নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগাররা ব্লগে ছেড়ে চলে যায় কেন - একটি বেহুদা আলোচনামূলক পোস্ট

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩০



সম্প্রতি বন্ধু মাসুম ব্লগে ছেড়ে চলে গেছে । ব্লগে মাসুমের নিক সাসুম । অনলাইনের যে অল্প কজন মানুষের সাথে আমার বাস্তবে জীবনে ভাল সম্পর্কে তাদের ভেতরে একেবারে উপরে দিকে মাসুমে অবস্থান । যেহেতু মাসুক চলে গেল তাই মনে হল ব্লগে ছেড়ে ব্লগাররা চলে যায় কেন সে টা নিয়ে একটা চিন্তা ভাবনা করা দরকার । তাই ব্যাপক গবেষণা করলাম এই দুইদিন । ইদানীং যে বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে খুব বেশি । কিছু একবার পেলেই হয় সেটা আগে সার্চ দিই গুগলে তারপর ইউটিউবে । কিছু না কিছু চলে আসেই প্রথমে । এখানেও চলে এল । Quara.com এ মনিরুজ্জান স্টুডেন্ট কয়েকটি কারণ লিখেছেন তার ভেতরে কয়েকটি তুলে দিচ্ছি - ভিজিটর না আসা, সাইট র‍্যাংক না হওয়া, গুগলের অন্যতম সমস্য ইনডেক্সিং, অনেকের বাজে কমেন্ট, আশানরুপ ফলাফল না আসা, এডসেন্স এর রিজেকশন, সাইটের বিভিন্ন Errors, নিজের করা কিছু ভুলের জন্য আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি । যদিও এই কারণ গুলো সব সামুর বেলাতে খাটে না । এরা হচ্ছে নিজেস্ব সাইট খুলে আয় করার জন্য ব্লগিং করে । আমরা অবশ্য সেই জন্য এখানে ব্লগিং করি না । তবে কয়েকটি অবশ্য মিল আছে যেমন ভিজিটর না আসা, বাজে কমেন্ট । শেষের টা তো খুব ভাল করে খাটে ব্লগ ছাড়ার জন্য ।
ইমাম উদ্দিন নামে আরেকজন লিখেছে, ব্লগিং ছেড়ে দিতে চেয়েছি অনেকবার, রাগে! দুঃখে। যখন আমি কষ্ট করে কনটেন্ট লিখি, কিন্তু অন্যরা সেটা কপি করে নিজের নামে নিজের সাইটে পোস্ট করে টাকা ইনকাম করে গুগল এডসেন্স থেকে।
চুরি করে চোর হওয়া যায়, কিন্তু ব্লগার হওয়া যায়না!
ইমাম সাহেব সম্ভবত সামুতে কোন দিন আসেন নি নয়তো নিচের শেষ লাইণটা সে বলতেন না ।

যাই হোক এবার বিবিসি বাংলার একটা রিপোর্ট পেলাম । সানজানা চৌধুরী রিপোর্ট টা লিখেছে । সেখানে কয়েকটা লাইন দৃষ্টি আকর্ষণ করলো । যেমন নজরুল নামের একজন বলেছেন, ব্লগকে আমাদের দেশে খুব নেগেটিভ ভাবে দেখা হয় । ব্লগারদের একটা গোষ্ঠী এখনও নাস্তিক হিসাবে দেখে । প্রাণনাশের হুমকি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ব্লগাররা আর লিখতে চাননা ।
অন্য একজন মনে করেন যে কেবল বাংলাদেশেই নয়, পুরো বিশ্বেই এমনটা হয়েছে । তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষ মানুষ ব্লগ থেকে অন্য সব প্লাটফর্মে গিয়ে হাজির হয়েছে ।
অন্য একজন মনে করেন যে এখন মানুষ ফেসবুক আর টুইটারে লিখতে বেশি পছন্দ করেন । প্রযুক্তির উন্নয়নে এই মাধ্যম গুলো আগের থেকেও আরও বেশি উন্নত আর আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে যা ব্লগকে ছাপিয়ে গেছে ।

প্রতিটি ব্লগারের ব্লগিংয়ের পেছনে একটা প্রধান কারণ হচ্ছে তার লেখা যেন বেশি সংক্ষক মানুষের কাছে পৌছায় । আর বর্তমান ব্লগ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে সেই পৌছানোটা আরও বেশি সহজ ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন মনে করেন যে ''একের পর এক ব্লগার হত্যার পর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কঠোর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। মামলার বিচার নিষ্পত্তি হয়নি। এজন্য হুমকির মুখে ব্লগাররা দেশ ছেড়ে চলে যায়। তারপর সরকার ব্লগিংকে নজরদারিতে আনায় মানুষ যে স্বাধীনভাবে লিখবে সেই জায়গাটা আর থাকেনি।'' (পুরো রিপোর্ট টা লিংক থেকে পড়ে নিতে পারেন)

একই রকম আরেকটা রিপোর্ট ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল একই সাইটে । সেখানেও বলতে গেলে একই ধরনের কথা বলা হয়েছে । রিপোর্টটা এখান থেকে পড়তে পারেন।

মোটামুটি নেটে আর কিছু খুজে পেলাম না । এবার বলি ব্লগাররা আসলে কেন ব্লগ ছেড়ে চলে যায়, আরও ভাল করে বললেন সামু ব্লগ ছেড়ে ব্লগাররা কেন চলে যায় । উপরের কারণ গুলো নিয়ে আলাদা ভাবে আসলে কিছু বলার নেই । নাস্তিক ট্যাগ, হত্যা হুমকি, সরকারি নিয়ন্ত্রন ইত্যাদির কারণে ব্লগ ছেড়ে চলে গেলে অনেকেই । এছাড়া আরও যে কারণে ব্লগ ছেড়ে ব্লগাররা চলে যাচ্ছে তা হচ্ছে -

১. বেশির ভাগ ব্লগারই আগ্রহ হারিয়ে ফেলার কারণে ব্লগে আর লিখেন না । এক সময়ে সামুতে ব্লগিং করেছেন বলেই তাকে সারা জীবন সামুতে লিখতেই হবে এমন কোন কারণ নেই । এমন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক যে সকালে ঘুম থেকে উঠলেন তারপর মনে হল আর লিখবেন না সামুতে । মানুষের জীবনে আরও কত সময় কাজ থাকে । এই লেখালেখি ব্লগিং থেকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ মানুষের জীবনে থাকতেই পারে । তাই ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ।

