নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রস্তাবনাঃ সরকার পাব্লিক পরীক্ষা গুলো যেভাবে কিংবা যখন নিতে পারে

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

আমাদের দেশে মূলত দুইটা পাব্লিক পরীক্ষা সময়মত না হলে বিরাট এক ঝামেলা শুরু হয়ে যায় । কারণ এই সময়ের সাথে অন্য অনেক কিছু যুক্ত থাকে । ফলে একটার দেরি হয়ে গেলে অন্যটাতেও ঝামেলা শুরু হয় । অনেকটা চেইন রিয়েকশনের মত !

আগে এই এসএসসি আর এইচ এসসি পরীক্ষা নিতে গিয়ে প্রায়ই দেরি হয়ে যেত । আমাদের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিলো প্রায় দের মাস পরে সেই হিসাবে এইচএসসি পরীক্ষাটাও মাস খানেক পরে নেওয়া হয়েছিলো । এবং আমাদের ভার্সিটির ক্লাস শুরু হতেও মাস দুয়েক দেরি হয়েছিলো অন্যদের থেকে ! একটার দেরির ফলে অন্য সব গুলোর উপর প্রভাব পরেছে ।

এখন অবশ্য এসএসির জন্য ফেব্রুয়ারি আর এইচ এসসির জন্য এপ্রিল ঠিক করে নেওয়া হয়েছে । এই জন্য এখন মোটামুটি সব কিছু একটা সময় মত হয় ! সেই হিসাবে এইচএসসির পরে রেজাল্ট, এরপর আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সব সময়ের পরপর ভাবে চলে আসে । তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ! কিন্তু যখনই একটা পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেরি হয় তখন সেটা ঠেলতে ঠেলতে সব কিছু পেছনে নিয়ে যায় । দেরি করে রেজাল্ট, দেরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তার দেরি করে ক্লাস শুরু ...

বর্তমানে যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে এখনও এইচ এস সি পরীক্ষা নেওয়াই হয় নি । অন্য বছর গুলোতে এই সময়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় । আমার যতদুর মনে পড়ে গত বছর এই সময়েই ঢাবির পরীক্ষা শুরু না হলেও হবে হবে করছিলো । সেখানে এখনও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষাই নিতে পারে নি । রেজাল্ট তো আরও পরের ব্যাপার !

আর কদিন পরে আবার পরের ব্যাচ পরীক্ষার দেওয়ার সময় হয়ে যাবে !

এই পরীক্ষাটা কিভাবে নিচে সরকার?
কোন উপায় তো দেখা যাচ্ছে না । কারণ এখনও দেশে করোনা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নি । বরং দিন দিন বাড়ছে । সামনে কবে উন্নতি হবে সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই । তবে রাশিয়ার ভ্যাকশিন যেহেতু কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে সেই হিসাবে আগামী জানুয়ারী ফেব্রুয়ারির দিকে এই ভ্যাকসিন সবার কাছে আসবে বলে এমন আশা করা যাচ্ছে, অন্তত সহজলভ্য হবে বলে আশা করা যায় !

ধরি এই মাসে ভ্যাকসিন চলে এসেছে । সেই হিসাবে করলেও, সরকার যত চেষ্টাই করুক না কেন কোন ভাবেই নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের আগে ইন্টার পরীক্ষা নিতে পারবে না । সম্ভাবনার কথা বলছি । যদি ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হয় রেজাল্ট দিতে দিতে ফেব্রুয়ারি মার্চ ! কারণ পরীক্ষা শেষ হতে অন্তত মাস খানেক লাগবে । এবং তখন এডমিশন টেস্ট নিতে নিতে মে মাস। মানে পরের এইচএসসির ব্যাচ চলে আসবে । পরের ব্যাচ পরীক্ষার পরে যখন ভর্তি হবে তখন দেখা যাবে এক ব্যাচ থেকে আরেক ব্যাচের গ্যাপ দুই এক মাস মাত্র ! দারুন এক জগাখিচুড়ির মত মত অবস্থা !

এই ঝামেলা থেকে বের হতে কি করা যায় ?

