নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ভাগ্য বিশ্বাস করেন না । তাদের কাছে নিজের পরিশ্রম দিয়ে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব বলে মনে করেন । তবে আমি খুব ভাগ্য বিশ্বাস করি । বিশ্বাস করি যে সব কিছু আসলে পরিশ্রম দিয়ে অর্জন করা সম্ভব না । পরিশ্রমের সাথে সাথে আপনার কপালে আসলে সেটা থাকতেও হয় । যাই হোক, সেটা নিয়ে আজকে কথা না বলি । আজকে কথা বলি দুর্ভাগ্য নিয়ে । যেহেতু ভাগ্যে আমার বিশ্বাস আছে তাই দুর্ভাগ্যেও আমার বিশ্বাস আছে । আজকে নিজের সাথে নিয়মিত ভাবে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যের কয়েকটা ঘটনা শেয়ার করি ।
১.
ঢাকাতে যারা ব্যাচেলর হিসাবে থাকেন তাদের ভেতরে খুব কমই আছেন যারা আসলে গ্লাসে পানি পান করেন । তাদের সবারই একটা করে পানির বোতল থাকে । সেখান থেকে সরাসরিই পানি পান করা হয় । পানি পান করা শেষ করে পানির বোতলের মুখ বা ছিপি আটকে রাখা হয় । এটাই স্বাভাবিক ঘটনা । কিন্তু মাঝে মাঝে কি হয়, বোতলের মুখটা আটকানো হয় না । কিংবা হালকা করে রাখা হয় । আমি বেশ সাবধানী মানুষ । চলটে ফিরতে বেশ সাবধানেই চলি । ঘরের ভেতরে যখন চলি তখন খুবই আমার পায়ের আঘাতে কিছু পড়ে যায় । এখন যখন পানির বোতলের মুখটা আটকানো থাকে শক্ত করে তখন কখনই পায়ের আঘাতে পড়ে না । আমার যতদুর মনে পড়ে কোন দিন পড়ে নি অসাবধানতা বশত । কিন্তু ... জ্বী ঠিকই ধরেছেন যখনই পানির বোতলের মুখটা না লাগাই কিংবা হালকা করে লাগানো থাকে তখনই পানির বোতলটা পড়ে যায় এবং পুরো ফ্লোরে পানি ভেসে একাকার হয়ে যায় । একবার হলে হয়তো আমি তেমন কিছু মনে করতাম না । এই ঘটনা আমার সাথে কম করে হলেও ছয় থেকে সাতবার হয়েছে ।
২.
এবার আসি রাস্তায় চলা নিয়ে । আগে যখন বাসে চড়তাম তখন এই ঘটনা আমার সাথে ঘটতো প্রায়ই । আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে বাসে ওঠার স্থানে যেতে মিনিট ৬/৭ হাটতে হয় । একটা লম্বা গলি আছে । সেটার মাথায় এলে মুল রাস্তাটার একটা অংশ দেখা যায় । এখন এই আসার প্রায় প্রতিদিন আমার সাথে এই ঘটনা ঘটতো যে যখনই আমি গলির এই মাথায় এসে হাজির হতাম তখনই দেখা যেত রাস্তার উপর দিয়ে আমার নির্ধারিত বাসটা চলে যাচ্ছে । চোখের সামনে দিয়ে । প্রায় প্রতিটা দিন । আমাকে লোভ দেখিয়ে বাস চলে গেছে আর যেন আমাকে বলে যাচ্ছে, দেখ বেটা তোকে নিলাম না !
৩.