২. সামু থেকে চলে যাওয়ার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে সামুর ব্লক হওয়াটা । মানুষ চাইলেই সামুতে ঢুকতে পারতো না তখন । বলা চলে সেই সময়েই সামু থেকে ব্যাপক হারে ব্লগার চলে গেছেন । এমন অনেকবার আমি নিজ চোখে দেখেছি যে অনেকেই ব্লগে ঢুকতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না । ভিপিএন দিয়ে এতো প্যারা নিয়ে মানুষ ব্লগে ঢুকতে চায় না । মানুষ সব সময় সহজ কিছু চায় । যে কাজে কঠিন্যের মুখোমুখি হতে হয় সেই কাজ কেন করবে সখন তার থেকেও সহজ উপায় রয়েছে । ইভেন এখনও অনেকে মোবাইল নেট ব্যবহার করে সামুটে ঢুকতে পারে না ।

৩. সামু ছেড়ে চলে যাওয়ার আরেকটা কার হচ্ছে ফেসবুকে যে রকম সুবিধা পাওয়া যায় সামুতে সেই সুবিধা পাওয়া যায় না । অন্য সকল সুবিধা বাদ দিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে, ফেসবুকে বুকে একজন যে রকম স্বাধীনতা ভোগ করে ব্লগে সেই স্বাধীনতাটা নেই । ফেসবুকে আপনি চাইলে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারবেন, গালী দিতে পারবেন । যদিও এখন ফেসবুক কিছু অটো সেন্সরশীপ তৈরি হয়েছে । এআই দিয়ে সেই শব্দ গুলো সেন্সর করা হয় তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই সেটা এড়ানো সম্ভব । মোটকথা আমি চাইলেই ফেসবুকে কাউকে %^$ গালি দিতে পারি । কিন্তু এখানে সেটা সম্ভব না মোটেও । মানে আপনি হয়তো গালি দিতে পারবেন । এই যেমন একজন ব্লগার আমাকে গালি দিয়েছিলো কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই গালি মডারেটর প্যানেল দেখলে আপনাকে দির্ঘ্যদিন ধরে নীতিমালার আওয়াতায় নিয়ে আসবে । বাঙালী নিয়ম নীতি পছন্দ করে না । বাঙালীর নিয়ম নীতির ব্যাপারে মনভাব হচ্ছে সবার বেলাতে কঠোর ভাবে নিয়ম নীতি ফলো করা হবে কেবল আমার বেলা ছাড় দেওয়া হোক । এই ছাড় যখন না হয় তখন তাদের মনে বড় অভিমান জন্মে ।

৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণেও ব্লগ ছেড়ে অনেকে চলে গেছেন । আপনারা হয়তো বলবেন যে ফেসবুক তো অনেকেই লিখছেন তখন কী আইনের ভয় নেই । ফেসবুকে নিজের লেখার অর্ডিয়েন্স খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায় । আমি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আমার লেখা কে দেখবে বা না দেখবে। যেমন ফেসবুকে আমার প্রাইভেসী এমন ভাবে নিয়ন্ত্রিত আমি চিনি না এমন একটা মানুষও আমার লেখা দেখতে পারবে না । তাই মোটামুটি সেখানে আমি যেমন ইচ্ছে সেমন কিছুই লিখতে পারি কোন প্রকার ভয় ছাড়াই । কিন্তু এখানে এই সামুতে মাঝে মাঝে কিছু ব্লগে মন্তব্য করতে আমি ভয় পাই । কখনই এমন কিছু লিখি না যাতে করে একটা নির্দিষ্ট পক্ষের বিরাজভাজন না হই । আমি অতি সাধারণ মানুষ । এবং আমি জানি আমার মত এরকম অনেক অনেক মানুষ আছে যারা এখানে ঠিক এই কারণে লিখতে চায় না ।

৫. অনেকেই আছে ব্লগের মডারেশনের দোষ দেয় । মডারেশনের দোষ আসলে তারা কারণ ব্লগটা তাদের মন মত চলে না । তারা ঠিক যেমনটা মডারেশন প্যানেলের কাছে তেমন ভাবে মডারেশন চলছে না । যেমন একদল মনে করে ব্লগটা ঠিক ইসলাম বান্ধব নয়, এখানে শান্তিমত ধর্ম নিয়ে লেখা যায় না আবার আরেকদল মনে করে এখানে ব্লগটা মোল্লা মাদ্রাসায় পরিনত হয়েছে । তবে মডারেশন নিয়ে আমার নিজেরও অনেক অভিযোগ রয়েছে । সব সময়ই ছিল । সেই শুরু থেকে । নানান মানুষ নানান ভাবে সব সময়ই মডারেশন নিয়ে অভিযোগ করেই গেছে । অন্য মানুষকে কেন বলছি আমি নিজেই তো কত অভিযোগ করে গেছি । এখনো করি ।

আপাতত এই হচ্ছে ব্লগ ছাড়ার কারণ । ব্লগ থেকে ব্লগার চলে যাওয়ার কারণের মুলে আমার মনে হয় ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াই দায়ী । আমার নিজের কথাই যদি ধরি, আমি দিনে কম করে হলেও ৪০ থেকে ৫০ বার ফেসবুক এপটা ওপেন করি । সেখানে সামু অনেক করি ১০ থেকে ১২ বার । সামুতে আসতে হলে আমাকে প্রথমে বাউজার ওপেন করতে হয়, তারপর বুকমার্কে গিয়ে সামুতে আসতে হয় । মন্তব্য করতে গেলে আবার আলাদা ভাবে লগিন করতে হয় । যদি ফেসবুকের মত এতোটা সহজ হত তাহলে হয়তো আরও বেশি বার সামুতে আসতাম আমি । এছাড়া ব্লগ সম্পর্কে নেগেটিভ মনভাব, ডিজিটাল আইন সাইট ব্লক তো আছেই । আর ব্যক্তিগত মান অভিমানও একটা কারণ হিসাবে ধরা যায় ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার ।

