নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ তালব্য শ এ এশা

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬

মাঝে মাঝে নিজের নির্বুদ্ধিতার নিজেকে একটা কষে চড় মারতে ইচ্ছে হয় । নিজের চড়ে খুব একটা ব্যাথা অবশ্য লাগে না । আর চাইলেও খুব জোরে নিজেকে চড় মারা যায়ও না ।

তবে উপরওয়ালা যে সহায় ছিলেন এই জন্য কিছু হয় নি । নয়তো এই অফিসে হয়তো আমার আর কাজ করাই হত না । লজ্জায় মাথা কাটা যেত আমার । এসার সাথে আমার পরিচয় বেশ কিছু দিনের । একই সাথে কাজ করার সুবাধে ওর সাথে ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে আমার । তারপর এক সময়ে মনে হল মেয়েটার সাথে সম্পর্কে আরও একটু এগিয়ে নেওয়া যাক । কিন্তু অফিসের ভেতরে এসব কথা বার্তা বলা যায় না । গত কালকে একটা বেশ সাহসের কাজ করে ফেললাম ।

রাত তখন প্রায় এগারোটা । ডেইরি মিল্কের বেশ চকলেটের প্যাকেট একটা বাক্সে ভরে হাজির হলাম এসার সামনে । বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে যে ওর বাসার সামনেই ওকে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিয়েছি । অফিস থেকে ফেরার পথেই পরে ওর বাসাটা । তাই এসা কোন বিল্ডিং থাকে সেটা আমি জানি । কিন্তু ওর ফ্লাট নম্বরটা আমার জানা নাই । যাই হোক, সেটার একটা ব্যবস্থা হবে । দারোয়ানকে বলে বক্সটা পাঠাবো । দারোয়ান নিশ্চিত ভাবেই জানে যে এসা কোন ফ্লাটে থাকে ।

তাই করলাম । চকলেটের প্যাকেট টা দারোয়ানের হাতে দিলাম । তারপর বললাম যেন এসাকে দিয়ে আসে । আর বললাম যে তাকে বলতে যে আমি বাইরে অপেক্ষা করছি । আমি আগে থেকে এসাকে ফোন করে কিছুই বলি নি । একটা সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম ।

ঠিক পনের মিনিট পরে এসা নিচে নেমে এল । কিন্তু যে এসা নেমে এল সে আমার পরিচিত এসা নয় ।

মেয়েটার চুলটে বেশ লম্বা । সবার আগে এটাই নজরে আসে । চুল একেবারে হাটুর কাছে নেমে এসেছে । রাতে সম্ভবত ঘুমানোর আয়োজন করছিলো সে । পরনে একটা টিশার্ট আর থ্রিকোয়াটার প্যান্ট । চেহারা একটু বিষণ্ণ মেয়েটার । বিশেষ করে চোখ দুটো !

মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনি আমাকে চকলেট পাঠিয়েছেন?
আমি মাথা নাড়লাম । তাকে আমি কেন চকলেট পাঠাবো । আমি তো তাকে চিনিই না । মেয়েটি বলল, আমার নাম এশা ! দারোয়ান বলল যে আমাকে পাঠিয়েছেন ।
-আসলে আমার কলিগ এসাকে পাঠিয়েছিলাম । সে এখানেই থাকে যতদুর জানি !
মেয়েটা কী যেন ভাবলো । তারপর বলল, ও হ্যা । আরেকটা এসা আছে এখানে । তবে তাকে সুমাইয়া বলে চেনে সবাই । আর আমার নামের বানান এশা, তালব শ। উনার টা এসা । দন্ত স !

কি বলবো বুঝতেই পারলাম না । এসা যে নিজের বাসায় তার ফরমাল নাম দিয়ে পরিচিত হতে পারে সেটা আমার ধারণা ছিল না । আর এই বাসায় যে আরেকটা এশা থাকতে পারে সেটাও ধারনার বাইরে ছিল । এখন কি করবো?
এশা বলল, আচ্ছা আমি আপনার চকলেট নিয়ে আসছি ।
মেয়েটা ঘুরতে যাবে তখনই আমি বললাম, আচ্ছা শুনুন ।
-জি ?
-চকলেটের প্যাকেট টা থাকুক !
-থাকবে?
-হ্যা । আপনি নিশ্চয়ই প্যাকেট টা খুলে ফেলেছেন ।
-হ্যা । সরি ।
-আরে সরি বলার কোন দরকার নেই । আপনি কোন ভুল করেন নি । বরং আমিই ভুল করেছি । এই দেখুন রাতের বেলা আপনাকে খানিকটা বিরক্ত করলাম ।
এশা বলল, না ঠিক আছে । আমাকে ...
-না প্লিজ আপনি রেখে দিন । আমার ভাল লাগবে । আমি এসা মানে সুমাইয়াকে আবার অন্য সময়ে দিবো ।

