নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে বাংলাদেশের ওটিটি সার্ভার গুলোতে থ্রিলার জনরার ফিল্ম কিংবা সিরিজ গুলো পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে । আগে ড্রামার সংখ্যা বেশি থাকলেও দিন দিন এই জনরার সিরিজ গুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । কাইজার তেমনই একটা ডিটেক্টিভ সিরিজ যেখানে প্রধান নাম চরিত্রে কাইজার চৌধুরী, এডিসি বাংলাদেশ পুলিশের হিমিসাইড ডিটেক্টিভ অফিসার । সরকারী সিক্স গ্রেড স্কেলে যার বেতন ।
ঢাকার এক ফ্ল্যাটে দুই তরুণীর লাশ পাওয়া যায় । কে বা কারা এই দুই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে খুন করে রেখে গেছে । সাথে করে নিয়ে গেছে তাদের ব্যবহারের ল্যাপটপ মোবাইল সহ সকল দরকার ইলেক্টনিক জিনিস পত্র । দেশে হর হামেশাই খুণ হচ্ছে তাই এটাও তেমনও কোন সাধারণ খুন হবে হয়তো । কিন্তু ব্যাপারটা শুরুতেই ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে যখন মোক্তার নামের একজন লম্বার চুলের লোক যাকে লোকে ব্যারিস্টার নামে চেনে, স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ব্লাকমেইল করে এই কেইসটা ক্লোজ করার চেষ্টা করে । তখনই মনে হয় এই খুনের পেছনে আসলে আসলে অন্য কোন ব্যাপার আছে । অনেক বড় কিছু লুকিয়ে আছে এর পেছনে।
সিরিজ ট্রেইলার
খুনের তদন্তে নামে হোমিসাইড ডিটেক্টিভ কাইজার চৌধুরী । ব্যক্তি জীবনে কাইজার চৌধুরীর জীবন বড্ড এলোমেলো । প্রচন্ড ভিডিও গেমে আসক্ত সে । সকল কাজ কর্ম ফেলে দিয়ে সে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে । তবে সেই সাথে তার বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তের কারণে ডিপার্টমেন্টে তার একটা আলাদা রেপুটেশটও আছে । অন্য দিকে বদনামও কম নেই । ব্যক্তি জীবনে সে অসুখী । স্ত্রীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তিন বছর আগে আর এক বছর আগে তার অন্য এক বাল্য বন্ধুর সাথে বিয়ে করেছে তার প্রাক্তন স্ত্রী । এই ব্যাপারটা কাইজারকে কোন ভাবেই মানসিক শান্তি দেয় না । অন্য দিকে তার মেয়ের সাথে কাইজারের নিয়মিত যোগাযোগ হলেও নতুন বাবাকে আব্বু বলে ডাকাটাও কাইজারকে কষ্ট দেয় !
খুনের তদন্ত এগিয়ে চলে । তবে শুরুতে কাইজারের উপরে হামলা হয় । তাকে হুমকি দেওয়া হয় যাতে করে কেসটা ড্রপ করে দেওয়া হয় । কিন্তু কাইজার থামে না । খুন হওয়ার মেয়ে দুটির অতীত ইতিহাস বের করা হয় । তারা কোথায় যেত কাদের কাছে মিশতো । জানা যায় তারা রিহ্যাব সেন্টারে এক সাথে ছিল । সেখান থেকেই তাদের পরিচয় তারপর বন্ধুত্ব । তাদের ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয় । সেখান থেকে একজনকে গ্রেফতারও করা হয় । কিন্তু কাইজারের কাজ শেষ । কেস অন্য ডিপার্টমেন্টে হস্তান্তর করা হয়ে যায় । কিন্তু কাইজারের মনে শান্তি লাগে না । সে বুঝতে পারে যে অন্য কোন ব্যাপার আছে । আসলে খুনী এখনও ধরা ছোয়ার বাইরেই আছে । শেষ পর্যন্ত কাইজার সেই আসল খুনীর কাছে পৌছে যায় । বের করে ফেলে আসল খুনী কে আর কেনই বা মেয়ে দুটোকে খুন করা হয়েছিলো । নাকি দুজনকে খুন করা হয় নি । তাদের মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন কারণে আছে ! মোটমাুটি এই হচ্ছে কাইজারের কাহিনী !
