নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুক ডাউন করেছে । কোন ভাবেই সেটা আর উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না । ফেসবুকের মেইন বেস সার্ভারটা ধ্বংশ হয়ে গেছে । আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্ক জুকার্বাগ ঘোষনা দিলো যে ফেসবুক বন্ধ । নতুন করে আবার চালু করা হবে কি না সেই ব্যাপারে সে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না !
আস্তে আস্তে সবাই তা মেনেও নিল । কিন্তু কিছু কিছু বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারলো না ! এমনই আসক্তি ছিল তাদের যে কোন ভাবেই তারা ফেসবুকের থেকে দুরে থাকতে পারছিলো না ! তাই তারা ফেসবুকে যা করতো ঠিক সেই জিনিস টাই বাস্তবে করতে শুরু করলো !
আমি যদিও তেমন ভাবে আসক্ত ছিলাম না তবে ভাব ভাবেই ফেসবুক ব্যবহার করতাম ! তাই আসেপাশের ফেসবুকীও মানুষ গুলোকে ঠিকঠাক চিনতাম !
ফেসবুক বন্ধ হওয়ার সপ্তাহ খানেক পরেই সকাল বেলা বাসা থেকেই বের হয়েই আমার চোখ চরক গাছ । আমার বাসার ঠিক বাইরে গেটের কাছে একটা সাইনবোর্ড টাঙ্গানো । অনেক টা নোটিশ বোর্ডের মত । সেখানে একটা এফোর সাইজের প্রিন্টেড ছবি লাগানো রয়েছে ক্লিপ দিয়ে । তার উপরে লেখা "আজকের সকালের নাস্তা গাইজ" ছবিতে টেবিলের উপরে সাজিয়ে রাখা কিছু খাবারের ছবি !
আমার মনে পড়ে গেল যে আমার বাসার ঠিক নিচের তলায় একজন মেয়ে ফেসবুকার থাকে । এনজেল সামথিং নাম হবে মেয়েটার ! সেই মেয়েটার কাজ হবে এটা ! বোর্ডের ছবিটার নিচে দেখলাম কয়েকজন আবার মার্কার দিয়ে কমেন্টও করে গেছে । কিছু ট্যালির মত দাগ দেওয়া । গুনে গুনে দেখলাম প্রায় ৭৮ টা ট্যালি দাগ !
বোর্ড পার হয়ে কয়েক পা এগুতেই এক ছেলে এসে হাজির সামনে ! সাথে আবারও সেই পোস্টার ! একটু ভাল করে তাকিয়েই দেখলাম আসলে ছবিতে স্টাইল করে দাড়াবো মানুষটা আর সামনে দাড়ানো মানুষটা একই জন । যদিও প্রথম ধাক্কায় যেটা বের করা একটু কষ্টে ! নিশ্চয়ই ডিএসএলআর দিয়ে তোলা ছবি !
ছেলেটা আমার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে বলল
-ছবিটা কেমন ভাই ?
আমি বললাম
-ভাল !
-তাহলে একটা লাইক দেন ?
-লাইক ? কিভাবে দেব ?
-আপনার তো একাউণ্ট দেখছি না ! মার্কার নেই ?
-না তো, একাউন্ট কিসের একাউন্ট !
ছেলেটা আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি ভিন্ন গ্রহের মানুষ !
ছেলেটা এবার নিজের পকেট থেকে একটা মার্কার বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এই দেন একটা লইক দিয়ে দেন ! আমিই দিয়ে দিতাম আপনারটা তাহলে লোকে আবার বলবে অটোলাইকার ব্যবহার করেছি !
আমি একটা দাগ দিয়ে দিলাম !
-আর আজকেই একটা একাউন্ট খুলে ফেলবেন ! একটা কমেন্ট কি করবেন ?
-একাউন্টই তো নাই । কমেন্ট করবো কিভাবে ?
-আচ্ছা, ঠিক আছে ! দরকার নেই
ছেলেটা চলে গেল ! আমি আবারও ভাবতে ভাবতে হাটতে লাগলাম ! আজকে শুরু হয়েছে কি ?