এই প্রাস্তাবনাটা একটু ভেবে দেখা যাক ! এই প্রস্তাবনায় কিভাবে পরীক্ষা নেওয়ার থেকে কখন পরীক্ষা নিতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা !

২০২০ শিক্ষা বর্ষটা বিলুপ্ত করা হোক । এই শিক্ষা বর্ষে যারা যে ক্লাসে পড়েছে তারা সেই ক্লাসেই আগামী ২০২১ সালে আবার নতুন করে শিক্ষা বর্ষ শুরু করুক । অর্থ্যাৎ যাদের এইবার ইন্টার পরীক্ষা দিত তারা পরের বছর দিবে । যাদের ২০২১ এ দেওয়ার কথা তারা দিবে ২০২২ সালে । যারা এই এসএসি পরীক্ষায় পাশ করেছে এবং কলেজে ভর্তি হবে এখন তাদের ক্লাস শুরু হবে সামনের বছরই । এই একটা বছর সবাই বসেই থাকবে । যারা এইবার ক্লাস ফাইভে পড়ছিলো তারা সামনের বছর এই ক্লাস ফাইভেই পড়বে । যারা ক্লাস টেনে ছিল সামনের বছর টেনেই থাকবে । আবার নতুন করে পড়াশুরু করবে ।

এই ব্যবস্থাটা নিলে কি হবে শিক্ষা বর্ষের ভেতরে যে জগাখিচুড়ির অবস্থাটা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা আর হবে না । এতো দিন ধরে যেভাবে সব কিছু চলে আসছে সেই ভাবেই চলতে থাকবে ! সময় মত এইচ এস সি পরীক্ষা হবে, রেজাল্ট হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে !

এর ফলে যা সমস্যাটা হবে সেটা হচ্ছে সবার জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হবে । কিন্তু নষ্ট হওয়ার বছরটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব । সরকার চাইলেই এই নষ্ট হওয়া বছরটার পুষিয়ে দিতে পারে ।
শিক্ষা বছর নষ্ট হওয়া বলতে আমরা বুঝি বয়স বেড়ে গেলে আমাদের চাকরিতে প্রবেশের সময় কমে যাওয়া । অর্থ্যাৎ ৩০ এ চাকরির বয়স থেকে এক বছর কমে যাবে । এখন সরকার যদি এই ৩০ এর চাকরিতে প্রবেশের সময় সীমাটা এক বছর বাড়িয়ে ৩১ করে তাহলে এই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে সেই নষ্ট হওয়া বছরটা তারা ফিরে পেল । এবং একই ভাবে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়সটাও যদি এক বছর বাড়িয়ে দেয় সরকার তাহলে চাকরির সময় সীমাটাও নষ্ট হল না তাদের । এবং ব্যবস্থাটা এমন ভাবে করতে হবে যাতে কেবল মাত্র এই ২০২০ সালটার কারণে যে যে বয়সের শিক্ষার্থীদের এক বছর নষ্ট হয়েছে কেবল তারাই এই সুযোগটা পায় ।

অনেকের কাছে মনে হবে একটা বছর নষ্ট হবে । কিন্তু আমাদের এবছর বলতে গেলে নষ্ট হয়েই গেছে । পড়াশুনার কথা যদি আপনারা বলেন তাহলে দেখবেন যে বাসায় থেকে কোন ছাত্র যে কি পরিমান পড়াশুনা করেছে সেটা আপনি আমি সবাই জানি !

এসবই নির্ভর করছে যদি করোনার ভ্যাকসিন আগামী বছর এপ্রিলের আগে বাজারে সহজলভ্য হয় তবেই । এই দেশে আর যাই হোক স্বাস্থবীধি মেনে কিংবা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না ।

এই প্রস্তাবনাতে শিক্ষার্থী সবার উপরেই একটা সম্মিলিত ভাবে ক্ষতি হচ্ছে সত্য কিন্তু সেটা পুশিয়েও নেওয়া হচ্ছে । সব চেয়ে বড় কথা যে কারো একটা ক্ষুদ্র দলের উপরে কোন অন্যায় করা হবে না । ক্ষদ্র দল বলতে আমি এই বছরের এইচএসসি পরীক্ষর্থীদের কথা বলছি ।

আরও আলোচনা হতে পারে । আপনার কাছে যদি অন্য কোন উপায় থাকে সেটাও জানাতে পারেন যেখানে কোন পক্ষের কোন ক্ষতি হবে না ।



সংযুক্তিঃ

করোনা পরিস্থিতির ভেতরে এখন পরীক্ষা নিলে যা হবে !