এশা এবার হাসলো । তারপর বলল, থেঙ্কিউ ।
-আমি তাহলে আসি । আর দয়া করে এসাকে কিছু বলবেন না । কেমন !
-আচ্ছা । তবে আপনার লেখা চিরকুট টা সুন্দর হয়েছে । লাইন দুটো পছন্দ হয়েছে আমার । আমার জন্য লেখা না হলেও আমার কাছে যে পৌছালো সেই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !

আমি বাসায় চলে এলাম । নিজেকে খানিকটা গাধা গাধা মনে হচ্ছিলো । তবে এসা যে কিছু জানেনি সেটার জন্য ধন্যবাদ দিলাম । ওকে এবার সরাসরি অফিসেই চকলেট দিবো । কিন্তু সেটা আর হল না ।

আজকে অফিসে এসে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । আজকে অফিসে আসতে আমার একটু দেরি হয়েছিলো । এসে নতুন খবর জানতে পারলাম । গছিপ হল আমাদের অফিসের সিরিয়র ভাই আকিব আহমেদ আর এসার সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু চলছে । গতকাল নাকি এসাকে আকিবের সাথে মুভি দেখতে দেখা গেছে । আমাদের অফিসের একজন সেই ছবিও তুলে এনেছে ।

ব্যাপারটা জানার পরে আমার বুকের ভেতরে একটা ছোট খাটো ধাক্কার মত লাগলো । সেই সাথে একটা বড় সড় রকমের স্বস্তির নিশ্বাসও ফেললম । ভাগ্য ভাল কালকে এসার সাথে আমার দেখা হয় নি । যদি চকলেটের বাক্সটা সত্যি সত্যিই এসার ফ্লাটে গিয়ে পৌছাতো এবং চিরকুট টা সে দেখতো তাহলে কী অবস্থা হত ভাবতেই আমার কেমন যেন লাগলো ! আর যদি এই খবর অফিসের অন্য সবাই জেনে যেত তাহলে আমার আর এই অফিসে কাজ করা হত না । লজ্জায় মাথা কাটা যেত ! যাক যা হয়েছে ভালর জন্যই হয়েছে ।

কিন্তু আামর জীবনে তখনও অনেক ঘটনা ঘটার বাকি ছিল । সন্ধ্যা বেলা অফিস থেকে বের হতে গিয়েই আরেকবার তব্দা খেতে হল । অফিসের গেটের সামনেই দেখি এসা দাড়িয়ে রয়েছে । এবং এই এসার সাথে গতকাল রাতের এশাও দাড়িয়ে ।

আমাকে দেখেই এশা হাত নাড়ালো । দেখা দেখি আমার কলিগ এসাও আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো । আমি কাছে যেতেই এসা বলল, কী ব্যাপার অপু? আমার প্রতিবেশির সাথে তোমার বন্ধুত্ব অথচ আমি জানি না । এটা কোন কথা !
আমি যে কী বলবো খুজে পেলাম না । আসলে ভাবতেই পারি নি যে এশা এভাবে এখানে চলে আসতে পারে কিংবা এশার সাথা আবার কোন দিন দেখা হবে সেটাও আমার মাথায় ছিল না । আমি কোন মতে বললাম, না মানে এই ....
এসা বলল, হয়েছে হয়েছে ! আর ঢং করতে হবে না ।
তারপর এশার দিকে তাকিয়ে বলল, তোমার তাহলে গল্প কর আমি যাই । আমার কাজ রয়েছে ।
আমরা দুজনেই এসার চলে যাওয়া দেখলাম । সে চলে যেতেই এশা বলল, আপনার কাজ নেই তো ? বেশি সময় নেব না । ঘন্টা খানেক ! সময় হবে?
-হ্যা হ্যা । সমস্যা নেই ।

আমি তখনও ঠিক বুঝতে পারছি না যে এশা হঠাৎ করে এখানে এসে হাজির হওয়ার মানে কী ? আমি ওকে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম । রাস্তায় হাটতে হাটতে হঠাৎ এশা বলল, অবাক হচ্ছেন কি?
আমি বললাম, কিছুটা।
-আসলে আমি এসেছি আপনাকে একটা ধন্যবাদ দিতে । আর কিছু কথা বলতে । সময় হবে কি আপনার?
-ধন্যবাদ কেন? চকলেটের জন্য?
-না । কোথায় বসি । বসে বলি?

