নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এদিকে পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে অথচ আমার এদিকে কোন খবর নেই । আমি যে সেই ঘুমিয়ে আছি আর উঠার নাম নেই । এখন পুরো পৃথিবী যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে আমার কী হবে ! যদি ঘুমের ভেতরে উপরে চলে যাই তাহলে উপায় আছে ! এখনও একটা ম্যাকবুক কেনা বাকি । কত দিন ধরে শখ আমার একটা ম্যাক বুক কিনবো । তারপর সেই ম্যাকবুক থেকে সামুতে পোস্ট লিখবো সেই আশা তো অপূর্ণই রয়ে যাবে ।
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এমন গুজব প্রায়ই আমাদের চোখের সামনে আসে । আর এখন এই ফেসবুক টিকটকের জামানায় এই ব্যাপারটা সবার কাছে মানে এই গুজব ছড়িয়ে পড়াটা বেশ সহজ । এবং সাধারণ মানুষ তা সহজে বিশ্বাসও করে নেয় । কেবল কিছু একটা বানিয়ে নেটে ছেড়ে দিলেই হয়, ব্যাস মানুষ সমানে সেই জিনিস শেয়ার দেওয়া শুরু করে । সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের নাম নেই । তবে এই গুজব যে কেবল নেটের মাধ্যমে ছড়ায় সেটাও কিন্তু না । আমার মনে আছে তখন ইন্টারনেটের যুগ ছিল না । সালটা ২০০০ । বছরের শুরুর দিকে শোনা গেল যে ঐ বছর ৫ই মে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে । বড় বড় এস্ট্রোলজার এই ব্যাপারে মত দিলেন । তারা গ্রহ নক্ষত্র পরীক্ষা করে বললেন যে ঐ দিন মানে ৫ই মে ২০০০ সালে সূর্য্যের এক দিকে পৃথিবী আর ঠিক তার উল্টো দিকে সৌর জগতের বাকি গ্রহ গুলোর অবস্থান থাকবে একেবারে সরল রৈখিক ভাবে । এবং সেই সব গ্রহের মধ্যাকর্ষণ বলে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাবে সূর্যের দিকে । এবং সেখানেই পৃথিবীর ইতি ঘটবে । তখন তো আর এতো নেটফেট ছিল না । এই সব তথ্য যাচাই বাছাই করার কোন উপায় ছিল না । মানুষজন খুব ভাল ভাবেই গুজবটা গিলেছিলো । পত্রিকা নিয়মিত এটা নিয়ে নিউজ হচ্ছিলো । আমার মনে আছে এই পৃথিবী ধ্বংশ নিয়ে বিটিভিতে একটা নাটক দেখেছিলাম । লিটু আনামের অভিনীত নাটক । নাটকের কাহিনীটা অনেকটা এই রকম ছিল যে লিটু আনামের বাবা ছিল খুব কৃপন । সে কিছুতেই টাকা খরচ করতে চায় না । তবে যখন শোনা গেল যে ৫ই মে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে তখন সে হাত খুলে খরচ করতে শুরু করলো । এই কাহিনী টুকু আমার মনে আছে !
এবং যতই দিনটা এগিয়ে আসছিলো ততই মানুষের ভেতরে উৎকন্ঠা বাড়ছিলো । সবার মনে একই প্রশ্ন পৃথিবী কি আসলেই ধ্বংস হয়ে যাবে ! তার উপর দিনটি ছিল শুক্রবার । এই দিনেই তো কেয়ামত হওয়ার কথা । ব্যাপারটা ঘটছিলো বেশ । সবাই সবার দেনা পাওনা মিটিয়ে দিচ্ছিলো । বিবাদ মিটিয়ে ফেলছিলো । সবাই সবার কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছিলো । আমার এও মনে আছে যে ঐদিন জুমুআর নামাজে বিশেষ দোয়াও করা হয়েছিলো সবার জন্য ।
কিন্তু দেখা গেল পৃথিবী ধ্বংস হল না ।
এরপর আরও কয়েকবার এমন হয়েছে । গুগলে সার্চ দিলেই এমন অনেক গুলো তারিখ আপনারা খুজে পাবেন । এখন এই ইন্টারনেটের যুগে এসেও মানুষ এসব গুজব ছড়ায় । এবং তার থেকেও অবাক করা বিষয় যে মানুষ তা বিশ্বাসও করে নেয় । ফেসবুকে কয়েকদিন ধরেই এই গুজব চলছে যে ১৫ই রমজানের দিন পৃথিবী ধ্বংশ হবে বেলা বারোটার সময়ে । আবার কেউ কেউ বলছে বিকাল তিনটা থেকে নয়টার ভেতরে ধ্বংস হবে !
