়িং রুমটা বেশ সাজানো গোছানো ! একেবারে টিভি নাটকে যেমন দেখা যায় ! আর সোফা গুলোও বেশ দামী মনে হচ্ছে ! বেশ আরাম দায়ক ! আমি আরাম করে বসলাম । আজকে অনেক দিন পরে হিমিদের বাসায় আসা হয়েছে । অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল আসার কিন্তু আসা হয় নাই !
মিয়াও !
মিয়াও !
আমি এদিক ওদিক খুজতে থাকি ! কোথা থেকে আসতেছে ডাকটা ?
আমি একবার সোফার নিচে দেখার চেষ্টা করলাম !
কোথায় গেল বেটা !
আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন !
-এই তুমি নিচু হয়ে আছো কেন ?
-তোমার টিংকুকে খুজি ?
-ও এখানে না ! আমার ঘরে ।
-তাই নাকি ? চল তোমার ঘরে যাই !
-এই খবরদার একদম খুন করে ফেলব ! এখানে বসে থাকো চুপ করে !
-মানে কি ? তোমার টিংকুর সাথে দেখা হবে না !
-না ! হবে না !
হিমির মুখে একটা টেনশনের ছায়া দেখতেই পাচ্ছিলাম ! আমি আরো কিছু বলতে যাবো তকখনই কলিংবেল বেজে উঠল !
আর হিমির চেহারা বং বদলাতে শুরু করলো !
এক দৌড় দিয়ে দরজার লুকিং গ্লাসে চোখ রাখলো ! তখনই ওর চেহারা পুরো অন্ধকার হয়ে গেল ! চট জলদি আমার কাছে এল । আমার হাত ধরে ভিতরের টানতে টানতে নিয়ে এল একটা ঘরের ভিতর ।
হিমির ঘর !
ছবিতে যেমন দেখেছি বাস্তবে তেমনটা নয় মোটেও !
আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-চুপ করে এখানে বসে থাকবে ! একটা কথাও বলবে না ! খবরদার !
-আরে বাবা কি হয়েছে ! এতো ভয় পাবার কি আছে ?
-দেখ মেজাজ গরম করবে না ! যদি দেখো এ ঘরের দিকে কেউ আসছে বা কোন প্রকার আওয়াজ পাও তাহলে সোজা খাটের নিচে যাবে ! আজকে যদি ......
হিমি কথাটা শেষ করলো না !
রুম থেকে বের হয়ে গেল !
আমি হিমির খাটের উপর বসতে বসতে চারিপাশটা একটু দেখতে লাগলাম !
মিয়াও !
মিয়াও !
এই তো বেটাকে পাওয়া গেছে !
হিমির খাটের একদম মাথায় একটা সাদা রংয়ের বিড়াল ! সম্পূর্ন সাদা না ! কানের কাছে একটু কালোর ছোয়া আছে ! এই বেটার নাম নিশ্চই টিংকু !
আমার দিকে গভির চোখে তাকিয়ে আছে !
ভাবছে হয় তো আমি আবার এই ছেলেটা আবার কে ?
এখানে কি করে !
আমি আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম
-কি রে বেটা ফাজিল তোর নাম কি ?
-মিয়াও !
টিংকু একটু লেজ উচু করলো !
-গেলি !
-মিয়াও ! মিয়াও !
-আবার !
হঠাৎ করেই বিড়ালটা কেন জানি ক্ষেপে গেল ! বারবার মিয়াও মিয়াও করতে লাগলো ! সাথে একটু হিংস্র ভাবে দাঁত বের করতে লাগলো !
-আরে তোর সমস্যা কি ?
-মিয়াও ! মিয়াও !
-তুই একটা বদ ! এই ভাবে ম্যাও করোস কেন ? আমার খবর খারাপ করে দিবিতো ! আস্তে ! আমার শ্বশুর মশাই টের পেয়ে যাবে !
তখনই আমি হিমির বাবার আওায়জ শুনতে পেলাম !
-এই হিমি ! তোর বিড়ালটা এমন করে চিৎকার করছে কেন ?
একটু পরে হিমির আওায়জ শুনতে পেলাম !
-কি জানি ! তুমি বাবা বাধরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নাও ! আমি দেখছি !
-দেখিস আবার আচড় না মাড়ে !
-আচ্ছা !
আমি আরো কিছু বলতে গেলাম দেখি যে টিংকু আমার দিকে এগিয়ে আসছে লেজ তুলে । মুখে সেই হিংস্র ভাব ! আমাকে কেন জানি পছন্দ করছে না !
দাড়া ! আয় আজ তোর খবর আছে !
ছোটা বেলায় আমাকে একবার বিড়ালে কমড়ে ছিল ! সেদিন থেকে আমি বিড়াল খুব একটা পছন্দ করি না । কি এক অদ্ভুদ কারনে বিড়ালও আমাকে পছন্দ করে না !
এ ব্যাটার ভাব ভাব ভঙ্গি মোটেই ভাল লাগছে না ! আরে !
-মিয়াও ! মিয়াও !
-আরে বেটার সমস্যা কি ?
আমি একটু পিছনে সরে গেলাম ! কারন একবার এরকম বাহাদুরির ফল আমার পাওয়া আছে !
তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি ! স্কুল থেকে বাসায় এসে দেখি আমার পড়ার টেবিলের উপর বাসার বিড়ালটা আরাম করে শুয়ে আছে ! বেটা কে অমন করে শুয়ে থাকতে দেখেই কেন জানি রাগ হয়ে গেল ! কয়েকদিন আগে এই ফাজিলটাই আমার পড়ার টেবিলের নীচে আকাম করে গেছে ! আর আজকে আবার এখানে শুয়ে আছে ! আমি কাল বিলম্ব না করে বেটা কে ধরে একটা আছাড় মারতে চাইলাম কিন্তু মুহুর্তের ভিতর কি হল ঠিক বুঝতে পারলাম না বিড়লাটা আমার হাতে খামচি দিয়ে একাকার করে ফেলেছে !