ইতিমধ্যে পরীক্ষার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ছয় মাস পেরিয়ে গেছে । তার মানে তাদের জীবন থেকে ছয় মাস নষ্ট হয়ে গেছে ।
এখন পরীক্ষা নিতে গেলে অন্তত অক্টোবর নভেম্রবের আগে কোন ভাবেই সম্ভব না । সেই হিসাবে পরীক্ষা শেষ হতে হতে ডিসেম্বর । অর্থ্যারর তারা এমনিতেই আট মাস পিছিয়ে যাবে ।

সামাজিক দুরত্ব রেখে কোন ভাবেই আমাদের দেশে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না ।

একটা দুইটা সেন্টার করে যেখানে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো সম্ভব হয় না সেখানে প্রতিটি কলেজে পরীক্ষা নিলে প্রশ্ন ফাঁসের কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করে দেখেছেন কি?

তারপরেও পরীক্ষা যদি নেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হবেই । পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না, এই ভয়ে অনেকে সেটা প্রকাশ করবে না। সেই হিসাবে আক্রান্ত আরও বাড়বে ।

অনেক শিক্ষার্থীই আক্রান্ত হওয়ার ফলে পরীক্ষা ভাল করে দিতে পারবে না । আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে ।


এই পরিস্থিতিতে পাবলিক পরীক্ষা নিলে সেটা কারো জন্য ভাল হবে না । আমার প্রস্তাবনা ছিলই যদি ভ্যাকসিন সহজলভ্য হয় তবেই । কোন ভাবেই এই মহামারির ভেতরে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে না আমি । শেষে যেটা লেখা ছিল । এবং প্রস্তাবনা ছিল যাতে এই দেরীর কারণে কোন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্থ না । যে ক্ষতির সম্মুখীন তারা হবে সেটা পুশিয়ে দেওয়ারও একটা কথা আমি বলেছি পোস্টে ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: না এভাবে সম্ভব না। অনেক সমস্যা আছে। সমস্যা পাশ কাটিয়ে গেলে হবে না। হোক এক বছর দেরী। আগে তো বাঁচতে হবে। করোনার প্রকোপ কমে আসুক। কবি বলেছেন- দেরী হোক, যায় নি সময়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: বললেন তো অনেক সমস্যা আছে ! কি সমস্যা আপনি বের করেছেন শুনি ।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: অপু ভাই যারা সামনের বছরের ক্যান্ডিডেট এদের তো কলেজে ক্লাসই হয়নি। এরা কিভাবে সামনের বছরে পরীক্ষা দিবে আগের নিয়মে?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: এটাই কথা । তারা একটা বছর ক্লাস করে নি । এমন কি কোচিং বন্ধ । যতই বাসায় বসে ক্লাস করুক এদের কারো পড়াশুনা ভাল করে হয় নি । সামনের বার যখন পরীক্ষা দিতে যাবে তখন কি করবে !

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার প্রস্তাবটি বেশ যৌক্তিক বটে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আরও কয়েক ভাবে কাজ করা যায় কিন্তু আপাতত এর থেকে ভাল কিছু ভেবে বের করতে পারছি না যেখানে কারো কোন ক্ষতি হবে না !

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: এবছরের পরিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাব শুনে আঁতকে উঠবে, কিছুতেই রাজি হবে না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা ভালো প্রস্তাব। পরীক্ষা কয়েক মাস পিছিয়ে দেয়া হলে পরে গিঁট লেগে যাবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু এটা ছাড়া অন্য পথে গেলে এই বছরের শিক্ষার্থীরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে !

সরকার এমন একটা কাজ করতে পারে যেখানে ২০২০ এবং ২০২১ সালের পরীক্ষা এক সাথে নিতে পারে । কিংবা একটু আগ পিছ করে নিলে মাত্র দুই তিন মাসের গ্যাপ থাকবে দুই ব্যাচের ভেতরে । সেখানে ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীরা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে !

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: জীবন থেকে একটা বছর এভাবে গায়েব করে দেয়া যায় না। তাছাড়া করোনার কারনে ছাত্রছাত্রীরা পুরোপুরি গৃহবন্দীও নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গেলেও ছাত্রছাত্রীরা অন্য আর দশটা কাজে বের হচ্ছে। শুধু যে কাজে বের হচ্ছে তা নয় অকাজেও বের হচ্ছে। পড়াশোনা নেই বলে অনেকেই গ্রাম/ মফস্বলে বেড়াতে যাচ্ছে, হোটেল রেস্তোরায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। করোনার কারনে পড়াশোনা ছাড়া আর কোন কিছুই বাদ দিতে দেখা যাচ্ছে না দেশে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এইচ এস সি পরীক্ষা নেয়া অবস্যই সম্ভব। তানাহলে এই বছরের শিক্ষার্থীরা আজীবন সাফার করবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আড্ডা দেওয়া এক জিনিস আর পরীক্ষা দেওয়া আরেক জিনিস । আক্রান্ত হলে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করা যাবে, পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করা যাবে ? আড্ডা দেওয়ার যে উদাহরনটা দিলেন, কেউ আড্ডা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে কাল থেকে বাইরে বের হওয়ার বন্ধ করে দিবে কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে সে কি কাল থেকে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিবে ?

পরীক্ষা নেওয়া অবশ্যই যাবে । যে কাজটা অবশ্যই হবে সেটা হচ্ছে কোন ভাবেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা যাবে না । ফলাফল স্বরূপ অনেক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হবে । কিন্তু পাবলিক পরীক্ষা বলে কেউ পরীক্ষার হল থেকে দুরে থাকবে না । আরও পরীক্ষার্থী আক্রান্ত হবে । অনেকের অবস্থা খারাপ হবে । পরীক্ষা দিতে পারবে না । সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্তত আমাদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না ।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্তত আমাদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না বক্তব্যের সাথে একমত নই একেবারেই। যেটা করা যায় সেটা হচ্ছে এবার যার যার কলেজেই এইচ এস সি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়। কলেজ কতৃপক্ষ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার দ্বায়িত্ব নেবে সেন্টারে এবং বাসায় দ্বায়িত্ব নেবে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। সবার যৌথ প্রয়াসে এটা অসম্ভব কোন ব্যপার নয়। এর মাঝেও কেউ যদি ইনফেক্ট হয়েই যায় , তবে সে সিক বেডে পরীক্ষা দিতে পারে। আর যদি ড্রপ দিতে চায়,সেটাও পরীক্ষার্থীর বক্তিগত ইচ্ছা। কিন্ত লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর সারাজীবনের জন্য যে সার্টিফিকেট কাজে লাগে সেটা এভাবে নষ্ট হতে দেয়া যায় না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি যেটা বলছেন সেটা কেবল মাত্র কাগজে কলমে সম্ভব । বাস্তবে সম্ভব না । আর বাঙালীর ক্ষেত্রে তো আরও সম্ভব না । মুখে অনেক কিছুই সম্ভব বাস্তবে প্রয়োগ করার বেলায় নয় ।

আর আপনি সম্ভবত পুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়েন নি । কিংবা পড়লেও বুঝতে পারেন নি । ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীরা এমনিতেও মাস ছয়েক পিসিয়ে পড়েছে । ওদের জীবন থেকে এমনিতেও ছয় মাস হারিয়ে গেছে । এবং সামনে আরও কয়েক মাস হারিয়ে যাবে ।

যাই হোক আপনার কাছে কি অন্য কোন পরামর্শ আছে যাতে কারো উপর ইনজাস্টিস করা হবে না ?
এই করোনার মাঝে যদি জোর করে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে ২০ সালের শিক্ষার্থীদের উপর ইনজাস্টিস করা হবে ।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ভাবনা, আপনার গল্পের মতো হয়েছে, লিলিপুটিয়ান ভাবনা।