আমরা সামনের একটা কফি শপে বসলাম । সন্ধ্যা বেলা বিধায় বেশ ভীড় রয়েছে । তবে আমরা একটা টেবিল দখল করে বসে পড়লাম । তারপর কফির অর্ডার দিলাম । কিভাবে কী শুরু করবো আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না । আমার কথ শুরুর কথাও না । তাই চুপ করে থাকাই আমি শ্রেয় মনে করলাম । দেখলাম এশা একটা চুমুক দিলো কফির কাপে । তারপর একটা জোরে করে নিঃশ্বাস নিল ।
বুঝতে পারলাম এবার সে কথা শুরু করবে ...

এশা বলল, গতকালকে আমি আসলে সুইসাইড করবো ঠিক করেছিলাম ।

কথাটা শুনে চমকে উঠলাম । এশা একেবারে শান্ত চোখে আমার দিকে আছে । আমার মোটেই বুঝতে কষ্ট হল না যে সে মোটেই বানিয়ে কিছু বলছে না । মেয়েটা সত্যিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো । এই চোখ মিথ্যা বলছে না । আমার মুখ দিয়ে আপনা আপনিই বের হয়ে এল, তারপর?
এশা বলল, আমি ঠিক করেছিলাম যে গতকাল রাত বারোটার দিকে সুইসাইড করবো । সব প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিলাম । তারপর আপনার বক্সটা এসে হাজির হল। চকলেট তার মাঝে চিরকুট ! কাল রাতে লাইন দুটো আমি কতবার পড়েছি জানেন?

অল্প কিছু সময় থামলো এশা । তবে আমার উত্তরের আশা করলো না । সে আবারও বলতে শুরু করলো, আমার আসলে জানা নেই কতবার আমি লাইণ দুটো পড়েছি । সত্যিই বলতে কী, এই লাইন দুটো আর আপনার দেওয়া চকলেট গুলো আমাকে সাহায্য করেছে সুইসাইডের দিকে না যেতে ! থ্যাংকস টু ইউ ।
এশা হাসলো । আজকে আমি ওর হাসির ভেতরে একটা পার্থক্য লক্ষ্য করলাম । গতদিন ওর যে হাসি দেখেছিলাম সেটা দেখে আমার মনে হয়েছিলো যে মেয়েটার মনে কোন একটা দুঃখ রয়েছে । আর আজকের হাসি দেখে মনে হচ্ছে যে মেয়েটা সত্যিই হাসছে । আনন্দময় হাসি ।

আমি আরও কিছু সময় অবাক হয়ে এশার দিকে তাকিয়ে থাকলাম । কালকে আমার ভুলের কারণে একজন মানুষের জীবন বেঁচে গেছে এটা ভাবতেই মনের ভেতরে একটা আলাদা আনন্দ অনুভূতি হল । এশা বলল, মানুষ যখন মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখনও একটু আশায় থাকে যদি কোন ভাবে বেঁচে থাকতে পারে । জীবন আসলে চমৎকার । তাই না?
-হ্যা । মরে যেতে চাওয়ার পেছনে অনেক বড় কারণ থাকতে হয় ! কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য খুব সামান্য কারণই যথেষ্ঠ ।
-ঠিক তাই । আমি তাই ঠিক করেছি এবার থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো । আর মরনের কথা ভাববো না ।

কথাটা জানতে চাওয়া ঠিক হবে কি না আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । তবুও কৌতুহল দমাতে না পেরে বললাম, আমাকে কি বলা যায় কেন কাল ঐ রকম একটা কাজ করতে যাচ্ছিলেন?
-কালকে না । আসলে অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম ।
-বলা যাবে ?
এশা কিছু সময় ভাবলো । চুপ করে কফির দিকে তাকিয়ে রইলো একভাবে । তারপর বলল, জীবনের উপর থেকে কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়েছিলাম । বিশেষ করে আমার ফ্যামিলির কাছ থেকে । সারা জীবন আমাকে কখনই আমাকে আমার মত করে বাঁচতে দেওয়া হয় নি । আমি কি চাই সেটা কখনই কেউ ভাবে নি, ভাবার দরকারও মনে করে নি । তারা আমার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে তারপর সেই সিদ্ধান্ত যখন আমার জন্য ভুল প্রমানিত হয়েছে সেটাও আমার দোষ হিসাবে ধরা হয়েছে । যেন সব দোষ আমারই ।
-কী রকম?
-আমি যখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন আমার বিয়ে হয় । আরও ভাল করে বললে আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । বিয়ের প্রথম আমি খুব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি । কিন্তু একটা সময়ে আমি আর পারি নি, স্বামীর খারাপ আচরন গায়ে হাত আরও কত কি ! আমার সহ্য হয় নি। । বেরিয়ে চলে এসেছিলাম সেই জীবন থেকে । এটা নিয়ে যখন আমার পরিবারের আমার সাপোর্ট দেওয়ার কথা সেখানে তারা আমাকেই কথা শোনাতে শুরু করলো যে আমারই দোষ । আমি কেন সহ্য করলাম না !