কাল যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে কোন কাজটা না করতে পারার জন্য আপনার মনে আফসোস থাকবে?
আমি হিসাব করে দেখলাম যে জীবনের কাছ থেকে আমার কিছুই বলতে চাওয়ার নেই । যা পাওয়ার পেয়ে গেছি যা পাই নি তা নিয়ে কোন আফসোস নেই । তবে অনেক গুলো কেনা বই জমা হয়ে আছে । এই বই গুলো না পড়ে মারা গেলে আফসোস তো থাকবেই ।
এছাড়া আরও একটা ব্যাপার নিয়ে আফসোস থাকবে । একটা চাওয়া !
কী সেটা সেটা না হয় নাই বললাম । একান্তই আমার নিজের ভেতরেই থাকুক ।
তবে কাল যদি পৃথিবী ধ্বংসই হয়ে যায় সামুর সর্বশেষ পোস্টটা আমি দিতে দিতে চাই । অনেক গুলো পোস্ট ড্রাফট করে রাখা আছে । সেগুলোর ভেতরে একটা পোস্ট দিয়ে দিবো । বলা হচ্ছে যে একটা বিরাট আওয়াজ শোনা যাবে । আওয়াজ শোনা গেলেই পোস্ট করবো । আপনার কিন্তু কেউ পোস্ট করবেন না । আমিই হতে শেষ চাই সামুর শেষ পোস্ট প্রকাশকারী !
পানি গরম করতে দিয়েছি চুলায় !
শেষ কফিটা খাইয়া আসি !
pic source
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই জন্য আমি এখনও ঈদের শপিং করি নাই । যদি সব ধ্বংসই হইয়া যায় তাহলে শপিংয়ের জামা কাপড় গুলোর নষ্ট হবে । এটা মোটেও ঠিক হবে না । কিন্তু সমস্যা আবার আছে । বেতনের এই মাসের টাকা গুলো যে রয়ে গেছে এগুলোর কী হবে ! এগুলো তো খরচ হল না !
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইমন জুবায়ের ভাইয়ের একটা পোস্টের কথা মনে গেল। সেই সাথে উনাকেও অনুভব করছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা আমারও মনে আছে । তিনি এই রকম পৃথিবী ধ্বংস নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন । পোস্টের শিরোনাম সম্ভবত ছিল না শায়মা আপা পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না এই রকম টাইপ কিছু । সেটা সম্ভবত বারো বারো বারো তারিখটা নিয়ে দেওয়া হয়েছিলো ।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার বর্তমান পোষ্টে পাবেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা দেখে এলাম। আসল পোস্টেও ঘুরে এলাম । মনে হয় যেন এই সেদিনের কথা !
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এ গুজবের কথা শুনলুম জাস্ট গতকাল কোনো এক পোস্টে এক ব্লগারের কমেন্ট থেকে। একটু নেট ঘাঁটলাম এ নিয়ে। যথারীতি ভোগাস মনে হলো।
ইসলাম ধর্মের কথা অনুযায়ী যদি কেয়ামত সংঘটিত হয়, তবে পৃথিবীতে কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার কোনো আলামতই এখনো দেখা যায় নি। আমি যা শুনেছি, পৃথিবীতে একজন মানুষও আল্লাহ-বিশ্বাসী মুসলিম অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত কোনো কেয়ামত হবে না। বিশ্বাসীদের যে সংখ্যা বর্তমানে, তা কমতে কমতে ১জনে নেমে আসতে কত আলোকবর্ষ লাগতে পারে, তা মাথায় আসছে না
২০০২ সালের নভেম্বরেও বোধহয় এরকম কিছু হওয়ার গুজব উঠেছিল।
এর খারাপ দিকের চাইতে ভালো দিকেরও অভাব নাই। সব মানুষ হঠাৎ করে ভালো মানুষ হইয়া ওঠে। দেনাপাওনা মিটিয়ে ফেলে। সুসম্পর্ক বজায় রাখে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যায়।
মানুষের আকাঙ্ক্ষার কোনো শেষ নাই। মানুষ যত বাঁচে, তার আকাঙ্ক্ষাও তত বাড়ে। তবে, আমার কোনো আকাঙ্ক্ষাই অপূর্ণ নেই, আমার মনকে আমি এভাবেই সেটেল করে নিয়েছি। কিন্তু বেঁচে থাকলে কী কী করতে চেষ্টা করবো, সে-রকম কিছু পরিকল্পনা আছে।
সকালবেলা রম্য-সিরিয়াস ঢঙে লেখা পোস্টটা ভালো লাগলো।
ইয়ে, শব্দ শুনেই যে-পোস্টটা পাবলিশ করবেন ভেবে রেখেছেন, ওটা আজ রাত ১২টায় পোস্ট করে দিয়েন