বাসের সাথে ঘটে যাওয়ার আরেকটা দুর্ভাগ্যের ঘটনা । এটা মনে হয় আপনাদের অনেকের সাথেই হয় । বাসে যখন উঠি, প্রায়ই সিট পাওয়া যায় না । তখন আমরা সিটের পাশে দাড়িয়ে থাকি । এখন এটা আমার সাথে আজীবন হয়েছে । আমি ঠিক যে সিটটার কাছে দাড়িয়ে থাকি সেই সিটের মালিক যখন আমার আগে উঠে যান না । আমার সামনের আগের পিছের সব সিট থেকে যাত্রী উঠে যান এবং অন্য কেউ বসার সুযোগ পায় । এই ভাবে যদি আমি একটু সরে যাই কিংবা অন্য সিটের পাশে গিয়ে দাড়াই তাহলে একটু আগে যে সিটের কাছে আমি দাড়িয়ে ছিলাম সেই সিটের যাত্রী উঠে নেমে যাবে এবং যথারীতি আমি বসতে পারবো না । ব্যাপারটা এমনই একটা চরম আকার ধারণ করেছিলো যে আমি আর কখনই বাসে সিটের জন্য যেতাম না । এমন একটা মনভাব নিয়ে বাসে উঠটাম যে বাসে সিটে আমি বসবই না । দাড়িয়েই যাবো !
৪.
ইলেক্ট্রনিক্স ভাগ্য আমার বরাবরই খারাপ । যে কোন ইলেক্ট্রনিক্স পন্য আমি যখন কিনবো তখন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভবনা থাকবে যে সেই জিনিসটাতে কোন না কোন সমস্যা থাকবেই । এমন প্রতিটা বারই আমার সাথে হয়ে থাকে । দেখা যাবে ১০০০ টা পন্যের ভেতরে এক পন্য একটু ডিফেক্টিভ তৈরি হয়েছে এবং ঐ একটা পন্যই আমার কপালে জুটবে !
৫.
বাসের পরে এবার আসি সাইকেলের কথায় । বাসে এখন মোটামুটি আর উঠি না যদি না দুরুত্বটা অনেক বেশি হয় । করোনার আগে থেকেই আমার নিয়মিত বাহন হচ্ছে সাইকেল । এই সাইকেলে চলাচলের ফলে বাসের জন্য কিংবা সিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না । কিন্তু এখন অপেক্ষা করতে হয় সিগনালের জন্য । এই ব্যাপারটা আমার সাথে সব সময়ই হয় । আমি যখন সেই দিকে যাবো ঠিক সেই সেই দিকে সিগনাল পড়বে । কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক এমন না যে সিগনাল টা অনেক আগে থেকেই পড়ে আছে । আমি দেখতে পাচ্ছি যে সিগনাল ক্লিয়ার । আমার সামনে দিয়ে গাড়ি গুলো পার হয়ে যাচ্ছে । একদম আমি যেই সময়ে না সিগনালে হাজির হব ঠিক সেই সময়ে ট্রাফিক সেটা বন্ধ করে দেবে । এই ব্যাপারটা সব থেকে বেশি ঘটে রাতের বেলা ফেরার সময় । আমি আড়ং হয়ে ২৭ নম্বর দিয়ে বাসায় আসি প্রায়ই । আড়ং পার হয়ে ২৭ নম্বরের দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাই যে আমার চোখের সামনে দিয়ে বাইক গাড়ি গুলো সব চলে যাচ্ছে । একদম আমি যখন কাছে গিয়ে হাজির হব ঠিক সেই সময়ে ট্রাফিক সিগনাল দিয়ে আমাকে আটকে দিবে ।
৬.