কাইজারের ফিমেল চরিত্র গুলো এক সাথে
যে কোন সিরিজ দেখে শেষ করেই একটা অনুভূতি জন্মে যে এই এতো সময় নষ্ট করে (আমার বেলাতে আসলে রাতের ঘুম কামাই করে) সিরিজটা দেখলাম, এটা আমাকে ঠিক ঠাক আনন্দ দিলো কিনা ! কাইজার দেখার পরে মনে হয়েছে যে হ্যা এটা দেখে সময়টার ভাল ভাবে পার করেছি । কাইজারের কাহিনী গতানুগতি কাহিনী থেকে শতভাগ যে আলাদা সেটা আমি বলবো না তবে সেটা টিপিক্যাপ বাংলা ডিটেকটিভ কাহিনীর মতই না । এখানে সাসপেন্স যেমন রয়েছে, রয়েছে ব্যক্তি জীবনের ড্রামা । আছে প্রেম ভালবাসা আর আবেগ । সব শেষে আছে টুইস্ট । এটা অবশ্য আমি আশা করি । শেষর টুইস্টটা আমার বেশ ভাল লেগেছে । এছাড়া গল্পের শেষে একদম যখন আসল কাহিনী বের হয় মানে মেয়ে দুটোকে কেন মরতে হল সেটা আমাদের বাংলা ওয়েব সিরিজের বেলাতে বলতে গেলে একদম নতুন । ইংরেজি সিরিজ গুলোতে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার কিন্তু আমাদের দেশের বেলাতে এটা একেবারে অন্য রকম !
কাইজারের সকল চরিত্র
সিরিজের সংলাপ গুলো আমার সব থেকে ভাল লেগেছে । বিশেষ করে নিশো যে মাঝে মাঝে কয়েকটা ডায়লগ ছাড়ে সেটা মনে হয়েছে যেন একেবারে পার্ফেক্ট ভাবে পার্ফেক্ট সময়ে ছাড়া হয়েছে । নিশোর অভিনয় নিয়ে কোন কথা নেই । বর্তমানে বাংলাদেশে তার সমকক্ষ অভিনেতা খুব কমই আছে । প্রায় সকল চরিত্রেই সে সমান দক্ষতায় অভিনয় করে যাচ্ছে ।
আপনারা যদি থ্রিলার ঘরোয়ানার সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন তাহলে কাইজার অবশ্যই দেখবেন । সময় ভাল যাবে আশা করি !
হ্যাপি ওয়াচ
এছাড়া ওয়াচলিস্টে আরও যা যা দেখতে পারেন
হইচই অরিজিনাল সিরিজঃ রিফিউজি
তিনটি কোরিয়ান ড্রামা
দুটো বাংলা অরিজিনাল ওয়েব সিরিজঃ ''আইজ্যাক লিটন'' ও ''নিখোজ''
চরকি অরিজিনাল ফিল্মঃ রেডরাম
ঈদে দেখা দুটি বাংলা ওয়েব সিরিজ ও একটি বোনাস নাটক
নুহাশ হুমায়ূনের হরর ওয়েব সিরিজ ''ষ''
pic source pic source 2 pic source 3
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার মতে দেশে একটা শক্ত আইন করা উচিৎ । সেখানে ধর্মের নিয়মের বাইরে কেউ কোন গল্প লিখতে পারবে না, নাটক বানাতে পারবে না, সিনেমা সিরিজ বানাতে পারবে না !
সব করতে হবে ধর্মের নিয়ম মেনে !