শুরু করেছিলাম মাসুমের চলে যাওয়া দিয়ে । শেষ করি মাসুমকে দিয়েই । মাসুমের পোস্ট দেখে অনেকের মনে হতে পারে ও হয়তো এখন ব্লগ ছেড়ে দিয়েছে । তবে সামু স্বাভাবিক ব্লগিং ছেড়েছে প্রায় দেড় বছর আগে । কারণ অবশ্য আছে । ওর শেষ পোস্টের আগের পোস্ট পড়লে খানিকটা জানা যাবে হয়তো । তবে বর্তমান সময়ে মাসুম নিজে স্টার্টাপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে । এই সময়ে ওর আসলে অন্য কোন দিকে তাকানোর সময় নেই । এখন কদিন ব্লগ তার জন্য বন্ধই থাকুক । পরে একটা স্টেবল অবস্থায় আসলে হয়তো মাসুম আবার ফিরে আসবে ।

এতো সময় পর্যন্ত পোস্টটা যারা পড়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ । তবে এসব নিয়ে এতো কিছু ভেবে লাভ নেই । কে থাকলো কে গেল সেটা দিয়ে ব্লগ চলবে না । ব্লগ চলবে আপন গতি্তে । কারো জন্য ব্লগ থেমে থাকে নি, থেমে থাকবেও না ।

শুভ ব্লগিং


pic source









মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: উনার লজিকগুলো অন পয়েন্ট হতো, ওনার পোস্ট বা কমেন্ট দেখলেই চেক করতাম। তার পোস্ট আর কমেন্ট মিস করবো, সাসুমকে আমার শুভকামনা জানাবেন যদি সম্ভব হয়।**

আমার প্রথম কমেন্ট মুছে দিয়েন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এটা সত্যি বলেছেন তার কমেন্ট সব সময়ই অন দিন পয়েন্ট । এই কারণে অনেক পক্ষই তাকে অপছন্দ করতো আবার অনেকেই তাকে পছন্দ করতো!

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদি সম্ভব হয় মাসুম (সাসুম) সাহেবকে বলবেন আমি তাকে স্মরণ করেছি। ওনি যেন আমাকে মেইল করেন অথবা ফেবুতে নক দেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: আচ্ছা তাকে বলবো ।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

অপ্‌সরা বলেছেন: সাসুম বা মাসুমভাইয়া ব্লগ ছাড়ার পেছনের কারণ তোমার চাইতে কেহ ভালো বলতে পারবে না।
তবে অনেকেই জানেনা তুমি আর সে কত কাছের ফ্রেন্ড।

হা হা সেটা দেখেও মজা লেগেছে আমার।

ভাইয়া যা ডিসিশন নেবে তা তার জন্য ভালো বলেই নেবে এটাই আমার মনে হয়।

এবং সবারই সেটা করা উচিৎ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: মাসুমের ব্লগ থেকে চলে যাওয়ার কারণ আমি ভাল করেই জানি । ব্লগে বলা যায় ওর থেকে কাছের বন্ধু আমার আর কেউ নেই ।

মাসুম চলুক নিজের মত । আসার হলে ফিরে আসবে । এখন নিজের কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকুক ।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: (মাসুম/ সাসুম এ প্যাঁচ লেগে যাচ্ছিল বারবার। শেষ দিকে সে আমার উপর খুব মাইন্ড করেছে।)
ব্লগ ছাড়ার পেছনে যেই কারণগুলো মুখ্য সেগুলো মোটামুটি তুলে ধরেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে ব্লগ অন্য জিনিস-যারা সত্যিকারে ব্লগে মজা পায় তারা সহজে অন্যমুখো হয় না।
ব্লগে সিন্ডিকেটের ব্যাপারটা আপনি কি তুলেছেন? এটাও একতা বিশেষ কারন-দলগতভাবে আক্রমন করা হলে- বিশেষ কারো টিকে থাকা কষ্ট। ফেসবুকের ঝলমলে দিনিয়া থেকে ব্লগের মত ধোয়াচ্ছন্ন জায়গায় ফিরে আসতে অনেকেরই মন চায় না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: এই কথা সত্য যে একবার ব্লগের মজা পেলে অন্য কিছুতে তাদের মন টানে না । তবে এখন ফেসবুকটা বেশ চমৎকার একটা সময় কাটানোর । সঠিক ভাবে যদি ফ্রেন্ড লিস্ট আর ফলোয়িং লিস্ট তৈরি করা যায় তাহলে কোয়ালিটি কন্টেন্ট অনেক অনেক পাওয়া যায় । ব্লগে এখন কালে ভাদ্রে ভাল লেখা আসে ! তবে এখনও আসে ।

সিন্ডিকেট ব্যাপারটা একটা কারণ ছিল আগে । তবে এখন সিন্ডিকেটের হামলায় ব্লগ ছেড়েছে এমন ঘটনা চোখে পড়ছে না ।
ব্লগে যারা আসার সব সময় আসবে ।

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের নেশায় যাকে ধরে না সে বেশী দিন থাকে না। আর যাকে নেশায় ধরে সে চলে গেলেও বারবার ফিরে আসে। তবে ঘোষণা না দেয়াই ভালো। সেই ক্ষেত্রে ফিরে আসার পথটা খোলা থাকে। শেরজা তপন ভাই ভালো বলেছেন। ব্লগ সবার ভালো লাগবে না। যেমন রাগাশ্রয়ী গানের চেয়ে চটুল গানের জনপ্রিয়তা বেশী। বেশীরভাগ মানুষ হাল্কা জিনিস পছন্দ করে। আর এখন লেখালেখির চেয়ে ভিডিও সহজ। ফলে বহুলোক পড়ার চেয়ে দেখায় বেশী আনন্দ পায়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমি ব্লগে সব সময় গল্পের দিকে বেশি ঝুকে ছিলাম । তবে এখন আরেকটা জিনিসের প্রতি আমার ঝোক হয়েছে সেটা হচ্ছে অডিও স্টোরি । ইউটিউবে এখন বেশ চমৎকার সব অডিও স্টোরি পাওয়া যায় । কষ্ট করে আর পড়তে হয় না । আমার হয়ে অন্য কেউ গল্প পড়ে দিচ্ছে আমি ঠিকই মজা পাচ্ছি । সামনে কী আসছে কে জানে !

হ্যা তবে ব্লগের মজা একবার যদি পায় তবে সে ব্লগ ছেড়ে যায় না । অবশ্য আরেক শ্রেণী আছে যারা ব্লগ ছেড়ে যায় না !

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



উনার সাথে কথা হলে বলবেন যেন ফিরে আসে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: সময় হলে সে আসবে !

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১২

মোগল বলেছেন: সাসুম মানে অই ছাগলের ছবি ওয়ালা ব্লগারটা?