এই রাস্তার আরেকটা মজার ব্যাপার হয় প্রায় । মাঝে মাঝে আমার বাসায় ফিরতে ফিরতে ফিরতে প্রায় এগারোটা বেজে যায় । ২৭ নম্বরের এই রাস্তায় দশটা কি সাড়ে দশটার পরে আর ট্রাফিক পুলিশ থাকে না । তখন হয় কি গাড়ি গুলো যে যার ইচ্ছে মত চলাচল করে । এই রাতে এই সময়ে ট্রাক চলাচল করে । যখন ট্রাফিক পুলিশ চলে যায় তখন একদিকে গাড়ি যখন চলে তখন চলেই । থামে না । তো আমার বাসা ফেরার দুইটা রুট আছে । একটা হচ্ছে আড়ং ফার্মগেট হয়ে আড়ং দিয়ে ২৭ নম্বর কিংবা বসুন্ধরার সামনে দিয়ে কলাবান হয়ে ২৭ নম্বর ! আমি দুই রুটই ব্যবহার করি । এখন ঘটনা ঘটে হচ্ছে আমি যেদিন যেই রুট দিয়েই যাই না কেন অন্য রুটটা বেশি ফাঁকা থাকে । ধরুন রাত এগারোটা বেজে গেছে । আমি আজকে আসছি মানিক মিয়া এভিনিউ আড়ং দিয়ে । এখন ২৭ নম্বরে এসে দেখবো যে কলা বাগান হয়ে গাড়ির সারি । সেটা যাচ্ছে তো যাচ্ছেই আর থামছে না । আমাকে এই ২৭ নম্বরে আটকে থাকতে হচ্ছে । ঠিক একই ভাবে ধরুন আমি এসেছি কলাবাগান দিয়ে । সেদিন দেখা যাবে কলাবাগানের দিয়ে মিরপুর রোডে জ্যাম আটকে আছে সেই কলাবাগান সিগনাল থেকেই । ২৭ নম্বর দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে তো যাচ্ছেই কিংবা আড়ংয়ের এখানে জ্যাম আটকে আছে । এটা আমার সাথে প্রায়ই প্রতিদিনই ঘটে ।
৭.
আমি খাওয়া দাওয়ার সময় বেশ ধীর স্থির ভাবে খাই । তবে সমস্যা হচ্ছে যখন আমি সাদা বা সাদা ধরণের টিশার্ট কিংবা শার্ট পরি এবং যখন খাওয়া দাওয়া করতে যাই তখনই এই ঘটনা ঘটে । দেখা ডাল দিয়ে ভাত খাচ্ছি । মাছ কিংবা মাংশের টুকরোটা হাত থেকে টুপ করে পড়বে ডালের ভেতরে । আমি সব সময় ডাল পাতে একটু বেশি নিয়ে খাই । টুপ করে পড়বে এবং সেখান থেকে ডালের একটা অংশ আমার সাদা টিশার্টের উপরে এসে পড়বে । এটা আমার সাথে হবেই । যতবার আমি সাদা জিনিস পরে খেতে গিয়েছি ততবার কোন না কোন ভাবে এমন হয়েছে । এভাবে কত টিশার্ট যে আমার বাতিল হয়েছে তার কোন ঠিক নেই । তারপর থেকে সাদা কিছু পড়ে খাওয়া দাওয়া করা একদম বাদ দিয়েছি । এখন এই ঘটনা আমার সাথে একদমই ঘটা না । এখন মাংসের টুকটো ডালের ভেতরে পড়লেও সেটা ছিটকে আসে না !
আপাতত এই ঘটনা গুলো মনে পড়লো । আরও অনেক কিছুই ঘটে নিয়মিত । আপনাদের সাথে নিশ্চিত ভাবেই এমন ঘটে সব সময় ।
pic source
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: এটা নিয়ে লম্বা একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন দেখি । আমিও মিলিয়ে দেখি যে কপাল কি শুধু আমারই খারাপ নাকি অন্য সবারই খারাপ !
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: ১,যখন বোতলের মুখ লাগানো থাকে তখন পড়ে গেলেও সেটা মনে রাখেন না।মনে রাখার প্রয়োজন পড়ে না কারন এটা একটা সাধারন ঘটনা।যখন মুখ লাগানো থাকে না সেটা দুর্ঘটনা,তাই মনে থাকে।
৭,সাদা কাপড়ে দাগ স্পষ্ট দেখা যায়।কালো বা রঙিন কাপড়ে দাগ অতটা স্পষ্ট দেখা যায় না।ছোট গাদ হলে হয়তো দেখাই যায় না।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: বোতলের মুখ লাগানো অবস্থায় সেটি পায়ের আঘাতে কোন দিন পরেছে বলে আমার মনে পড়ে না । পড়লে আমার মনে থাকতো ! সব সময় পড়েছে মুখ খোলা থাকলেই !