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম কেয়ামত ধ্বংশ হওয়ার গুজব অনেক বারই উঠেছিলো । তবে সব থেকে বেশি এখনও পর্যন্ত সেই ২০০০ সালের ৫ই মে এর ঘটনাই আমার মনে পড়ে । ঐ সময়ে সত্যি যত হই হয়েছিলো অন্য কোন সময়ে আর এমন হয় নি। এরপর ২০১২ সালের ঘটনাটাও বেশ হই উঠেছিলো। এটা সম্ভবত হয়েছিলো সেই সময়ে ২০১২ সামে একটা মুভি খুব হিট করেছিল যেখানে আসলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখানো হয় । এটার কারণেই এই তত্ত্ব বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। সর্ব শেষ গতবছরে মায়ান ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ছিল । মায়ানরা বিশ্বাস করতো যে ঐ ক্যালেন্ডারের শেষ হয়ে গেলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে । সেটাও হয় নি । আর কদিন থেকে ফেসবুকে এই গুজব চলছে যে আজকে বারোটার সময়ে বেশ জোড়ে শব্দ হবে তারপর পৃথিবী ধ্বংস হবে ।
নির্দিষ্ট কোন পোস্টের কথা বলি নি । আসলে এখন সামুতে গল্পের পাঠক কম । তাই আমার সকল গল্প এখন আমার নিজেস্ব সাইটেই প্রকাশ হয় । সেই গল্প গুলো সব ব্লগেই ড্রাফট করা । এখনও আমি সব লেখা সামুর রাইটিং বক্সেই লিখি অভ্যাসের কারণে । তাই লেখা গুলো এখানেই জমা হয়ে আছে ড্রাফট আকারে । ৯৯টা মত ড্রাফট হয়ে আছে ।
১২ টা যেহেতু বেজে গেছে আর পৃথিবীও ধ্বংস হয় নি তাই আপাতত পোস্ট করছি না । সাইরেন বাজলেই পোস্ট করবো আশা করি ।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এখানে এখন তিনটা বাজে, দেশে একটা
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: না এখনও কিছু বলা যায় না । বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টার ভেতরেও একটা টাইম রয়েছে । দেখা যাক সাইরেন বাজে কিনা !
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার জন্য এক কাপ আনবেন দয়া করে। বারান্দায় চেয়ারে বসে আরাম করে কফি খেতে খেতে দেখতাম কি হয়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: আপাতত রোজা রয়েছি তাই করি না খাওয়াই ভাল । যখন পোস্ট লিখতেছিলাম তখন সেহরির সময় ছিল তাই কফির কাপ হাতে ছিল। আপাতত ইফতারের জন্য অপেক্ষা করি। তারপর আবার কফি খাওয়া যাবে। তবে হ্যা সত্যি যদি এই জীবদ্দশাতেই কেয়ামত হয় তাহলে এই কফির কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে সেই ধ্বংস দেখার ইচ্ছে আমার রয়েছে ।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসব গুজব যারা ছড়ায় তারা নির্বোধ না কি বাটপার; সেটাই ধরতে পারি না। যখন এসব কিছু সামনে আসে, আমি নিঃসঙ্কোচে বলে উঠি, হুদাই।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: যারা একেবারে প্রথম গুজবটা শুরু করে তারা মোটেই নির্বোধ নয় । তবে যারা সেটা ছড়িয়ে দেয় তারা নিশ্চিত ভাবেই নির্বোধ সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কালকে রাতে আমার বউ এই সতর্ক বাণী শুনালো। ভয়ে ভালো করে সেহেরি খেতে পারিনি আজকে। তাই রোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ইদানীং বেলা তিনটার পর থেকে খুব ক্ষুধা লাগা শুরু হয়েছে । এই ব্যাপারটা আগে ছিল না ।
তবে আমি এই সবে কোন ভাবেই বিশ্বাস করি না । আমি নিশ্চিত যে খুব জলদি পৃথিবী ধ্বংস হবে না অন্তত আমি যতদিন বেঁচে আছি সেই সময়ের ভেতরে হবে না ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩১
শায়মা বলেছেন: হাহা আমি পোস্ট করবো। একলব্যভাইয়ুকে বলে দিয়েছি কাল করবো। কাজেই কিছু করার নেই ভাইয়ু।
শুধু ভাবছি ঈদের জন্য যে সব শাড়িকাপড়, জামা জুতা দুল মালা চুড়ি কিনলাম সেসব সকালে উঠেই পরে বসে থাকবো নাকি।