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: ওটা আসলে বিশেষ একটা প্রতীক

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আসলে ফেইসবুক সবার জন্য তবে ব্লগার হতে হলে ভিতরে মাল মসলা থাকতে হয় অথবা জানা বা পড়ার আগ্রহ থাকতে হয়! বাঙ্গালীরা পড়ে কম, প্রশংসা প্রিয় তাই আমার মনে হয় ব্লগার কম ফেইসবুক ইউজার থেকে! যেমন আমি যদি ফেইসবুকে গিয়ে লেখি 'আজ আমার মন ভাল নেই', এই সামান্য পোষ্টে অনেকেই এসে উহ আহ করবে, লাইকের দিবে অনেক যেটা ব্লগে সম্বব নয়! তবে ব্লগের জন্য এন্ড্রোয়িড/আইফোন এপ, ব্যাপক প্রচারণা থাকলে ব্লগার এবং পাঠক বাড়ত, অবশ্য এই ব্যাপক কাজ করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে চাপ দেয়া যায় না, আমাদের দেশের মত দেশে ব্লগ এত দিন ধরে চালিয়ে নিচ্ছে এটাই অনেক কিছু! ফেইসবুক একটি ব্যাবসায়িক মডেল, হাজার কোটি টাকা আয় হয় ফেইসবুক দিয়ে তাই তার ইন্টারফেস এর সাথে তুলনা করা বা তার মত সার্ভিস আশা করা বোকামি। অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে ব্লগ চলছে, তাছাড়া আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা টেক্সবই কেন্দ্রিক, কেউ পড়তে চায় না! রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কবলে পড়ে ব্লগারদের নাস্তিক উপাদি দেয়াতে মানুষের মনে ব্লগারদের প্রতি বিরুপ প্রভাব পড়েছে বিশেষ করে সম্ভবত আমাদেশ পত্রিকা এরকম নিউজ করেছিল প্রথমে, যেটা এখনো রয়ে গেছে কিছুটা!

অভিমান নিয়ে যারা ব্লগ ছাড়ে, এরা আসলে ব্লগার নয়! এরা এমনেও থাকবে না, অভিমান একটি বাহানা মাত্র আমার মনে হয়!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমার নিজেও মনে হয় যে যদি একটা চমৎকার ইন্টারফেস ও ইউজার ফ্রেন্ডলি এন্ডোয়েড এপ থাকতো তাহলে ব্লগের ব্যাপারটা আরও একটি জনপ্রিয় হত । মাল মসলা থাকতে হয় ব্লগার হতে এখন মনে হয় এই কথাটা আর সত্য না । বরং বর্তমানে অনেক ফেসবুকার কিন্তু চমৎকার ভাবে কন্টেন্ট আর কোয়ালিটি লেখা পোস্ট করে ফেসবুকে । অন্তত আমার ফেন্ডলিস্ট আর আমি যাদের ফলো করি সেই লিস্টটা এমন কথাই বলে । অন্য দিকে ব্লগে কোয়ালিটি লেখা কিন্তু অনেক অনেক কম ।

ব্লগ ছাড়ার অনেক অনেক কারণ তো থাকেই । কোনটা বাহনা আবার কোনটা তাল বাহনা !

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: মাল মসলা থাকতে হয় ব্লগার হতে এখন মনে হয় এই কথাটা আর সত্য না

আমি বুঝাতে চাচ্ছি, ফেইসবুকে ভাল লেখক অনেক আছে এটা অস্বীকার করছি না তবে যে কেউ ফেইসবুক ইউজার হতে পারে অর্থাৎ কোন কিছু না লেখেও শুধু দুই এক লাইনের পোষ্ট, ইমেজ/ভিডিও শেয়ার করেও ফেইসবুক ইউজার হওয়া যায়! তবে ব্লগার হতে হলে ভাল লেখক না হলেও আগ্রহ থাকতে হয় লেখায়/ পড়ায় অথবা সংস্কৃতিতে যদি এগুলো না থাকে তাহলে ব্লগে টিকে থাকার কোন কারন নেই!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: ফেসবুক ইউজার তো সবাই । ফেসবুকে অনেক রকম ব্যবকারী আছে । কেউ আছে নিজেদের দিনকাল শেয়ার করে, কেউ বা ছবি আপলোড করে কেউ আবার নিজেদের জ্ঞান শেয়ার করে । এখন ব্লগের ব্লগারের সাথে তো সব ধরনের ফেসবুকারকে তুলনা করলে চলবে না । ব্লগারদের সাথে তুলনা করতে হবে শেষ শ্রেণীর ফেসবুকারের সাথে !

আমি আসলে আপনি যে বললেন না যে মাল মসলা থাকতে হয় ব্লগার হতে - এটা কিন্তু আসলেই এখন সত্য না । এটা তো আপনি নিজেও জানেন। এখান ব্লগার হতে হলে আসলে মাল মসলা না থাকলেও চলে ।
কারো কারো বেলাতে চাপার জোর থাকলেও চলে ।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেশ পরিষ্কার বুঝা গেলো কারণ গুলি। এবং কিছু কিছু বিষয়ের প্রতিকার করাও সম্ভব নয়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই সম্ভব না । যার যাওয়ার সে যাবেই । যার থাকার সে থাকবে ।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি কিছু যোগ করি। অনেকেই আছে নীরবে লেখা পড়ে। আমি তাদেরই একজন। ফেবুর মত সহজে লগ ইন সুবিধা নাই। তাই লগ ইন করা হয় না সব সময়। কিছু উন্নাসিক ব্লগার আছে যারা ব্লগ কিভাবে করতে হবে তার পান্ডিত্যের ফুলঝুরি ছিটাতে থাকে। সবার জীবন বিজ্ঞতায় ভরপুর থাকে না। আর ব্লগিং করার অর্থ বিজ্ঞান, সাহিত্যকে তুলে ধরতেই হবে সে কথা নাই। এগুলো বলার কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। পারত পক্ষে সাধারণ পোস্ট দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক তর্কে অনেকেই জড়াতে চায় না। ব্লগ থেকে দূরে চলে যাবার জন্য অনেক শিষ্টাচারহীন ব্লগারও দায়ী। যারা সাধারণ ব্লগারকে বিকৃতভাবে নিরুৎসাহিত করে।
আপনার লেখা মাঝে মাঝে পড়া হয় ভাল লাগে। ভাল থাকুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: //পারত পক্ষে সাধারণ পোস্ট দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক তর্কে অনেকেই জড়াতে চায় ন// এটা বলতে গেলে সব ব্লগারদের বেলাতেই খাটে । বর্তমানে বলতে গেলে কেবল হাতে গোনা একজন ব্লগার রয়েছেন যে কিনা নিজের পান্ডিত্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বড় বেশি ব্যাকুল । কে কেমন লিখবে না লিখবে সেটা নিয়ে বড় চিন্তিত ।

আপনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত হওয়ার সুযোগ নেই । ব্লগ থেকে দূরে চলে যাবার জন্য অনেক শিষ্টাচারহীন ব্লগারও দায়ী । কর্তপক্ষ শক্ত হাতে এদের দমন করলে গত ৫/৬ বছরে কিছু ব্লগার হয়তো ব্লগ ছেড়ে যেত না ।

আমার লেখা পড়েন জেনে খুশি হলাম । ভাল থাকুন সব সময় !