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,
আপনার এধরনের অভিজ্ঞতা সকলেরই কম বেশী হয় ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ।
এই যেমন আমার মুঠওফওনে এনালগ ঘড়ির একটি ্ওয়ালপেপার আছে। সেখানে ৯ঠার ঘরের সওজাসুজি দিনের নাম ্ও ব্যাটারীর চার্জ দেখা যায়। যখনই আমি দেখতে যাই যে কতটুকু চার্জ বাকী আছে তখনি ঘড়ির হয় ঘন্টার, নয় মিনিটের, নয় নিদেন পক্ষে সেকেন্ডের কাটাটি ৯টার ঘরে বসে ব্যাটারীর চার্জ এর পরিমানটা ঢেকে রাখবেই। প্রতিবারই এমনটা হয়।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: ইন্টারেস্টিং তো ! যখন প্রতিবারই একই ঘটনা ঘটে তখন ব্যাপারটা কিন্তু সত্যিই ইন্টারেস্টিং !
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যাপক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নাগরিক! তবে নগর জীবনে কমবেশী এইসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আমরা প্রায় সবাই।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: সবার জীবনেই তাহলে এমন ঘটে । আমার সাথে স্পেসিফিক ভাবে এই ঘটনা গুলো প্রায়ই ঘটে ! সব সময় ! এই কারণে আলাদা ভাবে এগুলো মনে আছে !
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৭
মোগল বলেছেন: আপনার জন্ম তারিখ কবে?
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: কেন?
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫০
সাসুম বলেছেন: ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য বলে কিছু নেই। ভাগ্য বা দুর্ভাগ্যে বিশ্বাস বলেও কিছু নেই। তোর প্রতিটা আর্গুমেন্ট এর পিছনে স্ট্রং রিজন আছে।
মারফি নামের আমেরিকান বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আছেন। উনার নামে একটা সূত্র আছে। তোর ঘটনা গুলো এক্সপ্লেইন করার জন্য মারফি'স ল পড়তে পারিস।
মারফি;স ল অনুসারে- If anything can go wrong, it will.
সো রিলাক্স এন্ড এঞ্জয় লাইফ
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: If anything can go wrong, it will. এ?
যা হবার তো হবেই । চিন্তা করতেছি না । রিলাক্সেই আছি !
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১১
রেজাউল৯০ বলেছেন: সবই যে আপনার জীবনে খারাপ ঘটবে এমন না , আমার ধারণা মাঝেমাঝে ভালো দু একটা ঘটনাও ঘটে। যেমন বাসে বসে আছি, পাশের সিট খালি , একজন সুন্দরী ভদ্রমহিলা উঠলেন, উনি আমার পাশে না বসে অন্য কারো পাশে বসলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বা যদি আপনি ঐ বাসে থাকতেন তবে এরকম ক্ষেত্রে ওই মহিলা আপনার পাশে অবশ্যই বসতেন।
আমার কপালটা অন্যরকম ভাবে খারাপ। পেশাগত কারণে প্রতিদিন ব্লগে আসার সুযোগ পাইনা। মাঝে মাঝে পাই। যখন সুযোগ পাই ব্লগে আসলে দেখি আমার পছন্দের ব্লগার দুজনের অন্তত একজন জেনারেল হয়ে আছেন। এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে পছন্দের দুজন ব্লগারই জেনারেল হয়ে আছেন।
আবার এনারা যখন জেনারেল থেকে সিপাহী হবেন, তখন দেখা যাবে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি ব্লগে আসতে পারছিনা।
আবার আগে এরকম রেগুলার হত- অনেক কষ্ট করে একটা লেখা দাড়া করালাম পরে দেখা গেল পাঁচ বছর আগেই ওই লেখা কোন ব্যাটা চুরি করে ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছিল। এই লেখা সে কোথায় পেয়েছিল ফেসবুকে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে নিরুত্তর থাকে।
একেকজনের একেক কষ্ট।
তবে মুরগি চোর যখন মুরগি চুরি করতে পারে না ,বা গালিবাজ যখন গালি দিতে পারে না তাদের কষ্টটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় কষ্ট।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই না । আমার জীবনে ঘটা বেশির ভাগ ঘটনাই ভাল ঘটনা । আমার সাথে খারাপ কিছু খুব কম কটেছে এখনও পর্যন্ত তাই এটা নিয়ে আসলে কোন অভিযোগ নেই । এই ঘটনা গুলো বারবার ঘটে আমার সাথে এই জন্য লিখলাম !