তাইলে অবশ্য আমিও আটকে যাবো ! আমার গল্পে তখন নায়ক নায়িকারা সহী শুদ্ধ ভাবে একে অন্যের সাথে দেখা করবে, না দেখা করবেই না । বিয়ে আগে আবার বেগানা নারী পুরুষের দেখাদেখি কিসের !
চল প্রতিবাদে নামি !
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: কাইজার দেখে ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে বিভিন্ন বই থেকে যে রেফারেন্স এনেছে এটা যেমন তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, মরিয়ার্টি। নিশোর অভিনয় ভালো ছিল তাছাড়া মেকিং, মিউজিকও ভালো ছিল। আর শেষে মেয়েদুটোর সম্পর্ক বাংলাদেশে হালকা করে নিয়ে এসেছে যা বাংলাদেশে সমকামিতার নরমালাইজেশনের প্রথম স্টেপ।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: সিরিজ দেখার সময় এই ব্যাপারটা পুরো গল্পের সাথে এতো চমৎকার ভাবে মিশে গিয়েছে যে এটাকে আলাদা ভাবে আমার অন্য কিছু মনেই হয় নি । বর্তমান সময়ে সিরিজ হিসাবে এটা এদেশে অন্যতম সেরা কাজ ।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
নতুন বলেছেন: কাইজার ভালই লাগছে, ৭/১০ দেবো আমি। কিছু ডাইলোগ ভালো হইছে,
হইচইয়ের কিছু টিভি সিরিজ দেখেখি এই মাসে, ডানা আর শারমিন দেশে গেছে বেড়াতে আমি বাসায় একা টিভি দেখে সময় কাটাই।
গত রাতে রবিন্দ্রনাথ এখানে কখনো.... দেখলাম...
হইচই ছাড়া বাংলা আর ওটিটি প্লাটফমের সিরিজ ভালো আছে?
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: হইচই এ বেশ কিছু ভাল বাংলাদেশী সিরিজ আছে এখন । সামনে আরও চমৎকার কিছু কাজ হবে ।
এছাড়া বাংলাদেশের ওটিটি ভেতরে চরকিটা ভাল বেশ । আমি ওটা চালাই নিয়মিত । আপনিও নিয়ে দেখতে পারেন ।
এছাড়া বিঙ্গি আছে । আমি ওটা মাস খানেক চালিয়েছিলাম একটা সিরিজ দেখার জন্য । ওখানে অবশ্য কমেডি আর ড্রামা বেশি । আমি হইচইয়ের পাশপাশি চরকিতে সবস্কৃপশন নিতে পারেন ।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৮
সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার মতে দেশে একটা শক্ত আইন করা উচিৎ । সেখানে ধর্মের নিয়মের বাইরে কেউ কোন গল্প লিখতে পারবে না, নাটক বানাতে পারবে না, সিনেমা সিরিজ বানাতে পারবে না
চল প্রতিবাদে নামি !