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: ব্লগার সাসুম ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। উনি আমার পছন্দের ব্লগার। আমার লেখা গল্প "সাত নম্বর কেবিন" এ উনি মন্তব্য করেছিলেন। ছোট্ট কমেন্ট কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল আমার লেখা স্বার্থক।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: মাসুমকে অনেকে পছন্দ করে আবার অনেকে পছন্দ করে না ।

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: অপু তানভীর,
আপনার লেখাটা হয়তো অনেস্ট সেটা নিয়ে তাই প্রশ্ন নেই । কিন্তু যে সব ব্লগার মন্তব্য করেছেন এই লেখায় ইসলামপন্থী, নাস্তিকপন্থী, বিজ্ঞানপন্থী, কবি -অকবি, সব্যসাচী এদের কেউই একটা কথা বলেননি সেটা হলো আপনার বন্ধু ব্লগারের ব্লগ ফ্রেন্ডলি আনপ্যারালাল ভাষাগত দক্ষতা ও মাধুর্যের কথা !

অডিও মিডিয়াম বা গানের ক্ষেত্রে যেমন জাত পাত, চেহারা সুরত না গলার কারুকাজটাই ইম্পরট্যান্ট, ভিজ্যুয়াল মিডিয়ামের ক্ষেত্রে যেমন প্রেজেন্টেবিলিটি খুবই ইম্পরট্যান্ট তেমন পাবলিক রাইটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্লগে লেখার সময় সংযত ভাষাগত ব্যবহার করাটাও খুবই ইম্পরট্যান্ট-আমার সব সময়ই মনে হয় সবচেয়ে বেশিই ইম্পরট্যান্ট গুন্ এটাই হওয়া উচিত। যে কোনো মতভিন্নতাই সংযত ভাষা ব্যবহার করেই ইফেক্টিভলি করা যায় । আপনি যদি এখনকার সময়ের অন্যতম প্রধান এথিইস্ট আর গডের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় অবিশ্বাসকারী, একসময়ের কেমব্রিজ প্রফেসর, ইভালুয়েশনাল বায়োলজিস্ট ক্রিস্টোফার ডকিন্সের লেখা পড়েন দেখবেন তার ঈশ্বর বিরোধী লেখাগুলোর মধ্যে কিন্তু কোনো ভালগারিটি নেই । ইভুলুশনের পক্ষে শুধু কঠিন সব যুক্তি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অপ্রমান করার জন্য। কিন্তু আমাদের ব্লগের শুরু থেকে ধর্ম বিশেষ করে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কিছু সোজার্নার ব্লগার (ইনক্লুডিং আপনার বিদায়ী বন্ধু) এদের ভাষা চরম ভালগার --বেশিরভাগ সময়েই পড়ার অযোগ্য । সেটা নিয়ে আগের মন্তব্যকারীর কেউ কিছু বললো না দেখে মনে হচ্ছে এরা নিশ্চই সবাই মুনি ঋষি টাইপ মানব মানবী অথবা ব্লগের ভালো করে টিকে থাকা নিয়ে চরম উদাসীন একগুচ্ছ ব্লগার ! মন্তব্যে এই খ্যাত কম বা অখ্যাত ব্লগাররা আপনার বন্ধু ভাষা নিয়ে কোনোই আপত্তির কথা বললেন না দেখে আমারই ডেভিলস এডভোকেট সেজে এই কথাগুলো বলতে হলো ।

রাইটিং প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞান সচেনতা বা লেখার মান সব কিছুই বিলীন হয়ে যায় অসংযত ভাষা ব্যবহারে। কিছু মনে করবেন না এই ক্রাইটেরিয়ায় ব্লগত্যাগী ফেমাস অনেক ব্লগারের মতো আপনার বন্ধুকেও আমি ফেইল গ্রেড দেই ব্লগার হিসেবে । আপনি প্রায় যুগ ধরে ব্লগে লিখছেন কোনো ভালগার ভাষা ব্যবহার না করেই। আমি বিশ্বাস করি এত দীর্ঘদিন যিনি লেখার ভালগারিটি না করেই লিখতে পারেন তিনি বাস্তবেও ভালগার ভাষা ব্যবহার করেন না। গল্পকার হিসেবে সে জন্যই আপনার গ্রেড কিন্তু আমার কাছে "এ" ছুঁই ছুঁই। এডমিরাল পিঁরি রেইসের ম্যাপ আমার কাছে খুব রহস্যময় না।তার থেকে আমার কাছে অনেক রহস্যের বিষয় হলো আপনার সাথে কেমন করে এমন ভাষা বিশেষজ্ঞের ফ্রেন্ডশিপ হলো --- বিষয়টা আমার কাছে দূর্জ্ঞেয় রহস্যময় সব সময়ই ---হাহাহা। এর উত্তর দেবার বাধ্যবাধকতা থেকে আপনি মুক্ত সব ভাবেই । চাউ ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: মাসুমের সাথে আমার ব্লগ থেকে পরিচয় হলেও ব্লগের বাইরেই আমাদের বেশি যোগাযোগ হয়েছে । ব্লগে ওর সাথে আমার খুব একটা ইন্টারেকশন হয় নি গত কয়েক বছরে । দুজন বিপরীত মেরুর মানুষও একে অন্যের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে । এতে রহস্যের কিছু নেই । অনলাইনে মানুষের আচরণ দিয়ে বাস্তবে তাকে পুরোপুরি চেনার কোন উপায় নেই । কোন ভাবেই না । এমন কি মাসুমের সাথে আমার মতের অনেক মিল আবার অমিল থাকা সত্ত্বেও ওর সাথে সম্পর্কে কোন হেরফের হয় নি ।

ভলগার ভাষা নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলার নেই । ভাষার রিপ্রেজেন্টেশ খুবই জরূরী একটা ব্যাপার । অনেকেই এটা বুঝতে পারেন না । কিংবা বুঝলেও সেটার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না । অনলাইন / ব্লগ প্লাটফর্মে এই ভাষাটা যদি সঠিক ভাবে প্রয়োগ হত বিশেষ করে ধর্ম রিলেটেড পোস্ট গুলোতে তাহলে হয়তো পুরো ব্যাপারটাই অন্য রকম হত ।

আমার গল্পের ব্যাপারে আপনার মনভাব জেনে ভাল লাগলো । ভাল থাকুন সব সময় !