আপনার প্রিয় মানুষদের জেনারেল করা হয়েছে জেনে দুঃখিত হলাম । আশা করি তারা জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে অধিস্থিত হবেন !
আপনার শেষ লাইনে সাথে সহমত । তাদের কষ্ট বড় কষ্ট !
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
স্প্যানকড বলেছেন: ইহা লিপিবদ্ধ বা পেরেক মারা বিষয়। যদিও মেনে নিতে কষ্ট হয়। ভালো থাকবেন সব সময়।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: না ঠিক কষ্ট না । আমি জীবনে ঘটে যাওয়া প্রায় সব কিছুই মেনে নিই !
আপনিও ভাল থাকুন সব সময় !
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: অফিসের সার্টে ডালের ফোটা লাগে নাও অন ঘটনা খুব কম। ডালের সাথে আমার সার্টের সম্পর্ক খুব বেশি বন্ধুত্বপুর্ন না।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ডাল লেগে যাওয়ার ঘটনা কমন ব্যাপারটা সেটা আমিও জানি । আমি আগেই বলেছি আমি সাবধানে খাই । অন্য কোন সময় এমনটা হয় না । যেই ধরুন আমি সাদা শার্ট পরি তখন মাংসের টুকটো ছিড়তে গেছি তখন সেটা ছুটে গিয়ে পড়বে ডালের উপরে আর সেখান থেকে ছিটকে গিয়ে পড়বে টিশার্টে ! এমন ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে ।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬
কিশোর মাইনু বলেছেন:
দুঃখিত ভাই, হাসি চেপে রাখা সম্ভব হল না। আপনার প্রত্যেকটা অভিজ্ঞতার সাথে সবার-ই সাক্ষাত হয়েছে, চিন্তা করবেন না। আপনি একলাই এই তথাকথিত দুর্ভাগ্যের অধিকারী না।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। পড়ে ভালো লাগল। আপনি আমার চেনা প্রথম ব্লগার। এখনও আপনি সমান তালে লিখে যাচ্ছেন দেখে খুশী লাগল।
ভাল থাকবেন ব্রাদার। শুভকামনা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: এটা আসল দুর্ভাগ্যের ব্যাপার না হয়তো তবে এই প্যারা গুলো আমার জীবনে ঘটে অনেক অনেক বার এবং নিয়মিত ভাবে । একদুইবার ঘটলে না হয় বলা যেত !
আমি আপনার চেনা প্রথম ব্লগার জেনে ভাল লাগলো !
আপনিও ভাল থাকুন সব সময় !
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬
জটিল ভাই বলেছেন:
বলতে চাইছিলাম কারো বদদোয়া লাগছে। তবে কথা হলো যার বদদোয়া লাগার আশঙ্কা করছি সেতো আবার দোয়া-দুরূদে বিশ্বাসী না
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: আরে না না । এই ঘটনা আমার সাথে ঘটে অনেক অনেক আগে থেকেই ।
আর যার কথা কইতেছেন তার দোয়া পুকুরে যাবে । এতো জোর নাই তার দোয়াতে !