স্যার আপনার জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাংগুস্তান এর মোমিন রা অল্রেডি প্রতিবাদ করছে। আমার উপরে উল্লেখিত কমেন্ট একজন বিশিষ্ট পাঠা'র ফেসবুক পোস্ট।
এই যে দেখেন আমাদের সেগক্স স্পেশালিস্ট হুজুর আমোদ সাব নতুন ফতোয়া দিয়েছেন-
আমোদ হুজুরের হুমকি ক্লোজাপ কাছে আসার গল্পের বিরুদ্ধে
এর সাথে সাথে আবার মামলা ও করেছেন মোমিন রা-
বুধবার (১২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খানের পক্ষে আইনজীবী এস এম আরিফ মণ্ডল তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও হেড অব মার্কেটিং বরাবর এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার খাতিরে কথিত টিভিসিটি সরানো এবং টিভিসি সংশ্লিষ্ট নাটকটি প্রচারে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তারা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে যথাযথ প্রতিকারে শরণাপন্ন হবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, দেশে প্রচারিত প্রায় প্রত্যক টেলিভিশন চ্যানেলে ‘ক্লোজআপ দ্বিধাহীন কাছে আসার গল্প ২০২২’ শিরোনামে একটি ২৫ সেকেন্ডের টিভিসি (টেলিভিশন কমার্শিয়াল) প্রচারিত হচ্ছে এবং যা ইউটিউবেও প্রদর্শিত হচ্ছে। টিভিসির ভিডিও দৃশ্য অনুযায়ী- একটি মেয়ে মাথায় স্কার্ফ জড়িয়ে স্কুটি চালিয়ে গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে রামরীপাড়া বান্দরবন অভিমুখে বন্ধুর খোঁজে পাহাড়ি পথে ছুটে চলে। অবশেষে আনন্দম নামক স্থানে এসে উপস্থিত হলে পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মুখাবয়বের বন্ধুটির সাক্ষাৎ পায়।
‘বন্ধুর সাক্ষাতের উচ্ছ্বাসে মেয়েটি তার হেলমেটটি খুললে (১৪ সেকেন্ড) স্কার্ফে জড়ানো মাথা সমবেত গলায় তাকে বেশভূষায় মুসলিম ভাবধারায় পোশাক পরিহিত নারী হিসেবে প্রতীয়মান হয়। পরবর্তী ১৫ সেকেন্ড থেকে ২১ সেকেন্ড পর্যন্ত মেয়েটির পোশাক মুসলিম ভাবধারার রীতি অনুযায়ী পরিধান করে ওই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বন্ধুটির সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে আলাপচারিতা করতে দেখা যায়। অতঃপর মুসলিম ভাবধারার পোশাক পরিহিত মেয়েটি তার দুইহাত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলেটির দুই কাঁধে রাখলে এবং ছেলেটি মুসলিম মেয়েটির কোমরে হাত রাখলে বন্ধুত্বের বাহিরেও অন্তরঙ্গ দৃশ্যের অবতারণা করে! যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার শামিল।
ইসলাম অবমাননার নামে নাটক বন্ধের জন্য মামলা
তুই নতুন করে আন্দোলন করতে হবেনা, জাস্ট বাংগু মোমিন দের দলে ভিরে যা।
বাই দা রাস্তাঃ তুই হারাম নন মাহরাম বেগানা নারী পুরুষ দের একই সাথে লুতুপুতু দেখাস তোর গল্পে। তোকে বর্জন করা আমাদের ইস্লামী দায়িত্ব। তুই নাস্তেক নাসারা
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: হায় হায় দেশে এতো বড় প্রতিবাদ হয়ে যাচ্ছে আমি এতে সামিল হতে পারতেছি না ! এখন আমার কী হবে রে মাসুম ! তুই একটা উপায় বতলে দে জলদি !
আমি আজ থেকে বেগানা নারীপুরুষদের দেখা করাবো না । আর না ! সবাই এখন আলোর পথে আসবে !
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৯
জ্যাকেল বলেছেন: সমকামিতা করিয়া পশ্চিম জাহানের অশেষ নেকি যাহারা হাসিল করতে চান তাদের জন্য ইসলামের কোন বক্তব্য নেই। তবে সমকামিতা একজন মুসলাম মাত্রই পরিহার করার কথা।
ছবিতে মার্ডার দেখানো হয়, ডাকাতি দেখানো হয়, চুরি দেখানো হয় তাই বলে কি জনগণ মার্ডার, ডাকাতি, চুরি করা শুরু করে দেয় নাকি?