পরে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হয়েছিল । ইনজেকশন দিতে হয়েছিল ! তখন থেকেই আমি বিড়াল মোটেই পছন্দ করি না !
আর কদিন থেকেই হিমি কোথা থেকে এই টিংকু নিয়ে এসেছে । সারা দিন কেবল টিংকু ! আর টিংকু !
আমার কেন জানি এই টিংকুর কথা শুনতে একদম ইচ্ছে করে না ! রাগ লাগে ! বেটা একটা আছাড় দিতে পারলে ভাল লাগতো !
-মিয়াও ! মিয়াও !
টিংকু একদম খাটের কাছে চলে এসেছে । এখনই লাফ দিয়ে আমার উপর ঝাপ দিবে বুঝতে পারছি !
আমিও পেছাতে পেছাতে হিমির পড়ার টেবিলের কাছে চলে এসেছি !
টেবিল থেকে একটামোটা বই হাতে নিলাম ! বেটা লাফ দিলেই ছক্কা মারার মত একটা বাড়ি মারবো !
আয় এবার !
একটা বার কেবল লাফ মেরে দেখ !
আমি রেডি !
টিংকুও রেডি !
যেকোন সময়ই হামলা শুরু হতে পারে !
তিন ! দুই ! এক !
-মিয়াও ! মিয়াও
আমিও বললাম
-মিয়াও ! মিয়াও !
-অপু !
আমিই আগে হামলা করবো কিনা ভাবছি তখনই হিমিকে দরজায় দেখতে পেলাম !
-হুম !
-হোয়াট আর ইউ ডুয়িং ?
-নাথিং !
-তাই !
তারপর টিংকুর দিকে তাকিয়ে বলল
-টিংকু ! নো ! নো !
টিংকু পজিশন নিয়েই ছিল ! দেখলাম আবার বিছানার ফিরে গেল লেজ তুলে !!
-এই বেলা পালালী কেন ? লেজ গুটিয়ে কই যাস ?
-অপু !
-হুম !
-কি করছো তুমি !
-আরে তোমার বিলাই তো আগে মিয়াও মিয়াও করছে ! আমি কিছু করি নাই !
আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে হিমি বলল
-কি ব্যাপার ? তুমি কি টিংকুকে কিছু বলেছ ?
-আমি ? আমি কিছুই বলি নি ! আমি ঠিক মত বুঝলাম না আমার উপর এতো খেপলো কেন ?
হিমি একটু হাসলো ! বলল
-আসলে তোমার হাত ধরে ঘরে ঢুকেছি তো এটা মনে হয় ওর পছন্দ হয় নাই ! ও আসলে বুঝতে পারে ! আমি কাউকে একটু আদর করলে তাকে একদম সহ্য করতে পারে না !
-তাই ! শুধু বিড়ালের টাই দেখলে !
হিমি আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাসলো !
-আহালে ! আমার বাবুটা ! এতো হিংসা করলে হয় ! ওটা তো একটা ছোট্ট বিড়াল ! কি চমৎকার বাবুবাবু বিড়াল ! দেখো না !
-হুম ! বুঝেছি ! বাবু বাবু ! আর একটু হলে তো খবর ছিল ! কিন্তু আমিও ছেড়ে দিতাম না !
-ছিল তো ! তুমি তার ভালবাসার মানুষকে আদর করবে আর সে চুপ করে থাকবে !
-আর আমার ভালবাসারের বেলায় কি হবে ! বেটার কিন্তু খবর আছে !
-ও লে লে লে !
হিমি আবার হাসলো ! তারপর বলল
-আচ্ছা ! আর হিংসামী করতে হবে না ! আব্বা বাধরুমে ঢুকেছে ! এখনই বাইরে বের হবে ! তুমি তার আগে বের হও জলদি ! তা না হলে কিন্তু সারা রাত এই খাটের নিচে থাকতে হবে ! আর টিংকুর সাথে ঘুমাতে হবে !
আমি বাড়ির বাইরে বের হয়ে এলাম ! রাস্তায় দাড়িয়ে দেখলাম হিমি বারান্দায় এসেছে । কোলে টিংকু !
আজকে বেটা বেচে গেল ! দাড়া আগে স্থায়ী ভাবে এই বাড়িতে ঢুকে নেই তারপর তোর খবর আছে !!
আমার কথা মনে হয় বেটা বুঝে ফেলেছে ! দেখলাম বলল
-মিয়াও ! মিয়াও !!
এমন একটা ভাব যেন আমার চেলেঞ্জ গ্রহন করলো !
আমিও বললাম
-মিয়াও মিয়াও !!
Click This Link
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২১
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন:
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
আপনার আগের গল্পগুলি স্বাদ কোন কারণে এখন পাওয়া যায় না।
আগের গল্পগুলোর দিকে একটু তাকান।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! বুঝতে পারতেছি !!
আর গল্প লিখবো না !
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: বর্ষনের সাথে একমত!!! তবে আপনার সাথে দ্বিমত!!
গল্প লিখা আপনি চাইলেও ছাড়তে পারবেননা!!
গল্প বেশি কিউট হয়েছে.....এত্তোগুলা লাইক!!
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৩
অপু তানভীর বলেছেন:
৫| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৪
টিংকু টিংকু বলেছেন: গরররররররর!!!!!!!
ম্যাওওও ম্যঅওওও!!!
০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: মিয়্যাও....
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: দারুণ