সকুল কলেজ বন্ধ, ফলে ৬৪ বর্গফুটের রুমে, দরজা-জানালা খোলা রেখে, সামান্য ফ্যানের বাতাসে ৪ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে পারবে; অথবা, ছাত্ররা নিজ ঘরে বসে পরীক্ষা দিবে, সারা দেশের কলেজ ও ইুনিভার্সিটির থেকে প্রতি ছাত্রের জন্য ১ জন গার্ড থাকবে; ১ জনের সামনে ১ জন পরীক্ষা দেবে; গার্ডদের ১ দিন অনলাইনে ও টেলিভিশনে ট্রানিং দিলে হবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

অপু তানভীর বলেছেন: =p~ =p~

মানুষের বয়স বেশি হলে সুস্থ ভাবে চিন্তা ভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলে, দিবা স্বপ্ন দেখে যা আপনার মন্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে !

সামান্যতম কমন সেন্স থাকলে নিজ ঘরে বসে, উইনিভার্সিটি ছাত্রদের গার্ড টাইপ কথা বার্তা বলতেন না । গার্ডদের আবার অনলাইন ট্রেনিং দিলেই হবে ! হাহাহা ! যেমন আপনি তেমন তেমন আপনার ভাবনা !

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "সামান্যতম কমন সেন্স থাকলে নিজ ঘরে বসে, উইনিভার্সিটি ছাত্রদের গার্ড টাইপ কথা বার্তা বলতেন না । গার্ডদের আবার অনলাইন ট্রেনিং দিলেই হবে ! হাহাহা ! যেমন আপনি তেমন তেমন আপনার ভাবনা ! "

-আমি বিদেশে পড়ার সময়, ৪ সাবজেক্টে "টেইক হোম" পরীক্ষা দিয়েছি, সময় গড়ে ২/৩দিন; এগুলো আপনার গুহায় প্রবেশ করার কথা নয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: কুয়ার ব্যাঙের কি সমস্যা জানেন কি? কুয়ার ব্যাঙ কেবল মাত্র নিজের চারপাশটা দিয়েই সব কিছু বিচার করে ! কুয়ার বাইরেও যে একটা জগত আছে সেটা সে ভাবেই না । আপনার অবস্থা হয়েছে সেই রকম ।

আমেরিকা ইউরোপে কি হয় সেটা দিয়ে যদি আপনি এই দেশের সমস্যা সমাধান করতে যান তাহলে সমস্যা ! আমেরিকাতে আপনে চারটা কেন ১০ সাবজেক্ট বাসায় বসে দিতে পারেন । কিন্তু আমাদের দেশে সেই জিনিস সম্ভব না । এখন কেন সম্ভব না সেটা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার দরকার নেই । কমনসেন্স থাকলেই হবে । যদি আপনার সেইটা থাকে আর কি !

যাক ভালা থাকেন ।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি এখন "অন লাইনে" লিখছেন, আমেরিকা অনলাইনে কাজ করছে, অনলাইনে ইউনভার্সিটি চলছে; ফলে অনলাইনে ট্রানিং দেয়া যায়, পরীক্ষা কিভাবে নিতে হয়; এগুলো গুহার বাহিরের ধারণা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: শুনেন গাজী সাহেব, আমি আগেই বলেছছি বয়স বেশি হলে মানুষের সুস্থ ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যায় । আপনারও তাই হয়েছে । আমি অনলাইনে বসে লেখা লিখতে পারছি । আমার কাছে ল্যাপটপ আছে । আপনার কি কোন ধারনা আছে আমাদের কত লক্ষ ছাত্রদের বাসায় কম্পিউটার আছে? আপনার কি কোন ধারনা আছে সেই ছাত্রদের কত শতাংশদের বাসায় ইন্টানেট সংযোগ আছে ? বিন্দু মাত্র আইডিয়া আছে?
আমার মনে হয় না আপনার এই আইডিয়া আছে । যদি থাকলে এই রকম আহম্মকের মত কথা বলতেন না ।

আসছে উনি আমেরিকার উদাহরন বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে ! যত্তসব আহম্মক মাথামোটার দল !