কয়েক পা এগুলোতেই দেখি সুফি ভাইও একটা ছবির প্ল্যাকার্ড নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে । সুফিয়ান ভাই আমাদের এলাকার বড় ভাই আর বিশেষ ফেসবুক সেলিব্রেটি ! প্রত্যেকটা বিষয়ে তার অধিক জ্ঞান ! আমার সামনে আসতেই সুফি ভাই বলল
-কি রে তোর কি খবর যে বাবলু ? ফেসবুকে একাউণ্ট কই তোর ?
-কি বলেন ভাই । ফেসবুক না ডাউন খেটেছে । সব একাউন্ট গায়েব !
-আরে গাধা সেই ফেসবুক না ! এটা হচ্ছে রিয়েল ফেসবুক ! দেখছিস না ?
এই বলে তিনি প্ল্যাকার্ডের দিকে ইঙ্গিত করলো ! আমি তাকিয়ে দেখি সেখানে সুফি ভাইয়ের একটা চমৎকার ছবি সাটা রয়েছে সেখানে ।
-এটাই নিয়ে ঘোরা মনে হচ্ছে তোর একাউণ্ট আছে । বুঝেছিস ! শোন আজকই একটা একাউন্ট খুলে ফেল !
আমি সুফি ভাইয়ের পাশে পাশে হাটতে লাগলাম ! একটুদুরেই দেখি একজন মানুষ খুব আবেগ ভরা মুখ নিয়ে কিছু বলছে । আর সামনে দাড়ানো কিছু মানুষ সেই কথা গুলো করুন মুখ নিয়ে শুনছে । কেউ কেউ আবার চোখ মুছতেছে । কেউ কেউ আবার হাউমাউ করে কাঁদছে !
আমি সুভি ভাইকে বললাম
-ঐ খানে কি হইতেছে ভাই ?
-আরে ওরে চিনিস না ? ঐ ছেলেটা খুব আবেগ দিয়ে পোস্ট লিখতো আগে ফেসবুকে । মানুষ পোস্ট পড়ে কাইন্দা কাইটা অস্থির ! এখন তো ফেসবুক নাই তাই এখন এখানে কথা বলে । মানুষ সেগুলো শুনে কান্দা কাটি করে ! মার্কার দিয়ে কমেন্ট টমেন্ট লিখে দেয় !
আরেকটু দুরে গিয়ে দেখি এক গাছ তলায় একলোক মুখ বিকৃত করে কাকে যেন গালী গালাজ করছে !
আমার মুখ দিয়ে কিছু বের হওয়ার আগেই সুফি ভাই বলল
-আরে এরে চিনিস তো ! ঐ যে কি এক গ্রুপের হেড ছিল ! সেই লেভেলের মুখ খারাপ ! সারা দিন মুখ খারাপ করতো ! ফেসবুক চলে যাওয়ার পরে তো আর কাউকে গালী দিতে পারে নাই তাই এখানে এখন গালী দিতেছে !
আমরা হাটতে হাটতে হঠাৎ থামতে হল ! দেখি এক নেতা গোছের মানুষ আমারদের সামনে দিয়ে হেটে চলে যাচ্ছে তার পেছনে শত শত মানুষ হাটতেছে । মাঝে মাঝে শ্লোগান দিতেছে !
-এরা কারা ভাই ?
-আরে এই সেই ফেসবুক সেলিব্রেটি ! এরপেছনের এরা হল তার ফলোয়ার ! বুঝিস নাই !
-ও আচ্ছা !
আমরা আস্তে আস্তে এগুতে লাগলাম !
এক জায়গায় দেখি কয়েকজন জড় হয়ে বসে কি যেন আলোচনা করছে । সুফি ভাই বলল
-এরা হল ওমুক ওপেন গ্রুপের সদস্য !
-আচ্ছা !
আরেকটু দুরেই দেখি কয়েকজন লোক খুব গোপেন কি যেন কথা বলছে । এতোই আস্তে যে কিছুই শুনা যায় না ! বুঝতে অসুবিধা হল না যে এরা আসলে কোন সিক্রেট গ্রুপের সদস্য ! গোপন কোন আলোচনায় ব্যস্ত !