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পরিশ্রম+ভাগ্য, এই দু'টার প্রোপার কম্বি না হলে যে কারও পরিস্থিতি হবে জম্বির মতো। আপনি যেহেতু ভাগ্যে বিশ্বাস করেন, কাজেই আপনাকে আর বিষদ ব্যাখ্যা করার কিছু নাই। ভাগ্যে যেহেতু বিশ্বাস করেন, অভিশাপেও হয়তো বা করেন। তবে করেন আর নাই করেন, এই সাতটা দুর্ভাগ্যই ঘটে আপনার সাতজন প্রাক্তনের অভিশাপের কারনে।
এইগুলো কাটানোর জন্য আপনাকে অমাবস্যার রাতে শ্মশান থেকে সংগ্রহ করা মাটি, কালা কুত্তার পশ্চাদ্দেশের লোম, পেচার নখের কিয়দংশ, ধনেশ পাখির তেল আর আপনার ওই সাতজন প্রাক্তনের পরনের কাপড়ের ছোট্ট টুকরা সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করা হলে জানায়েন, পরের ধাপ বলে দিব।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে প্রাক্তন তো ঠিক সাতটা না আরও বেশি । সঠিক সংখ্যাটা মাঝে মাঝে আমি গুলিয়ে ফেলি । এদের ভেতরে একজন আছে যে একবার ব্রেক আপ করে চলে গিয়ে আবার ফিরে এসেছিল তারপর আবারও ব্রেক আপ করছে । এই কি একজন ধরবো নাকি আলাদা আলাদা মানুষ ধরবো ? আগে এই কনফিউশন দুর করা জরুরী !
ভগ্য আর পরিশ্রম এই দুটোর কম্বিনেশ যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে সত্য জীবন জম্বির মতই হয়ে যায় ! নিজের ও আশে পাশের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এই কথা জানি আমি !
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ছিল জানি, তবে সবাই তো আর অভিশাপ দেয় নাই। কোন সাতজন দিয়েছে, সেটা আপনাকেই খুজে বের করতে হবে। তারপরে কাজ শুরু করে দেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: না না । এমনটা হওয়ার নয় মোটেও । প্রেমিক হিসাব হিসাবে আমি সব সময় সেরা ! আমার প্রেমিকারা কখনই আমাকে অভিশাপ দিটে পারেই না । বরং আমারই তাদের অভিশাপ দেওয়ার কথা । অন্তত দুই তিন জনকে কালো জাদু করা উচিৎ তারা আমার সাথে যা করেছে !
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এমন ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটে। অনেকে লিখতে পারে না বা লেখা না। কিন্তু আপনি লিখে ফেলেছেন।
পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানালাম।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪২
লিংকন১১৫ বলেছেন: ভাই একদম ডাহা মনের কথা গুলো বলে দিলেন,
আমি সৈনিক ক্লাব হয়ে নাবিস্ক যাই, ঠিক যখন ওভার ব্রিজ পার হয়ে শেষ সিঁড়ি তে পা দেই তখনি বাস চলে যায়
যদি কখন আমি বাসের সিট পাই গন্তব্বে ঠিক আসার আগে
সারা দিন বিদ্যুৎ না গেলেও, আমি যখন অফিস থেকে বাসায় ফিরি তখন ঠিকি যাবে।
এক্সামের সময় কোন ভাবেই উত্তর মনে আস্ত না, কিন্তু হল থেকে বের হওয়ার পর ঠিকি মনে আস্ত একদম পুঙ্খান পুঙ্খান ভাবে
যদি সরিলের কোথাও ব্যথা পাই সেই ব্যথা যায়গায় বার বার ব্যথা লাগবে
পায়ের কেনু আঙুলে বার বার একি যায়গায় গুতা খাবো।
হাত থেকে যে জিনিষ পরার কথা না সেটা অবশ্যই পরবে, ভাঙবে নষ্ট হবেই।