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

মা.হাসান বলেছেন: বয়স বেশি হলে অনেকেই সুস্থ ভাবে চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। খাই খাই বেড়ে যায়। এজন্য সরকারি চাকরিতে অবসরের সময় এখন যে ৬০ বছর করা হয়েছে এটা সমর্থন করি না। অবসর ৫০ বছরে করা উচিৎ। সরকার এর পরে চাইলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিক। এতে নীচের দিকে প্রমোশনের গতি বাড়বে।

এমনিতে এখন স্কুল বা কলেজে লেখাপড়া খুব একটা হয় না। বিশেষ বিশেষ নেতাদের জীবনি কিছুটা পড়ানো হয়। মহল্লায় মহল্লায় ছাত্রলীগের নেতাদের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তারা বাড়ি বাড়ি যেয়ে পরীক্ষা করে দেখুক কার চেতনার দন্ড কতখানি শক্ত। সেই হিসেবে ফাইভপাস -সিক্স পাস -এসএসসি-এইচএসসি-বিএসসি-এমএসসি-পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে দেয়া হোক। যারা বাইরে পড়তে চায় তাদের এমনিতেই মনে হয় স্যাট জাতীয় পরীক্ষায় বসতে হয়, সমস্যা বেশি হবার কথা না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: সেন্টারে পরীক্ষা নিয়েই প্রশ্নফাস ঠেকনো যাচ্ছে না মানুষ সেখানে বাসায় বসে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেয় কিভাবে সেইটাই মাথায় আসে না !

স্কুল কলেজে পড়ানো হয় না এই কথাটা একেবারে ঠিকই না । স্কুল কলেজ চালু থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে একটা পড়ার প্রবাহ থাকে । আমার স্টুডেন্টদের বেলাতে দেখছি যা একেবারেই নেই । ওদের এখন আমি জোর করে পড়াতে পারছি না । সেই হিসাবে পড়াশুনা হোক না হোক স্কুল কলেজের গুরুত্ব একটা আছে ।

সব চেয়ে বড় কথা এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা যায় না যতদিন না করোনা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন আবিস্কার হচ্ছে । কিন্তু করোনা যাওয়ার পরে যে সমস্যাটা সৃষ্টি হবে সেটার একটা সমাধানের কথা বলেছি যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।

নেতাদের দায়িত্ব দিলে হয়েছে । চেনতার দ্বন্দ্ব তারা যেভাবে খাড়া করেছে সেটা যে কোন দিকে যাবে তার কোন ঠিক নেই ।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আপনার কি কোন ধারনা আছে সেই ছাত্রদের কত শতাংশদের বাসায় ইন্টানেট সংযোগ আছে ? বিন্দু মাত্র আইডিয়া আছে? আমার মনে হয় না আপনার এই আইডিয়া আছে । যদি থাকলে এই রকম আহম্মকের মত কথা বলতেন না । "

-ট্রেনিং টেলিভিশনেও দেয়া যায়, সেলফোনে দেয়া যায়, বাই-মেইল দেয়া যায়; আপনার ধারণাশক্তি সরকারী চাকুরেদের মতো খাট।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: শুনেন গাজী সাহেব নিজেকে আর আহম্মক প্রমান কইরেন না দয়া করে । কুয়ার ব্যাঙ কুয়ার শান্ত পানি দেইখা ভাবে যে দুনিয়ার সব পানিই বুঝি শান্ত শীতল ! আপনেরা অবস্থা হইছে সেই রকম !

কদিন আগে বিটিভিতে ক্লাস প্রচার করা হইছিলো । সেই সামান্য ক্লাসের কি অবস্থা হইছে আপনেরা ধারনা আছে কি?
আগেই বলেছি আপনে আমেরিকার উদাহরন দিয়া বাংলাদেশ চালাইতে পারবেন না । বিটিভিতে ট্রেনিং দিয়া আপনে পাব্লিক পরীক্ষা নিবেন ! হায়রে আহম্মক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.