একটা সময়ে এতোই হতাশ হয়ে গেলাম যে বাসা ছেড়ে চলে এলাম । নিজের কিছু টাকা জমে ছিলো, সেটা দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকি একা, একটা চাকরি শুরু করেছি সম্প্রতি। কিন্তু বাবা মায়ের এই রকম আচরন আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না ।বার বার কেবল মনে হচ্ছিলো যে তারা এমন আচরন কেন করলেন আমার সাথে? আর সেই সাথে সমাজের মানুষেরা যখন থেকে জানলো যে আমি একটা ডিভোর্সী মেয়ে একা একা থাকি তখন থেকে সবাই আমার নামে কী সব অদ্ভুত কথা বার্তা বলতে শুরু করলো । যেই মানুষ গুলো আমার ব্যাপারে বিন্দু মাত্র কিছু জানে না তারাও কি সব গল্প ছড়াতে শুরু করলো । আমি যে কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো সেই মানুষটা পর্যন্ত আমার ছিল না । এতো একা লাগছিলো নিজের কাছে....

এশা কথাটা শেষ করলো না । এক ভাবে নিজের কফির দিকে তাকিয়ে আছে । আমার মনে যেন ও নিজের চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করছে । আমি বললাম, আপনি খুব সাহসী একজন মানুষ । এটা কি জানেন?
-সাহসী না ছাই । আমি আসলে ভিতুর ডিম একটা । পালিয়ে যাচ্ছিলাম সব কিছু থেকে ...
-যান নি তো !! একা একা সবাই টিকতে পারে না । সব চেয়ে বড় কথা একা পথে বের হওয়ার সাহস টুকুই অনেকে দেখাতে পারে না । কিন্তু আপনি দেখিয়েছেন । এখন আশা করি সামনে পারবেন ।

এশার চোখ কেমন যেন উজ্জল হয়ে উঠলো । আমার ব্যাপারটা ভাল লাগলো । এশা এবার বলল, আমার কথা বাদ থাকুক, এবার আপনার কথা বলুন শুনি? দন্ত স এসার কী হল? বলেছেন কিছু?
আমি জিহ্বা দাঁত চেপে বললাম, মাথা খারাপ । সত্যিই বলতে কি গতকাল চকলেট আপনার কাছে গিয়ে যেমন আপনার উপকার হয়েছে তেমনি আমার উপকার হয়েছে খুব ।
-মানে?
-আরে ঐ এসা আমাদেরই অফিসের আরেকজনের গোপনে মিশছে । আমি কিছুই জানি না । বুঝেন তাহলে অবস্থা । কালকের ঘটনা জানাজানি হলে আমার লজ্জায় নাক কাটা যেত ।
-তার মানে আমাদের দুজনেরই উপকার হয়েছে বলছেন?
-খুউব !

তারপর?
তারপর কি হল সেটা অন্য কোন কাহিনী । হয়তো এশার সাথে পরে অনেক দুরে হেটে চলে হবে নয়তো কেবল বন্ধুত্ব হবে । সেটা অন্য কোন গল্পে বলা যাবে । আজকের গল্প এখানেই শেষ !

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

মা.হাসান বলেছেন: বে টাইমে চলে গিয়েছেন। ভালো অভ্যাস না। আরেকটু দেরি করে গেলে কি এমন ক্ষতি হতো? বেচারা এশাকে খামাখা অনেক গুলো বছর দেরি করিয়ে দিলেন। বুড়ো হয়ে মরা ভালো কথা না। X((

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ বুড়ো হয়ে মরাই ভাল কথা । জলদি জলদি মরা মোটেই ভাল কথা না। আর আমি থাকতে একটা সুন্দরী কন্যা মরে যাবে এটা কুনো কথা ! এমন কি হইতে পারে? মোটেই পারে না !

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি। আরো ভালো হতে পারতো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: হয়তো আরও ভাল হতে পারতো !