বড় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্লগ ছাড়ার কারণ অসংখ্য। আমার ধারণা, প্রযুক্তির নানাবিধ সুযোগ থাকায় ব্লগের প্রতি সৃজনশীল লেখক পাঠকদের মননশীলতায় বিঘ্ন কিম্বা ছেদ পড়েছে। গত ১২ বছরে অন্যান্য গণমাধ্যমের চাইতেও স্যোশাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ভিন্নমতকে কঠোরভাবে দমন করায় কেউ স্বাভাবিক সাধারণ বক্তব্য/মন্তব্য লিখতেও ভয় পাচ্ছে। অর্থাৎ ব্লগাররা ভয়ে লিখতে পারছেন না। প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়েছে ব্লগারগণ- যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ হতে পারি আমি। সর্বপরি সিন্ডিকেটের যাতাকলে বাজে কমেন্ট ব্লগ লিখতে নিরুৎসাহিত তথা ব্লগ ছাড়ার অন্যতম কারণ।

ব্লগার সাসুম ব্লগ ছেড়ে যাওয়ায় খারাপ লেগেছে। তিনি একজন শিক্ষিত জ্ঞানী অনুসন্ধানী পাঠক ব্লগার ছিলেন। তাঁর জন্য শুভ কামনা। সাসুমকে আমার সালাম জানিও।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: কঠোর ভাবে এই যে নিয়ন্ত্রন এটা অন্যতম প্রধান কারণ মানুষের সব কিছু লিখতে না চাওয়া । আরও একটা কারণ আপনি দেখতে পাবেন যে পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য দেশে গনমানুষের মনভাব গতমতকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় । এই কারণে মানুষ নিজেদের মতামত জানায় লেখার মাধ্যমে । কিন্তু বর্তমানে একটা দেশের অবস্থা এমন যে সেখানে জনগন কী ভাবলো না ভাবলো তাতে কিছুই যায় আসে না । তাই মানুষও জানে যে তাদের মতামতের যেহেতু কোন মূল্যই নেই, উল্টো জেল ভোগের সম্ভবনা আছে তাই কেন আর খাল কেটে কুমির আনা । দরকারই নেই কিছু লেখার !

আশা করি মাসুক নিজের কাজ থেকে সময় সুযোগ পেলে আবারও ব্লগে ফিরে আসবে !

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার ঈশ্বরকণা'র মতামত ব্লগের অবস্থানকে অনেক উঁচুতে তুলে ধরে- তাঁর বিরদ্ধচারন কোন ব্লগারকে লিখতে কখনোই অনুৎসাহিত করবে না। আমি বিশেষ বিশেষ কিছু লেখায় সিরিয়াসলি অপেক্ষা করি তাঁর একটা মন্তব্যের...
রাশিয়ার বিষয়ে লিখতে সাসুমের সাথে একটা আন্তরিকতা গড়ে উঠেছিল। আচমকা সে যখন ঘোষনা দিয়ে লেখালেখি ছেড়ে দিল তখন আমি ভীষন আহত হয়েছিলাম। তবুও মনে মনে খুশী হয়েছিলাম সে অন্তত মন্তব্যে আছে দেখে। আমার পুরো বাবনিক সিরিজে তাঁর মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু সে সেখানে কোন মন্তব্য করে নি। ব্লগিং ছেড়ে দেবার পরে সে কিছু কিছু ব্লগার ও বিষয়ভিত্তিক কিছু লেখার উপর তাঁর ক্ষোভ ঝাড়তে থাকে। মন্তব্যে অশালীন হতে থাকে- সেটা আমাকে পীড়িত করেছে ভীষন!
অবশেষে এই কিছুদিন আগে সে আমার 'মানুষ পৃথিবীবাসী নয়' অনুবাদ লেখায় প্রথমবার ভদ্রভাষায় সে বেশ কটু মন্তব্য করে। দ্বীতিয়বার সে ফের যখন এই মন্তব্যটা করে তখন আর আমি সেটা সেভাবে হজম করতে পারিনি;

সাসুম বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আধুনিক মানুষ বিবর্তনের ফল নয়, এটাই বাস্তব সত্য।
মহাজাগতিক জ্ঞানী, এলিস সিলভার, আরিফ আজাদ, শেরজা তপন ভাই এবং ধপাস থিউরির সকল অনুসারীর সাথে সহমদ জানালাম- মানুষ বিবর্তন এর ফল না। এসব ভুয়া।
চমতকার লেখা, গ্রেট অনুবাদ । অনেক কিছু জানতে পারছি নতুন করে।
ধন্যবাদ
আমি প্রতিউত্ততে একটু উষ্মা জানিয়ে লিখেছিলাম;
লেখক বলেছেন: অনুবাদ খুব খারাপ হৈসে; আপনি কইলেন গ্রেট অনুবাদ।
মহাজাগতিক চিন্তা একজন সম্মানিত ব্লগার, এলভিসের অনুবাদ তারে টানছেন ঠিক আছে তবে আরিফ আজাতের এইখানে টানা ঠিক হয় নাই।
আপনার মস্তিস্কে ঘিলুর প্যাচ কয়েকখানা বেশী আছে! চরম অপমানজনক বাক্য কতই না সহজিয়া ভঙ্গীতে বলেন- গ্রেট!