সরল উপায়ে বিবেচনা করলে এটাই বলা চলে, মানুষকে যে ফ্রিডম দেওয়া হয়েছে তাতে সে সমকামিতা প্রচার করুক আর যে কোন কিছুই প্রচার করুক, সেটা নিয়ে হিংসাত্বক কোন আচরণ/বক্তব্য উচিত নয়। বরং সেই ফ্রিডম'কেই শ্রদ্ধা করা শিখতে হবে।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই হচ্ছে কথা । কে সমকামী আর কে নয় সেটা নিয়ে আসলে আমার নিজের কোন বক্তব্য নেই । আমি নিজে যেহেতু সেটা না এটাই হচ্ছে বড় কথা । এবং সেই একই সাথে অন্য কেউ যদি নিজে সমকামী হয়, কিংবা সেটাকে সমর্থন করে সেটা নিয়েও আমার কোন বক্তব্য থাকতে পারে না । এই সহজ কথাটা আমরা বুঝতে পারি না !
আর আমি যখন একটা গল্প পড়ি, নাটক দেখি মুভি দেখি তখন সেই গল্পের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই । সেখানে যে কোন কিছু দেখাতে পারে । সত্যিই পারে । সেটি দেখে আমার ভাল লাগতে পারে নাও পারে । ভাল লাগলে বলবো যে ভাল লাগে নি । কিন্তু আমার পছন্দ হয় নি বা আমি এটা কে সমর্থন করি না মানে এটাকে চলতে দেওয়া যাবে না - এই মনভাবের বিরোধী আমি !
এখানে একটা ব্যাপারে খেয়াল করতে হবে যে কেউ কাউকে জোর করে নাটক দেখাচ্ছে না, গল্প পড়াচ্ছে না । ভাল না লাগলে সেটাকে কেবল এড়িয়ে যাও । ঝামেলা শেষ !
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দেখা হয় নাই।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: দেখে ফেলেন । সময় ভাল যাবে আশা করি !
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: গত কিছুদিন ধরে নিশোর অভিনয় এক টাইপের হয়ে যাচ্ছে। কাইজারেরও টাইপ মনে হয়েছে আমার কাছে। কমফোর্ড জোন থেকে বের হতে পারেনি। সিন্ডিকেট দেখা শুরু করেছিলাম, সময়ের অভাবে এগোতে পারিনি। দেখা যাক, কেমন লাগে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: সিন্ডিকেট দেখা শুরু করেছি আমিও ! এক পর্ব মাত্র দেখছি । দেখা যাক কবে শেষ করতে পারি ।
নিশোর অভিনয় আমার কাছে ভাল লাগে । হ্যা এটা সত্য যে একটা শেইপের ভেতরে থাকে সব সময় তবে আমার কাছে সেটাও ভালই লাগে !
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
শায়মা বলেছেন: নিশোর এই সিনেমা না দেখলেও অনেক নাটক দেখে মনে হয়েছে পাগলাটে গোয়েন্দা অভিনয় তার জন্য পারফেক্ট হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক পাগলাতে না তবে বেশ মজার বলতে পারো । সময় থাকলে দেখতে পারো ।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: গল্পের কাহিনী শুনেই গা গুলিয়ে যাচ্ছে....এই ধরনের গল্পের নাটক সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং সামাজিক নৈতিকতা বর্জিত।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: জুলভার্ন ভাই, কাহিনী মোটেও তেমন নয় । একেবারে পিওর ডিটেক্টিম কাহিনী সাথে খানিকটা ড্রামা যাকে বলে এই গল্প সেই রকমই । সেটা অস্বস্তির কারণ হতে সেটা একেবারে শেষে এক লাইনের একটা সিন । কাহিনীর সাথে একেবারে পার্ফেক্ট ভাবে মিশে গিয়েছে ।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৫
