নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-মিতু । এই মিতু !
মিতু বইয়ের ভেতরে ডুবে ছিল । বই পড়ার সময় অন্য কোন দিকে তার লক্ষ্য থাকে না । অন্য সব কিছু থেকে নিজেকে একেবারে আলাদা করে ফেলে । মিতু বই থেকে চোখ তুলে তাকালো দরজার দিকে । ড্রয়িং রুম থেকে আওয়াজ আসছে ।
-মিতু । এক কাপ চা ! চা দিয়ে যাও !
মিতু একটু বিরক্ত হল । বই পড়ার সময় অন্য কোন কাজ করতে ওর ভাল লাগে না । অপু নিজেও এটা জানে খুব ভাল করে । তবুও ও এমন করে । মিতুর মনে হয় অপু এই কাজটা ইচ্ছে করে । ওকে বিরক্ত করতে অপুর মজা লাগে । এক গ্লাস পানিও খেতে হলে ওর মিতুকে ডাকার দরকার পরে । মিতু বইটার ভেতরে মোবাইল রেখে মার্ক করে রাখলো ।
দরজা দিয়ে বের হয়ে একটু গলা চড়া করেই বলল
-কি হয়েছে ?
-এক কাপ চা !
মিতুর একবার মনে হল বলে যে পারবে না । নিজের চা নিজেই বানিয়ে নাও । কিন্তু বলল না । আরেকবার ঘুরে বিছানার উপর পড়ে থাকা বইটার দিকে আবার তাকালো । বইটা বেশ কিছু পাতা পর্যন্ত পড়া হয়েছে । আজ রাতে শেষ না করলে ওর শান্তি হবে না । দরকার হলে রাতে না ঘুমিয়েই আজকে বইটা শেষ করবে । অবশ্য সমস্যা নেই । আগামীকাল ছুটির দিন বেলা করে ঘুম থেকে উঠলেও সমস্যা হবে না । আর চা বানাতে খুব একটা সময় লাগবে না !
মিতু রান্না ঘরের দিকে হাটা দিল । পানি গরম করাই ছিল ফ্ল্যাক্সে । চা পাতা খুজতে লাগলো । চা বানাতে খুব বেশি সময় লাগলো না । চা নিয়ে যখন ড্রটিং এসে হাজির হল তখন ওর বিরক্তিটা আরও একটু বেড়ে গেল । ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে কাটা কাগজ পড়ে আছে ।
এই ছেলে এমন সব কাজ করতে পারে ! কেবল ওর কাজ বাড়ায় ! মিতু বলল
-ঘরের অবস্থা কি করে রেখেছো ?
অপু হাসলো । বলল
-এই একটা কাজ করছিলাম । তুমি চিন্তা কর না । আমি পরিস্কার করছি !
মিতু কিছু বলতে গিয়েও বলল না । মুখটা একটু স্বাভাবিক করলো । তারপর চায়ের কাপটা টি-টেবিলের উপর রেখে বলল
-ভাল করে পরিস্কার করবে !
-আচ্ছা । করবো । সমস্যা নেই । তুমি যাও ! বই পড় গে !
মিতু আর কোন কথা না বলে আবারও শোবার রুমের দিকে হাটা দিল । বিছানায় শুয়ে বইটা হাতে নিতেই দেখলো ওর মোবাইলটা বইয়ের এক পাশে রাখা । অথচ ও যাওয়ার সময় মোবাইলটা বইটার ভেতরে রেখে গিয়েছিলো মার্ক করে ।
বইটা খুলতে একটা অদ্ভুদ ব্যাপার দেখতে পেল । বইটার ১২১ নম্বার পাতাতে একটা চমৎকার বুকমার্কার রেখে আটকানো । হাতে বানানো !
মিতুর মনটা সাথে সাথেই ভাল হয়ে গেল । ড্রয়িং রুমের কাটা কাগজের কারনটা বুঝতে পারলো । সেই সাথে অপু কেন ওকে চা বানানোর জন্য বলেছিলো সেটাও বুঝতে পারলো । ও চা বানাতে গেছে আর এই ফাঁকে অপু এই বুকমার্কারটা ওর বইয়ের ভেতরে রেখে গেছে । ওর জন্য !
আশ্চর্য ছেলেটা নিজ থেকে দিয়ে যেতে পারতো না ? বইটা হাতে নিয়ে কয়েক মুহুর্ত বসেই রইলো ।
মিতু বইটা হাতে নিয়ে উঠে দাড়ালো । তারপর ড্রয়িং রুমে এসে হাজির হল । অপু আবারও শোফার উপর বসে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে । অপুর বই পড়ার ঠিক অভ্যাস নেই । তার বদলে ও টিভি দেখে । অফিস থেকে এসে ওর ঘুম আসা পর্যন্ত টিভি দেখে । অন্যান্য সময়ের মত অপু যেভাবে টিভি দেখে রাতের বেলা আজও সেরকম ভাবেই টিভি দেখছে । দুটো পা টি টেবিলের উপর তুলে রাখা ।
মিতু বইটা হাতে নিয়ে অপুর পাশে গিয়ে বসলো । একেবারে গাঁ ঘেষে ! অপু কেবল তাকালো ওর দিকে । মুখটা একটু হাসি হাসি । তবে কিছু বলল না । এমন একটা ভাব যেন ও কিছুই করেই নি ।
মিতু ওর পাশে বসলো । তারপর নিজের পা দুটো টি টেবিলের উপর রাখলো, অপুর পায়ের পাশেই । আজকে কেন জানি মিতুর বই পড়ার থেকেও অপুর পাশে থাকতে ভাল লাগছে । বইটা আর খুললো না । আজকে আর পড়তে ইচ্ছে করছে না । বরং অন্য কিছু ইচ্ছে করছে !
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৪
Nahid Ul Islam বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।
অবশ্য অপু ভাইয়ার সবগুলো লেখাই ভালো...
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: গল্প সুন্দর হয়েছে!
প্লাস!
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
আহমদ তালুকদার বলেছেন: অসাধারণ
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প বেশ হল। মজাই পাইলাম।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৬| ০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
সদানন্দ দেবনাথ বলেছেন: অনু গল্পে বৃহত্তর ভাললাগা
০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এত বার মিতু লিখছেন! এখন চোখে আর ঠোটে শুধু মিতু মিতু দেখছি আর আসছে!!
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন:
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
খাঁজা বাবা বলেছেন: শেষ?
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: সুন্দর।