তবে এর পরের মন্তব্যটায় আমি সত্যিকারে আহত হয়েছিলাম;
সাসুম বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার শেরজা তপন, প্রিয় রাশান নায়ক, জনপ্রিয় বাবনিক এর লেখক-
আমার মন্তব্যে আপনি মনে কস্ট পেয়েছেন জেনে, আমি যারপরনাই মনোযাতনায় ভুগছি। আমি এই জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি।
আপনার সায়েন্টিফিক শাহনামা তথা এই বৈজ্ঞানিক মহাকাব্যের সিরিজ পোস্টে আমার কোন মন্তব্যে আপনি কস্ট পেলে সেটা আমার ব্যার্থতা, এবং সেজন্য আমি সরি।
আপনি লেখক মানুষ, লিখে যাবেন। কে কি বল্লো তাতে থোরাই কেয়ার করবেন।
তবে আমার যদ্দুর মনে পরে, আমি কখনোই আপনাকে গালি দেইনাই, খারাপ কথা বলিনাই, গরু রচনা লিখেন এটাও বলিনাই, লিখতেও না করিনাই।
আপনার পোস্টে আমি সহমত জানিয়েছি, লিখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং আপনাকে জ্ঞান চর্চা অব্যহত রাখতে উৎসাহ দিয়েছি।
এরপরেও আপনি আমার মন্তব্যে কস্ট পেয়েছেন জেনে আমি নিজেই কস্ট পাচ্ছি।
আবারো ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিচ্ছি।
আপনার লিখায় এখন থেকে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভকামনা।

আমি তাকে বেশ বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেছিলাম মন্তব্যে ফিরে আসার জন্য। এর পরে সে যখন ব্লগিং একেবারে ছেড়ে দেবার ঘোষনা দিল তখন সত্যিই খারাপ লেগেছে।

ব্লগার ঈশ্বরকণাকে বলছি- আপনার কথা যুক্তিযুক্ত কিন্তু চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে চলে যায় তাঁর সন্মন্ধে খারাপ কথা বলা যায় না। ভাল থাকুন

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমার এই কথা হয়তো খানিকটা পক্ষপাত মুলক হবে অনেকের কাছে কারণ মাসুম যেহেতু আমার বন্ধু মানুষ । মানুষের কমেন্টে ভলগারিটি গত কয়েক বছর ধরে একটু বেড়ে গিয়েছিল । এটা অবশ্যই ওর কমেন্টের সাফাই না । কোন ভাবেই ভলগারিটির সাফাই করা যায় না । শুরু থেকেই ওকে চিনি । অনেক গুলো বছর ধরে । তখন ওর ভাষা এমন ছিল না । ইদানীং এটা বেড়েছে । কেন বেড়েছে সেটা ওর শেষ পোস্টের আগের পোস্টে কিছুটা জানা যায় হয়তো ।
বাস্তব জীবনে মাসুম খুবই আন্তরিক একজন মানুষ ।

আপনার পোস্টে ওর মন্তব্য দেখে আমারও মেজাজ গরম হয়েছিলো খুব । এই নিয়ে ওর সাথে আমার কথাও হয়েছে ।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: ও আর একটা কথা; সাসুম বা মাসুম চলে যাওয়াতে অনেকেই হয়তো খুশী হয়েছেন, তবে আমি চাই সে যেন আবার ফিরে আসে। যতই ভালগার বা কটু মন্তব্যকরে থাকুক না কেন তাঁর মত বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান ব্লগার ব্লগের জন্য প্রয়োজন ভীষন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়া আমাদের কারো কাছেই কাম্য নয় । সে ফিরে আসুক সব কিছু গুছিয়ে আশা করি।

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্লগিং হলো একটা নেশার মতো। তবে, সব নেশাই এক সময় উবে যায়, বা কমে যায়। ব্লগারগণ কেন ব্লগ ছেড়ে যান, তার সবগুলো কারণই পোস্ট ও কমেন্টে উঠে এসেছে।

ব্যক্তি-আক্রমণ এড়ানোর জন্যও অনেকে ব্লগ ছাড়েন। আমি আগে এটা ভাবি নি, ইদানীং ভাবতে শুরু করছি।

তবে, যাকে বাস্তব জীবনে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়, কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঁচতে হয়, তারা অফলাইন লাইফে কোনো কর্মসংস্থান পেলে ব্লগে সময় দেয়ার মতো আর সময় পান না বলেই ব্লগে আর আসেন না। অনেকের শুধু অ্যান্ড্রয়েড আছে, জিপি দিয়ে ব্লগে ঢুকতে পারেন না। তাই ব্লগে আসেন না, তারা যে ছেড়ে গেছে, হয়ত ব্যাপারটা তেমন না।

মিডিয়ায়, প্রিন্ট বা ভিজুয়াল, ভালো চাকরি পেলে বা শাইন করলেও অনেকে আর ব্লগমুখী হোন না।

ফেইসবুকের নামকরা কবি-সাহিত্যিক-আলোচকগণ একসময় ব্লগে ছিলেন। এখন তারা ফেইবুকেই থিতু হয়েছেন। ওখানে অল্প সময়ে অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছা যায়।

আমাদের বুদ্ধিমত্তা যত তীক্ষ্ণ ও ক্ষুরধারই হোক না কেন, আমাদের প্রকাশভঙ্গি হতে হবে মার্জিত, ভদ্রজনোচিত। স্বল্পজ্ঞানী কিংবা জ্ঞানহীন মানুষেরা গলার উচ্চস্বর দিয়ে জ্ঞানের ঘাটতি ঢাকার চেষ্টা করেন এবং অশ্লীল, অমার্জিত ভাষার প্রয়োগ দ্বারা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। জ্ঞানীদের অস্ত্র গলার উচ্চস্বরও না, ভালগারিজমও না, জ্ঞানীদের অস্ত্র হলো জ্ঞান ও ভাষার প্রয়োগ।

একজন ব্লগার যখন কোনো পোস্টে কমেন্ট করেন, তার কমেন্ট থেকে বোঝা যায় তিনি পোস্টটি পড়েছেন, নাকি পড়েন নি। পোস্ট না পড়ে করা কমেন্টটি যদি আবার ভালগারিজমে ভর্তি থাকে, সেই কমেন্ট থেকে কমেন্টদাতা সম্পর্কে খুবই নেগেটিম ইম্প্রেশনের জন্ম হয়।

সাসুম ভাই ব্লগ ছেড়ে গেছেন, জানি না। তিনি ফিরে আসুন, সুস্থ ও রুচিসম্মত কমেন্ট দিয়ে ব্লগ মুখরিত করুন, সেই কামনা করি। আর যদি একান্তই ফিরে আসা সম্ভব না হয়, তার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকবে, তিনি ভালো ও সুস্থ থাকুন।