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দন্ত্যস আর তালব্য শ সংকটে দুজনেরই উপকার হলো বটে :)

গল্পে +++

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: এমন উপকার কেবল গল্পেই হয় । বাস্তবে এসব হয় না । বাস্তবে হইলে আমারে জালি বেত নিয়া তাড়া করতো ;)

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি ঠিক জানিনা, কিন্তু মনে হলো আপ্নার জন্য বিলো স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেছে গল্পটা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: গল্পটা লিখতে চেয়েছিলাম এক ভাবে কিন্তু চলে গেলে অন্য দিকে । এমনটা আমার প্রায়ই হয় । ভাবি এক আর লেখা হয় অন্য আরেক রকম !

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অপু ভাই , হতে পারে অনেক কিছুই এশার সাথে।যদি আপনি চান তাহলে।

ভাল লাগার ক্ষেত্র ত তৈরী হলই ।এখন একে অন্যকে কিছুটা সময় দেয়া ,আবারো কফি সপে দেখা করা,বন্ধুত্ব সৃষ্টি করা অতঃপর :P একটা কিছু।সবই সম্ভব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা হয়তো দেখা যাবে এই গল্পের আরেকটা অংশ চলে আসবে পরে । তখন অনেক কিছু হবে । গল্পে তো কত কিছুই হয় । আমার গল্পে তো আরও হয় !

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পের দু'টা লাইন খুউব পছন্দ হয়েছে। কোট করার মতো।

''মানুষ যখন মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখনও একটু আশায় থাকে যদি কোন ভাবে বেঁচে থাকতে পারে । জীবন আসলে চমৎকার।''
''মরে যেতে চাওয়ার পেছনে অনেক বড় কারণ থাকতে হয় ! কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য খুব সামান্য কারণই যথেষ্ঠ।''

আপনি আসলেই একটা জিনিস। এতো এতো ভ্যারাইটির প্রেমের গল্প লেখেন কেমনে?

চকলেট দিয়ে মেয়ে পটানো বুঝলাম। কিন্তু চিরকুটটাতে কি লেখা ছিল যদি একটু বলতেন!! ইয়ে......কখন কি কামে লাগে.....বলাতো যায় না!!!! :-B

পয়লা মন্তব্যকারী কিন্তু ডেন্জারাস। হাটুর কাছে নেমে আসা চুলওয়ালী এক মেয়েকে এখনই মেরে ফেলতে চাচ্ছে!! =p~

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: কথাটা আমার কাছে সত্যিই এমনই মনে হয় । মানুষ যখন মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেয় তখন অনেক ভার এসে তার বুকে জমা, কিংবা এই এতো এতো ভারের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য অতি ক্ষুদ্র কিছু কারণ দরকার । যেমন আমার কথাই যদি ধরেন তাহলে বলতে পারি যে আরও একটা নতুন বই পড়ার জন্য আমি সারা জীবন বেঁচে থাকতে পারি ।

আরে টেনশন নিয়েন না । আমি থাকতে কুনো সুন্দরী কন্যাকে মরতে দিতাম না । কোন ভাবেই দিতাম না !

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি যদি বলি, আমি আপনার চেয়ে ভালো গল্প লিখি, তাহলে কি রাগ করবেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: :D

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: গল্পের গঠনটা চমৎকার । শুরু করলে আগ্রহ বেড়ে যায় এবং পড়তে থাকি --------------

এভাবেই চলুক -----------

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: চলুক । দেখা যাক সামনে নতুন আরেক ভাগ চলে আসবে কোন দিন ।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্পের প্লট ভালো লেগেছে এবং গল্পও সুন্দর হয়েছে।
‘স’ এর বদলে ‘শ’ কোন ব্যাপার না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: এক অক্ষরের পরিবর্তনের ফলে দেখলেন না কোন গল্প কোন দিকে চলে গেল ।

ধন্যবাদ

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: অপু তানভীরের গল্প মানেই সহজ, সাবলীল ও সুখপাঠ্য।

কামনা রইলো এশা সুখে থাকুক গল্পকারের কৃপায় :P

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: এশারা বাস্তবে যে কেমন থাকে সেটা কেউ বলতে পারে না । বেশির ভাগই সুখে থাকে না । তবে গল্পে সুখে থাকবে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি :D

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: চলুক হাটাহাটি

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

অপু তানভীর বলেছেন: হাটাহাটি চলবে

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: দুই এশা/এসার জন্য শুভকামনা। আর আমাদের অপুর জন্য একরাশ ভালোবাসা। গল্পে ভালোলাগা।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.