কয়েকপা এগিয়েছি ঠিক তখনই দেখি দুই জন লোক হাতে লাঠি নিয়ে একে উপরে চড়াও হবে হবে করছে । কিন্তু কেউ আগে এগিয়ে আসছে না ! কেবল লাঠিউ দেখাচ্ছে !
সুফি ভাই বলল
-দেখতিস না যে আগে ফেসবুকে কিছু ফাপড় বাজ লোক থাকতো ! কাছে পেলে এই করবে সেই করবে হ্যান করবে এরা হল সেই ক্যাটাগরির ! চিন্তা করিস না ! এরা সারাদিন কেবল এমন ভাবেই একে ওপরের দিকে লাঠিই দেখাবে কিন্তু একটা লাঠি চালানোর ক্ষমতা তাদের নেই !
আর কিছু দুর এগোতেই দেখি দুজন লোক টেবিলের দুইপাশে বসে সমানে তর্কে করে যাচ্ছে ! আমি সুফি ভাইকে বলল
-এরা ফেসবকের সেই তর্কবীদ রা ? সারাদিন কোন কাজ নেই ফেসবুকে তর্ক করে বেড়ায় !
-ঠিক ধরেছিস !
ওখানেই দেখতে পেলাম একটা মেয়ে গাছের নিচে বসে আছে । সামনে প্রায় শ খানেক হলুদ খাম পড়ে আছে । মেয়েটা একটা একটা করে খাম খুলছে আর পড়তে ! কয়েকটাতে তার মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে আবার কয়েকটা পড়ে মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে । বুঝতে পারলাম যে মেয়েটা ইনবক্স চেক করছে ! কিছু কিছু খাম আবার না খুলেই রেখে দিচ্ছে । আদার্স মেসেজ মনে হয় !
দেখতে দেখতে আমরা প্ল্যাকার্ডের জায়গায় চলে এলাম ! দেখলাম বেশ কয়েকজনই এখান থেকে প্ল্যাকার্ড নিচ্ছে । তারপর সাথে করে আনা ছবি সেখানে মেরে দিয়ে একাউন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! আমিও একটা খুলে ফেললাম ! খুলতেই সুভি ভাই বলল
-আগে আমার ফটো একটা লাইক দে । সকাল থেকে কেউ একটা লাইক দেই নাই !
আমি লাইক দেওয়ার আগেই দেখি একটা মেয়ের আমার দিকে এগিয়ে আসতে । তার প্ল্যাকার্ডে চমৎকার একটা সেলফি দেখা যাচ্ছে । আমি মার্কার দিয়ে সুফি ভাইয়ের আগে মেয়েটার ফটোটে একটা লাইক দিয়ে ফেললাম ! মেয়েটা একটু মিসকি হেসে চলে গেল ! তারপর সুফি ভাইয়ের টাতে দিলাম লাইক ! সুফি একটু গম্ভীর হয়ে গেল বটে কিন্তু কিছু বলল না !
আরেকটা মেয়েকে এগিয়ে আসতে দেখে আমি যেই না ছবিতে লাইক দিতে যাবো মেয়েটা তখন কঠিন কন্ঠে বলল
-আমার ছবি পাব্লিকে দেওয়া না ! আপনি লাইক দিতে পারবেন না !
যা শালা ! এখানেও আবার প্রাইভেট পাব্লিক আছে !
কি আর করা !
একাউন্ট নিয়ে সুফি ভাইয়ের সাথে সাথে হেটে হেটে বাড়িের দিকে ঘিয়ে আসছি ! এমন সময় সফি ভাই আমার কাছে জানতে চাইলো আচ্ছা ভার্চুয়াল ফেসবুকের মত রিয়েল ফেসবুকেও তো অনেককেই দেখলি ! কাকে দেখিস নাই বল তো ?
আমি প্রথমেই খুজে পেলাম না কাকে বোঝাতে চাইছে সুফি ভাই ! আমি খুজতে লাগলাম ! গালিবাজ থেকে আবেগ, যুক্তিবাদি থেকে ফাপড় বাজ সবাইকেই তো দেখলাম । কে বাকি আছে ?