সুন্দর আলোচনা করেছেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: ব্যক্তিআক্রমনের জন্য অনেকেই ব্লগে আসেন না । অনেকে কড়া সমালোচনার নামে নিজের মনে যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়ান যা এমন কি পোস্টের সাথেও রিলেটেড থাকে না । এই জিনিস অনেকেরই পছন্দ হয় না । তারা চলে যান ।

এটা ঠিকই বলেছেন ব্যক্তি জীবনের ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ব্লগে সময় দিতে পারে না । আমাদের ব্লগেই অনেকে আছে যাদের কেবল ছুটির দিনে দেখা যায় আবার অনেকে আছেন যাদের ছুটির দিনে দেখাই যায় না । কেবল অফিস আওয়ারে ব্লগে লগিং করেন ।

ফেসবুক এখন অনেক বড় প্লাটফর্ম । আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে ফেসবুকে প্রচুর ভাল ভাল কন্টেন্ট রয়েছে । বর্তমানে ব্লগ থেকে তা অনেক বেশি । দিন দিন এই কন্টেন্টের সংখ্যা প্রচুর বাড়ছে । সেই সোস্যাল মিডিয়ার নিত্য নতুন ফিচার মানুষকে আকর্ষণ করেই চলেছে ।

ভাষার ব্যবহার সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ন । এটা বলার অপেক্ষা রাখে না । এটা নিয়ে দ্বিমত হওয়ার কোন সুযোগ নেই ।

মন্তব্য দেখে আমিও ব্যাপারটা বুঝতে পারি খুব ভাল ভাবেই যে কে ব্লগ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছে, কে না পড়েই মন্তব্য করেছে । আমাদের ব্লগের খুব সুপরিচিতরা পোস্ট না পড়ে কিংবা পোস্ট বহির্ভুত মন্তব্য করতে বড় ভালবাসে ! এই কাজ গুলোই তারা বছরের পর বছর করেই চলেছে । এটাকে তারা আবার শ্রেষ্ঠ ব্লগিং মনে করে বড় গর্ববোধ করে থাকে ।

১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারনেই অনেকে ব্লগ ছেড়ে যান বলে আমার মনে হয়। তারা হয়ত ভুলে যায় ব্লগকে কিন্ত থেকে যাওয়া ব্লগারররা তাদের মিস করে। ব্লগার করুনাধারা , আমি সাজিদ , ম হাসান, ওমেরা প্রমুখ ব্লগারদেরো ব্লগে না থাকাটা খুব অনুভব করি। উনাদের পোস্ট , কমেন্ট খুবই ভাল লাগত।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: মা হাসানকে আমি বড় মিস করি । সত্যিই মিস করি । তার মন্তব্য পোস্ট আমি সব সময় উপভোগ করতাম খুব ।

আমার মনে হয় ব্যক্তিগত কারণটাই আসলে মুখ্য ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়ার । তবে নিরাপত্তার ব্যাপারটাও ফেলে দেওয়ার মত না ।

১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "Great minds discuss ideas; average minds discuss events; small minds discuss people."

সামু একটা প্রবাহমান নদীর মতো। এখানে আসা-যাওয়া থাকবে, এটাও একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে। তবে এমন যদি হয় যে শিষ্টেরা চলে যায় আর দুষ্টেরা থেকে যায় তাহলে অবশ্যই চিন্তার কারণ আছে।

সামুতে ইদানিং ব্যাক্তি আক্রমণ চোখে পড়ার মতো। যারা অহেতুক ব্যাক্তি আক্রমণে ব্যস্ত থাকেন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়। অনেকে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে অথবা অন্যকে ছোট করতে গিয়ে বলেন এটা ফেসবুক, এর মতো ওটা ফেসবুক এর মতো। কিন্তু, তিনি বা তারা যেটা বলেন না তা হচ্ছে তার বা তাদের কমেন্ট এ ব্যাক্তি ব্যাক্তি আক্রমণ গুলো কি প্রমান করে?? তারা এটা খেয়াল করতে ভুলে যান যে সবার ফেসবুক সার্কেল এক রকমের না।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

বিটপি বলেছেন: আপনার বন্ধুর ব্লগ ছেড়ে দেবার একটা কারণ হতে পারে আমি। বিভিন্ন সময়ে তার লেখা কমেন্টে আমি তাকে উত্যক্ত করেছি, বাদ দেইনি ব্যক্তি আক্রমণ। তিনি আমার নামে বেশ কয়েকবার রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু মডারেটর তাতে পাত্তা না দেওয়াতে তিনি সম্ভবত ব্লগের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে তিনি ব্লগ ত্যাগ করেননি। এখন উনার বাঁকা ত্যাড়া মন্তব্য আমার অনেকটা গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই তার মন্তব্যের কোন পালটা মন্তব্য আমি আর করিনা। কিছু কিছু মন্তব্যে আমি লাইকও দেই। আমার এই পল্টি খাওয়া সম্ভবত উনি ভালো চোখে দেখেননি। তাই সম্ভবত ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। যাই হোক, ওনাকে মিস করব আমি। ব্লগে টিকে থাকতে হলে ভিন্ন মতাবলম্বীদের কটুক্তি সহ্য করতে হয়। এটা বুঝে উনি ফিরে এলে আমি খুবই খুশি হব।

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বন্ধু গালিগালাজকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই কারণে মনে হয় অনেকে ওনাকে পছন্দও করতেন। ওনার গালির কারণে ওনাকে আমি পছন্দ করতাম না। তবে উনি অনেক বিষয়ে জ্ঞান রাখতেন। গালিগালাজ দেয়া লোক জনকে আমি ব্যক্তিগত জীবনেও দূরে রাখি। কিন্তু অনেকেই আসলে গালি পছন্দ করে এটা আমি লক্ষ্য করেছি। গালি দেয়াটাকে এক ধরণের স্মার্টনেস হিসাবে ধরা হয়। পৃথিবীতে কত রকম বিচিত্র মানুষ আছে এটা ব্লগে না আসলে জানতে পারতাম না। ব্লগে অনেক ভালো ব্লগার এখনও আছে যারা ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে কালে ভদ্রে পোস্ট বা মন্তব্য করেন। এভাবেও অনেক ব্লগার দূরে সরে যায় এক সময়। নিয়মিত ব্লগার তারাই যাদের আমার মতো কাজ কাম কম। ফলে ব্লগে অনেক সময় দিতে পারে তারা।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সাসুম ভাই কে ধরে আনেন শুনি তার কি যুক্তি আছে ব্লগ ছাড়ার। আমর তো বেশ লাগে বিনদিত হতে এখানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.