খুব গুরুত্ব পূর্ণ মেইল দেয়ার পর দেখি সাথে ফাইল গুলো যায়নি বা আসল কথাই লিখি নাই ।
আঠার বিশ ঘণ্টা ধরে কাজ করার পর একটু রিলাক্স হবার জন্য যেই একটু বের হয়েছি ঠিক তখনি বিদ্যুৎ যাবে এবং এতো বেশি সময় ধরে থাকবে ইউপিএস এর চার্জ ও শেষ হয়ে যাবে।
এক দিনের কথা বলি শুনেন
ঘুম থেকে উঠেই দেখি অনেক দেরি হয়ে গেছে, অ্যালার্ম কেন বাজলো না, অহ ফ এম / পিএম দিতে ভুল করেছি।
তারা হুরা করে তৈরি হয়ে বের হয়ে দেখি কোথাও রিক্সা নাই, কি আর করার ১৫ মিনিট হাটার পর একটা পেলাম,
কিন্তু হায় কপাল কিছু দুর এগুতেই দেখি একটা গাড়ি গাত্তায় পরছে, কোন সমস্যা নাই আবার ভঁ দৌর দিয়ে কচুক্ষেত আইসা দেখি এতো জ্যাম বাসে করে গেলে রাত হয়ে যাবে, তাই আবার রিক্সা নিয়ে সৈনিক ক্লাব এ আসলাম, ওভার ব্রিজ এ উঠতে গিয়ে দেখি এস্কেলেটর কোন এক আজিব কারনে উল্টা দিকে ঘুরছে, কি আর করার উল্টা পাস দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পারহলাম।
নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখি দুটো বলাকা বাস আমাকে ভেংচি কেটে চলে গেলো, এতো ডাকলাম অনেক ক্ষণ লাফা লাফি করে বাস পেলাম তবে ঝুলে ঝুলে নাবিস্ক আসলাম। অতপর আবার রিক্সা নিয়ে অফিসের দিকে রওনা দিলাম, অর্ধ পথে রিক্সার গেলো চেইন পরে, তাও আবার এমন ভাবে পরল উনি ঠিক করতে পারলো না, অজ্ঞতা অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে আবার আরেক রিক্সায় করে অফিস এ এসে দেখি লিফট নষ্ট কেমন ডা লাগে
আরও অনেক কিছু আছে যা বলে শেষ করা যাবে না ।
তবে ভাই আমি কর্মে বিশ্বাসী আপনি চাইলে সব কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন,
এ ক্ষেত্রে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে, চোখ কান খোলা রাখতে হবে,
রাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে, লজিকের বাহিরে কোন কিছুই হয়না, বাকি গুলো কাকতালীয়।
আপনি আপনার সময় পরিবর্তন করেন, বুঝতে চেষ্টা করেন কখন কোন রাস্তায় জ্যাম থাকে, বাস গুলো কোন কোন সময় খালি যায়, রাশ সময় এরিয়ে চলুন , নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন , দেখবেন আর বোতলের পানি পরবে না ।
আমরা যখন কোন বাচ্ছা কে কোন কাচের জিনিস রেখে আস্তে বলি, তখন বলি দেইখো ভেঙ্গে ফেলো না, আরে ভাই ওর মাথায়
১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কাহিনী পড়ে কেবল মনে হল যে এই ঘটনা গুলো শুধু আমার সাথেই নয় বরং সবার সাথেই কম বেশি হয় । আমার সব থেকে পেইন লাগে চোখের সামনে দিয়ে বাসটা যাওয়াটা । আর এখন সিগনালের বন্ধ হয়ে যাওয়াটা । আমি গেলাম আর সিগনাল আটকে দিলো । এতো এতো বার এই ঘটনা আমার সাথে ঘটে যে বলার অপেক্ষা রাখে না ।
যাক এইভাবে জীবন কাটছে । সামনে আরও কাটবে মনে হয় । এই ঘটনা ঘটবে বারবার ।
ভাল থাকুন সব সময় !
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা আমার জীবনেও এমন নানা ঘটনা ঘটে, ভাগ্য উফ
লিখবাম নে কী কী ঘটে