সুফি ভাই বলল
-বলতে পারলি না ?
-নাহ !
-আরে আছে না কিছু ! সব সময় মানুষের ধর্ম আর অনুভুতি নিয়ে খোচাখুচি করে ! এরকম একটাকেও দেখেছিস ?
-না তো !
-কেন বলতো ?
আমি বলতে পারলাম না !
সুফি ভাই হাহাহাহাহা করে হেসে উঠলো !
-পাব্লিকের মাইর খাওয়ার ভয় আছে না ! এরা কেবল অনলাইনের হিরো ! বাস্তবে ১০ জনের সামনে দাড়াইয়া এদের একটা কথা বলার সাহস নাই ! কারন জানে মাইর তাইলে একটাও মাটিতে পড়বে না ! যাক বাসায় যা ! বিকেল বের আবার আসবি ! তখন কিছু ছবি পোস্ট করলো । তোর লাইক চাই সবার আগে !
আমি প্ল্যাকার্ড নিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাই বাসার দিকে ! বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি সেই নীচ তলার মেয়েটা দাড়িয়ে আছে । আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো ! তারপর একটা হলুদ রংয়ের খাম ধরিয়ে দিয়ে দৌরে বাড়ির ভেতরে চলে গেল !
আমি খাম টা খুলবো কি না বুঝতে পারলাম না !
বিঃদ্রঃ মনে রাখা দরকার যে এই পোস্ট খানা কেবলই মাত্র একটা ফান পোস্ট আর কিছু নয় ! এই পোস্টে সিরিয়াস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল
(ছবি সব গুগল থেকে সংগ্রহকৃত)
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন:
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! জোস্! লেখার সাথে ছবির কম্পোজিশন খুব ভালো হৈছে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৬
লাবু২২ বলেছেন: সম্পুর্ন ভিন্নধর্মী লেখা। লেখকের creativity আছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০২
অপু তানভীর বলেছেন:
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
সুমন কর বলেছেন: মজার হইছে..
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০২
অপু তানভীর বলেছেন:
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: হুম, লেখকে কিটিবিটি (ক্রিয়েটিভিটি) অসাধারণ লেভেলের। এত কিছু কল্পনা করেছি, কিন্তু এমন কোন কিছুই কখনও কল্পনায় আসেন। খুবই মজা পেলাম।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
অপু তানভীর বলেছেন:
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই ব্যাপারে মোটামুটি নিরাসক্ত জীবনযাপন করি। ফেসবুক ব্যবহার মেসেঞ্জারেই সীমাবদ্ধ। এমএসএন আর ইয়াহুরে তো ফেবু মেসেঞ্জার খাইয়া ফেলছে।
ভালো লিখছেন। এইরকম হইলেই বেশি ভালো হইতো। বাস্তবের সাথে হালকা খাতির বাড়তো
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২০
অপু তানভীর বলেছেন: বিপদও ছিল বেশ ! মাইরমুইর খাওয়ার বিস্তার সম্ভবনা থাকতো তখন পদে পদে
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
রিকি বলেছেন:
এটা বাস্তব জগতে আসলে আমার মত কত বেকার মানুষ যে সার্জেন্ট/ করপোরাল/ ডেপুটি হয়ে পড়ত !!!!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২১
অপু তানভীর বলেছেন:
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
শায়মা বলেছেন: সবচেয়ে পছন্দ হলো, হ্যামিলনের ছবির ফলোয়ার কম্পোজিশন!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২১
অপু তানভীর বলেছেন:
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: অচথির লিখেছেন ভাউ আসলেই এমন রিয়েল ফেবু পাইলে আমার হেমায়েতপুর বুকিং তথা যাওয়া কনফার্ম
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন:
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ফেসবুকে যাদের প্রেম হয়ে যায়, তাদের নিয়ে লিখলেন না যে
১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: তাদের কি লিখবো সেটা খুজে পায় নাই এখনও
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: লিখে দিন, দুই পক্ষের গুরুজনদের কাছে প্যাঁদানি খাওয়ার গল্প
১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৩
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
MOBAILE ACI , ABAR ASBO