নতুন বলেছেন: মানুষ যারা সমাকামীতা মিডিয়াতে দেখালে সমাজ নস্ট হয়ে যাবে বলে এটারবিষয়ে সব কিছু দেখানো বন্ধ করতে হবে বলে কথা বলে।
তারা কিন্তু হত্যা, ধর্ষন, মারামারি দেখালে এইগুলিও সমাজে বাড়বে বলে কথা বলেনা।
একটা জিনিস অনেকেই বোঝে না তা হইলো। যারা ১০০% বিপরিতকামী তারা কখনোই সমকামী হইতে পারবেনা। তেমনই যারা সমকামী তারা বিপরীদ লিঙ্গের কারুর প্রতি আকর্ষন বোধ করেনা। তাই যারা সমকামী না তাদের কাছে বিষয়টা জঘন্য লাগবে যৌনউত্তজনা আসবেনা।
তাই সুধুই ধর্মের কিতাবে আছে বলেই কিছু মানুষকে একেবাবে জঘন্য বলে মনে করতে হবে তেমনটা আসলে বাস্তবতার সাথে যায় না। কিছু দেশে সমাকামী হলে তাদের মৃত্যুদন্ডও দেওয়া হয়।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমারও ঠিক মাথায় ঢোকে না । খুন চুরি রেপ সব দেখালে কিছু হবে না কিন্তু এই কয়েকটা ব্যাপারের সামান্য তম কিছু যদি ইঙ্গিতও থাকে তাহলে সব কিছু ধ্বংশ হয়ে যাবে এই হচ্ছে আমাদের দেশের পাব্লিকদের মনভাব !
কিছু দেশে সমাকামী হলে তাদের মৃত্যুদন্ডও দেওয়া হয়। এর থেকে বড় বর্বরতা কি আসলেই আর কিছু হয় !
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখি নাই। দেখার চান্সও নাই। এমনি এমনি হাজিরা দিয়া গেলাম।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২০
অপু তানভীর বলেছেন: এই সব দেখে সময় নষ্ট করবো আমরা সাধারণ মানুষ । শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার লোকজন আছে তো !
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাহিনী বলে দিলেন হয় , কে দেখতে যাবে কষ্ট করে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: আরে কাহিনী সব বলে দিলে তো স্পেলার হয়ে যাবে । তখন তো আর কেউ দেখবেই না !
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
সাসুম বলেছেন: কাহিনীর ব্যাপারে আমার দুইটা কথা বলার আছে।
এই কাহিনীকে আমি বলব বাংলাদেশে সমকামিতার নরমালাইজেশনের প্রথম স্টেপ।
এই সিরিজে সমকামিতা দেখানোর কোনোই দরকার ছিল না। নিলয়ের সাথে সাবা-জয়া দুজনেরই গোপনে প্রেম ছিল - এরকম কাহিনী দেখালেও প্লট একই থাকত।
সমকামিতা এখানে পুরাই আরোপিত এবং মোস্ট প্রবাবলি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমার বলায় কিছুই আসবে-যাবে না, তারপরেও যেহেতু বলার মাধ্যম আছে, তাই বলে রাখলাম। সমকামিতাকে নরমালাইজ করার এই প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।
আজকে একটা ওয়েব সিরিজে কাহিনীর মধ্যে একটু সমকামিতা আমদানি করা হয়েছে, কালকে আরেকটা সিরিজে আরেকটু দেখানো হবে, দুই বছর পরে ওয়েব কন্টেন্টের নামে পর্ন দেখানো হবে। এবং দশ বছর পরে এমন অবস্থা হবে, আপনি সেটার সমালোচনাও করতে পারবেন না।
আমাদের যে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধ, সেটার ক্ষেত্রে কেন আমরা আনলিমিটেড ছাড় দিবো?
আমার মতে এটার ওয়াইড স্প্রেড প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
একজন সচেতন মোমিন বল্গার হিসেবে এই ধরনের ওয়েব সিরিজের প্রতিবাদ করা আমাদের জন্য ফরজে কেফায়া। কওমে লুত হয়ে যেতে হবে আমাদের যদিনা আমরা প্রতিবাদ না করি।
বাণীতেঃ বাংগুস্তান এর মোমিন বান্দা