নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০১ এর আগে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শিক্ষা ক্ষেত্রের উপর ভর করে ছিল নকলের রাজত্ব । যারাই তখন পাশ করতো, তাদের বেশির ভাগই পাশ করতো নকল করে । প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করতো কোন উদ্দোগ নেওয়ার ক্ষমতা কিংবা ইচ্ছে তাদের ছিল না । তারপর বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে মিলন সাহেব একেবারে ঝেড়ে পুছে শিক্ষাঙ্গন থেকে এই নকলের নাম নিসানা দুরে করে দিল । বলতে আমার খানিকটা গর্বই হয় যে আমি পাশ করেছি মিলন সাহেবের আমলে । বিএনপিকে যদি আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই তবে এই একটা কারনেই দেখতে চাইবো !
এরপর আওয়ামীলীগ এল । নকল ফিরে না এলেও শিক্ষাঙ্গনের উপর নতুন করে ভয় করলো প্রশ্ন ফাঁসের ভুত । পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন স হ সকোল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হতে লাগলো । আমরা অসহায়ের মত দেখতে লাগলাম । কিছুই যেন করার নেই । এই সরকারের সব থেকে ব্যর্থ সেক্টর হচ্ছে এই শিক্ষা সেক্টর । কেবল সময় মত বই বিতরন ছাড়া আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কোন সফলতা আছে বলে আমার মনে হয় না । সেই সাথে বাংলাদেশের সব থেকে ব্যর্থ এই আমলের এই শিক্ষা মন্ত্রনালয় !
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসার অন্য তম কন্ট্রিবিউটার ছিল তরুন ভোটাররা । আওয়ামীলীগ তাদের নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছিলো এই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আশ্বাস দিয়ে এবং তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলো বিএনপির সাথে যুদ্ধাপরাধীর দল আছে । সেই ক্যাম্পেইব খুব সফল হয়েছিল বলা যায় নয়তো, বাংলার ইতিহাসে এতো বড় ব্যবধানে কোন দলকে জয়ী হতে দেখা যায় নি (ফেয়ার ইলেকশনের কথা বলছি) । এখন কিন্তু আওয়ামীলিগের আগে আর সেরকম কোন ক্যাম্পেইন নেই । যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে আর এখন পাব্লিক এই একই জিনিস খাবেও না । অন্য কোন ইস্যু লাগবে যেটা পাবলিক খাবে বিশেষ করে তরুনরা !
বর্তমান তরুন এবং ২০১৯ সালের ভোটারেরা সবার কাছেই একটা চাকরি সব থেকে বেশি কাঙ্খিত, বিশেষ করে সরকারী চাকরি । মানুষ চাকরি পাচ্ছে না এটা তারা মেনে নিতে পারে, তার যোগ্যতা নেই এজন্য চাকরি পাচ্ছে না । এটা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু যখন চোখের সামনে দেখে অন্য কেউ অবৈধ পথে সেই চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, কেউ বা তার থেকে কম যোগ্য হয়ে কেবল কোটার জোরে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারে না ! আর সাধারন শিক্ষার্থীদের এই চাকরির পথে প্রধান দুই বাঁধা হচ্ছে, ক) প্রশ্ন ফাঁস খ) কোটা সিস্টেম ! একটা সরকারী চাকরির নিয়োগে ৫৫% কোটা রাখলে কি পরিমান অযোগ্য লোক শীর্ষ স্থানীয় পদ গুলো দখল করে থাকবে সেটা বুঝতে কারোরই কষ্ট হয় না । কোটা থাকবে, থাকাই স্বাভাবিক । একশ ভাগের মধ্যে ১০% কোটা থাকা স্বাভাবিক । তাই বলে ৫৫% ?
যে দল নিশ্চয়তা দিবে সে পাব্লিক পরীক্ষা সহ সকল চাকরির পরীক্ষায় কোন রকম প্রশ্ন ফাঁস হবে না আমি সেই দলকে ভোট দিব । যে দল নিশ্চয়তা দিবে যে কোটা সিস্টেমের সংস্কার করবে আমি সেই দলকে ভোট দিব ! যদি আমার ভোট আপনাকে পেতে হয় তাহলে এই দুই কাজ করতেই হবে । আর যদি আমার ভোট আপনার কাছে জরূরী না হয় তাহলে যা ইচ্ছে করতে পারেন ! তবে আমি আমি এবং আমার মত এরকম একটা একটা ভোট নিয়েই কিন্তু সরকার গঠন হবে !
২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: যে কোটাই হোক ১০% এর বেশি রাখাটা অযৌক্তিক !
২| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
হিমাদ্রি হেম বলেছেন: আমরা করি প্রশ্ন ফাস
পরে যাবে পোদে বাঁশ।
২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
ফ্রিটক বলেছেন: পরীক্ষা দিতে গিয়ে বর্তমানে হয়রানি ছাড়া কিছু আশা করতে পারি নাই। আমিও আপনার সাথে একমত। লোক গোপনে সিলেক্ট হয়, এরপর নাটক মঞ্চথ হয়। খুব খারাপ লাগে অপ্রাসঙ্গিগ প্রশ্ন করে।পুরাই বেকুপ মনে হয়। আসলে তারা আমাদের বোকা মনে করে। যোগ্যদের মূল্যায়ন না হলে দেশটা ক্রমে রসাতলে যাবে,যাচ্ছেও তাই। আমাদের দেখা ছাড়া কিছু করার নেই।
২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ।
৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মিলনের সময়টুকু ছাড়া পুরোটাই "আকাট.।"।। আর শুধু শিক্ষাকে পুজি করে ভোট দিতেও আমি রাজী নই।।
২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ইচ্ছে !
৫| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
বিজ্ঞানবাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ
২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা ১০% কোটা রেখে বাকি সব বাদ দেওয়া উচিত।